নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Collection

মুদ্রা সংগ্রাহক

যা দেখি, যা অনুভব করি, তা বলতে চাই......

মুদ্রা সংগ্রাহক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্য এশিয়ার রোজনামচা (কাজাখস্তান পর্ব ১ )

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৫

সেন্ট্রাল এশিয়ার কোন একটা দেশ ঘোরার ইচ্ছে সবসময়ই ছিল, আর যেহেতু গত ১ বছর ধরে সেন্ট্রাল এশিয়ার মার্কেট নিয়ে কাজ করছি তাই আশা ছিল কাজের অছিলাতে হলেও হয়ত কোন একটা দেশ ঘুরে আসা হবে। ক্লায়েন্ট যখন একটা বড় জব কাজাখস্তান আর কিরগিজস্তান এর জন্য কমিশন করল তখনই বুঝতে পারলাম এইবার ঘুরে আসা আর মিস হবে না। সেন্ট্রাল এশিয়াতে আমি কাজ শুরু করার আগে দেশগুলি সম্পর্কে জানতাম খুব কমই। মুদ্রা সংগ্রহ করার সুবাদে শুধু এটুকু জানতাম যে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর বেশ কয়েক বছর ধরে মুদ্রাস্ফীতির কারণে কয়েকটি দেশ বেশ কয়েকবার তাদের মুদ্রা/নোটগুলি পরিবর্তন করেছে। আমার সংগ্রহে ২০০৫ এর পরে চালু হওয়া সকল মুদ্রাগুলি থাকলেও তার আগের কালেকশন খুব ভাল না। সুতরাং অফিশিয়াল কাজের পাশাপাশি পুরাতন মুদ্রা সংগ্রহের একটা ভাল সুযোগ ও চলে এলো হাতে। যে কোন নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে ইন্টারনেট ঘেঁটে যতটা পারি তথ্য জেনে রাখার চেষ্টা করি। আর লোনলি প্ল্যানেট তো আছেই। যেহেতু অফিশিয়াল ট্যুর তাই খুব একটা ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ নেই। তাছাড়া আমি যাচ্ছিও শুধুমাত্র আলমাতি ( কাজাখাস্তানের প্রাক্তন রাজধানী) এবং বিশকেক ( কিরগিজস্তানের বর্তমান রাজধানী) তাই এই দুই শহর যেন ভালমতো ঘুরে দেখতে পারি তার জন্যই নেট ঘাঁটাঘাঁটি আর লোনলি প্ল্যানেট পড়া শুরু করলাম। বাংলাদেশ পাসপোর্ট-ধারী যে কোন ভাই ই জানেন যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শুধু সবুজ পাসপোর্টের কারণে ভিসা নাও মিলতে পারে, আমার নিজেরই এ ব্যাপারে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। তাই ভিসা না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলাম না। বেশ জটিল প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ভিসা মিলল ২ দেশেরই। ক্যামেরা আমার স্ত্রীর কাছে থাকায় আর স্ত্রী দুবাই এ না থাকার কারণে প্রাথমিক যে দুশ্চিন্তায় পড়লাম সেটা হল ছবি তুলব কিভাবে? আর এই উপলক্ষে আমার মত অতি আনস্মার্ট ব্যক্তি জীবনের প্রথম স্মার্ট-ফোন কিনে ফেলল। ফোনটা ওই দুই দেশে যতটা ব্যবহার করেছি তার পরে ১ বছরে ও হয়ত ততটা ব্যবহার করিনি। এই নিয়ে প্রচুর হাসাহাসি আমার অতি ডিজিটাল বন্ধুবান্ধবরা করেছে এবং প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে, কিন্তু চামড়া জানিনা ঠিক মোটা না পিচ্ছিল, পিচ্ছিলই হবে হয়ত তা পিছলে বেরিয়ে যায়। যাই হোক ভিসা মিলে গেছে, ছবি তোলারও চিন্তা নেই তাই বদর বদর করতে কোন এক বুধবার সকালে রওয়ানা দিলাম বিমানবন্দর এর দিকে আলমাতির উদ্দেশ্যে। প্রচণ্ড কুয়াশা এবং তার ফলশ্রুতিতে সৃষ্ট যানজট এর কারণে শারজাহ বিমানবন্দরে পৌঁছলাম ফ্লাইটের মাত্র ১৫ মিনিট আগে এবং জানতে পারলাম যে ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত।





ছবি: গুগল



সময় যখন বেঁচেই গেল, লোনলি প্ল্যানেট এর না পড়া অংশ শেষ করে ফেলতে তো কোন দোষ নেই।



নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে বিমান ছাড়ল আলমাতির উদ্দেশ্যে। রাশিয়ানদের বই-প্রীতির কথা আগে থেকেই জানতাম, দেখলাম সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাক্তন সদস্য কাজাখস্তানের লোকজনও সেই রীতি বজায় রেখেছে। বিমান ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই দেখি বেশ কয়েকজন কাজাখ, বই ( বেশীরভাগই পেপারব্যাক) খুলে পড়া শুরু করে দিয়েছে। এই দৃশ্য বিলেতে দেখেছি, ভারতে এই পরিসরে না হলেও দেখেছি, দুঃখ হল বাংলাদেশে কখনো দেখিনি, আগে তাও বা ট্রেন ভ্রমণে হাতে গোনা দু-একজনকে আমি বই হাতে দেখেছি তা এখন আর দেখিনা। অনেকে সারা রাস্তা ফেসবুকে কাটিয়ে দিতে পারে কিন্তু বই নৈব নৈবচ। লোনলি প্ল্যানেট পড়া শেষ, অফিসের কাজ শেষ করে কোথায় কোথায় যাব তার একটা খসড়াও বানানো শেষ। বিমান ভ্রমণের বাকি সময়টা স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটালগ অব ওয়ার্ল্ড কয়েন এর কাজাখস্তান আর কিরগিজস্তান সেকশনে চোখ বুলাতে বুলাতে পার হয়ে গেল।



বিমান অবতরণ শুরু হতেই দেশটাকে ভাল লাগতে লাগল। তিয়েনশান পর্বতমালার কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা আলমাতিতে সূর্য বিদায় নেওয়ার আগে যেন আমাকে তুষার-শুভ্র পর্বতমালার উপর থেকে স্বাগতম জানাচ্ছে।



ছবি: গুগল



সেন্ট্রাল এশিয়ার প্রত্যেকটা দেশেই রাশান ভাষার এমন দাপট যে ইংরেজ দের ভাষা কেউ ব্যবহার করে না বললেই চলে। এই দেশগুলোর যে সকল এজেন্সীর সাথে আমি কাজ করি তাদের সাথে কমিউনিকেশনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি যে এখানে ইংরেজী বলতে গেলে চলেই না।







কাজাখস্তান এমন এক দেশ যেখানে ইমিগ্রেশন অফিসাররা ও ইংরেজী বলেন না, আমি ইমিগ্রেশন এর সময় কিছু প্রশ্ন করাতে আমাকে ইংগিত এ একটা ফর্ম দেখিয়ে বুঝিয়ে দিল যা কিছু দরকার সব ওই ফর্মে লেখা আছে এবং আমি যেন তাকে আর ডিস্টার্ব না করে মানে মানে ওদের দেশে ঢুকে যাই। আমিও কথা না বাড়িয়ে সুড়ুৎ করে ঢুকে পড়লাম দেশটার ভিতরে। আলমাতিতে বিকেলের শেষ আলোয় অবতরণ করলেও বাইরে বেরোতে বেরোতে পুরো সন্ধ্যা। শুরু হল এমন একটা দেশে আমার যাত্রা যেখানে সবকিছু রাশান/কাজাখ এ লেখা, রাস্তাঘাটে যেখানে কোন লোক ইংরেজী বলেন না। তখনো জানতাম না যে বেশীরভাগ সময় কথা না বরং হাত নেড়েই কাজ চালাতে হবে বাকী কয়েকটা দিন।



চলবে



দ্বিতীয় পর্বের লিংক

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: খুবই চমৎকার একটা লেখা। অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ছিলাম, কিন্তু হঠাৎ করে লেখাটা শেষ হয়ে গেল কেন বুঝলাম না........।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৯

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্য। আর এটাতো রোজনামচা ১ মানে প্রথম পর্ব, চেষ্টা করছি তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্ব দেওয়ার জন্য। সঙ্গে থাকুন।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: Interesting!!!! :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২০

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ জহির ভাই, পরবর্তী পর্ব আসছে, সঙ্গে থাকুন।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

ম.র.নি বলেছেন: বেশি বেশি ছবি চাই..।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ক্যামেরা ছিল না সাথে, মোবাইল ক্যামেরায় যা যা তুলেছি দিতে থাকব। সঙ্গে থাকুন।

