নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
অসংলগ্ন গল্প
নাফিস (১৯) আর নাকিব (১১) দুই ভাই। ওদের বাবা মা উভয়েই চিকিৎসক ছিলেন। ছিলেন বলছি, কারণ ওদের মা সদ্য প্রয়াত, মাত্র ৪৮ বছর বয়সে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অকুস্থলেই নিহত হন। দুই ভাই এর মধ্যে বয়সের ব্যবধানটা একটু বেশী হলেও ওরা, বিশেষ করে প্রবাসে আসার পর থেকে একে অপরের বন্ধু হয়ে যায়। আজ থেকে ৮ বছর আগে ওদেরকে নিয়ে যখন ওদের বাবা মা ইমিগ্রেশন ভিসায় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে এলো, তখন নাফিস ছিল এখনকার নাকিবের মত, ১১ আর নাকিব ছিল মাত্র ৩ বছর বয়সী। পিতামাতার মধ্যে একজন রুটি রুজির সন্ধানে সাত সকালে বাসা থেকে বেড়িয়ে যেত, অপরজন রান্নাবান্না করা সহ বাচ্চাদেরকে সামলাতো। স্কুলে ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত ওরা সারাদিন বাসায় থেকেই দুষ্টুমি করতো, কারণ ভাষাগত অসুবিধার কারণে ওদের একা ঘরের বাইরে বের হবার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। ফলে, ঘরের ভেতরেই একসাথে খেলতে খেলতে অচিরেই ওরা বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও একে অপরের অকৃত্রিম বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়।
ওদের বাবা শান্ত (৫১) আর মা সোনালী (৪৮) দেশে থাকতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমে কয়েক বছর নিজ উপজেলা হাসপাতালে চাকুরী করে। ওরা স্বামী স্ত্রী উপজেলাতেই বসবাস করতো এবং একই হাসপাতালে চাকুরী করতো বিধায় হাসপাতালের রোগীরা একমাত্র ওদেরকেই সার্বক্ষণিক পেত। বাকী অন্যান্য যেসব চিকিৎসক কাগজে কলমে হাসপাতালের পে রোলে ছিল, তারা কোনরকমে হাজিরা দিয়ে কিছুক্ষণ থেকেই যার যার কাজে নিরুদ্দেশ হয়ে যেত, কারণ ওরা জানতো যে শান্ত-সোনালি জুটি হাসপাতালেই থাকবে, নতুবা বড়জোর কাছাকাছি তাদের বাড়ীতে থাকবে, তাই বিপদে আপদে তাদেরকে বাড়ি থেকে ডেকে আনা যাবে। সপ্তাহে তিন দিনের বেশী ওরা কখনোই হাজিরা দিতেও আসতো না। অসুস্থ রোগীরা হাতের কাছে শান্ত-সোনালী চিকিৎসক জুটিকে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত ও আশ্বস্ত হয়েছিল। ধীরে ধীরে ওরা প্রাইভেট প্র্যাকটিসও শুরু করে দিল। বাড়ীতেও জরুরী ভিত্তিতে রোগী দেখার ব্যবস্থাদি বসালো। চিকিৎসায় শান্ত’র হাত খুব ভাল ছিল। মফস্বলের মত জায়গায় দূর দুরান্ত থেকে তার কাছে রোগী আসা শুরু করলো। সোনালীর কাছে আসতো শুধুমাত্র মহিলা রোগীরা।
এভাবেই ওদের সুখের সংসার চলছিল। নিজ উপজেলায় চাকুরী করাতে শান্ত’র সান্তনা ছিল যে সে একই সাথে বৃদ্ধা মায়েরও দেখভাল করতে পারছিল। এরই মধ্যে যখন ওদের প্রথম সন্তান জন্মলাভ করলো, ওকে দাদীর কেয়ারে রেখে ওরা নিশ্চিন্তে চাকুরী করার বাড়তি সুবিধেটুকুও পেল। পেশাগত নিষ্ঠা ও একাগ্রতার কারণে অচিরেই ওদের সুখ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো। উপজেলা হাসপাতালে কয়েক বছর চাকুরী করার পর শান্ত তার ক্যারীয়ার সম্পর্কে ভাবতে শুরু করলো। উচ্চতর ডিগ্রী ব্যতীত চিকিৎসা পেশায় বেশী দূর এগোনো যাবে না, এটা সে নিজেও বুঝতো এবং সোনালীকেও বুঝাতো। আবার প্রথম কর্মস্থলের প্রতি একটা মায়াও জন্মে গিয়েছিল, সেখানকার জনগণকে রেখে দূরে কোথাও যেতেও ইচ্ছে হচ্ছিল না। এসব ভাবনার মাঝেই একদিন শান্ত রংপুর মেডিকেল কলেজে লেকচারার হিসেবে এবং সোনালী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে বদলী হলো। ওরা রংপুর শহরে মেডিকেল কলেজের সন্নিকটে বাসা ভাড়া করে যার যার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করলো।
সেখানে বছর দুয়েক চাকুরী করার পর শান্ত Internal medicine এ MD কোর্স করার জন্য BSMMU এ ভর্তি হয় এবং সোনালী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই সদ্য চালু হওয়া M Phil কোর্সে (Physiology) ভর্তি হয়। সাফল্যের সাথে প্রথম খন্ড পাশ করার পর শান্ত মেডিসিন এর প্রফেসর আব্দুল্লাহ’র অধীনে প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করে। সোনালীও সাফল্যের সাথে প্রাথমিক দুটো স্তর পার করে তার থীসিস লেখার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। শান্ত বিভিন্ন লাইব্রেরী, হাসপাতাল এবং আর্কাইভ ঘেটে ঘুটে সোনালীর থীসিস লেখার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে দেয়। ঠিক এ রকমের একটা পর্যায়ে