নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'মেকা (MECA) পিকনিক-২০২৪\' --- সায়াহ্নের মিলনমেলা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫


কলেজ বিল্ডিং এর রাতের ছবি (সংগৃহীত, স্বত্বাধিকারীর নাম জানা নেই)

প্রাক-কথনঃ
৭-৭-১৯৬৭-তারিখটি আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, পয়মন্তও বটে (তারিখটিতে ৭ সংখ্যাটির আধিক্য লক্ষণীয়)। এই তারিখটিতেই তৎকালীন 'মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ' (পরবর্তীতে 'মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ' নামে পুনঃ নামকরণকৃত) এর সপ্তম শ্রেণীতে যোগদান করেছিলাম। ৫৭ বছর আগের সেই দিনটি আজও স্মৃতিতে ভাস্বর। ৭৩ সালে কলেজ ছেড়ে আসার পর আরও বহুবার বিভিন্ন কারণে, আয়োজনে, ছলে ও উপলক্ষে কলেজে গিয়েছি। যতবারই গিয়েছি, এক অবিশ্বাস্য মায়া, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতার গভীর অনুভূতিতে আচ্ছন্ন থেকে কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়ে নতুন নতুন স্মৃতি নিয়ে ফিরে এসেছি। আগে যেতাম একা একা কিংবা বন্ধু-সতীর্থদের নিয়ে, তারপর স্ত্রী-সন্তানদেরকে নিয়ে, এখন তাদের সাথে পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিরাও সফরসঙ্গী হয়। সর্বশেষ গেলাম এই গত শুক্রবার ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে, 'মেকা পিকনিক-২০২৪' উপলক্ষে।

যাত্রা শুরুঃ
ক্যাডেট নাম্বারের দিক দিয়ে আমাদের ব্যচের শিরোমনি ডাঃ আনিসুর রহমান (১৮০) এর সাথে আগেই ঠিক করা ছিল, যাবার পথে ও আর ওর স্ত্রী এলি আমাদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে। কথা অনুযায়ী ওরা ঠিক পৌণে আটটায় এসে যায় এবং আমরা একসাথে রওনা হই আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রার পথ ধরে। দিনটা ছিল বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন, তাই অনেকে অত্যধিক ভিড়ের শঙ্কায় ঐ পথে যাওয়াটা নিরুৎসাহিত করেছিল। কিন্তু আমরা সেটা আমলে না নিয়ে ঐ পথেই রওনা হলাম। আমাদের সিদ্ধান্তটা সঠিক বলে প্রমাণিত হলো, কারণ অকুস্থলে আমরা তেমন একটা ভিড় পাই নি। বেশ কিছুটা পথ গাড়ি খুব ধীর গতিতে চলেছিল বটে, কিন্তু কখনো 'ডেডস্টপ' হয় নি। বয়স্কদের হয়তো মনে আছে, ১৯৭৩-৭৪ সালে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক কর্নেল চিত্তরঞ্জন দত্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলেন, "চোরাচালান ডেডস্টপ"! তখন থেকেই 'ডেডস্টপ' কথাটা সাংবাদিক ও সংবাদপত্র পাঠকদের মুখে মুখে বেশ চাউর হয়ে যায়, আমারও মনে গেঁথে যায়।

পৌঁছার পরঃ
আমাদের আরও চারজন বন্ধু ওয়াসিম আদেল এর নেতৃত্বে সাভার হয়ে আমাদের একটু পরে রওনা দেয়। আমরা সকাল সাড়ে নয়টায় কলেজে পৌঁছালাম, ওরা দশটার দিকে। তার একটু পরে আমার বৌমা চার বছরের নাতি আরহাম কে নিয়ে পৌঁছে যায়। ক্যাডেটস ডাইনিং হলে বসে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম, যেখানে বসে ৫৭ বছর আগে ৩০০ জন ক্যাডেট একসাথে খাবার খেতাম। একই প্রক্রিয়া আজও চলমান। আস্তে আস্তে ভিড় বাড়তে থাকলো। চেনা মুখগুলোর সাথে ঘুরে ঘুরে স্মৃতিময় আলাপচারিতায় মগ্ন হলাম। বাহিরে কিছু খেলাধুলার প্রস্তুতি চলছিল, শিশুদের জন্য কয়েকটি 'গেম পয়েন্ট' তৈরি করা হয়েছিল, যা ওদেরকে দিনব্যাপী প্রভূত আনন্দ দিয়েছে। আমার হাউজের (ফজলুল হক হাউজ) সামনে নাতি আরহামকে নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। ভেতরে বর্তমান ক্যাডেটরা ছিল, তাই সেখানে প্রবেশ নিষেধ ছিল। একটা বাচ্চাকে দেখলাম তার বাবার সাথে (২৫তম ব্যাচের) ফুটবল খেলছে। যদিও আরহাম বয়সে ওর চেয়ে অনেক ছোট, কিন্তু সে ফুটবল খেলতে দারুণ ভালোবাসে জানি বলে ওকে বাচ্চাটার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। ও অবিলম্বে ওর সাথে ফুটবলে মেতে উঠলো।

জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ প্রিয়জনদের সাথেঃ
প্রতিবছর (অথবা যে বছরেই যাই) পিকনিকের সময় ভাবি, পুরনো যাদেরকে আমরা কলেজে পেয়েছিলাম, তাদের সাথে গল্প করবো, ছবি তুলবো, স্মৃতিচারণ করবো। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায়, পরিচিত ও প্রিয়মুখ অনেকের সাথেই এ কাজটা করতে পারি নি। দূর থেকে দেখেছি, চোখাচোখি হয়েছে, ভেবেছি পরে কাছে গিয়ে কথা বলবো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয় নি। এবারেও এর ব্যতিক্রম হয় নি। সময়ের বড়ই অভাব! তবুও এরই মাঝে যে সকল জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ ভ্রাতাদের সাথে হ্যালো-হাই থেকে আরেকটু বিশদ কথা হয়েছে, তাদের কথা বলছিঃ

