![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় ঠিক কোন্ সময় আফ্রিকা যাওয়ার ইচ্ছা মনের মধ্যে গেঁড়ে বসেছিল তা ঠিক মনে করতে না পারলেও এটা বেশ মনে আছে যে এর পিছনে সেবা প্রকাশনীর ভূমিকা অনেকখানি। মনের মধ্যে ইচ্ছাটা পোক্ত করার পিছনে হাত রয়েছে বেশ কয়েকজন লেখকের তবে তাদের মধ্যে আলাদা করে জন হান্টার, হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড আর এডগার রাইজ বারোজ এর কথা বলতেই হবে। আর একজনের ভূমিকা না বললেই নয় - আমার মায়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী যিনি বেশ কয়েক বছর কেনিয়া এবং উগান্ডাতে ছিলেন। তাঁর কাছেই প্রথম জানতে পারি যে কেনিয়া নামক দেশটিতে বন্যপ্রাণীর এমন রিজার্ভ আছে যেখানে বন্যপ্রাণীরা মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ায় আর মানুষেরা খাঁচার ( মানে গাড়ীর মধ্যে আর কি) মধ্যে থেকে তাদের কে দেখে। তাই ২০১১ এর ঈদের ছুটিতে আমার বেশীরভাগ সহকর্মী যখন ইউরোপ বা নিজ নিজ দেশে উড়াল দিল তখন আমি পাড়ি জমালাম কেনিয়ার দিকে। কেনিয়াতে যাওয়ার পিছনে আর একটা যে প্রধান কারণ ছিল সেটা হল ঠিক সেই সময় গ্রেট মাইগ্রেশন এর মূল অংশ টা ছিল মাসাই মারায়।
কেনিয়া তে বেশ কয়েকটা ফরেস্ট রিজার্ভ আছে - কিন্তু ৯ দিনের সফরে তো আর সবগুলো দেখা সম্ভব না। তাই ঠিক করে ফেললাম মাসাইমারা ন্যাশনাল রিজার্ভ, লেক নাকুরু ন্যাশনাল পার্ক, লেক নৈভাসা আর আম্বোসেলী ন্যাশনাল পার্ক যাওয়া হবে। এক্ষণে বলে রাখি, বিভিন্ন পার্ক/রিজার্ভের এবং তার আশেপাশের ল্যান্ডস্কেপ, বন্যপ্রাণী, স্থানীয় জাতিগোষ্ঠী আলাদা, সেই কারণে সময় থাকলে প্রত্যেকটা পার্ক/রিজার্ভ ঘুরে দেখতে পারলে ভাল আর আমার মত হাতে বেশী দিন না থাকলে যে কয়টা সম্ভব তা বেছে নিতে হবে আরকি।
নাইরোবী তে হোটেল এ ব্যাগ ট্যাগ রেখেই বেরিয়ে গেলাম বোমাস অব কেনিয়া দেখতে। ২০ মিনিটের রাস্তা যখন দেড় ঘন্টায় পৌঁছলাম তখন কিছুটা শাপ শাপান্ত করলাম আমার এক কেনিয়ান সহকর্মীর উদ্দেশ্যে। বেশ কয়েকবার তার সামনে ঢাকার যানজট নিয়ে আলোচনা করলেও যে কিনা ঘুণাক্ষরেও নাইরোবীর যানজট এর কথা উল্লেখ করেনি। বোমাস অফ কেনিয়ার মূল আকর্ষণ হল এখানে কেনিয়ার প্রায় ৫০ টি জাতিগোষ্ঠীর গ্রাম/বাড়ীঘরের রেপ্লিকা রয়েছে।
আরও রয়েছে ১২ টির মত জাতিগোষ্ঠীর নৃত্যানুষ্ঠান উপভোগের সুযোগ।
বোমাস অফ কেনিয়ার পরের গন্তব্য বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট কার্নিভোর। নাম শুনেই হয়ত আন্দাজ করতে পারছেন যে মাংসাশী মানুষের জন্য কি চমৎকার একটা রেস্টুরেন্ট হতে পারে সেটা, আর বেশী কিছু না বলে সেদিনের থুক্কু সে'রাতের মেন্যুটা দিয়ে দিই।
যারা আমার কাঁচা হাতের তোলা ছবি থেকে বুঝতে পারছেন না কি কি আছে মেন্যুতে তাদের জন্য জানিয়ে দেই গরু, ভেড়া, মুরগী, টার্কি এইসব সাধারণ দৈনন্দিন প্রাণী ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় উট, উটপাখী, কুমীর এর মাংস এবং মাংস ছাড়া অন্যান্য প্রত্যঙ্গ অর্থাৎ কলিজা, কিডনী, হৃদপিণ্ড, অণ্ডকোষ ইত্যাদি। ২০০৬ এর আগে বন্যপ্রাণী ও পাওয়া যেত তবে এখন আইন করে বন্ধ করা হয়েছে সেসব, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বন্যপ্রাণীরা এবং তাদের প্রতি যে গুটিকয় মানুষের ভালবাসা আছে তারা।
