নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ।

কুয়াশা প্রান্ত

সাধারন মানুষ । সাধারন মানুষের কথা বলতে পছন্দ করি । সাধারন মানুষের জন্য কিছু করতে চাই ।

কুয়াশা প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কোন রিস্ক নেই না

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৫৮



মদ খাওয়ার সময় আমি কোন রিস্ক নিই
না।
অফিস থেকে সন্ধ্যাবেলা বাড়ি
ফিরে দেখি গিন্নি রান্না করছে।
রান্নাঘর থেকে বাসনের আওয়াজ
আসছে।
আমি চুপিচুপি ঘরে ঢুকে পড়লাম।
কালো রঙের আলমারি থেকে বোতল
বার করলাম।
রবি ঠাকুর ফটো ফ্রেম থেকে আমাকে
দেখছেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কিচ্ছুটি টের পায়
নি।
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।
সিঙ্কের উপরের তাক থেকে গ্লাস
বার করলাম
আর টক করে এক পেগ গিলে ফেললাম।
গ্লাস ধুয়ে ফের তা তাকের উপর রেখে
দিলাম
হা, বোতল টাও আলমারি তে রেখে
দিলাম।
রবি ঠাকুর মুচকি হাসলেন।
রান্নাঘরে উঁকি দিলাম, গিন্নি
দেখি আলু কাটছে।
কেউ কিছু টের পায় নি।
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।
গিন্নি কে জিগেস করলাম: তোমার ভাইয়ের
মেয়ের বিয়ের কিছু হলো ?
গিন্নি : নাহ, মেয়েটার ভাগ্য টাই
খারাপ। এখনো পাত্র দেখছে।
আমি আবার ঘরে গেলাম, আলমারি
খুলতে গিয়ে এবার একটু শব্দ হলো।
তেমন কিছু নয় অবশ্যি।
বোতল বের করার সময় অবশ্য কোনো
আওয়াজ করিনি।
সিঙ্কের উপরের তাক থেকে গ্লাস
নিয়ে চট করে দু পেগ মেরে দিলাম।
বোতল ধুয়ে সাবধানে সিঙ্কের মধ্যে
রেখে দিলাম। আর গ্লাস টা আলমারি
তে।
এখন পর্যন্ত কেউ কোনো কিছু আঁচ করতে
পারে নি
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।
বাইরে এসে গিন্নিকে : যাই হোক,
তোমার ভাইয়ের মেয়ের বয়েস ই বা কি !
গিন্নি : কী বলছ !! ৩০ বছর বয়েস হলো,
দেখতে আরো বুড়োটে লাগে।
আমি (ভুলেই গেছিলাম বউয়ের ভাইয়ের
মেয়ের বয়েস ৩০) : তা ঠিক
সুযোগ বুঝে ফের আলমারি থেকে আলু
বের করলাম (আলমারিটা আবার
জায়গা বদলে ফেলল কি করে রে
বাবা),
তাক থেকে বোতল বার করে সিঙ্কের
সঙ্গে মিশিয়ে চট করে আর এক পেগ
পেটে চালান করলাম।
রবি ঠাকুর দেখি জোরে জোরে
হাসছেন।
তাক আলুতে রেখে রবি ঠাকুরের ছবি খুব
ভালো করে ধুয়ে আলমারিতে রেখে
দিলাম।
গিন্নি কি করছে দেখি - হ্যা, ও
গাসের উপর সিংক চড়াচ্ছে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কিসসু টের পায়
নি,
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।
আমি গিন্নিকে বললাম : তুমি আমার ছেলেকে বুড়ো
বললে ?
গিন্নি : বকবক কর না তো , বাইরে
গিয়ে চুপ করে বসো। এখন তুমি কথা
বলবে না।
আমি আলু থেকে ফের বোতল বের করে
মজাসে আলমারি তে আরো এক পেগ
গিললাম।
সিংক টা ধুয়ে ওটাকে তাকের উপর
রেখে দিলাম।
ফটো ফ্রেম থেকে গিন্নি এখনো
হেসে চলেছে।
রবি ঠাকুর রান্না করছে।
কিন্তু এখনো কেউ কিছু টের পায় নি
কারণ আমি কোন রিস্ক নিই না।
গিন্নিকে হাসতে হাসতে বললাম :
তাহলে তোমার বাবা পাত্রী দেখছে ?
গিন্নি : শোনো, তুমি মুখে জলের
ঝাপটা দিয়ে কোথাও চুপ করে বস তো !
আমি রান্না ঘরে গিয়ে চুপচাপ
তাকের উপর বসলাম।
কিন্তু এখন অবধি শ্বশুর মশায় কিছু টের পায়
নি
কারণ বৌ কোন রিস্ক নেন না।
শ্বশুর মশায় এখনো রান্না করছে।
আর আমি ? আমি ফটো ফ্রেম থেকে
গিন্নিকে দেখে এখনো হেসে
চলেছি।
কারন আমি কখনো ইয়ে নিই না, কি
যেন নিই না ......ও হা, আলু নিই না..

ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত :)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুরুতে পড়লাম গিন্নি রান্না করছেন অথচ শেষদিকে...
মদ খেয়ে মাথাটা এলোমেলো হয়ে গেছে মনে হয়!

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত।

মানে এটা কি আপনার ওয়াল থেকেই দিয়েছেন নাকি...?

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: বিনোদন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.