কলেজে প্রবেশ করেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত রেজিস্ট্রেশন বুথ এ বেশ কয়েকজন প্রাণবন্ত তরুণ এক্স-ক্যাডেট স্বেচ্ছাসেবককে দেখতে পেলাম অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে অতিথিদেরকে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে সাহায্য করতে। তাদের সাহায্যে দ্রুতই রেজিস্ট্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফেললাম। সেখানেই দেখা হলো ব্যাচ-২ এর নূরুস সাফা ভাই এর সাথে। তার ব্যাচের অন্যান্য কে কে আসছেন তা জানতে চাইলাম, বিশেষ করে কলেজের প্রথম 'ফুটবল ব্লু' মাহবুব শহীদ ভাই এর কথা জিজ্ঞেস করলাম। ওনাদের উভয়ের সাথে আমি বেশ কয়েকবার একসাথে শ্রীমঙ্গল, টাঙ্গুয়ার হাওর, বালিয়াটি ইত্যাদি এলাকা সফর করেছি বলেই এতটা আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উনি জানালেন, গাড়িতে উঠে উনি কয়েকজনকে নক দিয়েছিলেন, কিন্তু সাড়া পান নি। পরে অবশ্য ওনার ব্যাচের কানাডা প্রবাসী মানিক (মুজিবুল হক) ভাইকে দেখেছি, বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতাও হয়েছে। অধুনা তার সাথে বিভিন্ন কমন ইন্টারেস্টকে কেন্দ্র করে আমার যোগাযোগটা বেশ নিবিড় বলা চলে। ওনাদের ব্যাচের কলেজ ক্যাপ্টেন শফিক চৌধুরী ভাইও এসেছিলেন বলে জেনেছি, তবে তার সাথে আমার দেখা হয় নি। তৃতীয় ব্যাচের কারও সাথেই দেখা হয় নি। চতুর্থ ব্যাচের ইকবাল ভাই (মেকা প্রেসিডেন্ট) এর সাথে দেখা হয়েছিল, উনি লাঞ্চের পর কলেজ ত্যাগ করেছিলেন। গতবার জাহাঙ্গীর ভাই এর সাথে দেখা হয়েছিল, এবারে বোধকরি তিনি আসেন নাই। এ ছাড়াও ওনাদের ব্যাচের কামাল শাহ ভাই, আহসান কামাল ভাই (প্রাক্তন সিসিসিএল প্রেসিডেন্ট), খন্দকার ভাই, ইফতেখার নাসির টিপলু ভাই এবং উস্কোখুস্কো চুলের ট্রেডমার্ক অধিকারী আতিক-এ-রাব্বানি ভাই এর সাথে দেখা ও কথা হয়েছিল। শেষোক্ত জন আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড, সে কারণে আমি তার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক (ইনটেলেকচুয়াল) প্রতিভার সাথে পরিচিত। বিশেষ করে তার দুটো অনন্য স্বাতন্ত্রের জন্য আমি তার ফ্যান হয়ে উঠেছি। তার একটি হচ্ছে নিজে গীটার বাজিয়ে ইউনিক কণ্ঠে বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় মনের আনন্দে গান পরিবেশন, অপরটি হচ্ছে মাথায় একটি 'পাখির বাসা' নিয়ে ঘুরে বেড়ানো! এই 'পাখির বাসা' কথাটি যখন ভাবীর সামনে উল্লেখ করলাম, উনি হেসে দিয়ে বললেন, "আমি তো ওর চুল দেখেই ওকে বিয়ে করেছি"!

মাঠে যখন মহিলাদের 'পিলো পাসিং' খেলা চলছিল, আমি একপাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। তখন ষষ্ঠ ব্যাচের ডাঃ নাজমুলকে দেখতে পাই আনমনে হাঁটছে। কাছে ডেকে কুশল বিনিময় করলাম। ও জানালো, পরনের জ্যাকেটটা খুলে ওর ব্যাচমেট শাহনেওয়াজকে ধরতে দিয়ে ও ওয়াশরুমে গিয়েছিল। বের হয়ে সে আর শাহনেওয়াজকে খঁজে পাচ্ছিল না। জ্যাকেটের পকেটে সেলফোনটাও রেখেছিল বলে সে কারও সাথে যোগাযোগও করতে পারছিল না। আমি আমার সেলফোনটা সার্চ করে দেখলাম, ওদের ব্যাচের জহুর (শওকত) এর নাম্বারটা আমার ফোনে সেভ করা আছে। আমি জহুরকে ফোন করে জানালাম ঘটনাটির কথা। কিছুক্ষণ পর দেখলাম শাহনেওয়াজ আমাদের কাছে এসে নাজমুলকে ওর জ্যাকেটটা দিল। বাংলাদেশ বিমানের জিএম হিসেবে অবসর নেয়া শাহনেওয়াজ এর মুখচ্ছবি আমার স্মৃতি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। এভাবে দেখা হয়ে নতুন করে পরিচিত না হলে কোনদিন পাশে দিয়ে হেঁটে গেলেও চিনতে পারতাম না। পরে ওদের ব্যাচের শওকত, আব্দুল্লাহ ফারুক, ডাঃ করিম, খন্দকার মাহবুব হাসান প্রমুখের সাথে দেখা হলো। শওকতের কাছে অকল্যান্ড প্রবাসী ওদের ব্যাচের মাহবুবুল আউয়াল নওরোজ এর কুশল জানতে চাইলাম। ওর সম্প্রতি knee reconstruction surgery হয়েছে বলে জানি। আরও জানলাম, ওর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ওদের ব্যাচের বাশারের সাথে সবসময় এ ধরণের অনুষ্ঠানে দেখা হয়, কিন্তু এবারে হলো না। জানলাম, শরীররটা ভালো নেই বলে ও এবারে আসতে পারে নি। জুম্মার নামাযের সময় হাতে একটু সময় নিয়েই মাসজিদে গিয়েছিলাম, ফলে একেবারে প্রথম কাতারেই স্থান পেয়েছিলাম। আমার পাশে ছিল আমাদেরই হাউজের দশম ব্যাচের নজরুল ইসলাম। ওর সাথে ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক আলাপচারিতা হয়েছিল। নামায শেষে ডাইনিং হলের পথে ফিরে আসার সময় ১৭তম ব্যাচের ডাঃ জয়নাল আবদিন এর সাথেও কিছু কথা হয়েছিল।