ওরা আমেরিকান দূতাবাস থেকে ইমিগ্রেশণ ভিসা সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিকতাদি সম্পন্ন করার ডাক পেল। ডাক টা যে তারা আচমকা পেয়েছিল, তা নয়। এ প্রক্রিয়াটা তাদের বিয়ের পর পরই শুরু হয়েছিল। সোনালীর মামারা বেশ কয়েক যুগ ধরে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। সেই সূত্র ধরে প্রথমে ওর মা, পরে বাবা ও ভাইরা আমেরিকা চলে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ওদের পরিবারের সবাই চাচ্ছিল, ওরাও মাইগ্রেশন করুক। শান্ত প্রথমে একেবারেই রাজী ছিল না, কিন্তু পরে ধীরে ধীরে সোনালীর এবং ওর নিজের পরিবারের সবাই ওকে বুঝিয়ে রাজী করায়, অন্ততঃ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যানের কথা মনে রেখে আমেরিকায় চলে যাবার জন্য।
শান্ত’র জন্য সিদ্ধান্ত নেয়াটা বেশ কঠিন ছিল। ও এমনিতেই কিছুটা অন্তর্মুখী স্বভাবের। নিজ দেশে ও ঠিক ট্র্যাকেই চলছিল। অল্পদিনে চিকিৎসা পেশায় বেশ সুখ্যাতিও অর্জন করেছিল। কোর্সেও বেশ ভাল ফলাফল অর্জন করে চলছিলো। তাছাড়া আমেরিকায় ওর দু’জন ফার্স্ট কাজিন ছাড়া রক্তের সম্পর্কের আর কেউ ছিল না। সবচেয়ে বেশী দ্বিধান্বিত ছিল সে মাকে নিয়ে। এই বৃ্দ্ধ বয়সে মাকে দেশে একা রেখে বিদেশ যেতে তার মন একেবারেই সায় দিচ্ছিল না। তার পরেও সবার অনুরোধে প্রথমে সে নিমরাজী, পরে রাজী হলো। শুরু হলো দেশান্তরের প্রস্তুতি। খুব কম সময়ের মধ্যে সে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হলো। দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে ওরা যখন শেষ বারের মত বিদায় নেয়ার জন্য উপজেলায় গেল, তখন সহজ সরল দরিদ্র এলাকাবাসীর মাঝে দুঃখের আহাজারি শুরু হলো। যেদিন রাতে ওরা উপজেলা ছেড়ে চলে আসবে, সেদিন রীতিমত কান্নার রোল ঊঠেছিল। পরিবারের আত্মীয় স্বজন নীরবে অশ্রুপাত করেছিলেন, কিন্তু আশে পাশের এবং দূর দুরান্ত থেকে আসা সাধারণ জনগণের অনেকে শব্দ করে কান্নাকাটি শুরু করেছিল এবং ওদের জন্য প্রাণভরে দোয়া করেছিল। ট্রাকে মালপত্র উঠিয়ে ওরা যখন রওনা দিবে, ঠিক তখনই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। শান্ত’র মা হাতে একটা হ্যারিকেন নিয়ে ধীর পায়ে ওদের গাড়ী পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিলেন। হ্যারিকেনের সলতেটা একটু বাড়তি থাকায় চিমনীর অধিকাংশটাই কালো কালিতে আচ্ছন্ন ছিল। তিনি নির্বাক ছিলেন। তার গন্ডদেশ দিয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু নীঃশব্দে প্রবাহমান ছিল। তাঁকে দেখে শান্ত’র চোখ বেয়েও জলের ধারা নামতে শুরু করলো। ওর মনে হচ্ছিল, হ্যারিকেনের কালো চিমনীটা যেন মায়ের কালো মুখের প্রতীক, সেখানে কেবলই তার মায়ের কালো মুখটা বার বার ভেসে উঠছিলো। মাকে ফেলে রেখে যাওয়াতে তার বুকটা একটা অস্বস্তিকর ব্যথায় খচ খচ করছিল।
আমেরিকা এসে কালচারাল শক কাটিয়ে উঠতে উঠতে শান্ত’র বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। পুঁজিবাদী নির্দয় সমাজ ব্যবস্থায় সে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিল না। কিন্তু পিছু ফেরার উপায় ছিল না। এ সময়টাতে সোনালী তাকে নিষ্ঠার সাথে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিল। ধীরে ধীরে ওরা নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছিল। প্রথম দু’বছর ছেলেদেরকে এলাকার একটা সাধারণ মানের স্কুলে পড়িয়েছিল। ভাল ফল করায় ওদেরকে অপেক্ষাকৃত ভাল অন্য আরেকটা স্কুলে ভর্তি করে দেয়। সেখান থেকে নাফিস ভাল ফল অর্জন করে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনীয়ারিং পড়ার জন্য Stony Brook University তে ভর্তি হয়। টুকটাক কাজ করেও সে পড়ার খরচের কিছুটা অংশ চালিয়ে নিতে পারে। ওরা আমেরিকা যাবার চার বছর পর একবার দু’সপ্তাহের জন্য দেশে বেড়াতে এসেছিল। ঐ দু’সপ্তাহ নাফিস তার পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে পেরে খুবই খুশী হয়েছিল। আর ওদেরকে পেয়েও দেশের আত্মীয় স্বজন এবং এলাকাবাসী সবাই খুব খুশী হয়েছিল।
