নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জেটিতে বাঁধা টায়ারের উপর ঝিনুক দিয়ে প্রকৃতির নিজস্ব কারুকাঁজ যা এখন এক কফি শপের দেয়ালের শোভাবর্ধন করছে
সে অনেক বছর আগের কথা, আমার বই পাগল বাবা এক সন্ধ্যায় নীল মলাটের দুটো বই নিয়ে বাসায় ঢুকলেন। বই এর পোকা আমরা ভাই-বোনেরা ঝাপিয়ে পড়লাম বাবার হাতের উপর। বাবা আমাদের সরিয়ে দিয়ে বই দুটোতে নাম- ধাম, সন- তারিখ লিখে আমাদের হাতে তুলে দিলেন। দেখি সেই নীল মলাটের উপর মোটা করে সোনালী হরফে লেখা জেলের ছেলে আর তার উপরে আমাদের অচেনা এক লেখকের নাম ভিলিস লাৎসিস।
জেলের ছেলে বইটির মলাটের ভেতরের দিকে লেখা নাম
লেখক ভিলিস লাৎসিস ছিলেন তদানীন্তন সোভিয়েত রাশিয়ার অধীন বাল্টিক সাগরের তীর ঘেষা ক্ষুদ্র রাজ্য লাৎভিয়ার রাজধানী রিগার এক সাধারন দিনমজুর, অবসর কাটতো তার লেখালেখি করে। পরবর্তীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত কম্যুনিষ্ট পাট্টির কট্টর এক সদস্য লাৎসিস ঐ মজুর জীবনে থাকার সময়ই এই গল্পের প্লট খুজে পান আর রচনা করেন জেলের ছেলে উপন্যাসটি যা তাকে বিখ্যাত করে তুলেছিল একজন লেখক হিসেবে। বলা নিস্প্রোয়জন দরিদ্র জেলেদের সংগ্রাম ও তার সাফল্য নিয়ে দুটো খন্ডের এই উপন্যাসটি লাৎসিস রাশিয়ান সাহিত্যের উচুতলার ক্রিটিকদের পাতে তুলে ধরতে না পারলেও সাধারন জনগনের কাছে বইটি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।
গম চোর ধরতে এসে বোকা ইভান খুজে পেয়েছিল আকাশে উড়তে পারা এই যাদুকরী ঘোড়া যার নাক আর কান দিয়ে আগুন বের হতো, নাম সিভকা বুর্কা ।
রুশ উপকথা সিভকা-বুর্কা আর মাশা ও ভালুক পড়া বছর দশ বারোর আমি সেই বই এর প্রথম পাতাতে চোখ বোলাতে পারলেও দাত ফোটাতে পারি নি। শুধু এটুকুই বুঝি ওস্কার ক্ল্যাভা নামে এক জেলের ছেলে বহু দুরে এক সাগরপাড়ের গ্রাম থেকে সাদা বরফে ঢাকা পথে স্লেজ চালিয়ে শহরে এসেছে। শীতের ছুটিতে বাড়ি নিয়ে যাবে রিগার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছোট ভাই রবার্ত ও তাদের পুরো গ্রামের মাঝে সবেধন নীলমনি একটি মাত্র মনহোরী দোকানের ধনী মালিক কন্যা আনিতাকে।
চীনা মন্দিরের সামনে এক ঐতিহ্যবাহী চৈনিক নকঁশা
পরবর্তীতে যখন বুঝতে শিখি তখন থেকে এ পর্যন্ত বোধ হয় হাজার বার পড়া হয়ে গেছে বইটি। জেনেছি রিগা উপসাগরের দুই তীরের গ্রামগুলোতে দারিদ্রের যাতাকলে নিস্পেষিত হতভাগ্য জেলেদের জীবন সংগ্রামের এক করুন কাহিনী। বৈরী আবহাওয়ায় ভাংগা নৌকা আর ছেরা-ফুটো জাল নিয়ে সাগর থেকে মাছ ধরার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ, সেই সাথে ঋনের উপর উচু হারে দেয়া সুদ আদায়ের জন্য রক্ত চোষা মহাজনের শোষন-নিপীড়ন। শেষ পর্যন্ত একদিন কঠিন সংগ্রামী, শক্ত-পোড় খাওয়া যুবক ওস্কার ক্ল্যাভার নেতৃত্বে সমস্ত প্রতিকুলতা কাটিয়ে মাথা তুলে দাড়ালো ভিদজেমে গ্রামের জেলে সম্প্রদায় ।
মাঝ দুপুরে ভাটার টানে সরে যাওয়া সাগর। হুয়া হিন হোটেলের বারান্দা থেকে।
জেলের ছেলে ওস্কার ক্ল্যাভার সংগ্রাম আজ আমার লেখার বিষয়বস্ত না, আমি লিখতে বসেছি থাইল্যান্ডের একটি বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত নিয়ে, নাম তার 'হুয়া হিন'। আমাদের অনেকের কাছেই থাইল্যান্ডের সমুদ্র সৈকত মানেই হলো পাতায়া বা ফুকেট। তাই বাইরের বিশ্বে অনেকটা অপরিচিত হুয়া হিনের বেলাভুমি পর্যটকদের পদভারে এখনো পর্যদুস্ত হয়ে ওঠেনি ।
এক দিকে অনুচ্চ সবুজ পাহাড় শ্রেনীর শান্ত,সৌম্য সমাহিত স্বর্গীয় রূপ-সুষমা আর অন্যদিকে শ্বেত শুভ্র বালির বিস্তৃত বেলাভুমির নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য ভরপুর জেলে পল্লী হুয়া-হিন বহু বছর লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিল। হুয়া হিন তার সকল সৌন্দর্য্যটুকু নিয়ে প্রথমবারের মত আত্মপ্রকাশ করে যখন ১৯২০-২১ খৃষ্টাব্দে জাতীয় সিয়াম রেলওয়ের প্রধান হিসেবে রাজপরিবারের এক সদস্য থাইল্যান্ডের দক্ষিন উপকুলে রেললাইন প্রতিষ্ঠা করতে গেলেন। পরবর্তীতে হুয়া হিনের রূপে মুগ্ধ সে সময়ের থাই রাজা সপ্তম রামা প্রজাধীপকের নির্দেশে সমুদ্র সৈকতের কিনারে বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরী হয় রাজকীয় গ্রীস্মাবাস। সবুজ শ্যমলে ঘেরা দৃষ্টি নন্দন এই গ্রীস্মাবাসটি বাইরে থেকে দেখার কোন উপায় নেই পথ চলতি জনগনের।
রাজকীয় প্রাসাদ থেকে সমুদ্র দর্শনের দৃষ্টি নন্দন এক পথ।
ব্যস্ত কোলাহল মুখর ব্যংকক থেকে ১৯৯ কিঃমিঃ দূরে এই সমুদ্র নিবাসে নিশ্বাস ফেলতে আসতেন থাইল্যান্ডের রাজারা। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সদ্য প্রয়াত রাজা ভুমিবল। সিরিরাজ হাসপাতালে রাজা তাঁর জীবনের শেষ কটি বছর কাটানোর আগে বছর দুয়েক হুয়া হিনের রাজকীয় গ্রীস্মাবাসেই কাটিয়ে গেছেন। রাজাদের সাথে সাথে অভিজাত থাইদের কাছেও প্রিয় হয়ে ওঠে হুয়া হিন।বৃষ্টির মৌসুম ছাড়া সবসময়ই অত্যন্ত গরম আবহাওয়ার হুয়া হিন বিদেশী পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয় না হলেও সাধারন থাই বাসীদের কাছে খুবই আদরের।
ছোট এক রেস্তোরার সামনে অপরুপ শোভা ছড়িয়ে ফুটে থাকা এক লাল পদ্ম
মে মাসের শেষে ব্যাংকক থেকে এক শনিবার সকালে রওনা দিলাম হুয়া হিনের উদ্দেশ্যে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী সে দুদিন সেখানে বৃষ্টি থাকবে । বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় সমুদ্রের রূপই হয় অপার্থিব যার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার প্রিয় সমুদ্র তীর কক্সবাজারে গিয়ে।
শান্তশিষ্ট হুয়া হিন বিচে সাগর প্রেমিরা
ব্যাংককের সাথে সরাসরি রেল পথ থাকলেও হুয়া হিন যেতে হলে ভ্যানে যাওয়াটাই সুবিধাজনক। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন প্রদেশের উদ্দেশ্যে সব ভ্যান ছেড়ে যেতো ব্যাংককের কেন্দ্রস্থল আনুসভারি থেকে যা পর্যটকদের কাছে ভিক্টোরি মনুমেন্ট নামে বেশি পরিচিত। যানজট নিরসনের জন্য সরকারী আদেশে বর্তমানে শহরের কেন্দ্রস্থলের কিছুটা বাইরে থেকে ভ্যান ছাড়ে। আমাদের জন্য ছাও ফ্রায়া নদীর অপর পারে পিনক্লাও বাস/ভ্যান টার্মিনালটি সুবিধাজনক। সেখান থেকে ৩ ঘন্টার পথ হুয়া হিন, ভ্যান ভাড়া মাথাপিছু ১৮০ বাথ।
মেঘে আচ্ছন্ন হুয়া হিনের আকাশ
গাড়ী ছাড়ার আগেই ড্রাইভার জানিয়েছিল হুয়া হিন যেতে সময় লাগবে ৩ ঘন্টা লাগবে। এক মিনিটও এদিক ওদিক না, ঠিক তিন ঘন্টা পরেই আমরা এসে হাজির হোলাম গন্তব্যে। বলে রাখা ভালো হুয়া হিনে সাধারন যাতায়তের জন্য রয়েছে মটর সাইকেল আর কিছু টুকটুক। অনলাইনে আগে থেকেই বুকিং দেয়া গেষ্ট হাউসে উঠলাম । ভাড়া প্রতিরাত ৯৫০ বাথ।
গেস্ট হাউস গুলো পরস্পরের গা ঘেসে চলে গেছে বেশ খানিকটা পথ
সাধারন পর্যটকদের কাছে প্রিয় জেলে পল্লীর একটি অংশে এখন বাড়ি ঘরের বদলে লঞ্চের আদলে গড়ে উঠেছে হোটে্লে- মোটেল আর গেস্ট হাউস । ডেস্কে একটি মেয়ে অল্প স্বল্প ইংরেজী জানে সেই আমাদের ঘর বুঝিয়ে দিল। মাঝখানে চওড়া কাঠের পাটাতনে তৈরী করিডোরের দুপাশে লঞ্চের কেবিনের মত ছোট ছোট রুম। সেই কাঠের পাটাতনের নীচ দিয়ে সাগরের পানি এসে খেলা করে জোয়ার ভাটায়। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রুমে বিছানা, তোয়ালে ছাড়াও রয়েছে এসি, টিভি, ঠান্ডা গরম পানি সহ এটাচ বাথ। সকালে নাস্তা খাবো শুনে মাথাপিছু ৬০ বাথ আগেই জমা দিতে হলো। ।
ডেকের বারান্দায় চেয়ার টেবিল সাজিয়ে রাখা
জিনিস পত্র রেখে আমরা সামনে এগিয়ে গেলাম ডেকের মত বারান্দার দিকে । সেখানে বড় বড় কাঠের চেয়ার টেবিল পাতা । ইচ্ছে করলে সেখানেই বসেই অর্ডার করে খাবার খেতে পারেন। আমরা এগিয়ে গেলাম রেলিং এর দিকে। ডেক থেকে বেশ খানিকটা দূরে নীল চাদরের মত বিছিয়ে থাকা শান্ত শিষ্ট সেই সমুদ্র দেখে সাথে সাথে আমার কক্সবাজারের কথা মনে হলো।
ঢেউহীন নিস্তরঙ্গ সমুদ্রের বুকে নিঃসঙ্গ এক জেলে নৌকা
এই কি সমুদ্র! এমন নিস্তরংগ সমুদ্রের রূপ দেখে হতাশায় আমার মন ভরে উঠলো। কোথায় আমাদের সেই প্রিয় কক্সবাজারের বিস্তীর্ন সমুদ্র সৈকত, কোথায় সেই গর্জন করে ধেয়ে আসা ফেনিল জলরাশি যা আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়, তারপর আবার ফিরিয়ে দেয় ঢেউয়ের মাথায় তুলে ! সহ পর্যটক সমুদ্র প্রেমিক সান্তনা দিল বল্লো “এখন ভাটার সময়” ।