এত বড় পরিসরে তিন বছরের শিশু থেকে প্রায় পঁচাত্তর বছর বয়সী আট/নয়শত অতিথির জন্য খাবার দাবারের আয়োজন করাটা মোটেই সহজসাধ্য কাজ ছিল না। সুতরাং ডাইনিং হলের অভ্যন্তরে যা কিছু অব্যাবস্থাপনা ছিল, তা নিয়ে কোন কথা নয়। লাঞ্চের পর দেখা হলো আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক নাজমুল আহসান স্যারের সাথে। একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হওয়া ছাড়াও অন্য দুটি কারণে উনি আমার বিশেষ সমীহের পাত্র। প্রথমটা, উনি আমার হাউজ মাস্টারও ছিলেন; দ্বিতীয়তঃ, উনি ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করা ছাড়াও একজন স্বনামধন্য ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি ইগলেটস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে নিয়মিতভাবে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে খেলতেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেনাশিক্ষা কোরে যোগদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি যোগদান করেন নি। কেন, সেটা তার মুখেই সেদিন শুনলাম। ৮১ বছর বয়স্ক আমাদের এই শিক্ষক পিকনিকে আসার সময় তার প্রিয় ছাত্র মানিক ভাইকে সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি সানন্দে ও সাগ্রহে আমাদের সাথে ছবি তুললেন, পুরনো দিনের গল্প করলেন।

প্রতিটি মেকা-পিকনিক, রি-ইউনিয়ন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে আমি যে মুখটিকে খুঁজি, এবং যিনি নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রতিবারই আমাকে খুঁজে বের করে আমার সাথে দেখা করেছেন, তিনি আমাদের হাউজের (FH) হাউজ বেয়ারার দেওয়ান আব্দুর রউফ ওরফে 'রউফ ভাই'। এবারে তাকে দেখলাম বেশ বার্ধক্য-জর্জরিত; কানে শোনেন না, একটা চোখে কিছুই দেখেন না, অপর চোখে সামান্য দেখতে পান। এভাবেই তিনি চলাফেরা করেন। কানে শোনেন না বলে তিনি কোন ফোনকল রিসিভ করেন না। ২১তম ব্যাচের প্রতি তিনি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন; ওরা সম্মিলিতভাবে তার বাইপাস সার্জারির ব্যয়ভার বহন করেছিল। এ ছাড়াও তাকে বিভিন্ন সময়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতাভরে কয়েকজন প্রাক্তন ক্যাডেটের নামোল্লেখ করলেন। আমরা যেদিন এমসিসিতে যোগদান করেছিলাম, রউফ ভাই তার মাত্র তিন দিন আগে একজন তরুণ কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেছিলেন। এই সমসাময়িকতার কারণে আমাদের ব্যাচটা তার অনেক প্রিয় এবং হৃদয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি, এ কথাটা তিনি আমাকে প্রায়ই বলে থাকেন।

অষ্টম ব্যাচের কলেজ ক্যাপ্টেন শাব্বিরকে দেখে আমি এগিয়ে গেলাম। মাঠে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ আলাপচারিতা সেরে নিলাম। বছর কয়েক আগেও আরেকবার এরকমেরই একটা অনুষ্ঠানে (পিকনিক কিংবা রি-ইউনিয়ন) একই মাঠের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে ওর সাথে কথা বলেছিলাম। ওর আন্তরিকতায় দু'বারই মুগ্ধ হয়েছি। অষ্টম ব্যাচের ৪/৫ জন একসাথে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এদের মধ্যে সাজেদ খান ও মুনীরের সাথে আমার প্রায় প্রতিবারেই দেখা হয় এবং ওরা এগিয়ে এসে কুশল বিনিময় করে। শাব্বির, মঈন (নবম ব্যাচ) এবং স্বয়ং আমার ব্যাচমেট ড. নজরুল ইসলাম- এই তিন প্রাক্তন কলেজ ক্যাপ্টেন এর সাথে কথা বললেই আমি 'যে যত বেশি বিদ্বান, সে তত বেশি বিনয়ী' - এই প্রবাদটির সত্যতা খুঁজে পাই। ওরা প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষা এবং পেশায় সাফল্যের শীর্ষ সোপানে আরোহণ করেছে; কিন্তু সেই সাথে ওরা অত্যন্ত বিনয়ী ও অমায়িকও বটে। ওদের নেতৃত্বের গুণাবলী কলেজে থাকতেই সঠিকভাবে শনাক্ত হয়েছিল।