এত ধরণের খাবার রান্নার জন্য তো চুলাটাও তো হওয়া দরকার মাশাল্লা সেরকম -
জেব্রা প্রিন্ট এর পোশাক পরে পরিবেশনকারী রা ঘুরে বেড়াচ্ছে কখন কোথায় কার প্লেট ফাঁকা তা দেখার জন্য আর ফাঁকা দেখলেই ভর্তি করে দিচ্ছে মাংস দিয়ে একরকম জোর করেই।
খাবারের স্বাদের কারণেই হোক অথবা পরিবেশনকারীর হাতে থাকা বড় ছুরির কারণেই হোক পেট ভরে গেলেও লোকজন পারতপক্ষে না বলছে না।
খাবারের একটা ছবি জুড়ে দিলাম এখানে, বলুন দেখি কিসের মাংস এটা -
ভরপেট খেয়ে বাইরে বেরোতেই চোখে পড়ল একটু সুভ্যেনির শপ এর। অল্প টাকার বিনিময়ে এখানে মাসাই রাজার পোশাক পরে ছবি তোলা যায়। তো দেখে নিন নতুন মাসাইরাজকে সভাসদ সহ -
পরের দিন যাত্রা শুরু হল মাসাই মারার দিকে। হাসিখুশি জেমস ওনসঙ্গো সকালবেলায়ই জানিয়ে দিল যে আমাদের যাত্রাপথের সাথে আর কারও মিল না থাকায় আমি আর আমার স্ত্রীই শুধু তার সাথে যাচ্ছি, যার মানে হচ্ছে অবারিত স্বাধীনতা, গ্রুপের অন্য কারও কথা ভেবে নিজের চাহিদা চেপে যাওয়ার কোন দরকার নেই, ইচ্ছামত ঘুরাঘুরি করা যাবে, যতক্ষণ খুশী সময় নিয়ে ছবি তোলা যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পরেই বুঝতে পারলাম জেমস শুধু গাড়িই চালায় না সে একাধারে গাইড এবং প্রাণী বিশেষজ্ঞ। প্রায়ই এরকম ঘটনা ঘটেছে যে গাড়ী চালাতে চালাতে জেমস বলছে ওইইই দুরে দেখ - ওখানে একটা মেয়ে জিরাফ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা খালি চোখে দুরে থাক, দূরবীন দিয়ে কোনরকমে জিরাফের অবয়ব ঠাহর করছি, লিঙ্গ সনাক্তকরণ তো আরও দুরের ব্যাপার।প্রায় দুঘণ্টা রাস্তা মসৃণভাবে যাওয়ার পরে পড়লাম প্রচণ্ড এবড়োখেবড়ো রাস্তায়। প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ ট্যুরিস্ট মাসাই মারা আসে তাও রাস্তার এ হাল কেন ঠিক বোঝা গেল না। মাসাই মারা রিজার্ভ এ প্রতিদিনের এন্ট্রি টিকিট এর দাম কিন্তু উন্নত অনেক দেশের তুলনায় ও বেশ চড়া।
প্রথম যাত্রাবিরতি হল একটা স্যুভেনির শপে। প্রথমেই চোখ চলে যায় দোকানের বাইরে সাজিয়ে রাখা মাসাই ঢাল আর ঢাকের দিকে। তাছাড়াও রয়েছে মাসাই বল্লম আর প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণীর মূর্তি।
মাসাই ঢাল আর বল্লমের এমন দাম হাঁকল যে দরদাম করার সাহস হল না।
বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর চোখে পড়ল বিশাল গম-ক্ষেত যার মাঝে মাঝে রয়েছে আফ্রিকান অ্যাকাসিয়া গাছের সারি।
হঠাৎ গাড়ী থামিয়ে জেমস বলল একপাল জিরাফ আর জেব্রা চলে যাচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি কিনা। প্রথমে কিছু দেখতে না পেলেও খানিক পরে নজরে আসল বিশাল দলটির। গুনে গুনে দেখলাম প্রায় ২২ টি জিরাফ আছে দলটিতে, এত বড় জিরাফের পাল সাধারণত: রিজার্ভের বাইরে দেখতে পাওয়া যায় না, নিজেদেরকে তাই বেশ ভাগ্যবান মনে হল।