এবারের রোযা শুরু হবার কয়েকদিন আগে মাকে ফোন করে শান্ত ও সোনালী জানায় যে ওরা আগামী আগস্ট মাসে ১৫/১৬ দিনের জন্য দেশে আসছে। এ খবর পেয়ে পরিবারে খুশীর বন্যা বয়ে যায়। মা আশায় আশায় দিন গুনতে থাকেন। তিনি কয়েকদিন থেকেই এ কথা ভেবে হা হুতাশ করছিলেন যে ওদেরকে তিনি বোধ হয় আর এ জীবনে দেখে যেতে পারবেন না, কারণ আজকাল তার শরীরটা বেশী ভাল যাচ্ছে না। এ খবর পেয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশী খুশী হন। দ্বিতীয় রোযার দিন সেহেরী খেয়ে সোনালী তার শাশুড়ীকে টেলিফোন করে জানায় যে সে এ যাত্রা দেশে আসতে পারছেনা, কারণ সে ফেডারেল সরকারের অধীনে একটা ভাল চাকুরী পেয়েছে, দু’দিন পরেই যোগদান করবে। দূর থেকেও সোনালী টের পায় যে এ কথা শুনে তার শাশুড়ী দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়ছেন। তাই সে সাথে সাথে তাঁকে আশ্বস্ত করে বললো, ‘আমি যেতে না পারলেও আপনার ছেলে এক নাতিকে সাথে করে নিয়ে যাবে, আর আমি ডিসেম্বরে অপর নাতিকে সাথে করে দেশে যাব’। এ কথা শুনে তার শাশুড়ী আশ্বস্ত হন। এ কথা বলার পর সোনালী দু’কাপ চা বানিয়ে শান্ত’র সাথে একসাথে বসে পান করে। একটু পরেই তাকে কাজে বেড়িয়ে যেতে হবে। সে অন্যান্যদিন কমিউটার ট্রেনেই যাওয়া আসা করে। তার খেয়াল হলো, ঐদিন কি কারণে যেন ট্রেনের শিডিউল একটু হাল্কা। একটা মিস করলে পরেরটা পেতে বেশ খানিক সময় লাগবে। চা খেতে খেতে তাই সে শান্তকে অনুরোধ করলো ওকে একটু গাড়ীতে করে ড্রপ দিয়ে আসতে। এমন অনুরোধে সাড়া দিতে শান্ত অন্যান্যদিন গড়িমসি করলেও সেদিন এক কথাতেই রাজী হয়ে গেল।
সোনালী যে হাসপাতালে কাজ করে, সেখানকার একজন বাঙালী সহকর্মী ওদের বাসার কাছাকাছিই থাকে। সোনালীর অনুরোধে শান্ত তাকেও গাড়ীতে তুলে নিল। তার পর সোনালীর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। পথে একটা ইন্টারসেকশন ছিল। ঐ ইন্টারসেকশনটা দুর্ঘটনার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কুখ্যাত হয়েছে। ওটা ধরেই ওদের ছোট ছেলে নাকিব প্রতিদিন পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া আসা করে। শান্ত যখন গাড়ী চালায়, তখন সে কোন রিস্ক নেয় না। কারণ, ওর চেনা জানা অনেকেই আমেরিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে, নতুবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওর মনে পড়ে ইন্টারসেকশনে সবুজ বাতি দেখেই ও এগিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে সাইড থেকে তীব্র বেগে ধেয়ে আসা আরেকটা গাড়ী ওদেরকে সজোরে ধাক্কা মারলো। সোনালী সামনে চালকের পাশের আসনে বসা ছিল। আঘাতের কারণে ওর মেরুদন্ড ভেঙে যায় এবং মস্তিষ্কের সাথে মেরুদন্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ও অকুস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। শান্তও সাথে সাথে সংজ্ঞা হারায়। পেছনে বসা সোনালীর সহকর্মীর পাঁজরের কয়েকটা হাড় ভেঙে যায়। ঘন্টা তিনেক পর শান্ত’র যখন জ্ঞান ফিরলো, ও তখন বুঝতে পারে ও হাসপাতালে শয্যাশায়ী।
নাফিস আর নাকিবকে ঘুমে রেখে ওরা সাত সকালে বাড়ী থেকে বেড়িয়েছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টেলিফোনের শব্দে নাকিবের ঘুম ভেঙে যায়। কুইন্স হাসপাতাল থেকে ওকে জানানো হয় যে সড়ক দুর্ঘটনায় ওর বাবা মা মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। টেলিফোন রাখতে না রাখতেই ও দরজায় করাঘাতের শব্দ শুনতে পায়। দরজা খুলে দেখে পুলিশ, একই কথা বলছে। ওদের দুই ভাইকে গাড়ীতে তুলে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কুইন্স হাসপাতালে। কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স সবার চোখে পানি দেখতে পেয়ে নাফিস চমকে ওঠে। ওর সরু বুকটা ভয়ে ঢিবঢিব করতে শুরু করে। ডাক্তার ওকে খুলেই বললেন, ওর মা আর এ পৃথিবীতে নেই, পরীরা এসে তাঁকে অন্য ভুবনে নিয়ে গেছে। ঊনিশ বছরের ছেলে নাফিস কাঁদতে ভুলে গেল। এগার বছরের নাকিব মৌন হয়ে গেল। নাফিস শঙ্কাভরে তার বাবার কথা জিজ্ঞেস করলো। ডাক্তাররা জানালেন, উনি পাশের কক্ষে আছেন, বেঁচে আছেন।