ভাটায় পানি সরে গেছে বেশ দূরে
যাই হোক খিদেয় পাগল আমরা বের হোলাম খাবারের খোঁজে। রেডিমেড খাবারের জন্য আদর্শ জায়গা হলো সেভেন ইলেভেন। কিন্ত তা না পেয়ে আমি ঢুকলাম এক মিনি মার্টে। বুড়ো দোকানদারটা খুব আন্তরিকতার সাথে গরম পানি দিয়ে আমাকে একটি কাপ নুডুলস বানিয়ে দিল। সেই নুডুলস আর জ্যুস নিয়ে ফিরতেই দেখি সহ পর্যটক হাত ভরা খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হোটেলের সামনে।
হুয়া হিন সৈকতের তীর ঘেষে আমাদের গেষ্ট হাউস
একটু রেস্ট নিয়ে বিকেলে বের হোলাম উদ্দেশ্য সমুদ্র সৈকত। আমাদের ঘরের পাটাতনের নীচে পানির আওয়াজ ভেসে আসছে। ডেক রুপি বারান্দা থেকে দেখে ডান দিকে চোখ ফেরাতেই নজরে পড়লো বেলাভুমি থেকে খানিকটা উপরে ছোট এক টিলার উপর কারুকার্য্যময় এক মন্দির।
চীনা মন্দিরের সামনে ঐতিহ্যবাহী কারুকাঁজ করা এক ফলক
আমাদের গেষ্ট হাউস থেকে বেরিয়ে দু তিনটি দোকান পেরিয়ে রাস্তাটি বাঁ দিকে চলে গেছে। তার ঢোকার মুখেই উপরে একটি তোরণ তাতে লেখা এপথ চলে গেছে এক চাইনীজ মন্দিরে।
চৈনিক মন্দির
ভাবলাম মন্দিরটাতে একটু নজর বুলিয়েই না হয় সাগর দর্শনে যাবো। ছোট্ট চীনা মন্দিরের বারান্দায় পা দিতেই দেখি সামনে এগিয়ে এক বাধানো পাথরের সিড়ি নেমে গেছে সমুদ্র সৈকতে। তাড়াতাড়ি মন্দির দেখেই নেমে পড়লাম সেই বালুকাবেলায় তাতে সাদা বালি আর বড় বড় শিলা খন্ড যার জন্য টানা লম্বা দীর্ঘ সৈকত হুয়া হিনের নয়।
খানিক পর পর এমন বিশাল শিলায় পথ আটকে আছে সমুদ্র সৈকত
ঝকঝকে পরিস্কার পানিতে পা চুবিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেকে। অনেকে এসেছে পরিবার নিয়ে, ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বালুর প্রাসাদ তৈরী করছে। কেউবা বাবা মায়ের হাত ধরে অল্প পানিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।পুরো সৈকতের অনেকখানি ঘুরে বেড়ালাম কিন্ত কোন অশালীন পোশাক বা দৃশ্য চোখে পড়লোনা।
থাই ছেলে মেয়েরা উপভোগ করছে সাগর সৈকতকে
এখানেও রয়েছে সেই ঘোড়া, ঘোড়া চালক খুব হাল্কা চালে কাছে এসে একটু হাসি দিয়ে ইশারায় জানতে চাইলো আমরা চড়বো কি না? এই বুড়ো বয়সে ঘোড়ায় চড়ে পড়ে গিয়ে খোড়া হওয়ার রিস্ক নিলাম না । তাই আমরাও হাসি মুখে তাদের ইশারায় জানালাম আমাদের অপারগতার কথা।
সেই ঘোড়াওয়ালারা আর পেছনে হিলটন হোটেল থেকে বিচে নামার পথ
সন্ধ্যা নেমে এসেছে সাথে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গরমটা উধাও হয়ে গেল সেই বৃষ্টিতে। প্রথমে কথা ছিল সেখান থেকেই আমরা সরাসরি নাইট মার্কেটে যাবো সেখানকার বিখ্যাত সি ফুড খেতে। টাটকা ধরে আনা মাছ আর ঝিনুকের সমাহারে তৈরী সে খাবারের জন্য সন্ধ্যার পর থেকে প্রচুর মানুষের ঢল নেমে আসে রাস্তায়।
নাইট মার্কেটের বিখ্যাত সি ফুড । অনভ্যস্ত জিভ স্বাদ পেলোনা সেই ঝিনুক শামুকের
কিন্ত সমুদ্রের সেই নোনা পানিতে ভেজা কাপড় বদলে হাত মুখ না ধুয়ে নিলেই নয়। তাছাড়া ছাতাও নিতে হবে রুম থেকে। নিজেদের হোটেলে ফিরে যাচ্ছি তখন নজরে পড়লো দোকানগুলোর উল্টোদিকে কিছু ছবি সাজানো। রাত হয়ে গিয়েছিল আর খাবার তাড়া ছিল তাই আর সেগুলো দেখা হলো না । নাইট মার্কেটে খেতে গিয়ে দেখি বিদেশী টুরিষ্টের সাথে স্থানীয় লোকে লোকারন্য। সামনে বরফের উপর সাজিয়ে রেখেছে সমুদ্র থেকে ধরে আনা টাটকা মাছ সাথে কাকড়া ঝিনুক শামুক । আপনি অর্ডার করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে রান্না করে সামনে সাজিয়ে দিচ্ছে। আমরা যেটা অর্ডার করেছিলাম , আমার ধারনা ছিল সেটা তেলে ফ্রাই করে দিবে। ভাষা না বোঝার কারনে একটি আইটেম ছাড়া বিশাল এক মাছ সহ ঝিনুক শামুক কাকড়া সবই সেদ্ধ করে এনে দিল। অনাভ্যস্ত মুখে আমার কিছুই রুচলো না। অনেকে কি মজা করে যে খাচ্ছে তাই তাকিয়ে দেখলাম ।
সাঝের আঁধার নেমে আসছে সাগর তীরে
পরদিন খুব ভোরে উঠে ডেকে গিয়ে দেখি মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নীচে সমুদ্রের সেই অসাধরন রূপ । দূরে কালো কালো বিন্দুর মত দেখা যাচ্ছে মাছ ধরা ট্রলারগুলো । তারা হয়তো সারা রাত ধরা মাছগুলোকে জেটিতে নামিয়ে দিয়ে আবারো চলেছে সমুদ্র মন্থনে । আমাদের দুর্বল ক্যামেরা আর মোবাইল সেই রূপের আংশিকও ধরতে সক্ষম হলো না ।
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ
হাত মুখ ধুয়ে রওনা দিলাম সেই জেটির উদ্দেশ্যে যেটা আমাদের বারান্দা থেকেই দেখা যায় । তখনো সব দোকান পাট খুলেনি । কেউ কেউ উঠে উঠোনটুকু ঝাট দিচ্ছে । আমরা নিরিবিলি সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে চলেছি জেটির উদ্দেশ্যে। এই জেটিতেই জেলেরা তাদের ধরা মাছ দিয়ে যায় ।
জেলেদের জন্য তৈরী জেটি ।
তখনই আবার নজরে পড়লো গত কালকের সেই পোস্টারগুলো। প্রতিটি দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখা। কাছে গেলাম দেখি অনেক প্রাচীন সেই হুয়া হিনের ছবি আর তাতে লেখা রয়েছে বিভিন্ন স্লোগান। নীরব সেই সব ছবি আর স্লোগানের মাঝে তারা তাদের প্রতিবাদ তুলে ধরছে সবার কাছে।
দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখা প্রতিবাদ লিপি
থাইল্যান্ডের দক্ষিনে লেজের দিকে হুয়া হিনের রাজকীয় গ্রীস্মাবাসের সীমানা ছাড়ালেই গালফ অফ থাইল্যান্ডের তীর বরাবর পুরো এলাকাটিই নিরিবিলি এক জেলে পল্লী । ১৮৩৪ খৃষ্টাব্দে প্রচন্ড খরার কবলে পরে পেচা বুরির কিছু কৃষক ভাগ্যন্বেষনে দক্ষিনের পথে চলতে শুরু করে।
পুরনো দিনের হুয়া-হিন
অবশেষে তারা সমুদ্র তীরের এমন একটি গ্রামে এসে হাজির হলো যার সৈকত জুড়ে বিছিয়ে আছে সাদা বালি আর কঠিন শিলা পাথর। কৃষিজীবিরা সেখানে বসতি গড়ে তোলে আর কৃষিকাজের বদলে আস্তে আস্তে মাছ ধরাকেই তাদের একমাত্র জীবিকা হিসেবে বেছে নেয়। আর এ জায়গাটিই হলো আজকের হুয়া হিন।
বিশাল দেহী হিলটনের মতই আরো হোটেল মোটেলের কালো হাত এগিয়ে আসছে শান্ত এই জেলেপল্লীর দিকে
আজ বিশাল বিশাল হোটেল মোটেল আর বিনোদন কেন্দ্রগুলো শকুনের মত কালো থাবা বাড়িয়ে দিয়েছে সমুদ্র তীরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় জায়গা আদিবাসি জেলে পল্লীর দিকে। দেবতার গ্রাসের মতই কিছু কাঁচা টাকার লোভ দেখিয়ে দরিদ্র জেলেদের কাছ থেকে তারাও গ্রাস করে নিচ্ছে ১৮৩৪ সাল থেকে পত্তন করা তাদের পিতৃপুরুষের ঘর বাড়ি।
প্রতিবাদ লিপি
জেলের ছেলেরাও অসম প্রতিযোগীতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সর্বগ্রাসী এই সব লোভী অসুরদের বিরুদ্ধে। তারা মাছ ধরা ছাড়াও পর্যটকদের জন্য খুলে বসেছে রেস্তোরা,কফি-শপ, স্যুভেনীরের দোকান এসব। কেউবা সমুদ্রের উপর কাঠের খুটির উপর তৈরী করা ঘরগুলোকেই পরিবর্তন করে তৈরী করেছে ছোট ছোট হোটেল মোটেল। যে হোটেলের কাঠের পাটাতনের নীচ দিয়ে জোয়ার ভাটার পানি খেলে যায় রাতদিন।
মাথার উপর কালো মেঘ আর আমরা খুব ভোরে এগিয়ে চলেছি জেটির শেষ মাথায়
এই সংগ্রামে তাদের মাঝ থেকে রুশ সাহিত্যিক ভিলিস লাৎসিসের সৃষ্ট সেই বিশালদেহী শক্ত পোড় খাওয়া একক সংগ্রামী ওস্কার ক্ল্যাভার মত কোন নেতৃত্ব বেরিয়ে এসে নিজেদের দাবী আদায় করতে কতটুকু সফল হবে তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে।
এই হলো আমার হুয়া হিন দেখা যেখানে শুধু সমুদ্র সৈকতই নয়, জানা হলো বেনিয়াদের বিরুদ্ধে তাদের নিরন্তর সংগ্রামের কাহিনী ।
নাকি এই মৃত স্টার ফিশের মতই মৃত্যু হবে সকল সংগ্রামের কে জানে ?
অটঃ ফিরে আসার পথে চোখে পড়লো মাইলের পর মাইল রাস্তার ধারে দু-সারিতে লাগানো সেগুন গাছের সারি যা আর কয়েক বছর পরেই বিক্রীর উপযোগী হয়ে উঠবে। অমনি মনে পড়লো আমাদের এয়ারপোর্ট রোডে লাগানো বনসাই এর কথা । কি দুরদর্শী জাতি আমরা !
দ্রুত গতির চলন্ত গাড়ি থেকে নেয়া সেগুন গাছের সারির ছবিটি, তাতে সামনে ঝোলানো নানা রকম জিনিস পত্র । ভালো হয়নি ।
২, ৩ আর রাজ প্রাসাদের ছবিটি ছাড়া আর সব ছবি আমাদের ক্যামেরা আর মোবাইলে তোলা ।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯
জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালোলাগলো আলোরিকা । অনেকদিন মনে হয় লেখালেখি থেকে বিরত আছেন ?