নাইরোবী থেকে রওয়ানা দিয়ে মাসাই মারার সেকেনানি গেটে পৌঁছতে ঘড়িতে দেখি প্রায় ৫ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত হল ক্যাম্পে লাগেজ রেখে আবার রিজার্ভে ঢুকব। হাতে আছে মাত্র দেড় দিন সময়, এর মধ্যেই ১৫১০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই রিজার্ভ এর যতটুকু দেখা যায় দেখে নিতে হবে। সেকেনানি গেট থেকে চলতে লাগলাম তালেক গেটের দিকে রিজার্ভের মধ্য দিয়েই। যাওয়ার পথে কিছু থমসন'স গ্যাজেল, গ্র্যান্ট'স গ্যাজেল আর ওয়াইল্ডাবীস্ট ছাড়া তেমন কিছু চোখে পড়ল না।
চলার পথে জেমস হাতে ধরিয়ে দিল পূর্ব আফ্রিকার বন্যপ্রাণীর সচিত্র বর্ণনা সহ একটা বই, বইটা পড়েই প্রথম জানতে পারলাম গ্র্যান্ট'স গ্যাজেল আর থমসন'স গ্যাজেল কিভাবে আলাদা করা যায়, বিভিন্ন ধরণের জিরাফের মধ্যে পার্থক্যগুলো যদিও আগে থেকেই জানা ছিল কিন্তু বইটা পড়ে আবার ঝালিয়ে নেওয়া গেল মাসাই আর রথসচাইল্ড'স জিরাফের মধ্যে পার্থক্যগুলো।
ক্যাম্পে আমাদের লাগেজ রেখে রিজার্ভে প্রবেশ করা মাত্রই দেখি একটা টোপি একা একা চড়ে বেড়াচ্ছে।
একটু এগোতেই পেলাম একটা ক্রেস্টেড ফ্রান্কোলিন, ঘুরে বেড়াচ্ছে গুটি গুটি পায়ে।
দেখলাম হাতির ছোট্ট একটা পাল। কিন্তু যাদের জন্য মাসাই মারা বিখ্যাত সেই বিখ্যাত সিংহ বাহিনীর কোন দেখা নেই। অবশেষে দেখা মিলল তাদের। প্রায় ১৫-১৬ টি সিংহের একটা প্রাইড যদিও কেশর-ওয়ালা কোন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সিংহ সে দলে নেই।
গর্বিত-ভাবে বসে থাকার ভঙ্গি দেখেই বোঝা যাচ্ছে দলটির দল-নেত্রী কে
ফেরার সময় দেখি একটা থমসন'স গ্যাজেল তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে আমাদের দিকে।
ক্যাম্পে রাতের বেলায় মাসাই নাচ দেখে দিলাম এক ঘুম। সারাদিন শরীরের উপর দিয়ে তো আর কম অত্যাচার যায় নি।
পরেরদিন জেমস জানাল যদিও আমাদের জন্য প্রতিদিন ২ সেশনে ২ ঘণ্টা করে সর্বমোট ৪ ঘণ্টা সাফারি বরাদ্দ, কিন্তু আমাদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে সে আমাদের সারাদিন রিজার্ভে ঘোরাতে রাজী আছে, তার একটাই আবদার - আমরা যেন তাকে সকাল সকাল বেরোতে না বলি। যদিও ভোরের সময়টাই সাফারি যাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কারণ বেশীরভাগ শিকারি প্রাণীগুলি এই সময় তাদের শিকার পাকড়াও করে, তবুও সারাদিন ঘোরার লোভে রাজী হয়ে গেলাম। পরে বুঝতে পারলাম যে খুব একটা ভুল করিনি।
দিনটা শুরু হল মারাবু স্টর্ক দিয়ে।
এর পরে দেখলাম রাপেল'স শকুন আর স্পট হায়েনার সহাবস্থান। যার জন্য অবস্থান তার অবশ্য কিছুই আর তেমন অবশিষ্ট নেই।
একে একে চোখে পড়ল সেক্রেটারী বার্ড
আর সাউদার্ন গ্রাউন্ড হর্ণবিল।
আর তার পরেই চোখে পড়ল তাঁকে। একা একা বসে আছেন রাজকীয় ভঙ্গিমায়।
কিছুটা এগিয়ে পেলাম কমন এলান্ড এর দেখা - জেমস এর ভাষ্যমতে অ্যান্টিলোপকূলের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু যার মাংস।
সুস্বাদু মাংসের অধিকারী হওয়ার কারণেই হয়ত যত অ্যান্টিলোপ দেখেছি তার মধ্যে সবচেয়ে কম চোখে পড়েছে এদেরকে। জায়ান্ট এলান্ড আবার পূর্ব আফ্রিকাতে পাওয়া যায় না, ওনাদের কে দেখতে হলে যেতে হবে মধ্য আফ্রিকায়।