আমার প্রথম ব্যাংকঃ
কলেজ ত্যাগের পর এমসিসিতে বহুবার যাওয়া আসা করেছি; স্মৃ্তিময় প্রতিটি জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে অতীত জীবনে ফিরে গিয়েছি, মনে মনে স্মৃ্তিচারণ করেছি। কিন্তু এক কোণায় নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্থাপনা এ যাবত প্রতিবারেই আমার নজর না এড়ালেও মনযোগের বাইরে থেকে গেছে। সেটি হচ্ছে আজকের 'অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ শাখা', যেটা ১৯৬৯ কিংবা ১৯৭০ সালে 'হাবিব ব্যাংক লিমিটেড' নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সদ্য উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করা একজন সুদর্শন যুবক এটির প্রথম ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তার নামটা আজ মনে নেই, কিন্তু সদালাপী এই ব্যবস্থাপক বৃহত্তর বরিশাল এলাকার লোক ছিলেন, তা মনে আছে। তিনি অত্যন্ত অমায়িক একজন ভদ্রলোক ছিলেন। তিনি অনেক আগ্রহ নিয়ে আমাকে ব্যাংকের চেকলিপি এবং ডেপোজিট স্লিপ পূরণ করা শিখিয়েছিলেন। সে শিক্ষাটা আমার আজীবন কাজে লেগেছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আমার ঋণের কথা স্মরণ করে এর সামনে দাঁড়িয়ে একটা ছবি তুলে রাখলাম। সেখানে কলেজের একজন সিকিউরিটি গার্ডের সাথে আলাপ হলো, নাম নজরুল ইসলাম। সে জানালো যে সে আমাদের সময়ের নজরুল হাউজের হাউজ বেয়ারার 'রহমান ভাই' এর ছেলে। হাসিখুশি, ভদ্র আচরণের এই ছেলেটিকে দেখে ভালো লাগলো। পিতার সদাচারণ তার আচরণেও মূর্ত।

তাজুদ্দিনের বাসায়ঃ

স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেক ক্যাডেট দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। স্বাধীনতার পর তারা অনেকেই আর ফিরে আসে নাই। ফলে ক্লাসের অনেক আসন খালি হয়ে যায়। সেই শুন্যতা পূরণের লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর আমরা যখন একাদশ শ্রেণিতে উঠলাম, তখন ১৫/১৬জন নতুন ক্যাডেটকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন ছিল স্থানীয়, কলেজ এলাকার আশেপাশেই ওদের বাড়ি ছিল। তাদের একজন ছিল আবু সাঈদ, সে কলেজ ত্যাগের পর বিএ পাশ করে কলেজ সংলগ্ন রাজাবাজার স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। বছর দুয়েক আগে সে ইন্তেকাল করেছে। মৃত্যুর আগে সে সেই স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিল। অপরজন হচ্ছে তাজুদ্দিন আহমেদ। সে দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় চাকুরি বাকুরি ব্যবসা ইত্যাদি করে বেশ বিষয় সম্পত্তি করেছে। ঢাকা শহর ও আশেপাশে তার ফ্ল্যাট থাকা সত্ত্বেও সে কলেজ সংলগ্ন এলাকাতেই একটি সুন্দর দোতলা বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে সস্ত্রীক বসবাস করে। তার ছেলেমেয়েরা দেশে বিদেশে থিতু হয়েছে। এমসিসি প্রিন্সিপালের বাসার পেছনের সীমানা দেয়াল থেকে তার বাড়ি প্রস্তর নিক্ষেপ দূরত্বে অবস্থিত। তার প্রসঙ্গটা টানলাম এ কারণে যে আমরা কলেজের কোন অনুষ্ঠানে গেলেই সে খবর পেয়ে ফোন করে অস্থির করে তোলে তার বাসা থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য। গত বছরের পিকনিক দিবসেও সে অনেকবার ফোন করেছিল, কিন্তু সময়াভাবে আমরা শেষ পর্যন্ত যেতে পারি নি। শেষ গিয়েছিলাম ২০১২ এর রি-ইউনিয়নের সময়। সে সময় আমাদের ব্যাচমেট কে, এম, আ্লী মুনীর রানা (২২৮) বেঁচে ছিল। তার মাস দুয়েক পরেই রানা প্রয়াত হয়। সেবারে তার উন্মুক্ত উঠোনে বসে আমরা ভাবীর জ্বাল দেয়া পালিত গরুর দুধ পান করে এবং আনুষঙ্গিক আতিথেয়তায় তৃপ্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম। এবারে আর তার অনুরোধ আমরা ফেলতে পারলাম না। আমরা কয়েকজন বন্ধু ও ভাবিরা তার নতুন বাসায় ঘণ্টা খানেক সময় কাটিয়ে আসলাম। ভাবি আমাদেরকে গাছের ফল ফলাদি ও দুধ দিয়ে আপ্যায়ন করলেন।

ফিরে আসাঃ
মাগরিবের ঠিক আগে আগে আমরা কলেজ ত্যাগ করলাম। ফেরার সময় সাভার হয়ে ফিরে এসেছি। মিরপুরে প্রবেশের আগে পর্যন্ত মোটামুটি ভালোই এসেছি। মিরপুরের পর থেকে কিছুটা জ্যাম পেয়েছি, তবে তা সহনীয় পর্যায়ে ছিল। এবারের পিকনিকটা আমার কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে কারণ আমার চার বছরের নাতি আরহাম কলেজের বিশাল মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে খুব মজা পেয়েছে, যে মাঠে একদা তার বাবা ও দাদাও ছুটোছুটি করতো। আয়োজকদের আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই শিশুদের চাহিদার প্রতি খেয়াল রেখে তাদের জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অনেকগুলো গেম-পয়েন্ট প্রস্তুত করার জন্য। সেসব খেলার সরঞ্জামাদি ওদেরকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। মঞ্চে গান গাওয়া এবং ইন্সট্রুমেন্ট প্লে করা প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থিত সুধীজনকে আনন্দ দেয়ার জন্য। পর্দার সামনে ও আড়ালে থেকে যারা দিনরাত পরিশ্রম করে এ অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি তদারক করে আমাদেরকে এক সফল পিকনিক উপহার দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের জন্য থ্রী চিয়ার্স!