জেলের ছেলেদের কাহিনীই আমাকে বেশী আকৃষ্ট করেছিল । নইলে দেশে বিদেশে সমুদ্র সৈকত তো আমি কত সহস্রবারই দেখেছি।
রাশান গল্পগুলোর গভীরতা আমাকে বেশি আকর্ষন করে । সেই জটিল বাক্য আর লেখাগুলো বুঝতে অনেক সময় লাগতো যা আমাদের সময় কাটানোর একটি ভালো পথ ছিল ।
আপনিও ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন । শুভেচ্ছা প্রতিনিয়ত
২| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ বেশ সুন্দর পোষ্ট আপু ।
তোমাদের চোখ দিয়ে আমরাও কিছু দেখে নিচ্ছি ।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া ও দেখা জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জাহিদ অনিক । সাথে আছেন , ভবিষ্যতেও থাকবেন সেই প্রত্যাশায়
শুভকামনা জানবেন ।
৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: থাইল্যান্ডের ব্যাংকক,ফুকেট না পুকেট,পাতাইয়া শহরে সম্পর্কে অনেক পড়েছি ।
এবার জানলাম সমুদ্র সৈকত হুয়া- হিন
সমুদ্র সৈকত হুয়া- হিন এর পাশে দেখা বিশাল হিলটন হোটেল স্মরন করিয়ে দিল -থাইল্যান্ড পর্যটন কে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আর
আমাদের পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুন্দ্র সৈকতে বিউটিফুল ডিজাইন স্টাকচারের কোন ইন্টারন্যাশনাল চেইন হোটেল নাই।
ট্যুরিজমের স্টুডেন্ট হিসেবে ব্যাপার গুলো আমাকে খুব লজ্জা দেয়।
যাই হোক পোষ্ট দারুন উপভোগ করছি।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আপু।
কবে যাব আহা !!!
জেলে পল্লীর একটি অংশে এখন বাড়ি ঘরের বদলে লঞ্চের আদলে গড়ে উঠেছে হোটে্লে- মোটেল গেস্ট হাউস যার কাঠের পাটাতনের নীচ দিয়ে সাগরের পানি এসে খেলা করে জোয়ার ভাটায়। ডেক্সে একটি মেয়ে অল্প স্বল্প ইংরেজী জানে সেই আমাদের ঘর বুঝিয়ে দিল। মাঝখানে চওড়া কাঠের পাটাতনে তৈরী করিডোরের দুপাশে লঞ্চের কেবিনের মত ছোট ছোট রুম। ভেতরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বিছানা, তোয়ালে ছাড়াও রয়েছে এসি, টিভি, ঠান্ডা গরম পানি সহ এটাচ বাথ। ভাড়া প্রতিরাত ৯৫০ বাথ, সকালের নাস্তা মাথাপিছু ৬০ বাথ ।
১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
জুন বলেছেন: ফুকেট পাতায়ার সাথে হুয়া হিনের তুলনা এখনো চলে না এডোয়ার্ড মায়া । রাজাদের প্রিয় রাজকীয় গ্রীস্মাবাস থাকায় সেখানে আদব কেতাই অন্যরকম । কোন রকম অসাদাচারন চোখে পড়েনি । তবে এখন তো সেই দেবতাসম রাজা প্রয়াত । ভবিষ্যতে কি আছে সেটাই ভবিষ্যতই জানে । আর সেই কাঠের ছোটখাটো ঘর বাড়ির পাশে দৈত্যসম সেই সেরাটন হোটেল যতই ঝকঝকে থাকুক তা কুৎসিতই লাগছিল দেখতে ।
আমাদের দেশে বিশেষ করে বিদেশী ট্যুরিস্টদের আকৃষ্ট করার কিছু সমস্যা আছে । আছে কিছু সামাজিক এবং ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা। তার জন্যই মনে হয় তারা আগ্রহী হয় না । অবশ্য আমি জানি না আমি যা ভাবছি তা যথার্থ কি না ।
যাবেন । থাইল্যান্ড আসলে এসব জায়গাতেই যাবেন বেড়াতে । পাতায়া নয় । ভালো জায়গায় যাবেন ভালো অভিজ্ঞতা লাভ করবেন
আপনার জন্য ও রইলো অনেক অনেক শুভকামনা । সাথে থাকবেন আগামীতেও সেই প্রত্যাশা করি ।
৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একই সাথে পর্যটন, সাহিত্য, ইতিহাস- - -
মুগ্ধতায় পড়ে গেলাম একটানে!
++++++++
১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
জুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু এখানেই আমার প্রতিবন্ধকতা যে আমি শুধুই ভ্রমণ নিয়ে লিখতে পারি না । কোথা থেকে যেনো ইতিহাস আর বিভিন্ন খবরা খবর মাথার মধ্যে ভিড় করে আসে ।
অল্প একটি বাক্যে বিশাল এক মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে দিয়ে গেলেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনাকে ।
৫| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: পড়া শেষে মনে হল আমিও যেন ঘুরে এলাম হুয়া- হিন থেকে।
অনেক অভিজ্ঞতা হল। পোষ্টে অনেক অনেক ভালোলাগা আপু।
১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৭
জুন বলেছেন: বাহ ভালোই হলো ভ্রমনে একজন সংগী পেয়ে দল ভারীই হলো এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু
অশেষ ধন্যবাদ পোষ্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য ।
শুভকামনা .।.।।
৬| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: রুশ উপকথা / রূপ কথার সেই গল্প ক্ষুদে ইভান বড় বুদ্ধিমান, যাদুকরী ভাসিলিয়ার কথা ও আরো অনেক গল্প আমিও ছোট বেলায় পড়েছি। আপনার পোষ্টের লিখা দেখে তাই আবার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬
জুন বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার স্বাগত জানাই আমার ব্লগে । জী শুধু ছোটবেলাতেই নয় বড়বেলাতেও আমার প্রিয় ছিল রাশান উপকথাগুলো ।এ ছাড়াও সব ধরনের বই এর পোকা বলতে পারেন ।
আমার পোষ্ট পড়ে আপনার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ায় অনেক খুশী হয়েছি ।
অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য সাথে শুভেচ্ছা থাকলো
৭| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
শায়মা বলেছেন: রুশ উপকথা সিভকা-বুর্কা আর মাশা এই গল্পগুলো তো আমারও অনেক প্রিয় ছিলো আপুনি!!!!!!
তুমি কি এখন কোথায় আছো???
১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৮
জুন বলেছেন: এই দুটো বই ছাড়া আরো কত রুশ উপকথা যে পড়েছি তার কোন লেখাজোখা নেই শায়মা । পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য তোমাকে অনেক অনেক ভালোলাগা
আমি এখন ব্যাংককে
সকালের শুভেচ্ছা জেনো ।
৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো, সুন্দর পোষ্ট প্রিয়তে রাখতে হয়
১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
জুন বলেছেন: পোষ্ট পড়া মন্তব্য আবার তার উপরে প্রিয়তে রাখা ! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ।
নেট সমস্যার কারনে আপনার অনেক পোষ্টে মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি তার জন্য দুঃখিত আমি ।
শুভেচ্ছা জানবেন আর সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়
৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেশ সময় নিয়ে অবশেষে আবার হাজির হলেন আমাদের মাঝে।
লেখাটি পড়েছি বেশ আগে। পড়ে শুধু লাইক দিয়ে গেছি। আজ একটু বেশি ব্যাস্ত।
আপনার ভ্রমন কাহিনি পড়তে পড়তে কখনও ক্লান্তি লাগেনা। সারাফাত ভাইও সাবলীল ভাবে ভ্রমন পোষ্ট দেন।
অপেক্ষায় থাকি আপনাদের দুজনের ভ্রমন পোষ্টের জন্য। আপনাদের লেখার বর্ননা সাথে ছবি দেখে আমিও যেন মনে মনে ঘুরে আসি সেই সব স্থান।
এভাবে আরও অনেক স্থান ঘুরতে থাকুন সে কামনায় করি। আর ঘোরা শেষে আমাদের সাথে শেয়ার করতে একদম ভুলবেন না।
অনেক শুভ কামনা রইল জুনাপু।
১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুন বলেছেন: মোস্তফা সোহেল এতটুকু সময় তো নিতেই হয় আমাদের মত সংসারী মানুষদের
প্রতিকুলতার মাঝে ব্লগিং করি জানলে ইয়া বড় এক অভিনন্দনের ঝুড়ি নিয়ে আসতেন
লাইক দিয়ে দ্বিতীয়বারের মত আসার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
আপনার ভ্রমন কাহিনি পড়তে পড়তে কখনও ক্লান্তি লাগেনা। আপনার এই বক্তব্যটি আমার লেখালেখির ক্ষেত্রে কত খানি টনিকের মত কাজ করছে শুনলে আপনি নাও বিশ্বাস করতে পারবেন ।
আমিও চেষ্টা করি আমার লেখার মাধ্যমে আপনাদের সংগী করে নিতে । জানিনা কতটুকু সফল হই , তবে জানবেন আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকে না ।
আপনার জন্যও রইলো আন্তরিক শুভকামনা । ভালো থাকুন সব সময় সেই প্রত্যাশায় ।
১০| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সুন্দর সাবলীল বর্ণনা আর বাধা হাতে তোলা ছবিগুলো ভালো লাগলো।
১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
জুন বলেছেন: সুন্দর সাবলীল বর্ননা হয়তো ঠিকই আছে কিন্ত ছবি তোলার ব্যাপারে আমি তৃপ্ত নই মোটেও । ডিএস এল আরের মত ভারী ক্যামেরা এখন আর বহন করে চলাচল করতে পারি না । তাই শেষ সহায় ক্যননের ছোট ক্যামেরা আর মোবাইল
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
১১| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবি আর সাবলিল বর্ণনায় অনবদ্য পোস্ট । +
১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার অনেকদিন ধরে সাথে আছেন বলে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১২| ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্টার ফিসগুলো দেখে মন টা হুহু করে উঠল ,কী বিপর্যয় ;
চমৎকার ভ্রমণ কথা ।
১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০০
জুন বলেছেন: মৃত স্টারফিস গুলো দেখে আমারও খারাপ লেগেছিল মনিরা ।
পোষ্টটি দেখা আর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ
১৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২০
সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা ভাল কইরা এখনো পড়ি নাই, কেবল ছবি গুলা দেইখা গেলাম! বড্ড ব্যস্ততায় দিন যাইতাছেরে বহিন! তবে পোস্টের মধ্যে দুইটা ছবি সম্ভাবত একই আসছে! "ভাটায় পানি সরে গেছে বহু দূরে" এবং "গেস্ট হাউজ গুলো পরস্পরের গা ঘেষে...." শিরোনাম দুইটার ছবি একই হইয়া গেছে!
একটা পাল্টাইয়া দিলে ভাল হইবে (যদিও লেখার সাথে ছবি দুইটাই মানায়)! তবে আমি আবার ক্রিয়েটিভ জিনিস গুলার মধ্যে একটু বাড়তি নতুনত্ব খুঁজি কিনা সেই জন্যই বলছিলাম। আমার কথা হইলো, সেই যখন দেখাইবেন তখন এক জিনিস দুইবার দেখাইবেন ক্যান? আর আমরাও বা দেখবো ক্যান! ফ্রিতে যদি আর একটা নতুন তা দেখবার পারি তাইলে মন্দ কি?
পোস্টে ভাল লাগা! কেমন আছেন আপু? শুভ কামনা রইলো!
১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৮
জুন বলেছেন: কেবল ছবি গুলা দেইখা গেলাম!
আশা করতে পারি সকল ব্যাস্ততা কাটিয়ে পড়ার সময় বের করে ফেলবে সাহসী ।
তোমার তীক্ষ চোখকে ফাকি দেয়া খুব কষ্টকর মনে হচ্ছে । গতকাল পারিবারিক কারনে অনেক ব্যাস্ততা থাকায় খুব তাড়াহুড়ো করে পোষ্ট লেখা ও ছবিগুলো আপলোড করেছি । তারপর আর চোখ মেলে দেখিনি পোষ্টটি। তাই এই ভুলটি রয়ে গিয়েছিল । যাইহোক বদলে দিয়েছি আর তার জন্য তোমাকে এক বিশাল ধন্যবাদ
পোষ্টের ছবি দেখা ও ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জেনো । ভালোই আছি । শুভকামনা তোমার জন্যও ।
১৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৪
পুলহ বলেছেন: জুন মাসে জুন আপুর পোস্ট দেখে ভালো লাগলো!
এ সাগর তো আমাদের কুয়াকাটার মত দেখা যায়, ঢেউ নাই (যদিও আপনি বলেছেন তখন ভাটা চলছিলো !)
আপনি তো অনেক দেশ ঘুরেছেন আপু আলহামদুলিল্লাহ, আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। শুনেছি কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে সমুদ্রের ঢেউটার মত ঢেউ নাকি পৃথিবীর আর কোন বীচে নেই... কথাটা কি ঠিক?
শুভকামনা জানুন। আপনার সার্বিক সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করছি !
