![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ মানুষ । লিখালিখি পছন্দ করি , পছন্দ করি গরিব ছেলে মেয়েদের । জীবনে অনেক কাজ করার আশা আছে , যদি আল্লাহপাক তৌফীক দেয় তাহলে দেশের জন্য কিছু করে যাবো ইনশাল্লাহ ।
তেজগাঁও রেলস্টেশনে দারিয়ে আছি ট্রেনের জন্য !!!
আর ১ ঘণ্টার মতো লাগবে ট্রেন আসতে , অপেক্ষা করতেসি আর মোবাইলে ফেসবুকে আছি,
হটাত দেখি একটি বৃদ্ধ মহিলা আমার কাছে এসে বলছে "একটু সরেন জারু দিতাসি"
আমি সরে অন্য দিকে গেলাম ! ফেসবুক থেকে বেরিয়ে দেখতে লাগলাম মহিলা টি কি করে !
মহিলাটির বয়স হবে ৮০-৯০ , অনেক্ষন জারু দেয়ার পর মহিলা টি গান গাওয়া শুরু করলো ।
আহ কি সুন্দর গান, গান টা বুঝতে না পারলেও গানের সুর টা ছিল ভীষণ ইমোশনাল ।
আমি গান সুনতে লাগলাম আর বৃদ্ধ মহিলাটির দিকে তাকিয়ে রইলাম ।
স্টেশনে গেলে বুঝা যায় যে বাংলাদেশের মানুষ কত অসহায় কত ক্ষুধার্ত থাকে
অনেক মহিলা পুরুষ ছোট বাচ্চা গুলো কে দেখলেই চোখে জল এসে যায়
আসলে আমরা উপলদ্ধি করতে পারি না যে আমরা কতই না সুখে আছি ।
একটু পর দেখলাম একটি মহিলা (৪০) টার ছোট্ট ছেলে (০৫) কে গালাগালি করছে , মহিলাটার বকা সুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না ।
কারন ওটা গালাগালি ছিল না ছিল কষ্টের বহিঃপ্রকাশ
গালাগালির মধ্য নিজের জীবন কাহিনী কে তুলে ধরল মহিলাটি ( কিভাবে তারা খায় , কিভাবে ঘুমায় , কিভাবে টাকা উপার্জন করে , কিভাবে কষ্টে দিন কাটে আগুলো ছিল গালির মূল শিকর )
টাই চোখের পানি আমার পারমিশন ছাড়াই পরতে শুরু করলো :'(
অনেক মানুষের বকার মধ্য অনেক কারন থাকে কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম মহিলা টি বিনা কারনেই বাচ্চাটাকে বকছে ।
ক্ষুধার জালা মিটাতে পারছে না ওই অসহায় মানুষ গুলো
বিশ্বাস করেন আমার মনে হচ্ছিল মহিলাটি বকা গুলো আমায় দিচ্ছে
মহিলাটির বকা সুনে আমি নিরদ্বিধায় বুঝতে পারলাম এটা বকা না এটা কষ্টের বহিঃপ্রকাশ এবং ক্ষুধার্তের জালা
০৫ বছরের বাচ্চা গালাগালির কি এমন বুঝে ? যে টাকে টার মা বাপ নিয়ে গালি দিবে !
আসলে মহিলাটি নিজেও জানে এসব গালি দিলে বাচ্চা কিছুই বুঝবে না ।
কিন্তু যে গালি দিচ্ছে সে ঠিকি বুঝতেসে কত কষ্ট নিয়ে বেঁছে আছে তারা ।
এত গালাগালি করে নিজের জীবন কাহিনী তুলে ধরার পরেও মহিলা টি কাতছে না ।
কিচ্ছুক্ষন পরে বুঝতে পারলাম যে বৃদ্ধ মহিলা টি জারু দিচ্ছে সে ওই মহিলার শাশুড়ি ।
বৃদ্ধ মহিলাটির জারু দেয়া শেষ করে একটি কোনায় বসে আছে, আর ওই মহিলা টি নিজের কষ্ট গুলো দূর করার জন্য বাচ্চা ছেলে কে বিনা কারনে বকছে ।
আসলে ওরা সবাই ক্ষুধার্ত ছিলো ।
আমরা সবাই জানি আমরা যখন কষ্ট পাই তখন কেদে কেদে আমাদের মন কে হালকা করি , কয়জন আছি যে মন হালকা করার জন্য বকাবকি করি ?
মন হালকা করার জন্য চোখে পানি লাগে । কিন্তু এই অসহায় মানুষ গুলর চোখের পানি সুখিয়ে গেছে যে অনেক আগেই
তারা চোখের পানি কোথায় পাবে বলেন ? স্টেশনের মানুষ গুলো তাদের মন হালকা করে গালাগালি করে ।
তাদের গালাগালি থেকে বাদ পরে না তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি জামাই, ছেলে-মেয়ে এমন কি নিজের মা বাবাও
এত কষ্টের পরো তারা জীবনের সাথে হার মানে নি ।
হার মানবে কি করে ?
তারা যে নিজের কষ্ট কে গলা টিপে হত্যা করেছে অনেক আগেই
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: হুম.. ঠিকই বলেছেন,তারা যে নিজের কষ্ট কে গলা টিপে হত্যা করেছে অনেক আগেই..
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
শ্রাবণ জল বলেছেন: তারা যে নিজের কষ্ট কে গলা টিপে হত্যা করেছে অনেক আগেই...
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
তাসজিদ বলেছেন: তারা কষ্টের মাঝে বসবাস করে, দিন কাটায়, রাত কাটায়, বছর কাটায় তার পর একদিন...............
রাতে যদি কখন station এ যান দেখবেন মানুষ কত নিশ্চিন্তে ঘুমুছে। যেন কত সুখ, কতই বা তাদের শান্তি
চাইলে আমার ব্লগে কেএফসি, ডোরেমন কিংবা খিদের গল্পশিরনামের গল্পটি পড়ে দেখতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বোকামন বলেছেন: জী আমরা কষ্ট ফাই না
কিসের কষ্ট কোন কষ্ট নাই .......... আমারা এমনেই ভালা আছি