নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মরে গেলে পঁচে যায় আর বেঁচে থাকলে বদলায় ।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের! দেশকে মেধাশূণ্য করে দেয়ার যে চক্রান্ত করা হয়েছিলো সেটা অনেকাংশে সফল হয়েছে। জাতির মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাভাবনা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ জীবিত রয়েছেন যারা বুদ্ধিজীবী হিসাবে সবার নিকট গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন।

ফরহাদ মজহার: মজহার সাহেব জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বললে ভুল হবে না। তিনি বাংলাদেশের ডানপন্থী ও বামপন্থী ছাত্র- জনতাকে একই মঞ্চে এনেছেন ৷তিনি নিজেকে সুফি ধারার মানুষ মনে করেন এবং সকল ধরণের ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে। তিনি প্রচলিত গণতান্ত্রিক কাঠামোতে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি সম্ভব নয় বলে বিশ্বাস করেন। বর্তমানে তিনি জার্মান দার্শনিক কার্ল শ্মিটের গণসার্বভৌমত্বের ধারণা তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন। বুদ্ধিজীবী হলেই যে কারো জীবন শুকনো যাবে এমন ধারণায় ফরহাদ মজহার বিশ্বাসী নন। তিনি বেশ রঙিন জীবনযাপন করেছেন। তিনি একজন ডানপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসাবে সমাজে পরিচিত।

সলিমুল্লাহ খান : জুলাই আন্দোলনের পূর্ব প্রস্তুতির ধারণার কিছুটা আভাস পাওয়া যেত সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্যে। উনার বক্তব্য এদেশের তরুণেরা মনোযোগ দিয়ে শোনে ৷ তিনি মূলত বাম ঘরানার বুদ্ধিজীবী এবং আহমেদ ছফার শিষ্য । কিন্তু গুরুর চেয়ে শিষ্য অনেকটাই আলাদা। সলিমুল্লাহ খান ডান ও বাম দুই ঘরানার মানুষের নিকট বেশ পরিচিত তার বাকপটুতায়। জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছিলেন। তিনি সাধারণ লিবারেল সোসাইটির সাথে মাদরাসা বেকগ্রাউন্ডের সংযোগ ঘটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। সলিমুল্লাহ খান টেক্সটবুক বুদ্ধিজীবী হিসাবেই বেশি বিবেচিত হবেন।

সিরাজুল আলম চৌধুরী : সিরাজুল আলম চৌধুরী একজন বাম ঘরানার লিবারেল বুদ্ধিজীবী। তিনি বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিটি সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। কোথায় জানি শুনেছিলাম, সিরাজুল আলম সাহেব ৮০/৯০ জেনারেশনকে ভুল পথে পরিচালিত করেছেন; উনার সম্পর্কে আমার জানা শোনা সীমিত । তবে সিরাজুল আলম সাহেবের লেখা বেশি পত্রিকায় পড়া হয়েছে। তিনি সমাজের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন।

আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ : তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। উনার ভাবনা চিন্তা সরল এবং সেগুলো বেশ অনুপ্রেরণামূলক। তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। উনার কারণে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় বাস করেও দেশ-বিদেশের বই পড়ার সুযোগ পেয়েছি। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কারণে বাংলাদেশের হাজারো শিশু-কিশোর জ্ঞানের সাথে, আধুনিক বিশ্বের সাথে পরিচিত হয়েছে এবং কল্পনা করতে শিখেছে। তিনি আড়ালে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। উনার বক্তব্য এবং ভাবনা চিন্তা আমাদের শিশু-কিশোরের সময়টাকে বেশ প্রভাবিত করেছে। স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৩০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ : তিনি একজন সাদা মনের মানুষ।
স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করি।

.............................................................................
উনার কাছাকাছি একসময় হতে পেরেছিলাম
যখন তিনি স্বপ্ন দেখতেন এই " বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র " নিয়ে ।
সর্বদা সময় দিতে পারি নাই বিধায়,
পরবর্তীতে যোগাযোগ আর ছিল না ।
.................................................................................
তার চিন্তার ধারাকে শ্রদ্ধা জানাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.