নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাম মানুষকে বড় করে না মানুষই নামকে বড় করে

কথা বাক্য

কথা বাক্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমারও তো বাচতে ইচ্ছা হয়।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩১

- কেমন আছিস রে?

- হুর মুর খেয়ে উঠে বললাম ভাল...ভাল আছি তো আমি। কিন্তু তুমি কে গো মশাই।

-আমায় চিনিস না! একটু জোরে সোরে বলল আমি.... আমি হলাম তোর বস।

-ঘুম থেকে উঠেছি তো ঠিক ভাল মতন বুঝতেছিনা, তবুও কথাটা শুনে হাসি পেলো ।আমি হেসে নিলাম কিছুক্ষন। বললাম তোমায় তো
বাপু আগে কখনো দেখিনি। তুমি কি এপাড়ায় থাকো নাকি নতুন এসেছ।

-সে রেগে গিয়ে আমায় বলল কথা বার্তা বুজে শুনে বল। আমি তোর ঈশ্বর।

-আমি তো অবাক! তুমি এখানে কি করে এলে। আর এখ্ন কেন এলে আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম। আসলে তোমাদের না ঈশ্বর কোন টাইম নাই হুট-হাট করে চলে আসো।

-বাদ দে তোকে যা বলি তাই শোন।

-হ্যা বল। ঘুম থেকে উঠিয়েছ তো শোনানোর জন্য বলো আমি শুনছি।

-আচ্ছা তুই এতো কথা বলিস কেন রে?

-কি বলো ঈশ্বর আমি বেশি কথা বলি। সবাই তো বলে আমি কম কথা বলি আর লিখি বেশি। কিন্তু তুমি উল্ট কেনো বলছ। তোমরা ঈশ্বর রা কি সবাই এমন উল্ট নাকি।

-আমায় রাগাবি না কিন্তু।

-আমি তোমায় রাগাচ্ছি। আর তুমি তাই রাগছ।

-শোন তোকে যা বলতে এসেছি। আমি তোর জন্য যমদূত পাঠাবো তুই তার সাথে চলে আসিস। বাহানা করিস না যেন।

-বাহা রে তুমি আমার জন্য কেনও যমদূত পাঠাবা তোমার খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নাই নাকি।
ও তুমি আমার বয়সে বড়ই হবে মনে হয়।তোমায় তাহলে আপনা-আপনি করে বলি কি বলো।

-না থাক তোর ওত ভাল সাজতে হবে না।

-আমি একটু মুখ কাচু মাচু করে বললাম হু.।.।.। আমি কি খারাপ কিছু বলেছি।

-তুই আমাকে তুমি করে বল তাতেই আমি খুশি। তবে আমার কথা তোকে রাখতে হবে।

-কি কথা।

-এই যে কেবল যেটা বললাম।

-ও আচ্ছা তোমরা বুজি ঈশ্বর রা সারা দিন বসে বসে চিন্তা করো যে কাকে কবে তোমাদের ওই বলদ টা কে পাঠাবা আমাদের মত এমন নিরহ মানুষ গুলো কে ধরে আনতে।

-বলদ মানে, বলদ কাকে বলছিস তুই।

-আরে তোমাকে না। তুমিই তো বললে তুমি আমার বস তোমায় কি বলদ বলা যায় নাকি। তোমাদের ওই কালা যমদূত কে বলেছি। ওকি আসলেই বলদ। ওর খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নাই নাকি।ও.....ওর বুজি বঊ বাচ্চা নাই তাই না। তাই তোমাদের সাথে আড্ডা মারে।

-তুই কিন্তু অনেক বলে ফেলছিস। আর ও আমাদের কাজের লোক ওকে আমারা মাইনে দিয়ে রাখছি।

ও তাই বুজি, তোমরা পারো বটে।

-তা আমি কখন যমদূত কে পাঠাবো তাই বল,

-পরে পাঠিও, এখন তোমাদের ওখানে যাইতে ইচ্ছা করছে না। পরে যাবো ওকে না করে দাও।


-কেন পরে কেন। তোর কোন আপত্তি আছে নাকি যেতে।

-আচ্ছা ঈশ্বর তোমাদের মাথায় কি ঘিলু বলে কিছু আছে। আমার তো মনে হয় নাই। আমি যে বললাম আমি যাবো না এখন আমাত ভাল লাগছে না। শোন না কথা নাকি।

- এই তুই কিন্তু অনেক শক্ত শক্ত কথা বলছিস। এমন বেশি বাইড় না বুঝলে।

-আচ্ছা তোমার আসল মতলব টা কি তাই বল তো। তুমি করতে এসেছ তাই বল।

-আমাদের পরিকল্পনা হয়েছে যে তোকে আমরা নিয়ে যাব তাই তোর সাথে দেখা করে বলতে এলাম।

- তাই বুজি। আচ্ছা ঈশ্বর তোমায় একটা কথা জিজ্ঞাসা করি।

-হ্যা কর।

-আচ্ছা তুমি কি বিড়ি, মদ এই জাতীয় খাবার খাও।

-তুই তো দেখছি আচ্ছা ব্যয়াদপ।

- কি বলো তুমি ঈশ্বর। ব্যয়া শব্দের অর্থ হল বাকা আর দপ শব্দের অর্থ আমার জানা নাই। পরে বলবো তোমায় ঠিক আছে।

