নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম ফাকিবাজ কিন্তু ভালবাসতে জানি.....

আয়রোন বাবা

অকাল কুষ্মান্ড কিংকর্তব্যবিমূঢ় জড়পদার্থ

আয়রোন বাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদের Definition আর জামায়াতের শহীদ ব্যবসা ....

১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩

→ ইসলামে শহীদ কাকে বলে ?
শহীদ ইসলামীক দৃষ্টিতে খুবই
মর্যাদাবান
ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি শব্দ।
এটি ইসলামের নিজস্ব পরিভাষা।
শহীদ মৃত্যুবরণ করার সাথে সাথেই
জান্নাতের নেয়ামত ভোগ
করতে থাকে।
শহীদ কোন সামাজিক বা রাজনৈতিক
পরিভাষা নয়। তাই এটার যত্রতত্র
ব্যবহার কিছুতেই কাম্য নয়। হিন্দু,
বৌদ্ধ, খৃষ্টান, নাস্তিক-মুরতাদ
সকলের জন্যই এ শব্দ ব্যবহার
করা একটি ধৃষ্টতা বৈ কিছু নয়।
শহীদ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই? ইসলাম
নির্ধারিত একটি ইবাদত সম্পর্কিত
শব্দকে যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহারতো ইসলাম
অবমাননার শামিল।
বিশেষ করে যারা নাস্তিক,
ধর্মদ্রোহী কিংবা রাজনৈতিক হীন
লালসা চরিতার্থ করার
উদ্দেশ্যে মারা গেছে তাদের শহীদ
বলাটা ইসলামের এ মর্যাদাপূর্ণ
শব্দকে নিয়ে তামাশা করা ছাড়া আর
কিছু নয়।
→ শহীদ কাকে বলে?
শহীদ বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে,
যাকে কাফেররা হত্যা করে যেকোন
কারণেই হোক।
অথবা ইসলামী খিলাফতের
বিরুদ্ধাচরণকারী, অথবা ডাকাত,
অথবা স্বীয় বাড়িতে চোর
হত্যা করে,
অথবা যাকে কাফেরদের
সাথে অনুষ্ঠিত জিহাদের
ময়দানে পাওয়া যায়,
সাথে সাথে তার
গায়ে থাকে কাটার দাগ, বা ক্ষত
কিংবা পোড়ার চিহ্ন,
কিংবা চোখ বা কান
থেকে রক্তক্ষরণ অবস্থায়, মুখ
বা কান থেকে নয়। {কেননা কান
বা মুখ থেকে আঘাত ছাড়াও রক্ত
বের হতে পারে}
অথবা যাকে হত্যা করেছে কোন
মুসলমান ইচ্ছেকৃত জুলুম করে, ভুল
করে নয়।
হত্যা করে ধারালো অস্ত্র
দিয়ে ভার দিয়ে নয়।
উক্ত ব্যক্তির নাম শহীদ। তাকে শহীদ
এজন্য বলা হয় যে,
সে জান্নাতে উপস্থিত হয়ে যায়।
{ফিক্বহুল ইবাদাত, কিতাবুস সালাত,
১০ম অধ্যায়, জানাযা-১/১২৩}
কুরআনের ভাষায়-
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত
হয়, তাদের মৃত বলো না।
বরং তারা জীবিত, কিন্তু
তোমরা তা বুঝ না।
{সূরা বাকারা-১৫৪}
কাজেই আল্লাহর
কাছে যারা পার্থিব
জীবনকে আখেরাতের
পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের
জেহাদ করাই কর্তব্য।
বস্তুতঃ যারা আল্লাহর
রাহে লড়াই
করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ
করে কিংবা বিজয় অর্জন করে,
আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব।
{সূরা নিসা-৭৪}
দুটি আয়াতে লক্ষ্য করুন আল্লার
রাস্তায় জিহাদরত অবস্থায়
মৃত্যুবরণকারীর ফযীলত
বর্ণনা করা হয়েছে। যাকে শহীদ
বলা হয়।
→ হাদীসের ভাষায় শহীদ-
হযরত আবু মুসা রাঃ থেকে বর্ণিত।
এক
ব্যক্তি রাসূল সাঃ এর
কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল- এক
ব্যক্তি গনীমতের মাল অর্জনের
জন্য জিহাদ করল, একজন নিজের
বীরত্বের সুনামের জন্য জিহাদ করল,
একজন তার বীরত্ব দেখানোর জন্য
জিহাদ করল, এদের মাঝে কে আল্লাহর
পথে প্রকৃত জিহাদ করল ?
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহর
কালিমা বুলন্দ করার
জন্য জিহাদ করল, সে প্রকৃত
মুজাহিদ।
{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৬৫৫, সহীহ
মুসলিম, হাদীস নং-৫০২৯}
হযরত সাঈদ বিন যায়েদ
থেকে বর্ণিত।
রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-
”যে ব্যক্তি নিজ
সম্পত্তি রক্ষায় নিহত হয়
সে শহীদ। যে ব্যক্তি নিজ পরিবার
রক্ষায় নিহত হয় সেও শহীদ।
অথবা প্রাণ রক্ষায় কিংবা দ্বীন
রক্ষায় নিহত হয় সেও শহীদ।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৪৭৭৪,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬৫২)
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদরত
অবস্থায়
যারা শহীদ হন তাদের বলা হয় শহীদ।
এটা হল সত্যিকার শহীদ। রাসূল
সাঃ কতিপয় ব্যক্তিকে হুকুমের
দিক থেকে শহীদ বলেছেন। প্রকৃত
শহীদ নয় বরং শহীদের
কাছাকাছি মর্যাদাসম্পন্ন
ব্যক্তি।
যেমন হাদীসে রয়েছে-
হযরত জাবের বিন আতীক
রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সা.
ইরশাদ
করেছেন-আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ
করা ছাড়াও সাত প্রকার শহীদ
রয়েছে।
১-মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী শহীদ।
২- পানিতে নিমজ্জিত শহীদ।
৩- শয্যাশায়ী অবস্থায় মৃত শহীদ।
৪-পেটের রোগ মৃত্যুবরণকারী শহীদ।
৫-আগ্নিদগ্ধব্যক্তি শহীদ।
৬- যে ব্যক্তি ধ্বংসাবশেষের
নিচে পড়ে মারা যায় সেও শহীদ।
৭-সন্তান প্রসব
করতে মারা যাওয়া নারীও শহীদ।
{মুয়াত্তা মালিক, হাদিস নং-৫৫৪,
৮০২, আল মু’জামুল কাবীর, হাদিস
নং-১৭৮০, সহীহ কুনুজু সুন্নাতিন
নাবাবিয়্যাহ, হাদিস নং-২৩

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের মৃত্যুর পর, কি হবে আমরা জানি না; ফলে, মৃত ব্যক্তিকে আমরা কি বলছি তাতে কিছু আসে যায় না।

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

আয়রোন বাবা বলেছেন: গাজী ভাই যা বলেছেন তা শুধু নিতান্তই আপনার কথা সর্বজনীন না....!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.