নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: ইমরান হোসেনস

আমি খুব সাধারন মানুষ,বলার মত তেমন কিছু আমার মধ্যে নেই।

মো: ইমরান হোসেনস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে,শরীল জন্য কি কি উপকার জানুন?

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৫



একটি সিগারেট জ্বালালে প্রায় ৭০০০ বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বের হয়। এই কারণে ধূমপানকে অকাল মৃত্যুর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই ধূমপান ছেড়ে দেয়া নিজের স্বাস্থ্য ও পরিবারের সদস্যদের জন্য বড়ই মঙ্গলজনক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এটা জানা সত্ত্বেও পৃথিবীর ১.৩ বিলিয়ন (১ বিলিয়ন=১০০ কোটি) মানুষই ধূমপায়ী। চলুন জানা যাক, ধূমপান ছেড়ে দিলে মানবদেহে আসলে কি কি ঘটে?

২০ মিনিট পরঃ

রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। কারণ সিগারেটের নিকোটিন এফিনেফ্রিন ও নরএফিনেফ্রিন নামক দুইটি রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। এরা হৃদস্পন্দনকে বাড়িয়ে দেয় ও রক্তনালীকে সরু করে ফেলে। আর এই কারণে ধূমপায়ীদের হাত-পা ঠাণ্ডা থাকে। তবে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার ফলে শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে যায়।

২ ঘণ্টা পরঃ

নিকোটিনের আসক্তি বেড়ে যাওয়ার ফলে মেজাজ তিরিক্ষে হয়ে যায় এবং সদ্য ধূমপান ছেড়ে দেয়া ব্যাক্তি কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। এই সময় সে পিপাসাকাতর হয়ে পড়ে। এমনকি ঠিকমত ঘুমাতেও পারেনা। কারণ নিকোটিনের প্রভাবে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ডোপামিন নির্গত হয়। তাই ডোপামিন নিঃসরণের হার কমে যাওয়াতেই এইসব শারীরিক উপসর্গ দেখা যায়।

৮ ঘণ্টা পরঃ

ধূমপানের সময় শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা কার্বনমনোক্সাইডের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসে।ধূমপায়ীদের দেহে কার্বন মনোক্সাইড ও অক্সিজেন উভয়ই রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হবার প্রতিযোগিতা করে। ফলে রক্তসঞ্চালনে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। তবে কার্বন মনোঅক্সাইডের পরিমাণ কমে যাওয়াতে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়। ফলে রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে কার্বন মনোঅক্সাইড বের হয়ে যাবার পর লোহিত রক্তকণিকাগুলো আকারে বড় হয়ে যায়। ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি এমনকি দেহের কোথাও কোথাও রক্তজমাট বেঁধে যাবারও সম্ভাবনা থাকে।

২৪ ঘণ্টা পরঃ

প্রচণ্ড পরিমাণে কাশির উদ্রেক হয়। এর মাধ্যমে ফুসফুস থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দেহের বাইরে বের হয়ে যায়। এছাড়াও এর ফলে করোনারি ধমনীর বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমে যায়।

৪৮ ঘণ্টা পরঃ

নিকোটিন এবং এর বিভিন্ন উপজাত পদার্থ শরীর থেকে সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুতন্ত্র পুনরায় সচল হয়ে ওঠে। আলকাতরা এবং সিগারেটের অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ জিহবার স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই এদের অনুপস্থিতিতে জিহবার স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে খাবারের স্বাদ সঠিকভাবে অনুভুত হয়। তবে অনেক সময় অধিক ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে স্বাদ গ্রহণের এই ক্ষমতা পুরোপুরি ফিরে আসে না।

৭২ ঘণ্টা পরঃ

নিকোটিন শরীর থেকে বের হয়ে যাবার ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। মাথা ব্যাথা,বমি বমি ভাব,খিঁচুনি সেগুলোর মাঝে অন্যতম। এছাড়াও দুশ্চিন্তা,হতাশা এগুলোও দেখা দেয়। তবে ৭২ ঘণ্টা পরে এই অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি ঘটে।

১ মাস পরঃ

টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

৩ থেকে ৯ মাস পরঃ

ফুসফুসের সিলিয়া (ফুসফুসে বিদ্যমান চুল সদৃশ গড়নের একটি অংশ যা ধূলাবালি ও ফুসফুসের বিভিন্ন বর্জিতাংশকে দেহের বাইরে পাঠাতে সাহায্য করে) প্রায় পুরোপুরি সেরে ওঠে। ফলে কাশি ও শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

১ বছর পরঃ

একজন ধূমপায়ীর চেয়ে হৃদরোগ হবার সম্ভাবনা অর্ধেক কমে যায়।

১০ বছর পরঃ

ফুসফুসের ক্যান্সার হবার ঝুঁকি একজন ধূমপানকারীর চেয়ে অর্ধেকাংশে হ্রাস পায়।

১৫ বছর পরঃ

এই সময়ে শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ড প্রায় সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক হয়ে আসে। হৃদরোগ বা হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একজন স্বাভাবিক ও অধূমপায়ী মানুষের সমান হয়ে যায়।

তবে এই পর্যায়ক্রমিক ধাপগুলো পুরোপুরি সুনির্দিষ্ট নয়। একজন ধূমপানকারী মাসে বা বছরে গড়ে কতগুলো সিগারেট খায় ,এর উপর তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কর্মকাণ্ড কতটুকু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে সেটা অনেকাংশে নির্ভর করে। কিন্তু তারপরেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ধূমপানের ফলে ফুসফুসের অপূরণীয় কিছু ক্ষতি হয় যা কখনই ঠিক হয়না। এছাড়াও ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কিছুটা থেকেই যায়।

ধূমপান ছেড়ে দেওয়া একজন ধূমপানকারীর জন্য আসলেই অনেক শক্ত কাজ। কিন্তু এটি পরিত্যাগের ফলে যে সুফল পাওয়া যায় তার পরিমাণ অনেক বেশি। প্রাথমিক পর্যায়েই ধূমপান ছেড়ে দিলে দেহের ক্ষয় ক্ষতি অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব। তবে শরীরের এই দৈন্যদশা প্রতিরোধের একটিমাত্রই উপায় রয়েছে। সেটা হল, কখনই ধূমপান না করা।

তথ্যসূত্রঃ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি গত ১৩ই জুন, ২০১৭ থেকে সিগারেট পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছি বা বাধ্য হয়েছি।

২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৭

মো: ইমরান হোসেনস বলেছেন: সিগারেট ছেড়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।আপনার সুন্দর জীবন কমনা করছি

২| ২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫০

রাখালছেলে বলেছেন: আগে বাংলা লিখতে শিখুন তারপর কপি পেষ্ট মারেন । "শরীল" না হবে " শরীরের জন্য " । ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপুর্ন তথ্যের জন্য ।

২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৮

মো: ইমরান হোসেনস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫১

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: একটি চমৎকার পোষ্ট।জানার মতো কিছু রয়েছে পোষ্টটিতে।
অফটপিক:তথ্যসুত্রটা.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.