শান্ত অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল। মাথায় ও বুকে কিছুটা আঘাত পেয়েছিল, কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা তাকে বিপদমুক্ত ঘোষণা করে বিকেলের দিকে ছেড়ে দিল। শান্ত’র বড় ভাই এর এক বন্ধু নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত। ভাই এর অনুরোধে এই পুলিশ কর্মকর্তা আপন ভাই এর স্নেহ নিয়ে তাকে হাসপাতালে দেখতে এলেন এবং হাসপাতাল থেকে ছাড় করিয়ে নিয়ে বাসায় পৌঁছে দিয়ে গেলেন। মা/স্ত্রী বিহীন বাসায় ওরা সবাই খুব অস্বস্তি বোধ করছিল, কিন্তু কারো চোখে কান্না নেই! একে অপরের দিকে মাঝে মাঝে শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। কে কাকে সান্তনা দেবে! শান্ত’র বুকে তখনো আঘাতের ব্যথা চিন চিন করছে। ধীরে ধীরে পাড়া প্রতিবেশীরা বাসায় আসতে শুরু করলো। বন্ধু বান্ধব সতীর্থরা আসতে শুরু করলো। কেউ কেউ খাওয়া দাওয়া নিয়ে এলো। ওদের সাথে কথা বার্তা, আলাপচারিতা যখন শুরু হলো, তখন একে একে ওদের চোখ বেয়ে কান্নার বন্যা শুরু হলো। নাকিব এমনিতেই মিতবাক, তদুপরি ঘটনার আকস্মিকতায় সে একেবারে স্তব্ধ, হতবাক হয়ে গেল। সে জীবন থেকে কী হারিয়েছে, এটা বুঝতে তার বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
পরের দিন সোনালীর দাফন কার্য শেষে শান্ত তার দুই ছেলেকে দুই পাশে নিয়ে বিছানায় এলো। সে তাদেরকে তার জীবনের কাহিনী শোনাতে লাগলো। ওদের মায়ের গল্প বলা শুরু করলো। এখন ওরা কে কিভাবে থাকবে, কী করবে, সে নিয়ে আলাপ করতে থাকলো। ওরা দুই ভাই খুব মনযোগ দিয়ে ওর কথা শুনতে থাকলো। অশ্রুসিক্ত চোখে কম্পমান গলায় নাকিবকে জড়িয়ে ধরে শান্ত বললো, আজ থেকে সে আর কোনদিন ওকে বকাঝকা দিবে না, এটা তার জন্য আজ থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। নাকিব কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো, “হোয়াই নট? ইন দ্যাট কেস আই মে বি ডুয়িং মেনী রংস”! ছোট্ট একটা ছেলের এমন পরিপক্ক প্রশ্ন শুনে শান্ত অবাক হয়ে গেল। সে নিজেই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ছোট্ট ঐ ছেলেটাকে বলতে থাকলো, তবুও বকবোনা, আই প্রমিজ! ইউ আর টু গুড ফর দ্যাট! বড় ছেলে নাফিসকে যখন ও বোঝাতে শুরু করলো, সেও চুপ করে সব কিছু শুনে গেল। তারপর ও বললো, আমরা বাংলাদেশে যাওয়ার যে প্ল্যানটা করেছিলাম, উই মাস্ট প্রসীড একর্ডিং টু দ্যাট। আমাদের সব আত্মীয় স্বজনের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়ানো উচিত। শান্ত এতদিন জেনে এসেছে, প্রবাসীদের ছেলে মেয়েরা দেশে বেড়াতে আসতে ততটা উৎসাহী হয়না। তাই নাফিসের এ কথাটা শুনেও সে অবাক হলো, এবং আশ্বস্তও হলো। নাফিস বয়সের চেয়ে অনেক বেশী দায়িত্ববান হয়ে উঠলো, শান্ত বয়সের কথা ভুলে গিয়ে বালকসুলভ কান্নায় ভেঙে পড়লো। ছোট ছেলে নাকিব তার অনুভূতিকে চেপে রাখলো, কেঊ টের পেল না, তার ভেতরে কী রকম ভাঙচুর হচ্ছে। এই শোকের খবর পেয়ে ওর টীচার ক্লাসে শোক প্রস্তাব এনেছিলেন। ও বড়দের মত সৌম্য বজায় রেখে সবার কনডোলেন্স একনলেজ করছিলো। এইটুকু বয়সেই ও বুঝে গিয়েছিলো, মানুষ একান্ত ব্যক্তিগত দুঃখ বেদনা কারো সাথে সেই অর্থে শেয়ার করতে পারেনা, কিন্তু তবুও অন্যের সহমর্মিতাকে সম্মান করতে হয়।
সোনালী মারা যাওয়ার আগে নাকিব একা একাই পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া আসা করতো, কারণ স্কুলটা মোটামুটি বাসার কাছেই ছিল। কিন্তু সে মারা যাওয়ার পর থেকে শান্ত প্রতিদিন ওকে স্কুলে নিয়ে যায়। ও প্রতিদিন খেয়াল করে, ঐ ইন্টারসেকশনটার কাছে এলেই নাকিব থমকে দাঁড়ায়, কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকে, তারপর মুখ কালো করে স্কুলের দিকে এগিয়ে যায়। এটা দেখে শান্ত’র হৃদয়টা মোচড় দিয়ে ওঠে। ওকে স্কুলে দিয়ে ফেরার পথে সে নিজেও সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। ২২/২৩ বছরের সংসারের বহু স্মৃতি তার চোখের পর্দায় সিনেমার মত ভেসে উঠে। সোনালীর অবদান সে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে থাকে। মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেও ওরা একসাথে চা খেয়েছে, সংসারের টুকটাক গল্প করেছে- ওটাই ওর শেষ স্মৃতি। কেউ তাকে দেখছেনা ভেবে শান্ত ইচ্ছেমত কাঁদতে থাকে। পরে পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মুছে নীরবে প্রয়াত স্ত্রীর জন্য প্রার্থনা করেঃ “রাব্বুল ‘আ-লামীন! পবিত্র রমজান মাসে রোযা রাখা অবস্থায় কর্তব্যস্থলে যাত্রাপথে তুমি তাকে এখান থেকেই তুলে নিয়েছো। দয়াময়, তুমি তাকে মা’ফ করে দিয়ে শহীদী মর্যাদা দান করো এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের সম্মানিত অধিবাসীদের সাথে তাকে একই কাতারভুক্ত করে নিও”.....।
ঢাকা
২৮ জুন ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কষ্ট করে এই অনেক বড় গল্পটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগা (+ +) পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা ...
২| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১১
তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: অনেক বড় গল্প। ভালো লিখেছেন। +++++
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, অসংলগ্ন ভাবনা আর কথাবার্তা নিয়ে গল্পটা সাজিয়েছি তো, তাই বেশ বড় হয়ে গেছে, বিশেষ করে ব্লগের জন্য। কিন্তু একটানে লিখে ফেলার পর কেন জানি আর কাটছাঁট করতেও ইচ্ছে হলোনা।
বড় হলেও সময় নিয়ে পড়েছেন, সেজন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৭
কানিজ রিনা বলেছেন: গল্পটা পড়ে মনটা খারাপ হোল। আমাদের
দেশে অহরহ সড়ক দুর্ঘনা ঘটেই চলেছে
আমেরিকায় কম হলেও নিজের দেশের
মানুষ প্রবাশে যেকোনও একসিডেন্ট প্রান
হাড়ালে মনে হয় সজনদের নাদেখার আহাজারী অনক গুন বেশী।
তথাপি লেখাটা ভাল লাগল ধন্যবাদ।
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: তথাপি লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। দীর্ঘ পোস্ট, সময় নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...
৪| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
মর্মস্পর্শী গল্প! বাস্তবতার সাথে মিল আছে! পাকা লেখনশৈলী!
২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাস্তবতার সাথে অবশ্যই মিল আছে।
লেখনশৈলীর প্রশংসায় অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। প্লাসেও (+)।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা...
৫| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
মক্ষীরাজা বলেছেন: ভাইয়ুমণিতা!!!!!!!!!
বাহ!!!!!!!!
মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!
ঠিক পরীর দেশের রাজণ্যদের লেখা !!!!!!!!
উলে জাদুরে। উম্মা
২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবাই গল্প বলছেন কেন? আমার মনে হয়, এটা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা।
২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কখনো কখনো Fact is stranger than fiction!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩১
নীলপরি বলেছেন: বেদনাময় কাহিনী । ভালো লাগলো ।
+++++
২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অতিকায় দীর্ঘ গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
“Our sweetest songs are those that tell of saddest thoughts (P.B. Shelley).” - সেজন্যই হয়তোবা বেদনাময় কাহিনীটি আপনার ভাল লেগেছে।
শুভকামনা রইলো...
৮| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সত্যি সড়ক দুর্ঘটনা অনেক ট্রাজেডির জন্ম দেয় । ভাল লিখেছেন ।+
২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভাল লিখেছেন ।+" -- প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৯| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪১
সুমন কর বলেছেন: মন খারাপ করার মতো গল্প। ভালো লাগল।
+।
২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: এইসব বেদনাদায়ক, আকস্মিক ঘটনাবলী আমাদের জীবন নাটকের অংশ মাত্র। কখনো আমরা নিজেরা কেউ এর শিকার হই, কখনো আমাদের নিকট কোন আত্মীয় স্বজন বা চেনামুখ।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা...
১০| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলেও অসংলগ্ন গল্প কিন্তু কেমন যেন বাস্তবতার ছোয়া পাচ্ছি!!
২৯ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতার সূতো ধরেই কল্পনার ঘুড়ি আকাশে ওড়ে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
১১| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪
সোহানী বলেছেন: এটি একটুকরো প্রবাসী ঘটনা। আমরা প্রবাসে থাকি বলে এমন কিছুর সাথে বসবাস নিত্য। তারপর ও এখানে সবাই জীবন চালায়, স্কুলে যায়, অফিস যায়, পার্কে যায়, বাজারে যায়, বন্ধু-বান্ধবের সাথে হৈচৈ করে.... আর হঠাৎ থমকে দাড়িঁয়ে নীরবে চোখের জল ফেলে।......++++
এমন কিছু যাবে নিয়মিত পড়তে পারি তাই অনুসরন করলাম খায়রুল ভাই। অনেক ভালো থাকেন।
২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুদীর্ঘ এই অসংলগ্ন গল্পটি পড়ে চমৎকার, হৃদয়ছোঁয়া একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, সোহানী।
প্লাসে এবং অনুসরণে রাখাতে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা...