একবারই মাত্র চিতার দেখা পেলাম যার খুব কাছে ঘোরাঘুরি করছে ওয়াইল্ডাবীস্ট এর দল ।
চিতা খুব বিপদে না পড়লে সাধারণত: ওয়াইল্ডাবীস্ট কে আক্রমণ করে না তাই ওয়াইল্ডাবীস্ট এর দল নির্বিঘ্নেই কাছেপিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
চিতাবাঘও পেলাম, ঝোপের আড়ালে বিশ্রামরত অবস্থায়।
একটা ক্লিফের উপরে গিয়ে পেলাম অলিভ বেবুন,
দেখলাম তাঞ্জানিয়ার সীমানা আর গ্রেট মাইগ্রেশনের অংশ ছোট একটা ওইল্ডাবীস্ট এর দলকে পাড়ি দিতে।
জেমস এর কাছে জানতে চাইলাম কোনভাবে গ্রেট মাইগ্রেশন এর নদী পারাপারের অংশটা দেখা সম্ভব হবে কিনা। যদিও নদীর খুব কাছে আমরা ছিলাম না কিন্তু জেমস প্রায় ঘন্টাখানেক গাড়ি চালিয়ে আমাদের নিয়ে গেল মারা নদীর ধারে। আমাদের ভাগ্য ভাল কারণ আমরা নদীর যে পাড়ে আছি সে পাড়ে ছোট একটা দল নদীর অপর পাড়ের বিশাল দলকে ডাকাডাকি করছে।
জেমস জানাল খুব তাড়াতাড়ি অপর দলটি নদী পাড়ি দিবে না। সুতরাং সময় নষ্ট না করে এই ফাঁকে লাঞ্চটা করে ফেললেই ভাল হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করলাম এক জায়গায়, আমাদের মত আরও ৫-৭ টা গ্রুপ তারাও প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে অপেক্ষা করে আছে সেই শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য। নদীতে কুমির প্রস্তুত হয়ে আছে শিকার ধরার আশায়
ঠিক সেই সময় নদীর অপর পাড়ে দুটো সাফারি গাড়ি বেশ জোরে চালিয়ে নিয়ে গেল ওয়াইল্ডাবীস্ট আর জেব্রার দলটার মধ্য দিয়ে। ছত্রখান হয়ে যাওয়া দলটি এর পরে নদী পাড়ি না দিয়ে আবার ফিরে গেল। মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল কিন্তু কিছু অকালকুষ্মাণ্ড র জন্য ভেস্তে গেল সবকিছু - কষে গালি দেওয়ার ইচ্ছে মনের মধ্যে পুষে রেখে আমরা ফিরতে লাগলাম আমাদের ক্যাম্পের দিকে।
ফেরার পথে প্রথমেই পড়ল জলক্রীড়ায় মত্ত একপাল জলহস্তী
আর গুটি গুটি পায়ে হেঁটে যাওয়া মিশরীয় রাজহাঁস ( ইজিপশিয়ান গুজ)।
বাচ্চা দুটো মাসাই জিরাফকে দেখলাম মায়ের দিকে ছুটে যেতে।
দুই পুরুষ ইমপালা ঝগড়া বাধিয়েছে হয়তো কোন সুন্দরীর জন্য
আপনারাই বলুন কয়টা জেব্রা আছে এখানে-
বোহর রীডবাকের এই দৃষ্টিকেই হয়ত কবি বলেছেন চকিতহরিণপ্রেক্ষণা -
ছোট ছোট ছানাপোনা নিয়ে এই নবদম্পতি যখন শেষ বিকেলের নরম আলোয় খুনসুটিতে ব্যস্ত
তখন বৃদ্ধ এই দম্পতি হয়তো গুণে চলছে জীবনের শেষ দিনগুলি।
সন্ধ্যা নেমে আসছে, আমাদের ও রিজার্ভ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। শেষ হয়ে গেল মাসাই মারার দিনগুলি -
বিষণ্ণ মারাকে বিদায় জানিয়ে নিজেও বিষণ্ণ হয়ে ফিরে চললাম ক্যাম্পের দিকে।
ছবি কৃতিত্ব: ৩/৪ টা বাদে বাকী সকল ছবি তোলার কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর। কোন্ গুলি আমার তোলা সেটা নিয়ে দাম্পত্য বিবাদ ২০১১ সাল থেকে এখন অবধি চলছে।
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
চতুর্থ ও শেষ পর্ব
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা। সাথে থাকুন।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
ভ্রমন কারী বলেছেন: অসাধারন !