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১১
জুন বলেছেন: পুলহ
সকালের শুভেচ্ছা জানবেন । প্রচন্ড ব্যাক্তিগত ব্যাস্ততায় মন্তব্যের উত্তরগুলো সাথে সাথে দিতে পারছি না তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত ।
আপনি ঠিকই বলেছেন কুয়াকাটার মতই নিস্তরংগ তবে পানি কুয়াকাটার কাদা কাদা নয়, একেবারে স্বচ্ছ কাচের মত , ঝকঝকে মোটা বালি। অবশ্য কারন আছে কারন জায়গায় জায়গায় তটরেখা ঘেষে পাহাড়ের সারি।
আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অনেকই কঠিন । আমি আর কয়টা দেশ বা সাগরই দেখেছি বলেন ? তাই লাবনী পয়েন্টের সাথে তুলনা করাটা আমার জন্য মুশকিল । হয়তো সেখানে ঢেউ আছে তবে আমাদের মত সুদীর্ঘ বীচ নেই । আর এই দীর্ঘতম বীচের কি সুবিধাই বা আমরা কাজে লাগাতে পারলাম বলেন
আপনিও ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন সেই দোয়া রইলো । সাথে থাকুন বরাবরের মতই
১৫| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছবির সাথে জানলাম অনেক কিছু। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল আমিও ঘুরে এলাম।
সুন্দর পোস্ট
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৩
জুন বলেছেন: আপনার হল্যান্ড নিয়ে পোষ্টেও অনেক কিছু দেখে এলাম আর জেনে এলাম ফেরদৌসা রুহী ।
আমার পোষ্টটি দেখা ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন নিরন্তর
১৬| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট । পরে আবার আসব
শুভেচ্ছা রইল
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৫
জুন বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ডঃ এম আলী ।
পরে আবার এসেছেন কষ্ট করে কিন্ত আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তরই দেয়া হয় নি আমার। লজ্জিত ।
১৭| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
পৃথিবী বদলাচ্ছে; জাপানের মৎস্য পল্লীগুলো আগের চেয়ে ভালো করছে; সবকিছু নির্ভর করে শিক্ষা ও মানসিকতার উপর।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২১
জুন বলেছেন: সত্যি পৃথিবী অনেক বদলে গেছে চাঁদগাজী । জাপানের মৎসপল্লীগুলো যে আমাদের চেয়ে অনেক অনেক এগিয়ে তা বলাই বাহুল্য।
আমার ছেলে জাপানের সেন্ডাইতে গিয়েছিল সুনামী বিদ্ধস্ত জেলে পল্লী দেখতে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর টোকিও ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় । এই ছবি পোষ্টটি দেখতে পারেন সময় থাকলে ।
আর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো ।
সেন্ডাই, ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে আসা জাপানী শহর -- আমার ছেলের চোখে
১৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
রূপকথার মতো শুরু করে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে গেলেন ! ক্লাসিক ।
এবারে কিন্তু আপনার লেখার ষ্টাইল “হুয়া হিন” সৈকতের জলরাশির মতো যেন জোয়ার ভাটায় খেলে গেছে । একদম শুরু থেকে শেষের প্রতিটি বাঁকে বাঁকেই এই জোয়ার ভাটার আবেশ পাওয়া গেলো ।
গল্পের ওস্কার ক্ল্যাভা থেকে কি অনায়াসে পাঠককে নিয়ে নিয়ে গেছেন বাস্তবের পেচা বুরির কৃষকদের কাছে । সমস্ত প্রতিকুলতা কাটিয়ে ভিদজেমে গ্রামের জেলের ছেলে ওস্কার ক্ল্যাভার মাথা তুলে দাঁড়ানোর গল্পটাকে প্রতীকি হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন বিশাল দেহী হিলটনের মতই আরও অনেক আগ্রাসী ভয়াল থাবার হাত থেকে “হুয়া হিন” বাসীদের অসম প্রতিযোগীতার লড়াইটাকে । পাশাপাশি নিজ দেশে অমন আগ্রাসী থাবার শঙ্কায় যে শঙ্কিত , তাও বাদ পড়েনি ।
ভ্রমন পোস্টে এমন বিচিত্রতাকে কি বলা যাবে - অনবদ্য ? অনন্য সাধারন ? অবতংস ? অংশুমান ?
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস ,
সকালের শুভেচ্ছা জানবেন ।
ব্যাক্তিগত ব্যাস্ততায় কারো উত্তরই সময় করে দিতে পারছি না তার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি । তার মাঝে আপনার রূপকথার মতন অপরূপ মন্তব্যের জবাব দিতে হলে আমাকেও একটু সময় নিতে হয় বৈকি ।
এতদিনের সহ ব্লগার হিসেবে আপনি হয়তো বুঝে গেছেন আমি তেমন করে কোন ভ্রমণ কাহিনী লিখতে পারি না । যা আমার এক বিরাট সীমাবদ্ধতা । তাই সব কিছু মিলিয়ে ঝুলিয়ে নিরামিষের কিছু একটা তৈরী করে আপনাদের মত পাঠকদের পাতে তুলে দিতে চেষ্টা করি । এটা না হয় ভ্রমণ, না হয় ইতিহাস আর না হয় সাহিত্য । হয়ে যায় যাদুকরের হাতের পাচ আঙ্গুলের কারিকুরিতে এক গাজাখুরি খেলা।
হ্যা বুঝতে শেখার পর ওস্কার ক্ল্যাভার জীবন সংগ্রাম আমাকে খুব আভিভুত করেছিল । তাই এখানেও তার আঁচ দেখতে পেয়ে সুবীর সেনের গানের মতই সুনীল সাগরের তীর ঘেষে চলা সরু পথে মুক্তো খুজে বেড়িয়েছি, সাগর দেখার সময়তো পাই নাই ।
আপনার শেষ চারটি শব্দের প্রথম দুটো জানা থাকলেও শেষ দুটো জানার বাইরে রয়ে গেল । তবে কিছু কিছু জিনিস নাকি অজানা থাকাই ভালো ।
অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যে আমার পোষ্টটিকে উজ্জ্বল করে তোলার জন্য ।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
১৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২১
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার চমৎকার বর্ণনা আর ছবি মিলে পাঠকদেরও সে যায়গা ভ্রমণ হয়ে যায়। যদিও আপনার কয়দিন পরে আর কি
অনেক সুন্দর পোস্ট জুন আপু। খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন উম্মে সায়মা আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য।
আগামী ভ্রমনেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়
২০| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দারুন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ও সেই সমুদ্র সৈকত হুয়া- হিন, জেলের ছেলেদের সংগ্রামী ইতিহাস জানা গেল।
খুব সুন্দর পোষ্ট । ভালো লাগলো, ধন্যবাদ, আপু।
ভালো থাকুন সবসময়.......
১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১২
জুন বলেছেন: পোষ্ট পড়া মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর ।
আপনিও ভালো থাকুন আর খুশীতে থাকুন
২১| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:১৩
কল্লোল পথিক বলেছেন:
বরাবরের মতো সুন্দর।
১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৩
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ছোট্ট একটু মন্তব্যে
২২| ১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সিভকা-বুর্কা আর মাশা এই গল্পগুলো মনে হচ্ছে পড়েছি।। কিন্তু মনে আসছে না।।
হুয়া হিন বিচের অপরূপ রূপ আর গল্প দেখতে দেখতে মন পিছিয়ে দেশে যেয়ে পৌছেছিল।। (বাহুল্য হচ্ছে না তো??)
বুড়িগঙ্গার মত একটি নদী যা কিনা যেন কোন রাজধানীর গর্ব হতে পারতো, সে আজ মৃত!! জেলেদের চেয়েও কত অধম হলে, আমরা এই গর্বিত অধিবাসীরা সামান্য প্রতিবাদের ভাষাও হারিয়ে ফেলি!!
জানি না পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত, কক্সবাজার নিয়েও এমন ছবি আর লেখা হয়ছে কিনা ??!!
বোনটি, এটাকে সমালোচনার দৃষ্টিতে না দেখে যদি একজনের হাহাকার হিসাবে দেখেন, তাহলেই আমি স্বার্থক।। কারন আমার সাথে আপনিও জানেন, আমরা প্রকৃতির দান পেয়েও অবহেলা করছি, যেখানে অন্যেরা এর পুরো সদ্ব্যাবহার করছে।।
বিক্ষিপ্ত মনে হচ্ছে, তাই না??
১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫
জুন বলেছেন: উত্তর দিতে দেরী হলো , আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন পুরনো একজন সহ ব্লগারকে
সিভকা বুর্কা অথবা মাশা আর ভালুকের মত রাশিয়ান উপকথাগুলো আমাদের শৈশব কৈশরে অনেক জনপ্রিয় ছিল। মস্কোর প্রগতি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ননী ভৌমিকের অনুদিত বই গুলো আমি আজও পড়ি। বোকা ইভানরা তিন ভাই। সেদেশের রাজা ঘোষনা করেছিল উচু তিন তালা মহলের বারান্দা থেকে যে তার মেয়ের হাতের আঙ্গটি খুলে নিতে পারবে তার সাথেই মেয়ের বিয়ে দেবেন। বোকা ইভান গম চোর ধরতে গিয়ে পেয়েছিল সিভকা বুর্কা নামে এক অত্যাশ্চার্য্য ঘোড়া যার নাক কান দিয়ে আগুন আর ধোয়া বের হতো। তার অবিশ্বাস্য ক্ষমতায় সে লাফিয়ে উঠে রাজকন্যার আঙ্গটি নিয়েছিল । ?
মাশা ও ভালুক ছিল লিও তলস্তয়ের লেখা ।জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া মাশাকে পেয়েছিল এক ভালুক । ভালুকের হাতে বন্দী বুদ্ধিমতী মাশা পিঠার বাক্সে লুকিয়ে কি করে সে ফিরে এসেছিল তার পরিবারে কাছে সেই আখ্যান । এখন মনে পড়ছে কি উপকথা দুটোর কথা ?
একসময় যাতায়তের সুবিধার জন্য সব দেশেই নদীর পাড় ঘেষে শহর সৃষ্টি হয়েছে । আমাদের বুড়িগঙ্গার মত এমন করুন পরিনতি পৃথিবীর আর কোন দেশে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই । কক্সবাজার বীচও আমাদের লোভী ব্যাবসায়ীদের হাতে কতদিন টিকে থাকে কে জানে । এখনই পানি যে পরিমান কালো ময়লা আর দুষিত । কয়েক বছর আগেও যা ছিল পরিস্কার টলটলে ।
সমালোচনা নয় ভাই, বিদেশে থাকলে দেশের এসব কথা মনে হলে মনের মাঝে হাহাকারই ভেসে আসে ।
সেদিন থাই টিভিতে দেখলাম রাজকন্যা শ্রিনির্ধন উপকুলে ম্যানগ্রোভ বন তৈরীর জন্য সেই ধরনের গাছের চারা তুলে দিচ্ছে জনগনের হাতে। সাথে সাথে যত্নের সাথে লাগিয়ে ফেলছে মাটিতে। আর আমরা লোভী আগ্রাসী এক জাতি প্রকৃতির অপুর্ব সৃষ্টি রেডিমেড ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনকে উজাড় করে ফেলছি । কি দুরদর্শী জাতি আমরা ।
বিক্ষিপ্ত নয় , আমি আপনার মনের কথাগুলো অনুধাবন করতে পারছি বলে মনে হচ্ছে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকেও মনের কথাগুলো বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।
শুভকামনা রইলো ।
২৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৪১
সোহানী বলেছেন: রাশিয়ান সেই গল্পগুলো এখনো মেয়েকে বলি, কখনও ভোলার নয়। আমার বাবার ছিল লাইব্রেরী আর সেখানে মোটামুটি সব বইই কালেকশানে ছিল।
ভূমি দস্যুতো সব জায়গাই একই চরিত্র.......... দেশে বা অন্য কোন দেশে।
ভালো লাগলো বরাবরের মতই...............
