![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জন্ম ফরিদপুরের সালতা গ্রামে। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। আমার বাবা একজন কৃষক। বাবার সাথে বহুদিন অন্যের জমিতে কাজ করেছি।
দিন দিন এমন হয়ে যাচ্ছি কেন আমি? অনেক ভাংচূর, অনেক জটিলতা। চেহারায় রুক্ষতার ছাপ স্পষ্ট। এত উদ্ধেগ, এত অশান্তি নিয়ে বেশী দিন বেঁচে থাকা যায় না। বুকের ভেতরটা ডিপ ডিপ করে সারাক্ষন। অদ্ভুত এক তেষ্টায় গলা বুক শুকিয়ে থাকে। আসলে কত গুলো ঘটনা আছে- যার লাগাম মানুষের হাতে থাকে না। New Day, New Thoughts, New Possibilities
এখন আমি অনেক কিছু বুঝতে পারি। কেউ যখন সত্যি করে বলে ভালোবাসি, সেটা যেমন বুঝি, আবার কেউ যখন মিথ্যা করে বলে ভালোবাসি, সেটাও বুঝি। ইচ্ছে করে খালাশির চাকরি নিয়ে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় চলে যাই সুমি কে নিয়ে। এক সমুদ্র আনন্দ নিয়ে রবিন সন ক্রুশোর মতো নির্জন দ্বীপে জীবন কাটিয়ে দেই। আমাজান বনের ভেতর সারাদিন ঘুরে বেড়াই। সন্ধ্যাবেলা সমুদ্রতীরে বালির বিছানায় শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে সুমিকে ভালোবাসার গল্প শুনাই।
আজ আমার মন ভালো নেই! কেউ আমাকে বুঝে না। আবার ভাবি, আমি এমন কেউ না যে আমাকে বুঝতে হবে। কিন্তু তার পরেও। এখন আমার হাতে অনেক সময়। তারপরও সারাটা দিন কি ব্যস্তই না থাকতে হয়! সুমিকে একটা চিঠি লেখা দরকার। আমি খুব বুঝতে পারছি আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। সুমিকে বলে দিব- আমার উপর কোনো আশা করো না। আমি কারো কোনো স্বপ্ন পূরন করতে পারবো না।আসলে পৃথিবীতে কেউই খুব জরুরী নয়। যে যতই জরুরী ভাবুক নিজেকে, বা প্রিয়জনকে, তবু তাকে ছাড়াও চলে যায়। তবে খুব বুঝতে পারি এই পৃথিবীতে কিছুই টিকে থাকে না, কেবল ভালোবাসা ছাড়া।
আমি প্রতি মুর্হুতে বোকামি আর প্রচুর ভুল করি। আমার সব ঝামেলার জন্য আগে আমি অন্য সকলকে দোষি করতাম, কিন্তু যত বয়স হচ্ছে, জ্ঞান লাভ করছি, আমি অনুধাবন করছি- সব দোষ আমার নিজেরই। আজ মধ্য রাত্রে সুমিকে ফোন করে বলবো- মানব মানবীর কাহিনী খুব পুরোনো। পৃথিবীর সেই প্রথম মানবী ও মানব থেকে শুরু হয়েছিল তাদের কাহিনী। এইসব কাহিনী বারবার বলা হচ্ছে। বলাই হয়ে যাচ্ছে কেবল। আজও মানব ও মানবী শুধু কাছে আসে, সরে যায়, কাছে আসে, সরে যায়, কাছে আসে...।
ঘুম থেকে উঠার পর মনে হয়- আকাশের রং বদলে যাচ্ছে। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে এসিডের গন্ধ। কী যেন হচ্ছে চারিদিকে! পৃথিবী বদলে যাচ্ছে আমার চারিদিকে! আমার জীবনে একটা স্বপ্ন আছে। অনেক অপমান, ব্যর্থতা, কষ্ট, দুঃখ মুছে ফেলার স্বপ্ন। কাল রাতে স্বপ্নে দেখি- ঈশ্বর স্বর্গের চাবি আমার হাতে তুলে দিয়ে বলছেন-যা ইচ্ছে তাই করো!
সুমি শুধু পারে আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করতে। আচ্ছা, আমার কি আন্তরিকতা নেই? ইচ্ছে করে এক লাফে গিয়ে সুমির সামনে গিয়ে দাঁড়াই। এই অবদমিত ইচ্ছা মনের মধ্যে আরও রাগ বাড়িয়ে দেয়। সত্য কথা বলতে কি সুমিকে এড়িয়ে চলার আমার কোনো শক্তিই নেই। বরং যেখানে যে অবস্থাতেই থাকি সুমিকে একটু দেখার জন্য একটু কথা বলার জন্য দিন রাত ব্যাকুল হয়েই থাকি। সুমির কাছ থেকে দূরে থাকার যন্ত্রনা, আমি সুমিকে কি করে বোঝাই, কি করে সুমির কাছে নিজের কাছে বিশ্বাস যোগ্য করে তুলি তা একদম জানি না বলেই তুমি নানা সন্দের মধ্যে থাকো। সুমির ভালোবাসাটুকু আমাকে ঘিরে আছে বলেই -আমার অনেকদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে। সুমি'ই আমার সব! অথচ সুমির উদ্ধেগ দূর করার কোনো কৌশল বা কায়দা'ই আমার জানা নেই। সুমির কাছে থেকেই জেনে নিতে হবে।
আমি একা একা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পর পর দুটা সিগারেট শেষ করলাম। এখন মনে হচ্ছে আমার মতো নির্বোধ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। সেদিন রাতে স্বপ্নে দেখি, চারিদিকে ছোট বড় অনেক পাহাড়। জ্যোন্সা রাত। বেলী ফুলের মালা হাতে নিয়ে সুমি একা বসে আছে। সুমির ডান পাশে বিশাল একটা নদী। নদী আর আকাশ মিশে যেন এক হয়ে গেছে। আকাশের তারা গুলো খুব বেশী জ্বল জ্বল করছিল। বাতাসে সুমির চুল উড়ছে। এই যে সুমি আকাশের দিকে মুখ করে বসে আছে- কি যে সুন্দর লাগছে....! কিন্তু আমি ইচ্ছা করেই সুমির কাছে যাই না, মনে হলো সুমির পাশে গিয়ে দাঁড়ালে, সব এলোমেলো হয়ে যাবে। তাই আমি দূর থেকেই সুমিকে দেখতে থাকি।
মনটা ছট ফট করে। অস্থিরতা বেড়ে যায়। বড় বেশী বিষন্ন লাগে বিশাল আকাশের নীচে।
দয়া করে আমাকে 'জেনারেল' থেকে মুক্ত করুন।
©somewhere in net ltd.