ঢাকা
০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
শব্দ সংখ্যাঃ ২০১৪


Mr. Najmul Ahsan aka Nizam Bhai, our Chemistry teacher and a renowned cricketer of the late sixties. He is the only living member of the pioneer faculty of the College.
Ma Sha Allah, He is 81 years old now and physically more fit than many of his pupils.
May Allah SWT grant him Hayat e Tayyeba and extend his life!


আনন্দে উচ্ছল।


আমার সময়ের হাউজ বেয়ারার দেওয়ান আব্দুর রউফ ওরফে 'রউফ ভাই'।

আমার সময়ের আরেকজন হাউজ বেয়ারার প্রয়াত 'রহমান ভাই' এর ছেলে নজরুল ইসলাম। বর্তমানে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত।


আমার জীবনের প্রথম ব্যাংক, যেখানে ব্যক্তিগত একাউন্ট পরিচালনার ক, খ, গ শিখেছিলাম। তিন মাসের পকেট মানি হিসেবে পঞ্চাশ টাকা জমা রাখতে হতো এবং সেখান থেকে তুলে তুলে প্রয়োজনে খরচ করতে পারতাম।


একটি কোলাহলমুক্ত নীরব এলাকা, যেখানে তখনও সময় কাটাতে ভালোবাসতাম, এখন গেলেও...।


ফুটবল প্রিয় একটি শিশু।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

এম ডি মুসা বলেছেন: ফেলে আসা দিন গুলো মনে হলো আজো।
চোখের সামনে স্মৃতি গুলো ছবি হয়ে আসে,
ভবিষৎ এর ভাবনা নিয়ে চিন্তা করতে গেলে
অতীত এসে চোখের সামনে খিলিখিলিয়ে হাসে।- কোন এক কবির এই লেখা কবির নাম ভুলে গেছি তবে লেখাটা মনে আছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার নাম ভুলে যাওয়া সে কবি'র কথাগুলো অনেক পাঠকের মনেই সত্য বলে প্রতিভাত হতে পারে।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৮

মেঘবৃষ্টির গল্প বলেছেন: হারানো দিন ও স্মৃতির সাথে বর্তমান কখনও মেলে না তবুও নস্টালজিয়া দারুন মধুর।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "হারানো দিন ও স্মৃতির সাথে বর্তমান কখনও মেলে না তবুও নস্টালজিয়া দারুন মধুর" - খুব সুন্দর একটা কথা বলেছেন, আমি একমত আপনার এ কথার সাথে।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ক্যাডেট কলেজের ছাত্ররা সমাজের অনেকের চেয়ে ভালো করেছে সব সময়, এখনো ভালো করছে; তাদর জীবনধারা দেশের অন্যদের চেয়ে আলাদা অনেকভাবে।
কলেজের পর, আপনি কোথায়, কি নিয়ে পড়ালেখা করেছিলেন? আপনার প্রফেশান কি ছিলো?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথমাংশের সাথে আমার দ্বিমত নেই।
আমার পড়াশুনা বা প্রফেশন সম্বন্ধে আপাততঃ বলার কিছু নেই।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট দেখে ভালো লাগলো।
আমার ভাই পাবনা ক্যাডেট কলেজে পড়েছে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সমস্ত ক্যাডেটরা মিলে ঢাকার পূবাইলে একটা ক্লাব করেছে। ক্যাডেট কলেজ ক্লাব। এখানে আমি প্রায়ই যাই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সমস্ত ক্যাডেটরা মিলে ঢাকার পূবাইলে একটা ক্লাব করেছে" -জ্বী, জায়গাটার নাম পূর্বাচল

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছবিগুলো ফেবুতে আগেই দেখেছি। খুবই সুন্দর নস্টালজিক বটে।মুল লেখা পড়ে আবার আসছি।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "মুল লেখা পড়ে আবার আসছি " - আচ্ছা, অপেক্ষা করছি।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি আজকাল সময় মতো মন্তব্যের উত্তর দেন না।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সঠিক।
বিভিন্ন কারণে সময় মতো মন্তব্যের উত্তর দেয়া হচ্ছে না, তবে কারণ কোন অজুহাত নয়।
কয়েকটা দিন দেরি হলেও, আমি পাঠকদের পোস্ট-প্রাসঙ্গিক সকল মন্তব্যের উত্তর দিয়ে থাকি।

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মিলনমেলার ছবি ও বর্ননা ভাল লেগেছে

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: স্মৃতি সব সমসয় মধুর হয়।আপনার সমৃদ্ধ স্মৃতি আরো মধুর।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, মন্তব্যে প্রীত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

পুরনো স্মৃতি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো।
তবে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ নামটা সুন্দর ছিল।
নামটা কি কারণে পরিবর্তন করল বুঝলাম না।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পুরনো স্মৃতি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো।" - অনেক ধন্যবাদ।