১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৩
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সোহানী । উত্তর দিতে দেরী হচ্ছে ক্ষমা করবেন আশাকরি। বিভিন্ন কাজে আমার সময়গুলো কেমন করে চলে যাচ্ছে জানি না । এখন একটু গুছিয়ে বসেছি ।
ছোটবেলায় রাশান উপকথাগুলোই বুঝতাম আর তাই পড়তাম , বড় হয়ে পড়ার অদম্য নেশা তাদের ক্লাসিক লেখকদের লেখার সাথে সুপরিচিত করে তুলেছে আমাকে ।
আর আমাদের পরিবারেও সবার বাসায় যাই থাক না থাক লাইব্রেরী একটা থাকতোই।
আমাদের দেশে লোকসংখ্যা বেশী সেই তুলনায় জমির পরিমান কম । তাই যে যা পারছে লুটে পুটে নিচ্ছে আরকি ।
পোষ্ট পড়া, সুচিন্তিত মতামত আর ভালোলাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
শুভকামনা সব সময়ের জন্য ।
২৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৪৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: +
১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৫
জুন বলেছেন: প্লাস দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রিফাত হোসেন ।
২৫| ১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: বিশাল দেহী হিলটনের মতই আরো হোটেল মোটেলের কালো হাত এগিয়ে আসছে শান্ত এই জেলেপল্লীর দিকে; দারুণ লেখা! আধুনিক সভ্যতা আর বেনিয়ার আক্রমনে কাতর আদি বসুন্ধরা। পড়ে আর অপুর্ব সব ছবি দেখে পরানটা জুরায়ে গেল। খুব ভাল লাগল, ধন্যবাদ।
১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১২
জুন বলেছেন: ঢাকাবাসী ভাই মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশাল দেহী হিলটন সাজ সজ্জায় আর বিলাস ব্যাসনে যতই আধুনিক হোক প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা জেলে পল্লীর সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গেষ্ট হাউসগুলোর পাশে তাকে কুৎসিতই লাগছিলো ।
সাথে থাকবেন, আর শুভকামনা আপনার জন্য ।
আপনি কিন্ত অনেকদিন কোন লেখা দিচ্ছেন না !
আপনার লেখার অপেক্ষায়
২৬| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০২
নীলপরি বলেছেন: দারুন । ++++
১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি
২৭| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
অসাধারন ভ্রমন ব্লগ!
অভিনন্দন অন্তহীন।
ভাল থাকবেন অনি:শেষ।
১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
জুন বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নতুন নকিব । শুভকামনা নিরন্তর ।
২৮| ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার !
এমুন করে কবে যে ঘুরতে পারুম !!
১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অপু তানভীর ।
খুব তাড়াতাড়ি যেন ঘুর ঘুর শুরু করতে পারেন সেই দোয়া রইলো
শুভেচ্ছা ---
২৯| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নীল মলাটের বই জেলের ছেলে আর অচেনা ভিলিস লাৎসিস। তবে এই অচেনা ভিলিস লাৎসিস এর পরিচয় জানার ও তাঁর লেখা পাঠের সৌভাগ্য কিছুটা হয়েছিল । জানা যায় এই লাটভিয় রাইটার পরে কমুনিষ্টর পলিটিশিয়ান হিসাবে বেশ পরিচিত ছিলেন পাশ্চাত্ত জগতে । তার লিখা সাহিত্য কর্ম সমাজের উচুতলায় জায়গা করে নেয়ার জন্য সরকারী পর্যায়ে কুশেষ কিন্তু কম করা হয়নি বলেই দেখা যায় । তাঁর সাহিত্য কর্মে উদ্দিপনা থাকার জন্য সে সময়ে তার সাহিত্য কর্ম প্রচারের লক্ষ্যে সরকারী আনুকল্য ছিল বরাবরই , এমনকি তার কর্ম ৫০ টির মত ভাষায় অনুদিতও হয়েছে । তিনি নীজেও হয়েছিলেন বড় মাপের কমুনিস্ট রাজনীতিবিদ । ১৯৪০ সালে লাটভিয়া USSR এর সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর লাৎসিস লাটভিয়ান SSR এর কাউন্সিল অব মিনিষ্টারের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন ( নরম্যলী যা প্রধান মন্ত্রী সমতুল্য) এবং তিনি দীর্ঘদিন ( ১৯৪০- ১৯৫৯ সন) পর্যন্ত ঐ পদে বহাল ছিলেন । যাহোক ঠিকই বলেছেন, তার বইটি মুল রাশিয়ান মুল ধারার সাহিত্য জগতে আলোরন তুলতে না পারলেও তা সাধারণ জনগনের কাছে ব্যপক সারা সাড়া জাগিয়েছিল ।
রুশ উপকথা সিভকা-বুর্কা আর মাশা ও ভালুক এর সাহিত্যিক আখ্যান ভাগ্যের বিবরণ বেশ ভাল লেগেছে । লেখাটি পাঠের ফাকে ফাকে পোষ্টের ছবি গুলি অনেক কথা বলছে । চীনা মন্দিরের সামনের ঐতিহ্যবাহী চৈনিক নকঁশা মনে হল যেন ইতিহাস কথা বলছে । যাহোক ,রিগা উপসাগর তীরে জেলের ছেলে ওস্কার ক্ল্যাভার নেতৃত্বে সমস্ত প্রতিকুলতা কাটিয়ে মাথা তুলে দাড়ানো ভিদজেমে গ্রামের জেলে সম্প্রদায়ের বিকাশ কাহিনীটি একটি বিরাট শ্রণী সংগ্রামেরর লক্ষ্যে পরিচালিত হওয়ার পথ নির্দেশিকাই বলা চলে ।
লেখাটি পড়তে পড়তে মাঝ দুপুরে ভাটার টানে সরে যাওয়া হুয়া সাগরের দৃশ্য দেখতে ভাল লেগেছে । ওস্কার ক্ল্যাভার সংগ্রাম লেখাটির তেমন বিষয়বস্তু না হলেও এটা আমার নজর কেড়েছে , মনে পরে এই সংগ্রামরের পুরা কাহিণীটিই যদি দেখতে পারতাম হুয়া সাগরতীরের সেই রাজকীয় গ্রীস্মাবাসে বসে!!! জায়গাটি সাধারন থাই বাসীদের কাছেওতো জানা গেল ছিল খুবই আদরের। তবে রাজকীয় গ্রীস্মাবাসে বসে দেখার সুযোগ কপালে না জুটলেও লাল টিউলিপ ওয়ালা সেই রেস্তোরায় বসে চা কফি খেতে খেতে অনায়াসে দেখে নেয়া যেতে পারে সাগর পারের দৃশ্য এ কথাটি জেনে বেশ পুলকিত হলাম ।লেখাটির এখানে এসে আমাদের প্রিয় সমুদ্র তীর কক্সবাজারের কথায় মনে পরে যায় অনেক স্মুতি , সে সাথে উঠে আসে সেখানকার পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনার কথাটিও ।
শান্তশিষ্ট হুয়া হিন বিচে সাগর প্রেমিরা যেমন করে ঘুরে বেড়ায় সেরকমটিই তো দেখা যায় বিশ্বের সর্ববৃহত সী বিচ কক্সবাজারের সেই হীমছড়ি পর্যন্ত সাগর প্রেমীদের ছুটে চলা । শুনেছি কক্সবাজার হতে সি বিচ ধরে টেকনাফ পর্যন্ত হবে নাকি সুন্দর পাকা সড়ক একখনা , কাজ শুনেছি শুরু হয়ে গেছে , সে সাথে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক এয়ার পোর্ট সহ বেশ কটি পাঁচ তারা হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট নির্মানের পরিকল্পনাও নাকি জোড় কদমে এগিয়ে চলেছে ।
মেঘে আচ্ছন্ন হুয়া হিনের আকাশে আপনার পোষ্টের লেখা পাঠের সাথে খানিকটা পথ জেলে পল্লীর ভিতর দিয়ে এগিয়ে গিয়ে জোয়ার ভাটায় পানি সরে যেতে দেখে আপনার মতই মনে হল ভাটার টানের সময় আমাদের শান্ত শিষ্ট সেই সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের কথা যেখানে জোয়ার ভাটার টানে অবশ্য প্রায়সই হারিয়ে যায় বেশ কিছু তাজা প্রাণ , যা মনে করিয়ে দেয় কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্টের দুরাবস্থার কথা ।
ঢেউহীন নিস্তরঙ্গ সমুদ্রের বুকে নিঃসঙ্গ জেলে নৌকার ছবি দেখার কথা শুনে মনে পরে যায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাটার সময়ে জেলেদের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলি কেমন করে ঘন্টার পর ঘন্টা আধা বেলা শুকনো জায়গায় ঠাই দাঁড়িয়ে থাকে জোয়ারের অপেক্ষায় ।
গেষ্ট রুমের সুন্দর ছবিটা দেখে এই পোষ্টে ঘুরাফেরার ফাকে একটু বিশ্রামে যেতে ইচ্ছেই করে তবে এখানে বিশ্রামের যে দাম দিতে হবে বাথে, তাতে মনে হয় কাজ নেই বাপু যাই এতে, তার থেকে অন্য কোথাও কাজটা সেরে নেই একটু সস্তাতে ।
চীনা মন্দিরের সামনে ঐতিহ্যবাহী কারুকাজটি দেখে বেশ ভাল লেগেছে , এটা ভাল লাগার কারণ আরো আছে , এটা থেকে সহজেই নেমে যাওয়া যায় সোজা সমুদ্র সৈকতে একেই বলে রথও দেখা কলাও বেচা এক সাথে , তবে সেখানে থাকা বেরসিক বিশাল প্রস্তরটি পথ আগলে না থাকলে তা কি এত সুন্দর লাগত দেখতে !!
থাই ছেলে মেয়েদের সাগর উপভোগ করার সময় সৈকতে ঘোরায় চরাটা বেশ ভালই জমে । একটু রিক্স নিয়ে ঘোরায় চরে তার দুএকটি সেলফি দেখালে এ পোষ্টের উজ্জলতা আরো অনেকটা যেত যে বেড়ে , ইবনে বতুতার মত পর্যটকের পক্ষে বালুচরে ঘোরায় চড়তে ভয় পাওয়া !! বয়স কোন ব্যপার না, উঠে পড়ুন ঘোরার পিঠে এক লাফে ।
খাবারের ডিসগুলির ছবি দেখে জিবে যে জল এসে গেল , খাওয়ার সময় থাই খাবারের সেই চিরচেনা কাঁচা গন্ধটা এতে আছে কিনা সেটা বিধাতাই জানে , বার বি কিউ জাতীয় থাই খাবার দেখতে সুন্দর হলেও খেতে গেলে অনেক সময় যায় পেট গুলিয়ে , তবে খাবার চিনে খেতে পারলে এর হাত হতে বাঁচা যায় , খেতেও তা বেশ মঝা লাগে ।
সাঝের আঁধারে দূরে কালো কালো বিন্দুর মত মাছ ধরা ট্রলারগুলো দেখে ভালই লাগল । জেলেদের জন্য তৈরী জেটিতে প্রাচীন সেই হুয়া হিনের ছবি , ও স্লোগানের মাঝে তাদের প্রতিবাদগুলি তুলে ধরছে বলে অনেক কিছু জানা গেল ।
পুরনো দিনের হুয়া-হিনেন সাগর সৈকতে বিশাল দেহী হিলটনের মতই আরো হোটেল মোটেলের কালো হাত সমুদ্র তীরের সবচেয়ে আকর্ষনীয় জায়গা আদিবাসি জেলে পল্লীর দিকে এগিয়ে আসাটা একটি অশনি সংকেতই বটে । দেবতার গ্রাসের মতই কিছু কাঁচা টাকার লোভ দেখিয়ে দরিদ্র জেলেদের কাছ থেকে তারা গ্রাস করে নিচ্ছে ১৮৩৪ সাল থেকে পত্তন করা তাদের পিতৃপুরুষের ঘর বাড়ি। তবে বিষয়টি তো একদিনে এমন হয়নি বলেই মনে হল , হেরিটেজ সচেতন থাই সরকার বিশেষ করে প্রয়াত রাজা ভুমিবল এ বিষযটি নিয়ে কি ব্যবস্থা দিয়ে গেছেন তা জানতে বড় ইচ্ছে করে । তবে এ জানাটা আপনের কাছে নয় , এটা তাদের সরকারের কাছে ।
জেলের ছেলেরাও অসম প্রতিযোগীতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সর্বগ্রাসী এই সব লোভী অসুরদের বিরুদ্ধে। এটা সেখানকার থাই জেলেদের প্রতিবাদের একটি বৈচিত্রময় দিক বলেই মনে হল , একদিকে তারা প্রতিবাদ করছে আর দিকে তারা মাছ ধরা ছাড়াও পর্যটকদের জন্য খুলে বসেছে রেস্তোরা,কফি-শপ, স্যুভেনীরের দোকান এসব। কেউবা সমুদ্রের উপর কাঠের খুটির উপর তৈরী করা ঘরগুলোকেই পরিবর্তন করে তৈরী করেছে ছোট ছোট হোটেল মোটেল ,এতে কি তাদের হেরিটেজের উপরে কোন প্রভাব ফেলছেনা । বেনিয়ারা সেখানে তারকা হোটেল করছে বলেইতো পর্যটন শিল্প বিকাশের সাথে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে বিত্ত বৈভবের দিকে !!! তাই এটা তাদের একটি বৈচিত্রময় সংগ্রামের কাহিণীই বটে !!!