- একটু রেগে গিয়ে বলল,আমায় শিখাতে হবে না তোকে।

-ও তুমি বুজি সব পার।

ঈশ্বর আমার একটা প্রশ্ন ছিল।

-হ্যা বল।

-তোমরা যখন আমায় বানিয়েছিলে তখন সে-খানে তুমিও ছিলে নিশ্চয়। তাহলে তোমাকে আমি তখন দেখিনি কেন? তুমি বুজি প্রেম করতে গেছিলে। মুখে হাসি হাসি নিয়ে বললাম নিশ্চয় তুমি প্রেমের কাজে মগ্ন ছিলে।

- না আমি তখন ছিলাম না আর তোকে বানিয়েছিলো ভগবান ব্রক্ষ্মা।

-তোমার না সেখানে থাকা কথা ছিল। তাহলে থাক নি কেন। প্রেম পরে করতে পারো নি। নাকি খুব ব্যস্ত হয়ে গেছিলে। বুজতে পারছি আমি সব।

-তুই যা বুজিস তাই বোঝ তবে তোর আমার কথা রাখতে হবে।

- আমি আকাশ থেকে পড়ে বললাম কি কথা।

-ঈশ্বর আমায় বললেন আকাশ থেকে পড়লি মনে হয়। আমি যমদূত পাঠাবো তার সাথে তুমি যাবি।

-আবার শুরু করে দিয়েছ তুমি। তোমরা না বাপু পারো বটে।

-আমি এখন যাইতে পারবো না , আর তা ছাড়া আমার পরীক্ষা আছে। পরীক্ষা বাদেও আমার অনেক কাজ আছে। কাজ না করে আমি তোমার ওই কালার সাথে যাইতে পারবো না।

-তুই কিন্তু আমার কথার উপর দিয়ে কথা বলছিস।

- কি বলো তুমি ঈশ্বর। তোমার কথা শেষ হলে তাই আমি কথা বলছি। আর তাছাড়া তুমি তো দাঁড়িয়ে কথা বলছ। আর আমি বসে, আমি কি করে তোমার উপর দিয়ে কথা বলবো বলো গো।
তোমার কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। কষ্ট হলে বসতে পারো। জায়গা আছে ।

-জোরে বলে উঠলেন আমার কোন কষ্ট হয় না। আমি দাঁড়িয়ে ভাল আছি।

-আচ্ছা তাইলে তুমি একটা কাজ করতে পারো। তোমার যখন কষ্ট নাই বা হয় তখন তুমি আমার জন্য ছোট্ট একটা কাজ কর।

- কি কাজ।

- আমি শুনেছি যে ঈশ্বর রা নৃত্য করে। কিন্তু কখনো দেখার সৌভাগ্য হয় নি। তোমার সাথে যখন দেখা হয়ে গেলো তখন তুমি না হয় আমার জন্য একটু .।.।.।.।.।.।।।

-আমি ওসব পারি না। আর পারলেও হবে না এখন ।

-কেন কেন হবে না কেন।

-মুড নাই।

- ওরে বাহাবা। তোমাদের ও আবার মুড আছে নাকি।

-কাল আমি তোর জন্য যমদূত পাঠাবো। কোন বাহান সত্বে তুমি চলে আসিস।

-বললাম না আমি এখন যেতে পারবো না। তোমার যমদূত কে আসতে মানা করে দাও। আমি এখন মরে পারবো না।

আর তাছাড়া তোমার যমদূত আমায় কুপিয়ে মারবে নাকি। আচ্ছা তোমরা বাপু এতো নিষ্ঠুর কেন বলতে পারো।
কুপিয়ে মারলে তো আমার অনেক রক্ত ঝরবে। আর তার আগে বল যে যমদূত কোথায় পাঠাবে।

-তুই যখন ওপারের রাস্তা দিয়ে একা হেটে আসবি আমি তখন পাঠাব।

-ব্যাছ। আর লাগবে না হয়েছে। ঐ রাস্তাটা অনেক নোংরা। আর তাছাড়া তোমার যমদূত আমায় মারবে কুপিয়ে। আমার সব রক্ত ঐ নোংরা জায়গায় পড়ে থাকবে এটা তো আমি চাই ন আর এটা হতেও পারে না।

- তাহলে তুই বল যে তুই কি ভাবে মরতে চাস।

-আমি তো মরতেই চাই না।

- বাহা না বাদ দে। মরার অনেক উপায় আছে । কুপিয়ে পুতে ফেলা, গোলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা, গাড়ির সাথে বেধে রাস্তা দিয়ে টেনে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এবার বল কোন ভাবে তুই মরতে চাস। যেকোন একটা পথ তোকে বেছে নিতে হবেই।

-আমি কোন ভাবেই মরবো না, মরেত অনেক কষ্ট ।
আমি এই দেশ ছেড়ে চলে যাব তবু এই ভাবে মরতে পারবো না।

-মরতে তোকে হবেই।

-আমি মরবো না। আর তোমার অই যমদূত কে আমার কাছে আসতে মানা করে দিও।আমার অনেক কাজ আছে এখন আমার মরার সময় নাই।

ঈশ্বরে সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি ঠিক পাইনি। অনেক কথা বলার ছিলও কিন্তু বলা হল না।
সামনে আমার এক্সাম কি ভাবে পড়লে ভাল হবে এই নিয়ে একটু আলাপ করব। তা না সে শুধু আমার মরার দিন বানতে আছে। এ দিন না ও দিন।


অনুসরনকৃত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.