"তবে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ নামটা সুন্দর ছিল। নামটা কি কারণে পরিবর্তন করল বুঝলাম না" - জ্বী, নামটা আসলেই খুব সুন্দর ছিল। কলেজটা স্থাপিত হয় ১৯৬৩ সালে, কার্যক্রম চালু হয় ১৯৬৫ সাল থেকে। তখন থেকে খুব সম্ভবতঃ ৭৭-৭৮ সাল পর্যন্ত সেটাই ছিল সরকারীভাবে কলেজটির আনুষ্ঠানািক নাম। মির্জাপুর এলাকার সংসদ সদস্য ফারুক এম পি সাহেব ১৯৭৪ থেকে স্থা্নীয় এলাকার নামানুযায়ী কলেজটির নতুন নামকরণের লক্ষ্যে সক্রিয় হন। তার তদবির এর ফলে সরকার বাধ্য হয় কলেজটির নাম পরিবর্তন করতে।

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




নষ্টালজিক।
একটি আনন্দঘন দিনের কথা লিখতে গিয়ে যে স্মৃতিকথাও তুলে এনেছেন তার ভেতর দিয়ে আপনার স্বভাবসিদ্ধ বন্ধুবৎসল আর মানবিক দিকটির দেখা মিললো আবারও!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "একটি আনন্দঘন দিনের কথা লিখতে গিয়ে যে স্মৃতিকথাও তুলে এনেছেন তার ভেতর দিয়ে আপনার স্বভাবসিদ্ধ বন্ধুবৎসল আর মানবিক দিকটির দেখা মিললো আবারও" - সুন্দর এবং প্রেরণাদায়ক এ মন্তব্যটির ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওকে। দেখুন, পড়ুন ও পুনঃমন্তব্য করুন।

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৮

আরইউ বলেছেন:



খায়রুল,
কী চমৎকার একটা লেখা। পড়তেই মন ভালো হয়ে যায়।
আমি মাঝে মাঝে ভাবী সামনে যে কটা দিন আছি তার কথা ভেবে উচ্ছসিত হবো নাকী যেদিন ফেলে এলাম গতকাল তার বিরহে যন্ত্রনা পাবো! বেলা যায়... সময় বয়ে যায়...

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বেলা যায়... সময় বয়ে যায়.." --- নিরন্তর!
উচ্ছ্বসিত হওয়া এবং যন্ত্রণাদগ্ধ হওয়া - এ দুটো নিয়েই তো আমাদের জীবন!
চমৎকার মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





আমাদের এলাকায় একজন স্টেশন মাষ্টারের ছেলে শাকিল কেডেট কলেজে
পড়াশুনা করত । তার নাম শুনেছি তার সাথে কখনো দেখা হয়নি । সে সম্ভবত
মির্যাপুর ক্যডেট কলেজে পড়ত । ১৯৭০ এএস এসসি পরিক্ষায় ৪র্থ স্থান অর্জন করে । ভাল মেধাবী ছাত্র
হিসাবে সে এলাকায় ভাল পরিচিতি পায় ও তাকে নিয়ে আমাদের এলাকার বেশ গর্ব ছিল । পরে শুনেছি
সে সামরিক বাহিনীর বেশ উচ্চতর .পদে পৌঁছেছিল ।
যাহোক ৭-৭-১৯৬৭-তারিখটি আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনতো হবেই তারিখটিতে ৭ সংখ্যাটির আধিক্য
থাকাটা ভাল কারণ ৭ হলো একটি লাকি নাম্বার ।। আবার প্রায় ৭ বছর পরে ৭৩ সালে কলেজ ছেড়ে আসার পর
ঘটনাটিউ ৭ এর সাথে মিলে যায় ।

পিকনিকের যাত্রা শুরুটাও দেখা যায় হয়েছে আপনাদের ব্যচের শিরোমনি ডাঃ আনিসুর রহমান এর সাথেই ।
ক্যডেট কলেজের পয়মন্ত ৭ নাম্বারটি আপনার সাথে লেগে থাকায় মনে হয় বিশ্ব ইজতেমার দিনেও চন্দ্রার পথে
তেমন ভির পান নি । চন্দ্রার পথের 'ডেডস্টপ ' হয় নি এর সাথে সুন্দর করে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক
কর্নেল চিত্তরঞ্জন দত্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা , "চোরাচালান ডেডস্টপ" বাহ দারুন উপমা দিয়েছেন !


পৌঁছার পর চেনা মুখগুলো সাথে জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ প্রিয়জনদের সাথে ঘুরে ঘুরে স্মৃতিময় আলাপচারিতায় ভালই সময়
কাটিযেছেন , এ এক বিশাল সৌভাগ্য । সে সময় উপভোগ করেছেন অনেক কিছুই ।

মাঠে যখন মহিলাদের 'পিলো পাসিং' খেলা চলছিল, তখন ষষ্ঠ ব্যাচের ডাঃ নাজমুলের সেল ফোন হারানোর বিরম্বনা
বেশ ভাল করেই হয়েছে বর্ণিত ।

সত্যিই এত বড় পরিসরে তিন বছরের শিশু থেকে প্রায় পঁচাত্তর বছর বয়সী আট/নয়শত অতিথির জন্য খাবার দাবারের
আয়োজনে কিছু অব্যাবস্থাপনা থাকাটা অম্বাভাবিক কিছু নয় ।

এত এত নামি দামি সহপাঠির সাথে আপনাদের হাউজের হাউজ বেয়ারার দেওয়ান আব্দুর রউফ ওরফে 'রউফ ভাই'
এর কথামালাও বলতে ভুলেন নি দেখে ভাল লাগল ।