এসব দৃষ্টে মনে হয় ঠিকই বলেছেন মৃত স্টার ফিশের মতই মৃত্যু হতে পারে তাদের সকল সংগ্রামের !!!
ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
জুন বলেছেন: ডঃ এম আলী ইফতার শেষে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে আসছি
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৮
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব এতটুকুতে কি হয় ? তাই আবার সময় করে আসলাম ডঃ এম আলী
বহির্বিশ্বে অনেকটা অপিরিচিত রুশ সাহিত্যিক ভিলিস লাৎসিসকে নিয়ে এতখানি গবেষনা করে ফেললেন!আমি সত্যি বিস্মিত আপনার প্রতিভায় অবশ্য এর জন্যই আপনি পেয়েছেন ডক্টর অফ ফিলোসফির সন্মান।
বইটির প্রচ্ছদটি ঠিক এমন নীল ছিল শুধু অক্ষরগুলো বাংলায় ।
ভিলিস লাৎসিসকে নিয়ে আমি এ লেখায় বেশী দূর এগোইনি। তাতে লেখার কলেবর যাবে বেড়ে যাবে বিরক্তি উৎপাদন করবে ব্লগ পাঠকদের। তাই বলতে পারেন তাকে খুব সংক্ষেপে ছুয়ে গেছি।
আপনার নিশ্চয় মনে আছে বাল্টিক সাগর তীরের ক্ষুদ্র রাজ্য এই লাতভিয়া লিথুনিয়াই কিন্ত প্রথম সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা অর্থাৎ ভাঙ্গনের আওয়াজ তুলেছিল। যা শেষ পর্যন্ত দুই জন মার্কিনী দালাল বরিস ইয়েলেৎসিন আর তার হাতের পুতুল মিখাইল গর্বাচেভের মাধ্যমে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল পারমানবিক শক্তিধর বিশাল দেশটি। অবশ্য এর পেছনে স্ট্যালিনের অবদানও কম নয় । সে আমেরিকার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। দেশের জনগন ও তাদের ভালোমন্দ তার কাছে গৌন হয়ে পরে। ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নে বসবাস করা বিশাল জনগন ক্যমুনিস্ট শাসন থেকে মুক্তির জন্য পাগল ছিল । এই ইতিহাস সবই আপনার জানা তারপর ও আলোচনার খাতিরে টেনে আনা আরকি।
আপনার মনে থাকার কথা এক সময় মস্কোর প্রগতি প্রকাশন থেকে বিশেষ করে ননী ভৌমিক অনুদিত রাশিয়ার সব ধরনের বই বাংলাদেশের বই এর বাজার ছেয়ে গিয়েছিল । সেই বিশাল সাহিত্য সম্ভারে আমার হাতে খড়ি হয়েছিল রুশ উপকথা রূপালী খুর দিয়ে যে কিনা খুর দিয়ে মাটিতে আচড়ালেই বের হতো ক্রিসোলাইট নামে এক দামী রত্ন। ক্ষুদে সভেৎলানার মত আমিও কি যে বিস্মিত হয়েছিলাম সেই গল্প পড়ে বলার মত না । তারপর আসলো কিশোর গল্প নিয়ে আর্কাদি গাইদারের নীল পেয়ালা তিমুর ও তার দল বল । সেখান থেকে পরবর্তীতে তলস্তয়, চেখভ, গোর্কি, পুশকিন, দস্তয়েভস্কি , গোগল সহ আরো আরো অনেকে ।
লাৎভিয় উপসাগরের তীরে ভিদজেমে গ্রামের জেলের ছেলে বই এর নায়ক ওস্কার ক্ল্যাভা বছরের বেশিটা সময় ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ , বরফাচ্ছাদিত উপসাগরে পুরনো ভাঙ্গা চুড়া নৌকায় রিফু করা জাল নিয়ে মাছ ধরার মত কষ্টকর পেশাই শুধু নয় বড় ছেলে হিসেবে বুড়ো বাবা- মার ভরন পোষন,শহরে পড়ুয়া চালবাজ ভাই রবার্তের পড়াশোনার খরচ চালানো, বোনের আবদার মেটানো, মোট কথা দারিদ্রতার সাথে যত রকম যুদ্ধ থাকতে পারে হতে পারে তার সাথেই লড়ে করে চলছিল। তার মাঝেই সেই দোকানীর মেয়ে আনিতার সাথে প্রেম,বিয়ে সন্দেহ বিরহ। মহাজনের কোপানলে পড়ে সর্বস্ব হারানো ওস্কার সব প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো । বইটি আমাকে এখনো আকৃষ্ট করে প্রথমবার পড়ার মতই ।
সেই রাজকীয় গ্রীস্মাবাসে বসে হুয়া হিন দেখবেন ! বলেন কি!সেখানে সাধারনের প্রবেশ নিষেধ। আরেকটি কথা যদিও আপনি সরকারকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন তারপর বলছি ও নিয়মতান্ত্রিক রাজা হওয়ার জন্য এসব ব্যাপারে তাদের কথা বলার হুকুম নেই। যেহেতু জনগনের কাছে দেবতাসম প্রয়াত রাজা ভুমিবলের বিশাল গ্রহনযোগ্যতা থাকার দরুন তিনি দু একবার জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
লাল পদ্মের দোকানটি তখন সবেমাত্র খুলছে ঝাপি। চা খাবার সৌভাগ্য হয়নি । তবে প্রথম ছবি যেটা পানিতে ডুবে থাকার সময়টিতে প্রকৃতি ঝিনুক দিয়ে নিজ হাতে কারুকাজ করেছিল সেটাও জেলে পল্লীর এক রেস্তোরা । সেখানে বসে বিখ্যাত কফি এরাবিকার তৈরী ল্যাতে খেয়েছিলাম। চা এখানে আমাদের মত বানাতে পারে না । কেমন যেনো এক স্বাদ হয় । তাই আসার সময় চা পাগল আমি বাংলাদেস থেকে চায়ের পুরো উপকরন নিয়ে আসি ।
কক্সবাজারতো বটেই আমি যখনই যেখানে ঘুরতে যাই তখনই আমার প্রিয় মাতৃভুমির কথা মনে পরে যায় ড: এম আলী ।পাঁচ তারা হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট,পাকা সড়ক, এয়ারপোর্ট সব কিছুই তো হয় শুনি তবে সেটা টেকসই হয়না কেন জানি। তাছাড়া খাবার দাবার সহ সব কিছুই সাধারন জনগনের নাগালের বাইরে থাকে।
সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের কথা যেখানে জোয়ার ভাটার টানে অবশ্য প্রায়সই হারিয়ে যায় বেশ কিছু তাজা প্রাণ , যা মনে করিয়ে দেয় কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্টের দুরাবস্থার কথা ।
আপনি অবশ্যই জানেন আমাদের কক্সবাজার বীচের মহী সোপান বেশ অনেকদুর পর্যন্ত বিস্তৃত সেখানে এ ধরনের দুর্ঘটনা সত্যি বেদনাদায়ক । এখানে এই হুয়া হিনে এক পা যেতেই অনেক জায়গায় গভীর ঢাল যেখানে আমিও পরতে গিয়েছিলাম তারপর ও তো এখন পর্যন্ত শুনিনি সাগরে ডুবে কেউ মারা যেতে ।
ডঃ আলী এখানেও ভাটার সময় গেষ্ট হাউসের পাশের ছোট্ট খারিতে স্থির দাঁড়িয়ে আছে জেলেদের নৌকা জোয়ার আসার আশায়।
চীনাদের ঐতিহ্যবাহী নকশায় আলাদা সৌন্দর্য্য রয়েছে তাতো আপনিই জানেন। ছিমছাম মন্দিরটি সত্যি আকর্ষনীয় । তবে জানেন তো একমাত্র অর্থের দেবতা ছাড়া চীনাদের আর কোন দেবতা নেই ! এখানেও তিনি স্বমহিমায় আসনে উপবিষ্ট।
বালুকাবেলায় সেই পাথরগুলো কিন্ত খারাপ লাগে নি । মসৃন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সেই পাথরে বসে সমুদ্র উপভোগ করা যায় ।
না ঘোড়া থেকে পরে গিয়ে খোড়া হয়ে বসে থাকলে আমার ঘুর ঘুর করার কি হতো ! তাই ঐ রিস্ক আমি নেই নি ।
নাইট মার্কেটের খাবারটা আমারও তেমন ভালোলাগে নি । আমার ধারনা ছিল সবগুলো ডুবো তেলে মচমচে ভাজা । কিন্ত বেশিরভাগই কেমন যেন আধা সেদ্ধ কাঁচা কাচা । বিশাল এক গলদা চিংড়ি নিয়ে না খেতে পেরে রেখে দেই । এরা সব খাবারে এমনকি মাংসের মধ্যেও ফিস সস ব্যবহার করে যার গন্ধটা আমি সহ্যই করতে পারি না । তাই আগেই বলি "mai sai num pla" ।
সাঝের আঁধার আর ভোর সকালে সেই জেটিতে ভ্রমণ আর সৌখিন শিকারীদের মাছ ধরা সত্যি উপভোগ্য ছিল । উকি দিয়ে দেখলাম জেটির কাছে সাগরের পানিতে মাছের ঝাঁক যাকে বলে কিলবিল করছে যা দেখে আমি অবাক হয়েছি। এক জায়গায় এত মাছ সাধারনত বদ্ধ পানিতে চাষ করা অবস্থায় দেখা যায় । কিন্ত খোলা সাগরে !!
