![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটা বারবার ঘড়ি দেখছে।
বারবার মানে একটু বেশিই বারবার!
একবার ঘড়ি দেখার মোটামুটি ৫৫
সেকেন্ডের মধ্যে ছেলেটা আবার
ঘড়ির দিকে তাকায়। এতবার
ঘড়ি দেখে ছেলেটা ঠিক
কি বোঝাতে চায় ছেলেটাই
ভালো বলতে পারবে।
তবে ঘড়িটা বেশ সুন্দর। সম্ভবত নিউ-
মার্কেট থেকে কেনা। না হলে এ
রকম একটা ঘড়ি পরা ছেলে রাস্তায়
রিকশার জন্য
অপেক্ষা করবে বলে মনে হয় না।
ছেলেটা রিকশা পেয়েছিল কিনা,
কে জানে?
একটা ছেলে রিকশা পেয়েছে কিনা দেখার
জন্য দাঁড়িয়ে থাকাটা বাড়াবাড়ি।
পেয়ে থাকলে ভালো। আমরা তার
জন্য শুভকামনা জানাই, তার
যাত্রা শুভ হোক!
আমরা বরং আরেকটা ছেলের গল্প
শুনে আসি।
একটা মোটামুটি উচ্চ-মধ্যবিত্ত
ঘরে যখন একটা ছেলের জন্ম হয়,
পৃথিবীর হিসাবে সে খুব ভাগ্যবান
একজন ছেলে। তার টাকা-পয়সার কষ্ট
হবে না, পড়াশোনা করার
একটা ভালো পরিবেশ থাকবে।
ঈর্ষা করার মত ভাগ্য! স্বভাবতই
তাকে নিয়ে সবার আশা একটু বেশিই।
মা-বাবার আশা তো আরও
আকাশছোঁয়া! ফলে পান থেকে চুন
খসলেই যেন মাথায় আকাশ
ভেঙে পড়ে।
তুলনা শুরু হয়। অমুকের মত পড়, ওর মত চলো,
তার মত বলো। সোসাইটির অন্য
ছেলেগুলোর চেয়ে তুমি কম কিসে?
ওরা কেন বেটার হবে? তুমি কেন নও?
প্রতিদিনই তাই নকল চলে। কার
কোনটা ভালো,
তা নিজেতে গোছানোর
চেষ্টা চলে। অন্যের পালক
গায়ে চড়াতে গিয়ে ছেলেটা এক
সময় আবিষ্কার করে,
সে ভুলে গেছে সে নিজে কে ছিল।
সে ভুলে গেছে যে তার বই
পড়তে ভালো লাগত,
ছবি আঁকতে ভালো লাগত।
ছেলেটা হারিয়েই যায় যেন। সবাই
যখন ঘুমিয়ে গেছে, ছেলেটার তখন ঘুম
আসে না। সে কেন জেগে থাকে,
সেই খবর কেউ নেয় না। তাদের আশার
বেলুন শুধু বড়ই হতে থাকে।
তারপর এক সময়
অবশ্যম্ভাবী কোনো দুর্ঘটনা ঘটে।
আশার বেলুনটায় সূঁচ ঢুকে যায়। সবাই
হতাশ হয়ে পড়ে।
ছেলেটা যে হতাশ হয় না, তা নয়।
তবে হঠাৎই যেন সে- বুঝতে পারে,
সে মুক্ত! তাকে নিয়ে মানুষের
আশাটা অনেক বেশি কমে গেছে। এই
মুক্তির স্বাদ অনেকটাই তেতো, তবুও
তো তা মুক্তি!
হিমুর পাঞ্জাবিতে পকেট
থাকে না, এই ছেলের
পাঞ্জাবিতে কম করেও দুইটা পকেট
থাকে। খালি পায়ে হাঁটলে এই
ছেলের পা চুলকায়।
সে হিমু নয়।
তাকে নিয়ে কোনো গল্প
লেখা হবে না। তাকে নিয়ে কেউ
আর বেশি আশা করে না। সে মুক্ত
মনে হেঁটে বেড়ায়, হাঁটতেই থাকে।
সে কোন পথে যায়?
কতদূর যায়?
সেই খবর কেউ জানে না.................
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০০
বিজন শররমা বলেছেন: ছোট বেলায় আব্বু জানের লাথি খেয়ে ভুলেছিলাম কবতে লেখা, এখন আবার ষুরু কোরেচি (কারন আব্বুজান আর নেই) ।