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৫
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমণকারী, আপনার ভ্রমণ নিয়েও লিখুন না কিছু।
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫০
ইমরান আশফাক বলেছেন: বাহ্, খুবই ভালো লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা। আশা করি আপনি নিয়মিত আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন আমাদের সাথে।
ভালো কথা, আপনার আগের পোস্টগুলি পুরানো হলেও আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। মধ্য এশিয়ার রোজনামচা এককথায় অসাধারন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরান ভাই, সাথে থাকুন।
অফটপিক: আপনার প্রোপিক কি ডেড সী তে তোলা?
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৯
নিমচাঁদ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট । অনেক দিন যাবত কেনিয়ার সাফারি টুর নিয়ে চিন্তা করতেছিলাম যে এটা কেমন হয় , আজকে জেনে গেলাম ।
কষ্টকর পোষ্ট আপনার জন্য ( অনেক ছবি আপ্লোড দিয়েছেন ) তবে পোষ্ট টি ভালো হয়েছে ।
কিপ রাইটিং ব্রাদার
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ নিমচাঁদ ভাই। কেনিয়ার সাফারি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে জানান - সাধ্যমত তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করব।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: পাগলের মতো পড়লাম আর ছবিগুলো দেখলাম। অনবদ্য পোস্ট। পশু পাখির অনেক নাম জানা হল সাথে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালী। সাথে থাকুন।
অফটপিক: আপনার প্রোপিক এর ছবিটা কোন্ ফুলের?
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: এমন ঝরঝরে লেখা! আপনার সাথে মাসাইমারায় দারুণ ভ্রমণ হল...
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টগুলি পড়লাম। সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
আবু শাকিল বলেছেন: কেনিয়া এবং উগান্ডা নাকি ভিসা ছাড়া ঘুরতে যাওয়া যায়।
বিমান ভাড়া কেউ স্পন্সর করলেই যামুগা
বর্ণনা সুন্দর ।
মাঝে মাঝে ছবির সাথে বর্ণনার মিল পাচ্ছিলাম না।
দেখে নিন প্লিজ ঠিক আছে কিনা ।
ধন্যবাদ ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: কেনিয়াতে অন অ্যারাইভাল ভিসা বাংলাদেশীদের জন্য। যদিও আমি আগেই অ্যাম্বেসী থেকে ভিসা নিয়ে গিয়েছিলাম। অনেক সময় ইয়েলো ফিভার ভ্যাকসিন নেওয়া আছে কিনা দেখতে চায়, তাই নিয়ে যাওয়া ভাল।
আপনি বলার পর আমি বেশ কয়েকবার চেক করলাম কিন্তু বুঝতে পারলাম না কোথায় ছবির সাথে বর্ণনা মিলছে না। ২-১ টা যদি ধরিয়ে দিতেন খুব সুবিধে হত।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
শেখ মফিজ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩২
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ শেখ মফিজ, সাথে থাকুন।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুন্দর!
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৫
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই। সাথে থাকুন।
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১০
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমার প্রোপিকটা কক্সবাজারের কলাতলী থেকে তোলা। অবশ্য আমার কাছে ভূমধ্যসাগরের পিকও আছে কিন্তু সেটা অনেক পুরানো, আব্বার চাকুরীর সূত্রে লিবিয়ায় তোলা। আমি আম্মান গিয়েছি দুইবার কিন্তু ডেড সি যাওয়ার সুযোগ পাই নাই। দাম্মাম, কুয়েত ও দুবাই যেয়েও পারস্য উপসাগরে নামার সৌভাগ্য হয়নি। করাচী যেয়েও আরব সাগরে নামা হয়নি। এখন বুঝেছি কিসব জিনিস মিস করে এসেছি।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫০
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ডেড সীর অভিজ্ঞতা আমার খুব সুখের নয়, যদিও পানিতে ভেসে থাকার ব্যপার টা বেশ মজার। আম্মান থেকে জেরাস/আজলুন কিংবা মাদাবা গিয়েছিলেন কি? জর্ডান নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন পোস্ট সামুতে চোখে পড়েনি আমার। আপনার অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন না একবার।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১২
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
ইশ!!!!!! কি দারুউউউউউউন!!!!!
যেতে ইচ্ছে করছে সাফারিতে!!!!
জিরাফ আর থমসন'স গ্যাজেল কে বেশি ভাল্লাগসে!!!