১২| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: বাস্তবের ছোঁয়ায় লিখায় গল্পটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে । ধন্যবাদ ।
২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আমার কোন লেখায় এলেন। প্রীত হ'লাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২১
জগতারন বলেছেন:
অফ লাইনে থেকে আজকে পোষ্ট করা আপনার গল্পটি পড়লাম ।
আমার বেশি ভালো লাগে নাই, ভাবছিলাম কোন মন্তব্য করবো না। আবার ভাবলাম মন্তব্য করতেই হয়, মন্ত্য না করলে আপনি কি ভাবে বুঝবেন! আমার ভালো লাগেনাই এবং কেন ভালো লাগে নাই।
আপনি আমাদের যে একটি গল্প উপহার দিলেন, আমার দৃষ্টিতে ইহা একটি সাদামাঠা গল্প। একটি পরিবারের ঘটনা বর্ণনা দিলেন, যাহা আমরা কোন সাংবাদিকের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি একজন সাহিত্যিক, আপনি সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেন, আপনি জীবন অভজ্ঞতা থেকে সুন্দর স্মৃতিচারন করে লিখেন যাহা সাহিত্য উপাদানে ভরপুর। যাহা পড়ে আমার মত নঘন্য পাঠককে ভাবতে শেখায়, যাহা পাঠে (সুখপাঠ্য) মুগ্ধ হই।
আজকের গল্পে (অসংলগ্ন গল্প) যদি পাঠক-পাঠীকাদের এই ভাবনা দিয়ে থাকার প্রয়াশ পেয়ে থাকেন যে, বাবা শান্ত (৫১) আর মা সোনালী (৪৮) ডাকতার দমপতি দুই ছেলে নাফিস (১৯) আর নাকিব (১১) কে নিয়ে বাংলাদেশে দেশে থাকতে "বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমে কয়েক বছর নিজ উপজেলা হাসপাতালে চাকুরী করে। ওরা স্বামী স্ত্রী উপজেলাতেই বসবাস করতো এবং একই হাসপাতালে চাকুরী করতো বিধায় হাসপাতালের রোগীরা একমাত্র ওদেরকেই সার্বক্ষণিক পেত।" দেশে থাকতেই খুব ভালো করতে ছিলেন। একদিকে আত্মীয়-স্বজনদের সান্নিধ্যে আর অন্যকিকে দেশের মানুষদের সেবা প্রদান করে। এবং অন্যদিকে বিদেশ সবার জন্য যথাপোযুক্ত না। বিশেষ করে তাদের মত পরিনত বয়সের ডাক্তার দম্পতিদের বেলায় মোটেও না। তাহলে আপনার গল্প কিছুটা হলেও স্বারথক হয়েছে বলতে হবে। কিন্তু এ বারতা প্রকট হয়ে ফুটে উঠে নাই আপনার গল্পে।
যেমন আমরা রবী' ঠাকুরের 'সমাপ্তি' গল্পে বাসর রাতে মৃন্ময়ীর তার স্বামীর কাছে ছোট্ট একটি প্রশ্ন "আমি কি ছোট্ট খুকী, আমাকে জোর করে বিয়ে করলেন কেন, আমার বুঝি ইচ্ছা অনিইচ্ছা নেই" অথবা প্রায়চিত্ম গল্পে শেষ পরিনতি।
যাইহোক, ভাই অনেক বেশী কিছু বলে থাকলে ক্ষমাসুন্দর ভাবে নিবেন, ধন্যবাদ।
২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
এতকিছু ভেবে লিখি নাই। গল্পটি শুধু চরিত্রের নাম ছাড়া সর্বাংশে একটি বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা। এখানে প্রতিফলিত প্রতিটি ভাবনাই সত্য।
বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ভাবতে ভাবতে মনে যা এসেছে, তাই লিখেছি। গল্প হয়ে উঠলো কি না, তা নিয়ে অতটা ভাবিনি। আর তা ছাড়া, আমি কি রবি ঠাকুর? আমার কি যা খুশী তা লিখার ইচ্ছা অনিচ্ছা নেই???
আমার বেশি ভালো লাগে নাই - বেশী ভাল লাগার কথাও তো নয়! একজন অপটু গল্প বলিয়ের অসংলগ্ন ভাবনা প্রসূত কথামালা এর চেয়ে আর ভাল হবে কী করে? যে কারণে আপনার এ গল্পটি ভাল লাগে নাই, সে কারণটা জেনুইন, প্রিয় পাঠক। সবিস্তারে খুলে বলার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
কিন্তু এ বারতা প্রকট হয়ে ফুটে উঠে নাই আপনার গল্পে - আপনি ১০০% সঠিক। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
আশাকরি আমার আরও লেখা পড়ে আপনি মন্তব্য রেখে যাবেন।
১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধুর্রছাই!
কি বোর্ড ঝাপসা লাগে কেন? চক্ষে মনে হয় বালি পড়ছে....
প্রথম দিকে শুধু বর্ণণার জন্য দু'কথা লিখব ...হালকা ছাট দিলে দারুন ! ভেবেছিলাম.. কিন্তু শেষটায় টাচি বাস্তবতায়বাজিমাত করে দিলেন!
অথবা আমি মনে হয় দুব্বল হৃদয় পাঠক!!!!
+++
২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কী বোর্ড ঝাপসা লাগে লাগে কারণ আপনার দিলে দরদ আছে। আপনি দুব্বল হৃদয় পাঠক নন, তীক্ষ্ণ অনুভবের পাঠক, তাই এমন হয়েছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সাথে প্লাসটা প্রেরণা দিয়ে গেল!
শুভকামনা...
১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন: গল্পটা বেশ হৃদয়স্পর্শী!
সড়কে আমরা বের হই নিজের জানটা হাতে নিয়ে...আমাদের জানের সাথে জড়িয়ে থাকে আরো অনেকগুলো জান... একটি দুর্ঘটনায় সবকিছু উলটপালট করে দেয়।
+++
২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি দুর্ঘটনায় সবকিছু উলটপালট করে দেয় -- একদম ঠিক কথা বলেছেন।
দীর্ঘ এই অসংলগ্ন গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮
নায়না নাসরিন বলেছেন: অনেক ভালো লাগা রইল ভাইয়া সাথেও অনেক মন খারাপও
++++++++++্
২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এতগুলো প্লাস?? অনেক ধন্যবাদ।
গল্পটা ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
শুভকামনা...