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৪

অ্যামাটার বলেছেন: ভাল লাগছে! চলুক। সেন্ট্রাল এশিয়া সম্বন্ধে জানান আমাদের। লাইফস্টাইল, কালচার। মুসলিম মেজরিটি তো, না?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আস্তে আস্তে সবই আসবে - ধর্ম, কালচার, লাইফস্টাইল। মুসলিম মেজরিটি বটে, তবে কাজাখস্তানে খুব কম লোকই ধর্ম পালন করে বলে মনে হয়েছে। কাজাখস্তানের তুলনায় বরং কিরগিজস্তান এর লোক তুলনামূলক ভাবে ধর্ম নিয়ে বেশী ভাবে, নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিতে পছন্দ করে।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার লেখা ভালই লাগছে ...
কাজাকিস্তানের টাইম জোন কি বাংলাদেশের মত +6 Gmt?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। কাজাখস্তানের টাইম জোন বাংলাদেশের মত। কম্পিউটারে টাইম ঠিক করার সময় দেখবেন ঢাকা আর আস্তানার ( কাজাখস্তানের বর্তমান রাজধানী) সময় একই দেখায়।

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মঙ্গোলিয়ান, রাশিয়ান আর পারসিয়ান মিশ্রণ কাজাখ মেয়েরা সুন্দরী ভীষণ :প

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আরে কাহিনী শুধু সেটা না, ওরা আবার আমাদের মত বাদামী চেহারার লোকজন দেখলে হাঁ হয়ে তাকিয়ে থাকে। ওখানে গিয়ে বুঝেছিলাম আমাদের দেশে সাদা চামড়ার লোকেরা কিরকম অস্বস্তিতে থাকে। আর সুন্দরীদের কথা নাই বা বললাম। ওনারা তো আছেনই, উপরন্তু ওনারাই আবার প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু করার গুরুদায়িত্ব নিয়ে নেন। পাছে লোকে কিছু বলে কবিতা টা আমাদের দেশের কবি লিখলে্ও সেটা বুঝেছে কাজাখ সুন্দরীরা। আমার বেশীরভাগ বন্ধুবান্ধব তো সব দেশ বাদ দিয়ে এখন কাজাখস্তান যাবে ঠিক করেছে।

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: তাড়াতাড়ি দেন, অপেক্ষায় রইলাম।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: দিচ্ছি, দিচ্ছি, যত জলদি সম্ভব দিয়ে দিচ্ছি। সঙ্গে থাকুন।

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

েবনিটগ বলেছেন: ++

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায়...........

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: চেষ্টা করছি যাতে তাড়াতাড়ি দিতে পারি, সঙ্গে থাকুন।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

জুন বলেছেন: যদিও অনেক পরিচিত দেশ বিভিন্ন রাশান বই পড়ার সুবাদে কিন্ত চর্ম চক্ষে দেখা লোকের সাক্ষাৎ পাইনি বললেই চলে। আপনার লেখায় কাজাখিস্তান দেখতে পাবো ভেবে খুব ভালোলাগছে।আর বই পড়ার ব্যাপারটা ১০০% কারেক্ট। যাত্রা শুরু্র খুব সুন্দর বর্ননা দিয়েছেন বাকীটুকু পড়ার আশায় রইলাম মুদ্রা সংগ্রাহক ।
অটঃ লোনলি প্ল্যানেট আমাদের ও সাথী।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু। আপনার/জহির ভাই এর ভ্রমন ব্লগ ই তো অনুপ্রেরণা জোগাল আমাকে লেখার জন্য।

লোনলি প্ল্যানেট এর কথা আর কি বলব, ভ্রমন কে যে এরা কত সহজ করে দিয়েছে তাতো আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

গোর্কি বলেছেন:
মধ্য এশিয়া ভ্রমণ আনন্দময় হোক।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ গোর্কি। অনেক আগেই ভ্রমণ শেষ করে নিজ ডেরায় ফিরে এসেছি কিন্তু।

১২| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৬

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেছেন: ওয়াও, তুষার শুভ্র পর্বতমালার ছবি দেখে অভিভূত। যেতে ইচ্ছে করছে। চমৎকার শুরু।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২২

থিওরি বলেছেন: ভাল লাগছে. অতি চমৎকার একটা লেখা।
২ আর ৩ পরে দেখি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ থিওরি। দ্বিতীয় আর তৃতীয় পর্ব কেমন লাগল?

১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার হাসবেন্ড এর অফিসের ব্রাঞ্চ থাকায় , গল্প শুনেছি কাজাক এর
আপনার লেখা ভাল লাগলো :)


আপনি কি এখন ও দুবাই থাকেন ?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা। সময় সুযোগ বুঝে একবার ঘুরে আসুন কাজাখস্তান - আশা করি ভাল লাগবে।

দুবাই ছেড়েছি ৬ মাস হল। বর্তমানে মিশরে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.