আপনার সংগ্রহে কয়টা মুদ্রা আছে ভাইয়া!!?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৭
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ বটবৃক্ষ। জিরাফ আসলেই খুব কিউট প্রাণী। আম্বোসেলী পর্বে জিরাফের কিছু মজার ছবি দিব।
আপনাদের দোয়ায় আমার সংগ্রহে পৃথিবীর সব দেশের মুদ্রা আছে। সংখ্যা আমার নিজেরও জানা নেই। ওজনে ৬০ কেজির কাছাকাছি হবে।
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১২
ইমরান আশফাক বলেছেন: খুব ছোটবেলায় লিবিয়ায় যাতায়তের সময় দুই দুইবার আম্মানে হোল্টেজ নিয়েছিলাম, দুইবারই দুইদিন করে। কিন্তু শুধুমাত্র আম্মান শহরে ঘুরাফেরা আর আব্বা-আম্মার শপিং দেখেই খালাস। তবে একটা জিনিস খুব মনে আছে, জর্ডানীদের ট্রাডিশনাল ফুড অন্যান্য আরব দেশগুলি থেকে অনেক উন্নত ও সুস্বাদু। ওদের আচার-আচরন ও অনেক উন্নত ও ভদ্র। তবে দূ:খের বিষয় ওদের কাছে অন্যান্য আরবদেশের মত অত বেহিসাবী অর্থ নেই।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: জর্ডানিয়ান দের সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতাও আপনার মতই। আরবদের মধ্যে আচার আচরণে সবচেয়ে ভদ্র জাতি মনে হয়েছে জর্ডানিয়ানদের। ওরা বেশ অতিথিবৎসল।
১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমার প্রো-পিকটা একটা ঘাস ফুল।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০২
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: হুমম
১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৫
নতুন বলেছেন: আপনি কি আরব দেশে আছেন.... বা ট্রাভেলইন্ডাস্টির সাথে যুক্ত?
ভ্রমন ব্লগ ভাল লাগছে.. ++
আমার কেনিয়ান কলিগ আছে... আরেক সহপাঠিও দাওয়াত দেয় বেড়াতে যেতে...
কেমন খরচা হবে... দুবাই থেকে যেতে?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: কেনিয়া যাওয়া হয়েছিল ২০১১ সালে। তখন আমি দুবাই এ ছিলাম। বর্তমানে মিশরে আছি।
না ভাই, ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত নই তবে বেড়াতে ভালবাসি। চাকরী বাকরী ছেড়ে অনেক সময় ই ভাবি যে ট্রাভেল এজেন্ট বা এ ধরণের কোন কাজ শুরু করব।
আমি কেনিয়া গিয়েছিলাম এয়ার অ্যারাবিয়ার একটা প্যাকেজে। আমি কেনিয়ার বেশ কয়েকটা ট্রাভেল এজেন্ট এর সাথেও কথা বলেছিলাম কিন্তু এয়ার অ্যারাবিয়ার প্যাকেজ টা সবচেয়ে রিজনেবল মনে হয়েছিল। ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমি সাধারণতঃ ট্রাভেল এজেন্টের প্যাকেজ ট্যুর নেওয়ার পক্ষপাতী নই, তবে কেনিয়া/তাঞ্জানিয়া গেলে প্যাকেজ ট্যুর নেওয়া ই মনে হয় যুক্তিযুক্ত।
আমাদের ৭ রাতের ট্যুর ছিল। নাইরোবী ১ রাত, মাসাইমারা ২ রাত, লেক নাকুরু ১ রাত, লেক নৈভাসা ১ রাত আর আম্বোসেলী ২ রাত। এয়ার অ্যারাবিয়ার ২ জনের প্যাকেজ ছিল ১৬০০০ দিরহাম (এয়ার ফেয়ার সহ)। আর টুকটাক আরও খরচ হয়েছিল ২০০০ দিরহাম এর মত।
দুবাই এ থাকার সময় আপনার সাথে আলাপ হলে ভাল হত। আড্ডা দেয়া যেত মাঝেমধ্যে।
১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
জুন বলেছেন: ইশ দু বছর আগে আমাদের কেনিয়া তাঞ্জানিয়া জাঞ্জিবার যাবার সব প্রোগ্রাম ঠিক হয়েও অন এরাইভ্যাল ভিসা প্রাপ্তির শংকা থেকে ক্যন্সেল হয়ে যায় প্রোগ্রাম।
আমি কিন্ত আপনার মত সেবা প্রকাশনী থেকে নয় ম্যুভি থেকে আগ্রহী হয়েছি । সেই বিভুতিভুষনের গল্পের বই চাঁদের পাহাড়, সেই হাটারি সিনেমা, গ্রেগরী পেকের অসামান্য ম্যুভি মাউন্ট অফ কিলিমাঞ্জারো,রবার্ট রেডফোর্ড আর মেরিল স্ট্রিপের অসাধারন ম্যুভি আউট অফ আফ্রিকা সহ অনেক অনেক সিনেমা, ন্যাশ জিওর শত শত ফিচার।
আপনার সাথে ঘুরে আসলাম মাসাইমারাতে। অনেক ভালোলাগলো আপনার বর্ননা সাথে ছবি ।
আমাদের যাওয়ার কথা ছিল ন্যাশনাল পার্ক সেরিঙ্গঘেটিতে , ভিক্টরিয়া ফলস আর কত কত জায়গায়
+
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আবার প্ল্যান করুন। কেনিয়া বা তাঞ্জানিয়া যাওয়ার আগে একবার এই লিংকে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন -
http://www.tanzaniaodyssey.com/tanzania/great-migration
কখন কোথায় ওয়াইল্ডাবীস্ট আর জেব্রার দল ঘুরে বেড়াচ্ছে তা জানিয়ে দিবে সাইট টা।
মাইগ্রেশন এর উপরে লাইভ আপডেট পাওয়া যায় এরকম কিছু সাইটও আছে।
বনের মধ্যে তাঁবুতে থাকার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। সেটা নিয়ে এবার আর লেখা হয়নি, অন্য কোন সময় সুযোগ হলে লিখে ফেলব।
অন্য কোন তথ্য জানতে চাইলে বান্দা তো হাজির আছেই।
১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
গ্রেট পোষ্ট!!!