আমাদেরও কামনা থাকবে জেলের ছেলেরা তাদের সংগ্রামে জয়ী হোক । আর সেটা ভবিষ্যতই বলতে পারবে তারা হারবে না জিতবে ।
আপনার মন্তব্যগুলো এত প্রাঞ্জল আর বিশ্লেষনধর্মী হয়ে থাকে যে তার উত্তর দিতে আরেকটি পোষ্ট লেখা হয়ে যায় লেখকের। এটা একদিক দিয়ে ভালোই কারন এতে উল্লেখ না করা বিষ্যগুলো উপস্থাপন করার সুযোগ ঘটে। ধন্যবাদ কথাটি অধিক ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে গেছে, তাই ধন্যবাদ নয় থাকলো শুভকামনা আপনার জন্য। লিখুন আর আমাদের জানিয়ে যান অজানা বিষয়গুলো যা আমাদের জানার পরিধিকে সমৃদ্ধ করবে।
গভীর মনযোগের সাথে পড়া, মন্তব্য আর প্রিয়তে রাখার জন্য কৃতজ্ঞ ডঃ এম আলী ।
ভালো থাকুন আর আমার জন্য দোয়া করবেন যেনো জীবনের সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে উঠতে পারি ।
শুভেচ্ছান্তে ---
৩০| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
জেন রসি বলেছেন: রুশ রূপকথা থেকে চলে আসলেন হুয়া হিনে। রুপকথার মতই। পড়ে আরাম পেলাম।
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
জুন বলেছেন: আমার সামান্য লেখাটি মনযোগী পাঠের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন জেন রসি ।
৩১| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
নায়না নাসরিন বলেছেন: ইফতারের আগে সময় কাটলো আপনার পোস্ট দেখে আপু। আপনার সৌজন্যে জানা হলো সিভকা বুর্কা বই এর নাম
পদ্ম ফুলের ছবিটা অনেক সুন্দর +++++++্
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
জুন বলেছেন: নায়না নাসরিন,
শুনে খুশী হোলাম আমার লেখাটি আপনার সময় কাটাতে সহায়তা করেছে জেনে । জী আমাদের সময়ে ঠাকুরমার ঝুলি, বাঙ্গালীর হাসির গল্প বই এর সাথে সাথে রুশ উপকথাগুলোও খুব আদরনীয় ছিল ।
পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য্যের মতই আপনার জীবন উজ্জ্বল সুন্দর হয়ে উঠুক এই কামনায়
৩২| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
প্রতিমন্তব্য দেখে গেলুম কোনও নোটিফিকেশান না পেয়েও । ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যের জন্যে ।
আর , কিছু কিছু অজানা থাকবেই বা কেন ? কোনও কিছু অজানা থাকা ভালো হবে কি করে ? তাতে ভুল বোঝার অবকাশ থাকেই ।
আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি ----
অবতংস < অলঙ্কার
অংশুমান < কিরণময় / তেজময় / সূর্যের মতো প্রদীপ্ত ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪১
জুন বলেছেন: নোটিফিকেশন পান নি জেনে আমি দুঃখিত আহমেদ জী এস । তবে এটা সামুর অনেক পুরোনো সমস্যা । আমিও অনেক সময় পাই না । অবশ্য আপনি নোটিফিকেশন না পেলেও আপনার মন্তব্যের উত্তরটি দেখতে যান এটা আপনার সৌজন্যতাবোধের এক বিশেষ উদাহরন । অজানা থাকার সুবিধা হলো অনেক দুঃখ কষ্ট ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্ত থাকা । তাই আমি মনে করি কিছু কিছু জিনিস অজানা থাকাই ভালো ।
তারপর ও শব্দদুটোর অর্থ সময় নিয়ে কষ্ট করে আবার এসে জানিয়ে যাবার জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ ।
ভালো থাকুন সুখী থাকুন হাসি খুশীতে থাকুন সেই প্রার্থনা রইলো ।
শুভেচ্ছা --
৩৩| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। জেলের ছেলে কাহিনীটি ভুলি নাই। ধন্যবাদ জুন আপা।
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫০
জুন বলেছেন: প্রামানিক ভাই আপনিও জেলের ছেলে বইটি পড়েছেন জেনে খুব ভালোলাগলো ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো
৩৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ইফতারের পরে ভাল করে রেষ্ট নেন , তারপরে আছে নামাজ ও লম্বা তারাবী, এই রমজানে মন্তব্যের যেটুকু সুন্দর হাসিমাখা উত্তর দিয়েছেন শুকরিয়া জানাই তার তরে ।
ভাল থাকুন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
জুন বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি ডঃ এম আলী । আপনি যে কষ্ট করে মন্তব্য লিখেছেন তার যথার্থ উত্তর না দেয়াটি কি আমার উচিৎ হবে বলুন ? চেষ্টা করেছি আপনার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে । আশাকরি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
ভালো থাকুন আপনিও আর আপনার দোয়া প্রত্যাশী ।
৩৫| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২১
সারাফাত রাজ বলেছেন: আপু, বরাবরের মতো মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। আপু, আপনার লেখাগুলোর ব্যাপারে সবসময় অস্বস্তিতে ভুগি, কি যে মন্তব্য করবো তা বুঝে উঠতে পারিনা। আশাকরি ব্যাপারটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন।
পোস্টে অবশ্যই প্লাস।
১৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৪১
জুন বলেছেন: আমি খুব সামান্য একজন সারাফাত রাজ । তালেবর কোন লেখক নই । আমার লেখায় আপনি নিশ্চিন্ত মনে ভালো মন্দ লিখে যেতে পারেন । প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন ।
৩৬| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এই রমজানে কষ্ট করে এত লম্বা ও বিস্তারিত প্রতিউত্তরের জন্য । একটি পোষ্টের অন্যতম মুল উদ্দেশ্য থাকে বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিক তথ্য ও ছবি সকলের সাথে শেয়ার করে উপভোগ করা, পোষ্টটি লম্বা হয়ে যাচ্ছে বিবেচনায় অনেক প্রয়োজনীয় গুরুত্বপুর্ণ কথা লিখা হয়ে উঠেনা এটা সত্যকথা । পোষ্ট লম্বা হয়ে গেলে অনেক সময় তা কিছু পাঠকের কাছে বিরক্তিকর হয় বলে দেখা যায় । তাই সেগুলি তুলে রাখা হয় যদি সুযোগ পাওয়া যায় কোন পাঠকের মুল্যবান মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলার ।
এখানে আমার কাছে ভাল লেগেছে হুয়া সমুদ্র সৈকতের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বর্ণনার সাথে প্রাসঙ্গিক ঐতিহাসিক গুরত্বপুর্ণ লিংকের বিবরণগুলি, যেগুলি সচরাচর বলা হয়না বা থেকে যায় আলোচনার বাহিরে। কোন পাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে অনেকেই শুধু তুলে ধরেন খালিচোখে দেখা ছবিগুলি , এই মডার্ন স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল ক্যমেরার যুগে যুতসই মতে ক্লিক কললেই উঠে আসে সহজে্ই সুন্দর সুন্দর ছবি তাতে । তবে কঠীন কাজটি হলো ছবির বর্ণনা ও তার সাথে প্রাসঙ্গীক, সমসাময়ীক ও ঐতিহাসিক ঘটনার বিশ্লেষনী বিবরণ , কাহিনী , বা রুপকথার সমাহার ঘটিয়ে তাকে প্রাঞ্জল ভাষায় সাবলিলভাবে প্রকাশ করে পোষ্টটিকে সত্যিকার অর্থে বিভিন্ন রূচীর আগ্রহী পাঠকের কাছে হৃদয়গ্রাহী ও আকর্ষনীয় করে একটি সমৃদ্ধ পোষ্টে পরিনত করা । এই দুরুহ কাজটি আপনার পোষ্টে করা হয়েছে বলেই এটা গিয়েছে প্রিয়তে ।
আমার নীজের মন্তব্যের উত্তর বলে বলছিনা , প্রতি উত্তরে এই মুল পোষ্টের উপর সম্পুরক প্রশ্ন ও তার আলোচনায় একজন ইতিহাসবিদ হিসাবে আপনার দেয়া যে সমস্ত তথ্য ও সমৃদ্ধ বিবরন উঠে এসেছে তা আমার বিবেচনায় সার্বিকভাবে পোষ্টটিকে নিয়ে গেছে অনেক উচ্চতায়, আশা করি এমনি সব সুন্দর লেখা পাব ভবিষ্যতে, পোষ্ট যত বড়ই হোক তাতে কোন অরুচী নেই, তা পাঠ করে নিব সন্তোষ্টচিত্তে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪
জুন বলেছেন: আমাকে এতটা সন্মানিত করে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম আলী ।
ভালো থাকুন এই শুভকামনায় ।
৩৭| ১৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
পার্থিব লালসা বলেছেন: Exclusive post
নয়ন জোড়ায়
১৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে পার্থিব লালসা এবং মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।
৩৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪১
সুমন কর বলেছেন: হুয়া হিন নিয়ে চমৎকার পোস্ট। বর্ণনাও বেশ সুন্দর হয়েছে। আজ সময় করে পড়ে নিলাম।
+ আগেই দিয়ে গিয়েছিলুম.....
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
জুন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো সুমন কর আশাকরি নিজগুনে ক্ষমা করে দেবেন
বর্ননা ভালোলাগা ,মন্তব্য ও প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
আপনার চমৎকার কবিতাটি পড়ে আসলাম । হিসেব রাখবেন না তাতে আপনিই কষ্ট পাবেন ।
৩৯| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
দীপান্বিতা বলেছেন: বরাবরের মত অসাধারণ ---- কি দারুন ঘোরেন!---খুব ভাল লাগল " হুয়া- হিন, জেলের ছেলেদের সংগ্রামী কথা"
Happy Father's Day
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দীপান্বিতা ।
মন্তব্যের জবাব দিতে দেরীর জন্য আন্তরিক দুঃখিত ।
দিদি আমি বর্তমানে যেদেশে আছি সেখানে ফাদার্স ডে পালিত হয় রাজা ভুমিবলের জন্মদিন ৫ ডিসেম্বর। দেশবাসী তাকেই পিতা বলে জানে। তাই কোন আঁচ পাই নি দিনটির । তারপর ও আপনাকে দিবসটির শুভেচ্ছা
৪০| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:০১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
অনবদ্য! এতসুন্দর গোছানো লেখা আর ছবি মিস করতে চায় কে তাইতো জুনাপুর পোষ্টে বারবার ফিরে আসা! জেলে আর জলাধারের চিত্র গুলো ভালই লাগল! শামুক ঝিনুকের রেসিপিটার স্বাদ নিতে আকুলিত হয়ে গেলাম। তবে স্টার ফিসের মতই মনে হয় সংগ্রামের অবসান এভাবেই হয়! প্রকৃতির কাছে আমরা খুবই ক্ষুদ্র!
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০২
জুন বলেছেন: আপনার আন্তরিক প্রশংসায় মুগ্ধ হোলাম ভ্রমরের ডানা । থিক যেন আপনার কবিতার মতই সুর তুলে গেলেন আমার লেখার প্রশংসায় । জেলেদের ছবিতো দিতে পারি নি । কারন তারা ফিরে গিয়েছিল আবার সমুদ্রে । শামুক ঝিনুক আমার একটুও ভালোলাগেনি । যত কষ্ট করে আপনি একটি খুলবেন তার সেই গোপন কুঠুরিতে রাখা এত্তটুকু জিনিসের স্বাদ জিভের আগাতেই লেগে থাকবে । পেট পর্যন্ত পৌছাবে না
তবে স্টার ফিসের মতই মনে হয় সংগ্রামের অবসান এভাবেই হয়! প্রকৃতির কাছে আমরা খুবই ক্ষুদ্র! সত্যি বলেছেন আপনি । সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো ।
৪১| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
মুনাতাকিম সাইফ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
যেই জায়গা থেকে ভ্যান ছাড়ে ওই জায়গাটার নাম আনুসাওয়ারি। এখান থেকে এখন আর ভ্যান ছাড়ে না, সরিয়ে দিছে। এখন ভ্যান ছাড়ে সাই তাই মাই (বাস স্ট্যান্ড) থেকে। তবে আনুসাওয়ারি (ভিক্টরি মনুমেন্ট) থেকে সাটল সার্ভিস নাকি দেয়, আমি ব্যবহার করি নাই।
এছাড়া সুবর্ণভুমি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস আছে।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৮
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে মুনতাকিম সাইফ । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
আনুসাভারি (ভিক্টোরি মনুমেন্ট) থেকে এখন আর ভ্যান ছাড়ে না । তবে সাই তাই মাই থেকে হুয়া হিনের উদ্দেশ্যে ভ্যান ছাড়ে কি না জানি না । পাতায়া যায় জানি । আর আমরা যখন রওনা দিয়েছি ঐ সময়টিতে বেশিরভাগ ব্যাংককবাসী বাইরে যাচ্ছে সপ্তাহের ছুটি কাটাতে । বিশেষ করে লাড ফ্রাও রোডের জ্যাম এড়াতে মোচিটের কাছে সাই তাই মাই না গিয়ে আমরা পিনক্লাওকেই বেছে নিয়েছিলাম ।
সুবর্নভুমি থেকে অনেক জায়গাতেই বাস যায় । কিন্ত ভাই আমরাতো ব্যংককেই থাকি তাই আর সুবার্নভুমি যাওয়া হয়না বাস এর জন্য
সাথে থাকবেন আগামীতেও মুল্যবান তথ্য দিয়ে সেই প্রত্যাশায় রইলাম ।
৪২| ২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: আপু, আপনার মন্তব্যের জবাব বিব্রতকর। আমরা সবাই জানি আপনি সত্যিকারের কেমন লেখক। নিঃসন্দেহে আপনি সামুর সবচাইতে জনপ্রিয় লেখক। এটা প্রমানিত সত্য।
আপু, কিছুদিন আগে অন্য একটা সাইটে একটা লেখা পড়লাম। চীনের ড্রাইভার এবং জাল মুদ্রা নিয়ে। ওটা কি আপনার লেখা?
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৪
জুন বলেছেন: এ কথা বলবেন না সারাফাত রাজ । আমি বরঞ্চ আপনার লেখার এক গুনমুগ্ধ পাঠিকা । আপনি কি সুন্দর গুছিয়ে লিখেন । আমি বরং বিস্মিত হই আপনার লেখনী প্রতিভায় ।
আচ্ছা কো সাইটে পড়েছিলেন আমার জাল মুদ্রা নিয়ে লেখাটি লিংক দিতে পারবেন কি ?
চীনে এমন একটি প্রতারনার ঘটনা ঘটেছিল যা আমি ব্লগ জীবনের প্রথম দিকে লিখেছিলাম ।
দেখেন আরেকটা Click This Link এটা আমি রাশি দেখতে গিয়ে দেখি । নইলে এই পত্রিকার আমি নামও জানতাম না । যাক আমি খুশি যেভাবেই হোক আমার লেখা ছাপা হচ্ছে
আরেকবার এসেছেন দেখে খুবই ভালোলাগলো । শুভকামনা জানবেন ।
৪৩| ২৩ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভ্রমণ আসা জাগিলেই আপনার ব্লগে বিচরণ করি!
