নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকার ট্যাগিং কে লাল কার্ড দেখালো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা !

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৮


এই বিজয় মুসলিমের, এই বিজয় অমুসলিমের।
এই বিজয় হিজাবীর, এই বিজয় নন হিজাবীর।
এই বিজয় নারীদের, এই বিজয় ঢাবির, এই বিজয় আমাদের সবার।

যে পরীক্ষায় অবতীর্ণ করেছো তার যথাযোগ্য মান রাখার তৌফিক দিও খোদা আমাদের-তাসনিম জুমা।

জুমা আপা জিতে গেলেন! একেবারেই অবিশ্বাস্য ব্যাপার। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্যানেলের প্রার্থীদের অন্তত এতটুকু আস্থা ছিল যে শিবির ঘরানার তাসনিম জুমা হেরে যাবেন। কিন্তু বাস্তবতা দাঁড়াল উল্টো - জুমা আপা প্রায় সাড়ে দশ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এই ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বয়ানে আর সন্তুষ্ট নন। জুমা আপার মুজিববাদ ও ৭২ সংবিধান বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি এবং জিয়াউর রহমানের প্রতি পক্ষপাত ছাত্রদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আসলে জুমা আপার একটা বিশেষ গুণ আছে - উনি দারুণ adaptive। প্রয়োজনমতো কখনও শাহবাগী স্টাইল, আবার কখনও জামায়াতি ঢং। এই flexibility টা আজকাল অনেকেই পছন্দ করে।

সবচেয়ে interesting ব্যাপার হলো নারী শিক্ষার্থীরা দিল খুলে জুমা আপাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। সবার ধারণা ছিল মেয়েরা উমামা ফাতেমাকে বেছে নেবে, কিন্তু উমামার "বাম" পরিচয়টাই তার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াল। ঢাবির মেয়েরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে তাদের পছন্দ জুমা আপার মতো প্রার্থী। এটা তাদের একটা conscious choice বলেই মনে হচ্ছে। বাম নেতা মেঘ মল্লার বসু মাত্র পাঁচ হাজার ভোট পেয়েছেন। দেবু লাল ফরিদী ওরফে নিপুণ কথন দাদা এই হার দেখে কী ভাবছেন জানার ইচ্ছা হচ্ছে। ছেলেটা কিন্তু বেশ কাজের মানুষ - একমাত্র সে-ই ডাকসু নির্বাচনের আগে জাতীয় ইস্যুতে কাজ করেছে। গত ঈদে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছিল। ডাকসুতে এসব humanitarian কাজের তেমন দাম নেই মনে হচ্ছে। তবে মেঘ বাবু কোনো বড় দলে গেলে দ্রুত স্টার হয়ে যেতে পারেন।

ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ইউনুস স্যার আর তার টিম নিশ্চয়ই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। উপদেষ্টাদের পায়ের তলায় মাটি ফিরে পেয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মুখে এখন চওড়া হাসি! আশা করি ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনও এভাবেই সুন্দর করে সারতে পারবেন। স্যারের বাকি জীবনটাও এরকম হাসিখুশিতেই কাটুক। পতিত স্বৈরাচার ভেবেছিল বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ডাকসু নিয়ে বড় ফ্যাসাদ হবে আর তারা দূর থেকে তামাশা দেখবে। কিন্তু সে আশা পূর্ণ হল না। এখন উল্টো তারাই ছাত্রদলের পরাজয় নিয়ে হাসাহাসিতে ব্যস্ত। অথচ নিজেদের অবস্থা আরও খারাপ - নেতা দেশে নেই, কর্মীরা সব শশুরবাড়ির পথে!

ডাকসুতে পিআর ছাড়াই জামায়াত ভালো ফল করায় জাতীয় নির্বাচনেও তারা optimistic থাকতে পারে। এই momentum টা কাজে লাগিয়ে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানানো উচিত। তাদের এই নতুন প্রজন্মটা বেশ smart। পুরনো ব্যাগেজ ঝেড়ে ফেলে নতুন করে রাজনীতি করছে। আওয়ামী-বিএনপির পুরাতন রাজাকার ট্যাগিং আর কাজ করছে না। জামায়াতের প্যানেল জিতে যাওয়ার পর ছেলেরা "হিজাব হিজাব" স্লোগান দিচ্ছে দেখে বেশ মজা লাগল। গতবছরই তো কোন সংগঠন হিজাবকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতীক ঘোষণা করেছিল! তবে interesting ব্যাপার হল নারীদের হিজাব নিয়ে পুরুষরা স্লোগান দিচ্ছে। মেয়েরা দিলে বিষয়টা আরও authentic মনে হতো।

অনেক সাবেক ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়েদের জাশিতে ভোটের জন্য হতাশা প্রকাশ করছেন। কিন্তু তারা হয়তো ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনের সম্পূর্ণ ইতিহাস জানেন না। সেখানেও শিরিন এবাদির মতো নারীরা শাহ সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা আশা করেছিলেন খোমেনি আধুনিক ইসলামিক গণতন্ত্র চালু করবেন। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তের সঠিক মূল্যায়ন করা দরকার। তারা যদি জামাত-শিবিরের রাজনৈতিক দর্শনকে পছন্দ করে এবং সেই মতো জীবনযাপন করতে চায়, সেটা সম্পূর্ণ তাদের অধিকার ।

It's her choice - এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।




মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫

নতুন বলেছেন: It's her choice - এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।


বেড়ার কে কিভাবে মরিচের ঝাল খাওয়াতে হয় এই গল্পটা শুনেছেন???

