![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি এবং কবিতার জন্য মগ্ন এ মন।
একটা লাশ আর আকাশে তারার মেলা ।
জাহিদুল ইসলাম
“সময় ঠিক করে বলা যাচ্ছে না তবে মনে আছে ঘোর কালো অন্ধকারে হালকা তাঁরার আলো ছিল । কি বিষাদে কোন আঘাতে গলায় দরি দিয়েছিল কে জানে তবে মানুষটা সহজ সরল ছিল । আমরা ছিলাম ঝিঁঝিঁ পোকার মত ,সারারাত জেগে কার গাছে কয়টা ডাব ,কোন পেঁপেঁটা আজকেই খাওয়া যাবে ,পেয়ারা গুলো কেমন হয়েছে সব হিসেব নিকেশ মন্দিরায় বসে করতাম । প্রিতদাসের বাড়ির পিছনটায় একটা জঙ্গলের মত ছিল ,দিন কি রাতে কেউ ওখানে যেত না ,আমরা ওখানটা পরিস্কার করে নাম দিয়েছিলাম মন্দিরা । প্রিত ছিল আমাদের সবচেয়ে জুনিয়র তাই সবসময় একটু ভয় পেত আর সারাদিন মন্দিরায় বসে মা কালি আর জমদূতের আরাধনা করতো । আমি আর নিখিল ছিলাম শয়তানের উস্তাদ ,একদিন কালি মন্দিরের পাশ দিয়ে সবাই যাচ্ছি ,হঠাৎ নিখিল মন্দিরে ডুকে এক রমরমা কান্ড ঘটিয়ে দিল । সবাই হাসতে হাসতে মরমরা অবস্থা ,সেকি কি কান্ড বাবা ,মন্দিরের ভিতর যে সব মূর্তি ছিল সব গুলার মাথায় ,গালে এমন জোড়ে জোড়ে থাপড়াচ্ছে আর বলছে এবার কালি দেখি আমায় কি করতে পারিস । প্রিত তখন খাঁ করে তাকিয়ে আছে ,হঠাৎ চিৎকার করে বলে উঠল নিখিল তুই রক্ত ভুমি করে মরবি । নিখিল পাগলামী থামিয়ে চলে আসল । আমরা এমনি খ্যাপাটে পাগলা ছিলাম ,ধর্ম কর্ম আমাদের দ্বারা তেমন একটা হয়নি । একদম বাঁধন ছাড়া পাখির মত যেখানে খুশি সেখানেই চলে যেতাম । মা বাবা কারো বাঁধাই মানতাম না ,আমরা আমাদের মতই ছিলাম । ইচ্ছে হলে তপ্ত রোদে খোলা আকাশের নিচে শুয়ে থাকতাম আবার ইচ্ছে হলে বৃষ্টির পানিতে ভিজে ডুবুরি খেলতাম । এই হাসি খুশির জীবনটা এমন করে স্তব্দ হয়ে যাবে ,কোন কালেই ভাবনাই ছিল না । আমাদের ভিতরে ভয়ের অবকাশ ছিল না ,রাত কি দিন আমরা মন্দিরায় বসে থাকতাম । বিভিন্ন গাছের ফল এখানেই জমা রাখতাম ,অবসর সময়ে সবাই মলে খেতাম । দিন কয়েক মন্দিরায় যাওয়া হয়নি আর প্রিতর সাথেও দেখা হয়নি । হঠাৎ একদিন প্রিতকে পাওয়া যাচ্ছে না এমন সংবাদ এলো ,আমরা খুঁজতে বের হলাম । এমন কোন জায়গা ছিল না তাঁকে খুঁজার বাকী ছিল কেবল মন্দিরাটাই বাকী ছিল । আমি আর নিখিল মন্দিরার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম ,দুজন একদূরে মন্দিরায় গেলাম ,গিয়ে যা দেখলাম তা হয়তো সোজা কথায় লিখে দিতে পারি কিন্তু বুকের ব্যথাটা কেমন করে বুঝাবো । সময় ঠিক করে বলা যাচ্ছে না তবে মনে আছে ঘোর কালো অন্ধকারে হালকা তাঁরার আলো ছিল । কি বিষাদে কোন আঘাতে গলায় দরি দিয়েছিল কে জানে তবে মানুষটা সহজ সরল ছিল । এইটুকুনই বলতে পারি । এখন আর মন্দিরায় যাওয়া হয় না ,এখন আর সবুজের বুকে মাথা রাখা হয় না । এখন সকাল হলে কোলাহলের জীবন । এভাবেই মন খারাপের দিনগুলি নিষ্ঠুর ভাবে চলে যাচ্ছে ................
১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
দুঃখী জাহিদ বলেছেন: ঠিক তাই
২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
বর্ণিল হিমু বলেছেন: ছবিতে কি প্রিত ভাই নাকি....?
১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
দুঃখী জাহিদ বলেছেন: না দাদা ,এটা আমি
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
বর্ণিল হিমু বলেছেন: মনটা বিষন্নতার জলে ডুবে গেলো....!
এভাবেই মন খারাপের দিনগুলি
নিষ্ঠুর ভাবে চলে যাচ্ছে ....