আশার কিছুটা মিটে যায়..।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৬
জুন বলেছেন: যাক তবুও একটা কিছুর জন্য হলেও যে আমার ব্লগ বাড়ীতে আসেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ মিসির আলী ।
আবার আসবেন তাড়াতাড়ি । নতুন ভ্রমণ নিয়ে আসছি
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।
৪৪| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:০৭
জুন বলেছেন: আপনাকেও চলে যাওয়া ঈদের শুভেচ্ছা নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ।ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে সাথে আপনার শুভেচ্ছার জবাব দিতে দেরী হয়ে গেলো তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত ।
ভালো থাকুন সব সময়ের জন্য।
আপনার বর্ষপুর্তি পোষ্ট দেখেছি , এখনই যাচ্ছি । দেখলাম আমার নামও উল্লেখ করেছেন । কৃতজ্ঞ ।
৪৫| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুখী , সমৃদ্ধ ও আনন্দময় জীবন কামনায়
আপনি ও পরিবারের সকলের জন্য রইল ঈদ মোবারক
০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১৭
জুন বলেছেন: ডঃ এম আলী,
প্রথমেই ক্ষমা চাইছি সুন্দর এই পত্র মারফত ঈদ শুভেচ্ছার প্রতি উত্তর দিতে এই দীর্ঘসুত্রিতার জন্য ।
আপনি ও আপনার পরিবারও নিশ্চয় আনন্দঘন এক সময় কাটিয়েছেন ঈদে । যদিও বিদেশে ঈদের আমেজ কতটুকু থাকে জানি না । তবে দেশের মত যে নয় এটা জানি । সেই নিকোলায়েভিচ গোগলের সরোচিনেৎসের মেলা গল্পের মত যানজট পেরিয়ে, ভীড় ভাট্টায় ভরা শপিং সেন্টারে অথবা আমাদের লোকে লোকারন্য বিখ্যাত গাউসিয়াতে পদার্পন , তারপর হৈ চৈ, ব্যাগ সামলে ঠেলেঠুলে এগিয়ে যাওয়া, জিনিস পছন্দ করে দর কষাকষি , বাচ্চাদের চ্যা ভ্যা , ইফতারের সময় সেই বদমেজাজী দোকানদারের ইফতারে অংশগ্রহনের জন্য সাদর আমন্ত্রন, ঠান্ডা লাচ্ছিতে গলা ভেজানো । তারপর অনেক দৌড়ঝাপ করে ঘরে ফেরা । এসব আপনি বিদেশে অবশ্যই মিস করবেন
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন সেই প্রত্যাশায় । নতুন লেখা কবে দেখছি জানাবেন কি ?
৪৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:১৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অাপনার ব্লগে অাসলে হারিয়ে যায়- দূর বহুদূর।
অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।
০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২১
জুন বলেছেন: বহু বহুদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভালোলাগলো সামিউল ইসলাম বাবু ।
আমার ব্লগে আসলে হারিয়ে যান শুনে খুব ভয় পাচ্ছি
এভাবে হারিয়ে গেলে আমার লেখার পাঠক থাকবে কে
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
৪৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনার উপস্থাপনা, সাধারন ভ্রমণ কাহিনী জানা অজানা রুপকথার গল্প দিয়ে সুন্দর করে সাজান সাথে থাকে কিছু অসাধারণ ছবি। এর জন্য ভাললাগা। আর আপনার থাইল্যন্ড ভ্রমনের পর ব্লগে অনেকের এর সেখানে যাওয়ার ছবি দেখলাম।
হতে পারে আপনার ব্লগে প্রভাবিত হয়ে, থাইল্যন্ড এর ট্যুরিজম কিছুটা বেড়ে গেছে আমি নিজে ও মুকিয়ে থাইল্যান্ড ভ্রমণ এর জন্য। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
জুন বলেছেন: আপনার প্রশংসায় আপ্লুত হোলাম কলিমুদ্দি দফাদার । আমার পোষ্টের মাধ্যমে কেউ যদি সামান্য উপকৃত হয়ে থাকে তাতে আমি খুশী। থাইল্যান্ডে সত্যি দেখার মত অনেক কিছুই আছে তবে সেটা দেখার চোখ আপনার থাকা চাই আমরা যদি বেছে বেছে খারাপ জায়গাগুলিতেই যাই এতেতো থাইল্যান্ডের কোন দোষ না । আমাদের হোটেলের এক বাঙ্গালী ম্যানেজার চার রাত ব্যাংকক পাতায়া ব্যংকক ট্যুর অপারেট করে হোটেল সহ এয়ারপোর্ট পিক আপ ড্রপ মাত্র ২৫০ ডলার মাথাপিছু। ভদ্রলোক আচারে ব্যবহারে এত নম্র ভদ্র সহযোগীতা পরায়ন যে চিন্তার বাইরে। তার পর্যটক স্রোতের মত আসছেই। আমাদের কক্সবাজারে এমন কোন হোটেল কর্মী খুজে পাবে ন কি বলুন ? তাদের চিন্তাই থাকে কি করে আপনার পকেট কাটবে।
আমার লেখায় যদি আমার দেশের পর্যটনের বিকাশ ঘটতো তাহলে সেটাই হতো আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয় । এর জন্য সর্বপ্রথম দরকার নিরাপত্তা যার হার আমাদের দেশে শুন্যের কোঠায়। পরবর্তী পোষ্টে আমি এব্যাপারটি উল্লেখ করবো ।
যাক ভালো থাকুন আর শীঘ্রই এখানে এসে বেড়িয়ে যাবেন আশাকরি ।
সাথে থাকুন আগামীতেও
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
৪৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুন্দর এবং পরিশ্রমী পোস্ট, খুব সুন্দর বর্ণনা। খুব ভালো লাগলো।
গতকাল থেকে সামুতে ঢুকতে পারলাম না, আজকে হঠাৎ ঢুকলাম। ভেবেছিলাম ব্লগ বন্ধ হয়ে গেলো নাকি। খুব টেনশনে ছিলাম।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১০
জুন বলেছেন: আমিও পারছিলাম না তারপর আজ সকালে দেখি আমাদের প্রিয় ব্লগ দরওয়াজা খুলে বসে আছে । খুব ভালোলাগলো চির পরিচিত আমাদের প্রিয় সামুর চেহারাখানি দেখে ধ্রুবক আলো ।
আর আমার পোষ্ট নিয়ে আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রইলো ।
শুভেচ্ছা অনুক্ষন ।
৪৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই লেখাটিতে পর্যটক ইবনে বতুতার চেয়ে দার্শনিক ইবনে বতুতার পরিচয় যেন বেশী করে পেলাম। খুব ভাল লেগেছে- + +
বিষয়োপযুক্ত সূচনা দিয়ে লেখাটার শুরু, নিজ দেশের অপরিণামদর্শিতার তুলনা দিয়ে শেষ, মাঝে তথ্যসমৃদ্ধ ছবি ও খানিক ইতিহাস, লেখাটিকে এক কথায় অনবদ্য করে তুলেছে।
নম্বর দেয়ার সুযোগ থাকলে আপনি এ পোস্টের জন্য আমার কাছ থেকে দশে দশ পেতেন।
এই বুড়ো বয়সে ঘোড়ায় চড়ে পড়ে গিয়ে খোড়া হওয়ার রিস্ক নিলাম না । তাই আমরাও হাসি মুখে তাদের ইশারায় জানালাম আমাদের অপারগতার কথা -- এই লেখাটা পড়ে আমিও একটু হেসে নিলাম...
১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২১
জুন বলেছেন: আপনার প্রশংসায় খুব খুশী হোলুম খায়রুল আহসান তবে এতাটা প্রশংসার হয়তো আমি যোগ্য নই ।
মনযোগী পাঠ ও সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
জী ঘোড়ায় চড়ে খোড়া হওয়াটা আমাদের জন্য খুবই রিস্কি
শুভকামনা রইলো ।
৫০| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট এক রেস্তোরার সামনে অপরুপ শোভা ছড়িয়ে ফুটে থাকা এক লাল পদ্ম - ছবিটা দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল, খুবই সুন্দর!
এখানেই আমার প্রতিবন্ধকতা যে আমি শুধুই ভ্রমণ নিয়ে লিখতে পারি না । কোথা থেকে যেনো ইতিহাস আর বিভিন্ন খবরা খবর মাথার মধ্যে ভিড় করে আসে (৪ নং প্রতিমন্তব্য) -- এই খবরাখবর গুলোই তো আপনার লেখার আকর্ষণ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
১৮ নং এবং ২৯ নং মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য, দুটোই খুব ভাল লাগলো।
আমার সাথে আপনিও জানেন, আমরা প্রকৃতির দান পেয়েও অবহেলা করছি, যেখানে অন্যেরা এর পুরো সদ্ব্যাবহার করছে -- সচেতনহ্যাপী এর ২২ নং মন্তব্য পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস আপনা থেকেই বেরিয়ে গেল!
১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
জুন বলেছেন: বৌদ্ধরা পদ্ম ফুলকে খুবই পবিত্র মনে করে , তাই তাদের বিভিন্ন ভাস্কর্য্য স্থাপত্য ছাড়াও প্রায় অনেক জায়গায় পদ্ম ফুলের খুব আদর দেখা যায় ।
আপনি যে সমস্ত ব্লগারদের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেছেন তা আমাদের জন্য আদর্শনীয় এবং অবশ্যই ভালোলাগার মত।
সচেতনহ্যাপীর মন্তব্যের সাথে আমিও একমত ।
আবার আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর সাথে থাকুন সেই প্রত্যাশায় ।
৫১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনার থাইল্যান্ডের ব্লগগুলো পড়ে মনে হচ্ছে ইম্পর্টেন্ট সব জায়গা ঘুরা বোধহয় আপনার শেষ । গতবছর আমি ব্যাংকক পাতায়া গিয়েছিলাম, এ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছি । যদি সময় পান, পোস্ট ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ রইল , যদিও আমার ছবিগুলো আপনার থাইল্যান্ডের ছবিগুলোর কাছে তেমন কিছু না । এ বছর আবার থাইল্যান্ড ঘুরতে যাবার ইচ্ছা আছে ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
জুন বলেছেন: মনিরুল ইসলাম বাবু ,
আপনার থাইল্যান্ডের ব্লগগুলো পড়ে মনে হচ্ছে ইম্পর্টেন্ট সব জায়গা ঘুরা বোধহয় আপনার শেষ ।
আপনার ধারনা অনেকটাই সত্য, তবে যাবার প্রচন্ড ইচ্ছে থাকা সত্বেও থাই বর্নমালার আবিস্কারক রাজা রামখামহ্যাং এর রাজ্য ঐতিহাসিক সুকোথাই যাওয়া হয়ে উঠেনি। কারন বিভিন্ন তথ্যে পড়েছি বিশাল সেই এলাকা ঘুরে দেখতে হলে ভরষা পায়ে হেটে অথবা সাইকেলে যার কোনটাই সম্ভব না আমাদের পক্ষে। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
আপনার পোষ্ট দেখেছি এবং মন্তব্যও করেছি আশাকরি তা দেখেছেন । খুব ভালোলেগেছে আপনার পোষ্ট ।
৫২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
রাকু হাসান বলেছেন:
পুরোই ভ্রমণখোর দেখছি
জেলেদের সংগ্রামী ইতিহাস কিছুটা জানালে মন্দ হত না ।
নাকি এই মৃত স্টার ফিসের মতই মৃত্যু হবে সকল সংগ্রামের ?
লাইনটি দারুণ ।কাব্যময়ী ।+
আচ্ছা থাইদের কাছে এখনও বাহন হিসাবে ঘোড়া জনপ্রিয়?
২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
জুন বলেছেন: হায় রাকু হাসান সেই ৪টা অক্টোবর ২০১৮ আর আজ ২৮ জুলাই ২০১৯
লজ্জিত বল্লেও কম বলা হয় ।
এসব সামুর নোটিফিকেশন সিস্টেমের দোষ ( উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে )
অনেক আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো রাকু হাসান ।
না ঘোড়ায় চড়া থাইতো দেখি নি কখনো । এমনকি অনেক বীচেও দেখিনি । মনে হয় আমাদের দেশের কক্সবাজারের বীচের মতই পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য ।
অনেক ভালো থাকুন । অনেক অনেক দুঃখিত মন্তব্যটি চোখে না পরার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
আলোরিকা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট জুনাপু ------ তবে আমি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছি জেলেদের ছেলের কাহিনীর প্রতি । ছোটবেলায় নিমগ্ন হয়ে রাশান গল্প পড়ার স্মৃতি মনে পড়ে গেল । ভাল থাকুন । অনেক অনেক শুভ কামনা