আমার প্রথম ব্যাংক ছিল হাবিব ব্যাংক । তখন কার দিনে রেডিউতে এই ব্যংক নিয়ে নিয়মিত একটি বিজ্ঞাপন ছিল ,
হাবিব ব্যাংক সকলের ব্যাংক , হাবিব ব্যাংকআমার ব্যাংক সাথে একটি বাচ্চার কন্ঠ ছিল হাবিব ব্যাংক আমা লত।
এটি আমার এখনো মনে আছে ।

তাজুদ্দিনের বাসায় লেখাটি দেখে ভাবছিলাম কাপাসিয়ার সেই বিখ্যাত তাজউদ্দীনের কি মির্যাপুরেও কোন বাসা ছিল ।
কিন্তু না, ধারনা পালটাল যখন দেখলাম এ তাজউদ্দিন সে তাজউদ্দীন নয় ।

ফিরে আসাটাও অনেকটা জামমুক্ত ছিল শুনে ভাল লাগল । পর্দার সামনে ও আড়ালে থেকে যারা দিনরাত পরিশ্রম
করে এ অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি তদারক করে আমাদেরকে এক সফল পিকনিক উপহার দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের জন্য
যেমন থ্রী চিয়ার্স! তেমনি এমন সুন্দর পিকনিকের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতিউ
রইল থ্রী চিয়ার্স ।

সাথে শুভেচ্ছাও রইল ।

@ সোনাগাজী
মন্তব্যের ঘরে আপনার করা একটি প্রশ্নের প্রেক্ষিতে জানাচ্ছি যে খায়রূল আহসানের পরিচিতি বেশ লম্বা সময় ধরেই
উনার নিক প্রোফাইলে জ্বল জ্বল করে ভাসছিল । সেখান হতে আমরা সকলেই মোটামোটি উনার সন্মানিত পরিচয় ও
পদবী জানি । ধারণা করি এটা আপনিও হয়ত দেখেছেন হয়তো এখন মনে নেই। যাহোক সে পরিচিতি তিনি প্রোফাইল
হতে তিনি উঠিয়ে নেয়ায় আমিও কিছু বললাম না । আরো একটি বিষয়, উচ্চ পদস্থ সামরিক বেসামরিক কোন সরকারী
কর্মকর্তাই তাঁদের অভিজ্ঞতার অনেক কথাই গণমাধ্যমে বিবিধ কারণে প্রকাশ করেন না । সরকারী তথ্য গোপন রাখার
সপথটি সে সাথে কৃতকর্মের খুটিনাটি অনেককিছুই জনস্বার্থে গোপন রাখার বিষয়টি সারা জীবনের জন্য প্রযোয্য।
অবশ্য অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থ কিংবা গোষ্ঠি স্বার্থের জন্য নীজের পদ ও পদবীর সুযোগটি কাজে লাগিয়ে মনগড়া অনেক
কথা বলে জন মনে বিভ্রান্তি ছড়ান ,তাদের কথা আলাদা ,তারা বুঝে শুনে্কই সে রকম ঝুকি নেন !!! তাই বিবিধ কারণে
কর্মজীবনের নীতি নির্ধারণী বিষয় কিংবা অনেক বিতর্কিত এমনকি নন্দিত কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করা অনেকের
কাছেই বিরম্বনাময়। কারণ সময়ের প্রয়োজনে একসময় যে সকল কর্ম ছিল নন্দিত, সময়ের পরিবর্তনে সে সকলই
হয়ে যায় নিন্দিত । তাই কেই বা চাইবে হতে আলোচিত কিংবা আহেতুকভাবে সমালোচিত । যাহোক স্মৃতিচারণমুলক
অনেক লেখাতেই লেখকের পরিচয় ও কৃত্তিকলাপ পরিষ্ফুট হয়ে উঠে । সেখান হতেই অনেক কিছু জানা যায় ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের কলেজে ১৯৭০ এসএসসি ব্যাচে শাকিল নামে কোন ক্যাডেট ছিল না। অবশ্য শাকিল যদি তার ডাক নাম হয়ে থাকে, সেটা অন্য কথা।
অনুচ্ছেদ ধরে ধরে যথার্থ মন্তব্য দিয়ে বেশ চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন; আমার পোস্টে এতটা সময় দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
হাবিব ব্যাংক এর সেই বিখ্যাত বিজ্ঞাপণটি ছিল নিম্নরূপঃ
(একটি পরিবারের) বাবা বলছেনঃ হাবিব ব্যাংক আমার ব্যাংক।
মা বলছেনঃ আমার ব্যাংক।
(তাদের) একটি শিশু এসে যোগ দিয়ে তার মুখে ফোটা আধো আধো বোলে বলছেঃ "আমালো তো!" খুবই মিষ্টি এবং জনপ্রিয় একটা বিজ্ঞাপণ ছিল সেটা, সে সময়ে।

১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুদীর্ঘ একদিনের মেকা পিকনিকের নানান খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরেছেন স্যার।মনে হয় প্রতিবছর এই দিনটা পিকনিকের জন্য ফিক্সড।সপ্তম শ্রেণীতে পড়তে গিয়ে যে স্মৃতিচিহ্ন আজ ফুটিয়ে তুলেছেন তা থেকে পরিষ্কার যে বালক বয়সের সেই স্মৃতি আজো সমানে মনিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে আছে।
রি- ইউনিয়ন বা মেকা পিকনিকের দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যাচ মেটদের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ্যে দিয়ে একটুকরো অতিতকে কাছে পাওয়ার সুযোগ এক পরম আনন্দের বিষয়। আগামীতেও এইভাবেই এমন রিং ইউনিয়নের মিলিত হয়ে সুখস্মৃতিতে ডুবে থাকুন।