১৭| ২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুপাঠ্য, খুব মর্মস্পর্শী গল্প।
২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ গল্পটা আপনি "প্রিয়"তে নিয়েছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৮| ২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৬
প্রথমকথা বলেছেন: পড়তে খুব ভাল লেগেছে কখন যে চোখে জল এসে গেছে বুঝে উঠতে পারিনি, আরো বড় করলেও করতে পারতেন হয়তো আরো বেশি উপস্থাপন করতে পারতেন, তবে খুব মন খারাপ হয়েছে সোনালীর জন্য।
জানিয়ে রাখি বড় ভাই লেখাটা ব্লগ থেকে চোরে নিয়ে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে ছেড়েছে, আমি দেখেছি।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি লেখা ব্লগে উপস্থাপন করার জন্য। ঈদ পরবর্তী ঈদ মোবারক।
লেখার জন্য ++++++++++।
২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: জানিয়ে রাখি বড় ভাই লেখাটা ব্লগ থেকে চোরে নিয়ে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে ছেড়েছে, আমি দেখেছি - কয়েকটা লিঙ্ক দিতে পারবেন?
যারা আমার লেখা বা অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়, বোধকরি তারা নিজেরা কিছু লিখতে পারেনা। তাদের এ অপারগতার জন্য করুণা ছাড়া করার আর কীই বা আছে? আর এ কাজটা যে নিতান্তই অনৈতিক, সেটা বুঝার মত শিক্ষাও তাদেরকে তাদের পিতা-পিতামহেরা দিয়ে যান নি। সুতরাং এজন্য তাদের পিতা-পিতামহদেরকেও করুণা করতে হয়।
আপনাকেও ঈদ মুবারক জানাচ্ছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পোস্টের প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হয়েছি।
১৯| ২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
ওমেরা বলেছেন: আমাদের আশার কোন শেষ নেই কখনো ভাবি না আগামী কাল আমি থাকব কি থাকব না ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
ভাল থাকুন। শুভকামনা...
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মার্চ'১৭ মাসের পোস্ট মায়ের ভালবাসা পড়ে সেখানে একটি মন্তব্য রেখে এলাম। আশাকরি, একটু সময় করে দেখে নেবেন। এর আগের পোস্ট দুটোতেও মন্তব্য করেছি গতকাল।
২০| ২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১
প্রথমকথা বলেছেন: প্রিয় ভাই আমি ফেবুতে আবার দেখলে অবশ্যই কপি করে লিঙ্ক দেবো , সাহিত্য চোর খুব বেড়ে গেছে। তবে আমি কয়েক একটা ফেসবুক আইডিতে দেখেছি যখন আপনার লেখা ব্লগে দেখি তখন আমি এক রকম বেহুঁশ। খুব কষ্ট পেয়েছি এক জন কষ্ট করে লিখে তা অন্য ব্যক্তি নিজের নামা চালিয়ে দেয়।
২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, আচ্ছা ঠিক আছে।
২১| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হৃদয় বিদারক গল্পটি বেশ মনযোগ দিয়ে পাঠ করেছি । ভাল উন্নতমানের গল্প লেখা বেশ একটি কঠীন কাজ । এতে বাস্তবতার মিল না থাকলেও গল্পের মধ্যে চলে আসা কথামালাগুলি তো প্রচলিত সমাজ, পরিবেশ ও নিয়মকানুনের ভিতরেই থাকে গাথা, যা পাঠকদের প্রায় সকলেরই কমবেশী থাকে জানা, ফলে সহজেই গল্পের কথাগুলির সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন তাদের যতার্থতা। পাঠে মনে হল গল্পটি যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পেরেছে তার কথামালার যতার্থতা ।
চমৎকার হয়েছে গল্পের গাথুনী , এগিয়ে গেছে সাবলিলতায় , পরিনতিটা হৃদয় বিদারক হলেও রেখে গেছে অনেক মুল্যবান বারতা ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৭:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, এই সুদীর্ঘ গল্পটি মনযোগ দিয়ে পাঠ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চমৎকার হয়েছে গল্পের গাথুনী , এগিয়ে গেছে সাবলিলতায় , পরিনতিটা হৃদয় বিদারক হলেও রেখে গেছে অনেক মুল্যবান বারতা -- আপনার কাছ থেকে এই প্রশংসাটুকু পেয়ে ধন্য হ'লাম, ডঃ এম এ আলী। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে গল্পটা লিখেছি। কোন পাঠকের হৃদয় সেটা স্পর্শ করতে পারলে লেখক হিসেবে আমার তো ভাল লাগবেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
২২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: মনটা বিষন্নতায় ছেয়ে গেল!
জন্মিলে মরিতে হয়। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই।
শুধু প্রার্থণা করি, মৃত্যু কারো জীবনে যেন এতটা নিষ্ঠুর হয়ে না আসে।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সমব্যথী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেষ অনুচ্ছেদে এসে বেদনা ঘনীভূত হলো। মর্মস্পর্শী কাহিনি।
অনেক ভালো লাগা রইল স্যার। শুভেচ্ছা।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কাহিনীটা সত্যিই বেশ মর্মস্পর্শী। গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
আপনি এখন কোথায় আছেন? কেমন আছেন? আগে যেখানে দেখা হয়েছিল, সেখানেই থাকলে জানাবেন। একবার গিয়ে দেখা করে আসবো।
ভাল থাকুন। শুভকামনা...
