![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি পরিবার বাংলাদেশের এক জেলায় বসরত পরিবারে ৮ ভাই বোন ৩ ভাই ৫ বোন এবং মা ও বাবা । সে বৎসর টি ছিল যুদ্ধের বৎসর ।বড় বোনটি ছিল আমাদের বংশের সকল মামাত, খালাত, চাচাত,ভাই বোন দের মধ্যে বড় মেয়ে এবং বড় বোন ।
যদিও এখন ঠাকুড়গাঁ জেলা কিনতু তখন ছিল দিনাজপুর জেলা ।
আর আমাদের আসল বাড়ী ছিল জামাল পুর ,ধনবাড়ী মধুপুরে।
সাংসারীক সমস্যার কারনে জামালপুর থেকে ঠাকুড় গাঁও চলে গেলেন বাবা এবং ওখানে নতুন বাড়ী করলেন ও শধু আমার বড় দুই বোন সারা আর আমরা সকলে ঠাকুড় গাঁও বসবাস শুরু করলাম ।তাই দেশে যুদ্ধ শুরু হওয়ার অনেক আগেই বড় দুই বোনকে বিয়েদিয়েছেন বাবা ,মা,একজনের শশুরবাড়ী জামালপুর আর একজনের শশুরবাড়ী শৈয়দপুর বুশিবন্দর।
যাক দুই বোন স্বামী সংসার নিয়ে ভাল দিন কাটাচ্ছেন ।
একবোনের স্বামীর মিষ্টির দোকান ছিল । আরেক বোনের স্বামীর ভাল সয়সম্পতী ছিল তাই তার সে সময় অন্য কোন বাহিরের কাজের প্রয়োজন ছিলনা ।বোন দুই জন ভালই সুখে দিন কাটাচ্ছিলেন । তাদের কথা এখানে রেখে চলুন অন্য ভাই বোনদের ও মা বাবার কথা শুনি ।আমাদের বাজারে আমাদের ছোট একটি হোতেল ছিল ও মেলায় মেলায় গুরে বাবা মিষ্টির দোকান নিয়ে বসতেন। আমাদের জায়গা জমিন বলতে গেলে ভালই ছিল কোন কিছুর অভাব ছিলনা ।এরি মধ্যে বড় বোনের ছোট ভাইদের মধ্যে বড় যে ভাইটি আমার সে বিয়ে করল এবং তার শশুরবাড়ি রংপুরে ।তো বড় ভাই তার শ্ত্রীকে সাথে করে নিয়ে চলে গেলেন রংপুর শশুরবাড়ী বেড়ানোর জন্য ।হঠাৎ একদিন বাবা দিন থাকতে থাকতেই দোকান বন্ধ করে চলে আসলেন বাড়ীতে বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম বাবা আজ আপনি এত তারাতারি চলে আসলেন বাড়ীতে আপনার শরীল ঠিক আছে নাকী আপনার শরীল অসুস্থ বাবা বল্ল নারে মা আমার শরীল ভাল তবে মনতা ভাল নয় পা্কবাহিনী কুত্তার বাচ্চারা আমাগো দেশের মানুষের উপরে আবার নাকী অত্যাচার শুরু করেছে ।দেশের অবস্থা অনেক খারাপ জানিনারে মা কিযে হয় তয় এবার পাকবাহিনী কুত্তার বাচ্চাগো এই দেশ থেইকা তারাইয়া ছাড়মু ।শুইন্না আইলাম আইজ বাজারে আমাগো বাংলার মহান নেতা শেখ মুজিবর ঢাকায় নাকী হগল বাঙ্গালীগো উদ্ধেশে ভাষন দিয়েছেন সবাইকে একত্রী হয়ে যার হাতে যা আছে তাই নিয়েএবার যু্দ্ধের প্রস্ততী নেওয়া ও যুদ্ধে নামার জন্য বলেছেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধেরডাক দিয়েছেন তয় মনে হইতেছে নেতায় যখন ডাক দিছেন এইবার পাকিস্থানী কুত্তার গুলার অবস্থা বয়াবহ হবে ।এই কথা বললতেই মাগরীবের সময় হয়ে গেলো বাবাকে অযু করার জন্য পানি এনে দিলাম বাবা অযু করে নামাজ শেষ করলেন ।বাবা নামাজ শেষে আমাকে ডাক দিলেন আমি বাবার জন্য চা ও মুড়ি নিয়ে বাবার কাছে বসলাম বাবা বল্ল কিরে মা চা এনেসিস হ্যা বাবা চা এনেসি ।দে চা দুই বাপ মেয়ে চা ও আলা পন করতে করতে কে যেন এসে বারান্দায় বসল আমি দৌড়ে গেলাম দেখলাম অন্য কেউ না আমারই মেজ ভাইয়া এসেছে । ভাইয়ার মনটা খারাপ মেজ ভাইয়ার চোখে মুখে তাকিয়ে এযেনকোন এক ভয়ের সাপ দেখা যাচ্ছে ভাইয়ার চোখে । ভাইয়াকে বললাম কি হয়েছে ভাইয়া সারা দিন কোথাই ছিলে হাত মুখ ধুয়ে আছো খাবার দিচ্ছি ভাই বলল আমাকে এখন ভাত না দিয়ে চা ও মুড়ি দে পরে সকলে এক সাথে ভাত খাব । বাবা আমাকে ডাক দিয়ে বললেন কে আইছেরে মা বাবা মেজ ভাইয়া আইছে ও ঠিক আছে । পরে আমি চলে গেলাম ভাইয়ার জন্য চা মুড়ি আনার জন্য এরি মধ্যে ভাইয়া হাত মুখ ধুয়ে বাবার গেলেন ও বাবার সাথে কথা বলতেছিলেন । চা মুড়ি নিয়ে দিলাম ভাইয়ার হাতে ভাইয়া চা মুড়ি খেয়ে একটু মার ঘরে গেলেন মাকে দেখতে মা
আবার কয়েক দিন যাবত অসুস্থ তাই সে অন্য ঘরে বিশ্রাম করতে ছিলেন । ভাইয়া মাকে দেখে তার ঘর থেকে বাহীর হয়ে গেলেন পাশ্বের বাড়ীর ফালু ভাইয়ের কাছে ফালু ভাই আর আমার ভাইয়া এরা দুইজনে ছোট বেলা থেকেই একে অপরের প্রাণ প্রিয় বন্ধু ছিলেন । ভইয়া বাড়ী আসলেন এদিকে রাতের খাবারের সময় হয়ে
গেল বাবা আমাকে খাবারের টেবিলে খাবার দিতে বললেন ।
আমি ততক্ষনে খাবার গরম করে ফেলেছি ।
খাবারের টেবিলে প্লেট সাজিয়ে সকলকে ডাক দিলাম ।
সকলে খাবারের টেবিলে এসে বসলেন ।
সকলকে একসাথে খাবার টেবিলে বসতে বলেন বাবা ।
এবং আমি মাকে ডেকে আনলাম ও এক সংঙ্গে সকলে খাবারের টেবিলে বসলাম । পরের আবডেড দেখার আমন্ত্রন থাকল ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: পুরতাই লেখে একে বারে ছারতেন।
যাক ভাল হইছে চালিয়ে যান পোঃ ++