আপনার পোস্টের মাধ্যমে ডেডস্টপ কথাটির সাথে পরিচিত হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। স্বাধীনতার যুগ বিভাজিকায় পরে ১৫/২০ ক্যাডেট আসেননি মনে হয় ওনারা স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। ওনাদের সম্পর্কে কি কলেজ পরে কোনো আপডেট পেয়েছিল? তবে সিটগুলো পুর্ণ করে নুতন করে ক্যাডেট ভর্তি করার মধ্যে দিয়ে মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহার হয়েছে বলতেই হবে।
ভালো লেগেছে একজন সহযোগী যোন্ধার চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রাক্তনীরা বহন করছেন শুনে।
সবশেষে কয়েকজন বন্ধু ক্যাডেটের চলে যাওয়া সম্পর্কে প্রকৃতির নিয়মে আমাদের সবাইকে একদিন চলে যেতেই হবে। মাঝের এই সময়টা আমরা একে অপরকে বোঝাপড়ার সু্যোগে আত্মীক করে তুলি। বন্ধুদের বিভিন্ন অবস্থান মান্না দের কফি হাউজের সেই আড্ডাটার কথা মনে করিয়ে দেয়।

আপনার এই স্মৃতিময় লেখা মেঘ রোদ্দুরে পরিপূর্ণ।যতোটা সম্ভব আপনার মনে গেঁথে আছেন যেসব বন্ধুরা তাদেরকে সাধ্যমতো খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।বাদ যায়নি তৎকালীন সময়ের রক্ষী যার পুত্র আজো বাবার প্রদর্শীত পথে মিষ্টি হাসি দিয়ে কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন।


কমেন্টের সেকশনে @ সোনাগাজীর কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে ড. আলী ভাই ওনার কমেন্টে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ড.আলী ভাইকে।
পোস্টে লাইক। শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিবছর পিকনিকের জন্য কোন ফিক্সড তারিখ নেই, তবে প্রতিবছর সাধারণতঃ শীতকালের কোন একটি দিনে প্রাক্তন ছাত্র শিক্ষকরা পিকনিকের জন্য একত্রিত হন এবং স্মৃতিচারণে মেতে ওঠেন। এ ট্রাডিশনটা বেশ কিছুকাল ধরে চলে আসছে। প্রকৃ্তির নিয়মে প্রতিবছরে কিছু যোগ বিয়োগও হচ্ছে। বিয়োগ কম, যোগ বেশি।
"মনে হয় ওনারা স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন" - না, ওনাদের কেউ কেউ রাজধানীর নাম করা কলেজ, ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন, কেউ পড়াশুনার জন্য বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। আমাদের সিনিয়রদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন, একজন সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। তার নামে কলেজের লাইব্রেরীর নামকরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য পড়ে বেশ বোঝা যাচ্ছে, চিরাচরিতের ন্যায় আপনি গভীর মনযোগের সাথে পোস্টটি পড়েছেন এবং বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এতটা মনযোগ দেয়ার জন্য।
মন্তব্য ও প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

করুণাধারা বলেছেন: একটি মিলনমেলার বিবরণ, যে দিন স্মৃতি জড়িত এক স্থানে অনেক প্রিয় মানুষের সাথে আনন্দময় সময় কেটেছে। সুখপাঠ্য বিবরণ; কিন্তু শিরোনামে সায়াহ্ন কথাটি না থাকলে আরো ভালো লাগতো...

আনন্দে উচ্ছ্বল শিশুটি কি আরহাম?

যখন আরহামের বাবা আরহামের বয়সী ছিল, তখনও কি MECAর মিলনমেলা হতো? তখন কি গিয়েছিলেন? তখন কি ভেবেছিলেন একদিন নাতি নিয়ে এখানে আনন্দমুখর কিছু সময় কাটাবেন!! যে মাঠে একসময় ছুটাছুটি করেছেন, সেই মাঠে নাতির ছুটাছুটি দেখাটা নিশ্চয়ই আনন্দদায়ক ছিল।

ভালো লাগলো আপনার পরিচিত অনেকের সম্বন্ধে জানতে পেরে। পোস্টে +++++

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আনন্দে উচ্ছ্বল শিশুটি কি আরহাম?" - আপনার অনুমান সঠিক।
বছর পাঁচেক আগেও যখন যেতাম, তখন অন্ততঃ জনা পাঁচেক আমাদের সময়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের দেখা পেতাম। এবারে মাত্র একজন শিক্ষক এবং একজন কর্মচারীর সাথে দেখা হলো। "একে একে শুখাইছে ফুল এবে, নিভেছে দেউটি" - দেখা হবার মত আর কেউ বেঁচেও নেই। সেজন্যেই মনে এসেছে কথাটা- 'সায়াহ্নের মিলনমেলা'!
যখন আরহামের বাবা আরহামের বয়সী ছিল, তখনও MECA'র মিলনমেলা হতো, তবে আমাদের কখনও যাওয়া হয় নাই, কারণ তখন আমরা প্রবাসে ছিলাম। আর "একদিন নাতি নিয়ে এখানে আনন্দমুখর কিছু সময় কাটাবো" - এমন সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনা কখনো মাথায় আসে নি।
"যে মাঠে একসময় ছুটাছুটি করেছেন, সেই মাঠে নাতির ছুটাছুটি দেখাটা নিশ্চয়ই আনন্দদায়ক ছিল" - জ্বী, অবশ্যই। ওর ছুটাছুটির আনন্দ দেখাটাই এবারে আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ ছিল।

১৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আহা ! ফেলে আসা দিনগুলি........

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেই তো.....

১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: কী সুন্দর করে বর্ননা দিলেন, পড়তে পড়তে মনে হল আমিও ঘুরে এলাম আপনাদের সাথে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.