২৪| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
অবসরের পর বোধ হয় আপনার লেখনী আরও শক্তিশালী হয়েছে। লিখতে থাকুন। অনেক অনেক শুভ কামনা।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখালেখি তো শুরুই হলো অবসর গ্রহণের পর। এক প্রান্তের অবসর থেকে অন্য প্রান্তে ব্যস্ততা শুরু।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
২৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:১৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: বেদনাদায়ক গল্প। মানুষের জীবনে যে কখন কি ঝড় বয়ে যাবে কেউ আগে থেকে কল্পনাও করতে পারেনা। ভালো লাগল খায়রুল আহসান ভাই।
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের জীবনে যে কখন কি ঝড় বয়ে যাবে কেউ আগে থেকে কল্পনাও করতে পারেনা - ঠিকই বলেছেন। আর এসব একেকটা ঝড় মানুষের জীবনকে লন্ডভন্ড করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। আগে দেয়া প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকুন, শুভকামনা রইলো...
২৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
জুন বলেছেন: অত্যন্ত বেদনাদায়ক গল্প নাকি সত্যি কাহিনীটুকু পড়ে গেলাম ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ।
মাস কয়েক আগেই আমাদের এক আত্মীয়ার একমাত্র ছেলে নতুন চাকরী পেয়েছে অন্য রাজ্যে । তাকে সেখানে রেখে পরদিন বাবা মা ফিরে আসবে ট্রেনে নিউইয়র্ক । ২৩ বছরের ছেলে ড্রাইভ করে স্টেশনে পৌছে দেবে । পথেই এক ভয়াবহ এক্সিডেন্টে বাবা মা সাথে সাথেই মারা গেলেন আর ছেলেটি জানামতে মৃত্যুর সাথে লড়ছে । এসব ঘটনা শুনলে এখনো যে বেচে আছি তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই বারবার।
ভালোলাগা রইলো খায়রুল আহসান ।
+
০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, ঈদ মুবারক! আশাকরি ঈদের অবকাশটা ভালই কাটালেন সপরিবারে।
শিরোনামে যদিও লিখেছি এটা একটা 'অসংলগ্ন গল্প', আসলে উপরে যা লিখেছি তা সর্বাংশে সত্য, শুধু কয়েকটা চরিত্রের নাম ছাড়া।
গল্প হয়নি জানি। কিছু অসংলগ্ন ভাবনাকে নিজের মত করে গেঁথেছি, তাই এই শিরোনাম।
আপনি যে ঘটনাটার কথা বললেন, তা তো আরও বেশী বেদনাদায়ক! আল্লাহ মরহুমদের ক্ষমা করুন, আহতকে দ্রুত সুস্থ করে তুলুন!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল লাগায় (+) অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা...
২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩২
রানা আমান বলেছেন: অসংলগ্ন গল্প যার নাম , তা যে কতটা সুসংবদ্ধ আর হৃদয়ছোঁয়া হতে পারে , এ লেখাটি তার প্রমাণ। আর যেহেতু একটি সত্য ঘটনাকে আশ্রয় করে লেখা এটি তাই , ওই পরিবারটির জীবিত সদস্যদের প্রতি রইলো আন্তরিক সমবেদনা , প্রার্থনা করি আল্লাহ তাদেরকে এ শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দিন আর মৃত সদস্যার জন্য অপার শান্তিময় পরকাল কবুল করুন । আমিন ।
০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ চমৎকার মন্তব্য হৃদয় ছুঁয়ে গেল, অভিভূত হ'লাম, রানা আমান।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন! আপনার এ দোয়ার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন!
২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাল লেগেছে। বড় গল্পের চেয়ে আমি ছোটোগল্প বেশি পছন্দ করি। পড়তেও সুবিধা।
আমি নিজেও লিখি ছোট করে।
আপনার লেখার হাত ভাল। সাহিত্যরস আছে।
ধন্যবাদ।
০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভাল। সাহিত্যরস আছে --অনেক ধন্যবাদ, আপনার এ উদার মন্তব্যের জন্য।
গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্পে বাস্তবতার সাথে মিল আছে । অনেক সুন্দর লিখেছেন+
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাস্তবতা থেকেই গল্প এসেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা...
৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অাসসালামুঅালাইকুম। ভাই, কেমন অাছেন? অনেকদিন অাপনাকে কাছে পায়না। যাহোক, একটু ব্যস্ত অাছি পরে পড়ার ইচ্ছে রাখছি।
প্রিয়তে রেখে দিলাম।
অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আসসালাম!
আলহামদুলিল্লাহ! আমি ভাল আছি। আশাকরি আপনিও ভাল আছেন।
লেখাটি "প্রিয়"তে রেখে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পরে পড়ে মতামত জানালে খুশী হবো।
আপনার জন্যেও শুভকামনা...
৩১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেশ পরে হলেও গল্পটি পড়লাম।
মনটা খারাপ হল ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটি পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভেচ্ছা রইলো...
৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মর্মস্পর্শী এক গল্প।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৩৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২০
মেহবুবা বলেছেন: গল্পের জন্য ঠিক আছে তবে বাস্তবে যখন ঘটেছে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা তখন মানতে কষ্ট হয়। নাফিস আর নাকিবের জন্য দোয়া আর ওদের বাবার জন্য সব সহনশীল হোক সেই কামনা করি।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার পুরনো একটি পোস্টে আপনার মন্তব্য এসেছে দেখে চমকে উঠলাম। মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভাল লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা---
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগা রইল, অনেক বড় গল্প! +++++