অনেক অনেক ভালো লাগা ছবি ও বর্ণনায়!
+++++++
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন। সাথে থাকুন।
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
আরমিন বলেছেন: বাহ , সাফারি তো দারুন হয়েছে বোঝা যাচ্ছে ! বর্ণনা এবং ছবি দুটোই চমৎকার ! আপনার সাথে সাথে তাই ভাবীকেও ধন্যবাদ !
ভালোলাগা গুনে গুনে ৮ নাম্বার!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ আরমিন আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৪
একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। পড়তে পড়তে কেনিয়া চলে গেছিলাম ।।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ একজন গাঙ্গচিল। আপনার মাদাগাস্কার নিয়ে পোস্টটি দেখলাম। কিছু ছবি অ্যাড করে দিন না, পোস্টটি আরও আগ্রহদ্দীপক হবে।
১৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মারাত্মক পোষ্ট ...
দারুন সব ছবি ,এবং গোছানো বর্ণনা ।।
আপনাদের সাথে নেবার জন্য ধন্যবাদ
পরিশ্রম ছাড়াই ঘুরে এলাম ...
শুভ কামনা
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা। সাথে থাকুন।
২০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
মানস চোখ বলেছেন: খুবই সুন্দর লেখা !!!!! আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমিও মাসাইমারা থেকে ঘুরে এলাম !!!!!
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১১
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মানস চোখ। সাথে থাকুন। পরের পর্বে লেক নাকুরু থেকে আপনাদের ঘুরিয়ে আনার চেষ্টা করব।
২১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
কেনিয়ায় গিয়ে চাষ করার খুব ইচ্ছে ছিল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: কেনিয়ায় গিয়ে চাষ করার ইচ্ছে ! !
কি চাষ করার ইচ্ছে ছিল??
২২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৮
প্রামানিক বলেছেন: ছবি বর্ননা ভাল লাগল। ধন্যবাদ
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৪
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামািনক ( এটা কি প্রামাণিক হবে?)। সাথে থাকুন। পরবর্তী পর্ব আসছে লেক নাকুরু নিয়ে।
২৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াও... পুরাই মাথা নষ্ট পোস্ট রে ভাই। এটা কীভাবে মিস করে গেলাম???
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ বোমাবচা। দ্বিতীয় কিস্তিও কিন্তু অলরেডী দিয়ে দিয়েছি। তৃতীয় কিস্তির লেখা চলছে।
২৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০
তুষার কাব্য বলেছেন: আসলেই মাথানস্ট ! সাফারির প্রতি আমার একটা অদ্ভুত আকর্ষণ থাকে সবসময় ।বেশ কিছু সাফারি করেছিও আমি ইন্ডিয়া আর নেপালের জঙ্গল গুলোতে।তবে আফ্রিকার সাফারির সাথে অন্য কিছুর তুলনাই হয় না ।আপাদত দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম আপনার চমত্কার লেখা আর ছবি দেখে
শুভেচ্ছা জানবেন ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৯
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য। আপনার সাফারি পোস্টগুলোও দারুণ।
আশা করি খুব শীঘ্রই আপনার আফ্রিকা সাফারিও হয়ে যাবে আর আমরা সাফারির উপর আরও একটা পোস্ট পাব।
কেনিয়া/তাঞ্জানিয়া নিয়ে কোন তথ্য জানতে চাইলে বলুন, যথাসাধ্য চেষ্টা করব উত্তর দিতে।
২৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৩
তুষার কাব্য বলেছেন: আমারতো একটা পোস্ট আছে মনে হয় সাফারি নিয়ে ব্লগ এ।বাকিগুলো ছবির অভাবে দেওয়া হয়নি।আর আফ্রিকায় সাফারি করব এটা আমার স্বপ্ন।যদিও ওখানে যেতে হলে শুধু স্বপ্ন থাকলেই হবেনা বাজেটেরও দরকার আছে তাই আপাদত হচ্ছেনা মনে হয় ! তবে একদিন নিশ্চয় হবে।
ভালো থাকবেন ভাই।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আরে আপনার সাফারি পোস্টটি দুপর্বে ছিল তাই বলেছি পোস্টগুলো।