নারীদের তারা কিছুই বলবেনা কিন্তু আস্তে আস্তে যারা হিজাব না করে তাদের ছোট করে দেখাতে চেস্টা শুরু হবে।

বর্তমান যদিও বেশির ভাগ নারীরাই ৫ ওয়াক্ত নামাজ না পরলেও তারা কিন্তু ৫ ওয়াক্ত ফুল হিজাবী। কারন সমাজে হিজাবীদের ভালো বলে। আর ফেসবুকে হিজাব বিক্রেতারা তো হিজাব পড়লে নারীরে জান্নাতী হতে পারবে তার সব রকমের তরিকা বলে দেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সকল মেয়ের উচিত জান্নাতী হওয়ার চেষটা করা ।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২০

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: ডাকসু র কাজগুলো কি কি ভাই,এই বিষয়ে একটা পোস্ট লেখেন তো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ডাকসু থেকে জাতিয় পলিটিকক্সের হাতেখড়ি হয় বলে সবার ধারণা।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই ব্যাখ্যাগুলো স্বল্পমেয়াদের জন্য ঠিক আছে, তবে দীর্ঘমেয়াদের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে মনে করি।

রাজাকার মানে কেয়ামতের আগ পর্যন্ত রাজাকার - এই কথাটার মানে খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে।

এখন তথাকথিত স্বাধীনতার পক্ষের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চেতনা-ব্যবসায়ী ডাকাত দলটির অপকর্মের পাল্লা সীমাহীন বলে আপাতত জাসি- এন্টিথিসিস মাঠ গরম করে রেখেছে। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। এর চেয়ে বেশি হওয়া মানে কেয়ামতের লক্ষণ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মানুষ যদি জামাত কে চায় আপনি করবেন ? জামাত তো রাতের আধারে ভোটে জিতবে না । সরাসরি জিতবে ।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৫

নিমো বলেছেন: আপনি নিশ্চিত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নির্বাচন তো হয়েছে। সেটাই তো টিভিতে দেখলাম ।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪০

নিমো বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নির্বাচন তো হয়েছে। সেটাই তো টিভিতে দেখলাম ।

হুম! বাংলায় অবশ্যই নির্বাচন হয়েছে, তবে ইংরেজিতে সিলেকশন হয়েছে। ইউনূসের অবশ্য বাংলা ভালো লাগার কথা নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইংরেজিই পছন্দ হওয়ার কথা। কেবল জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাই লাল কার্ড কেন দেখালো বলে আপনার ধারণা? আপনার শিরোনাম সঠিক ধরলে ওরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে। দয়া করে আবার বলে বসিয়েন না সব স্বৈরাচারের দোসর, ভারতীয় দালাল জগন্নাথ হলে বাস করে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি আমাকে কঠিন কোয়েশচন করেছেন । আমি বলতে পারছি না আপাতত । তবে আমার লেখাটা আপনি সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন নি মনে হয় । বারবার পড়ুন।

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৯

নিমো বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তবে আমার লেখাটা আপনি সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন নি মনে হয় । বারবার পড়ুন।

না বোঝার মত কিছু লিখেছেন বলেতো মনে হয় নাই। আপনার আশংকা সত্য হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভাতের থালার সীমানার অংশ আগে খেতে হয়। তবে জগন্নাথ হল এভাবে পল্টি নিবে এটা ইউনূস, নিয়াজ এরা হিসাবে ধরে নি। তাই দুধে এক ফোঁটা চনা পড়ে যাওয়ায় জা-শির ইতিহাস পাতিহাস হয়ে গেল। যেমন সত্যপথিক শাইয়্যান মুজাহিদ তালিবান গুলিয়ে বিপ্লবের তালগোলে হরিবল করেছেন। জাতীয় নির্বাচনে জা-শি ক্ষমতায় এলেও সমস্যা নাই। ক্ষমতায় আসা আর টিকে থাকা এক কথা নয়। নূতল বাংলাদেশ ২.০ বলে কথা। হা!-হা!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নতুন বাংলাদেশে শিবিরকে রাজাকার বলে লাভ হবে না । :)

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



মানুষ যখন মানুষের পর্যায়ে থাকে না, তারা হামাসের মাঝে শান্তি খুঁজে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হামাস নিধন করতে গিয়ে ইসরায়েল কাতারে হামলা চালালো। ইসরায়েল বেশি এগরেসিভ মনে হয় ।

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৯

নিমো বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নতুন বাংলাদেশে শিবিরকে রাজাকার বলে লাভ হবে না । :)
শিবির রাজাকার ছিল, আছে, থাকবে। কারও বলাবলি বা লাভালাভের জন্য সেই সত্য বদলে যাবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস পড়েন। রাজনীতিতে শত্রু-মিত্র বদলাতে সময় লাগে না। জা-শি চাইলেও তার আদর্শ পুরোদমে গোটা দেশে চাপাতে পারবে না। ডাকসু কি এবারেই শেষ, আর হবে না। জাতীয় নির্বাচন কি একবারই হবে আর হবে না। জাতীয়বাদী ব্লগারদের পোস্টের অপেক্ষায়। একই সাথে এত দিন যারা ব্লগে বৈষম্য বিরোধ ব্যানার, ছ্যাঁচড়া পার্টির ছায়াতলে জা-শি গিরি করছিলেন, তারা লজ্জা ভেঙে বেরিয়ে আসবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ গোটা দেশ যখন তাদের চাইছে, তখন তাদের গুপ্ত থাকা মানায় না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিবিরকে গুপতো পলিটিক্সে বেশি মানায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.