নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একা থাকা ভালো,\nএকা থাকা বোরিং!

ইমতি্য়াজ আনাম মাহমুদ

undefined

ইমতি্য়াজ আনাম মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো থাকবেন, শর্মিলী আপু.......

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২০

পুরো এলাকায় ছিঃ পড়ে গেল!

ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকাটা বড় না। ভদ্রলোকের এলাকা। এমন একটা এলাকায় এমন একটা কাজ! ছি ছি পড়ে যাবারই কথা। আরেকটা ব্যাপার, ছোট এলাকার কথা আরো অনেক বড় এলাকা নিয়ে ছড়ায়। বলার কেউ আশেপাশে থাকে না তো! বরিশালের খবর তাই আমি ঢাকায় বসে পাই,

-দোস্ত, শর্মিলী আপু তো ভাইগগা গেছে!
-ভাইগগা গেছে মানে?
-হ দোস্ত! পরশু রাতে বালিশের নিচে একটা চিঠি রাইখা ভাইগগা গেছে!

পালিয়ে গেছেন! শর্মিলী আপু পালিয়ে গেছেন!

ছিঃ ছিঃ! কি লজ্জার কথা! শর্মিলী শেষ পর্যন্ত পালাল? নষ্ট মেয়ে! কি দরকার ছিল তার এসব করার? কি ছিল না তার? স্বামীটা কত ভালো ছিল! কত ভআলো একটা চাকরী করত! এসব ফেলে পালাল শর্মিলী?

শর্মিলী আপু কি টাকাকে বিয়ে করেছিলেন? হ্যাঁ, শর্মিলী আপুর স্বামীর টাকা ছিল। মাসে তিন লাখের মত স্যালারী, যে সে ব্যাপার নয়। কিন্তু বিয়ের সময় যিনি আপুর পাশে বসেছিলেন, তিনি কি হাজার টাকা নোটের কয়েকটা বান্ডিল ছিলেন? সারাদিনের পরিশ্রমের শেষে শর্মিলী আপু যার পাশে গিয়ে শুতেন, তার গা থেকে কি টাকার গন্ধ আসত?

কেন? শর্মিলী বুঝি সুখে ছিল না?

ছিলেন, আপু সুখে ছিলেন। লোক দেখানো সুখ! যে সুখের অভিনয় করে আজ আপনি ক্লান্ত, আমি ক্লান্ত। সেই সুখ ছিল আপুর!

আপু খুব বেশি হাসতেন। বিধাতা তাকে বত্রিশখানা দাঁত দিয়েছিলেন, আপুর কাজ ছিল সারাক্ষণ তার সবগুলো বের করে রাখা! সত্যি বলতে কি, কিছুটা বাজেই দেখাত তাকে!
বিয়ের পর আপুর হাসিটা সুন্দর হয়ে গিয়েছিল। আপু অল্প করে হাসতেন। খুব কষ্ট করে যদি দাঁতের ঝিলিক দেখা যেত।

আপুর বিয়ের পরেও আপুর সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। হাই হিল পরে আপুর দৃপ্ত হাঁটা দেখে জানি ঈর্ষা হচ্ছিল বহু মেয়ের। আমার খারাপ লেগেছিল, আপু তো হিল স্যান্ডেল পড়েন না! আপুর খুব অপছন্দ ছিল এই হিল স্যান্ডেল। তসলিমা নাসরিনের বই পড়ে হিল স্যান্ডেল জিনিসটার উপর আপুর বিতৃষ্ণা ছিল দেখার মত!

বিয়ের আগে দেখা হলে যখন জিজ্ঞেস করতাম, "কেমন আছেন?", জবাবে প্রতিবারই তিনি কোনো নেগেটিভ উত্তর দিতেন! এটা তার স্বভাব! সবচেয়ে বেশি বলতেন, "কচু আছি!" সেদিন বেড়াতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "আপু, কেমন আছেন?", আপু খুব হেসে উত্তর দিলেন, "ভালো আছি রে!"

সর্বদা "কচু" থাকা আপু, বিয়ের পরে "ভালো" থাকতে শুরু করলেন!

হ্যাঁ, আপুর কাছে টাকা ছিল। ভালো খাবার ছিল, পোশাক ছিল। সুখ ছিল না। ভালোবাসা ছিল না। যে যাই বলুক, যে ঘরটা বিয়ের পর একটা মেয়ে তিনটা বছর সহ্য করতে পারল না, সেই ঘরে আর যাই থাকুক, ভালোবাসা থাকতে পারে না। সম্ভবই না! আমি বিশ্বাস করি না!

অনেকদিন আপুর সাথে কথা হয় নি। আজ ফোন দিয়েছিলাম, ফোন বন্ধ। সেটাই স্বাভাবিক, এই সময়ে কে ফোন চালু রাখবে?

আপু ফোনটা ধরলে বলতাম, ভালো করেছেন আপু, পালিয়ে বেঁচেছেন। এই ছিঃ-এর ভয়ে যে কত মেয়ে সব মুখ বুজে সহ্য করে যায়, তার হিসেব নেই। আপনি পেরেছেন, পালিয়ে যেতে পেতেছেন, পালিয়ে গিয়ে বেঁচেছেন। শুধু এই শুভকামনা করি, যা এখানে পেলেন না, তা যেন নতুন জীবনে গিয়ে পান।

ভালো থাকবেন শর্মিলী আপু।

না না, ভালো না, "কচু" থাকবেন, আগের মত!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: শেষের দু লাইন পুরো লেখাটার আমেজ নষ্ট করে দিচ্ছে মনে হলো। তবে ভালো লেগেছে বিষয়টা। ছি সর্বস্ব সমাজ-পরিবার। তাই আড়ালেই থাকে অনেক কিছু। ঢঙ্গিলা আর ভঙ্গিলা মানুষ অন্তর্গত জীবনে গুহাবাসী।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:২৮

ইমতি্য়াজ আনাম মাহমুদ বলেছেন: শেষ দুটো লাইন তাহলে আমারই থাকুক। ওটা আমার চাওয়া। যদি থাকতেন আমার যায়গায়, হয়ত বুঝতে পারতেন।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটি । জীবন এক জটিল জলের আবর্তন ।

শুভেচ্ছা নিবেন ।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:২৮

ইমতি্য়াজ আনাম মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ!!

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

আদম_ বলেছেন: মোটামুটি লাগলো।
আপনি কমেন্টের রিপ্লাই কমেন্টে না দিয়ে নতুন কমেন্টে রিল্পাই দেন কেন?

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

ইমতি্য়াজ আনাম মাহমুদ বলেছেন: এমনি, আমার দেখতে ভালো লাগে। পাগলামি একরকম! :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.