ভাই ভ্রমণে অর্থ প্রয়োজন সে কথা অস্বীকার করছিনা কিন্তু তার চেয়েও ইর্ম্পট্যান্ট ব্যাপার হল ইচ্ছে থাকা এবং শুধু ইচ্ছে থাকলেই হবে না সেটাকে বাস্তবায়নের পথে চেষ্টা করে যাওয়া।
আমার অনেক বন্ধুই বলে যে তারা বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়াতে চায় কিন্তু দিনশেষে ভবিষ্যতের কথা ভেবে ব্যাংকে টাকা জমানোকে ঘোরার চেয়ে বেশী প্রয়োজনীয় মনে করে।
আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমার কিছু দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয়েছে কিন্তু উপার্জনের তুলনায় সঞ্চয় তেমন নেই বললেই চলে, যা জমাই ভ্রমণেই শেষ হয়ে যায়।
আপনার পোস্টগুলো পড়ে আমার মনে হয়েছে আপনার ভ্রমণের প্রতি চরম আগ্রহ এবং যেহেতু আপনার ইচ্ছে আছে আফ্রিকায় সাফারি করার আমি নিশ্চিত আপনিও একদিন ঘুরে এসে আফ্রিকার সাফারি নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট দিবেন।
২৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
বাকি বিল্লাহ বলেছেন: তানজানিয়ার এয়াপোর্টে থাকা হয়েছে ৩দিন কিন্তু সেটা ছিল খুব তিক্ত অভিঙ্গতা। আপনার পোস্ট দেখে খুব আফসোস লাগছে
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪২
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: তাঞ্জানিয়া এয়ারপোর্টে ৩ দিন ! ! ! কি ঘটনা যদি শেয়ার করতেন আমাদের সাথে। যদিও তাঞ্জানিয়ার সেরেঙ্গেতি রিজার্ভ রাজধানী থেকে অনেক দুরে তবে আপনি জাঞ্জিবার থেকে ঘুরে আসতে পারতেন।
২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫১
বাকি বিল্লাহ বলেছেন: সে এক মহা দুঃখের কাহি্নী, সব শেয়ার করবো পোস্ট আকারে খুব শীঘ্রই।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০২
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন। মনে হচ্ছে খুব ইন্টারেস্টিং ঘটনা হবে।
২৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ লাগল মাসাইমারা, যেতে ইচ্ছে করছে...
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ জহির ভাই। যখন খুশী চলে যান, ভিসা টিসার তো ঝামেলা নেই।
দেশে যাচ্ছেন কবে? আপনার কয়েন কালেকশন দেখার ইচ্ছে ছিল।
২৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আমার কালেকশনতো আপনার মত এত সুসংগঠিত নয় ! আপনার কাছে তো সারা দুনিয়ার সব দেশের টাকা/কয়েন আছে, যেটা আমি চিন্তাও করতে পারি না !!
দেশে যে কবে যাব তার ঠিক নেই !
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১১
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আরে জহির ভাই আবার আপনি করে বলা শুরু করলেন, বললাম আমি আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ব্যাচ ছোট ভাই। প্লিজ আমাকে তুমি করে বলবেন।
সবগুলো দেশের কয়েন আছে ঠিকই কিন্তু অনেক দেশের ব্যাংকনোট নেই। দেশের বাইরে থাকার কারণে কয়েন বিনিময় করতে পারছি না তাই সংগ্রহ ও খুব একটা সমৃদ্ধ হচ্ছে না। শুধুমাত্র যখন কোন দেশে বেড়াতে যাচ্ছি তখন সে দেশের বিভিন্ন কয়েন সংগ্রহ করাতে সংগ্রহ বাড়ছে কিছুটা এই আর কি।
৩০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
মু. সাদ উদ্দিন বলেছেন: পড়ে অনেক ভালো লাগলো । আসলে কেনিয়ায় এতো কিছু আছে আগে জানতাম না । ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ সাদ ভাই। কেনিয়াতে আরও বেশ কিছু পার্ক আছে যেখানকার জীববৈচিত্র কিছুটা আলাদা। সময়ের অভাবে সবগুলি পার্কে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এ ছাড়াও যাওয়া হয়নি মোম্বাসায় - বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত আর বন্দরনগরী। জায়গাগুলো ঘুরতে পারলে পোস্টের কলেবর আর বৈচিত্র হয়ত আরও কিছুটা বাড়ত।
ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার একটা ভ্রমন পোষ্ট!