![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
মাসাই মারা বা আম্বোসেলীর মত তো নয়ই এমনকি লেক নাকুরুর মত জনপ্রিয়তাও লেক নৈভাসার নেই। তবুও শেষ পর্যন্ত যে কারণে লেক নৈভাসা বেছে নেয়া তা হল শুধুমাত্র এখানেই পর্যটকেরা পায়ে হেঁটে তৃণভোজী প্রাণীদের খুব কাছ থেকে দেখতে/পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কোন মাংসাশী প্রাণী আশে পাশে না থাকার কারণে পর্যটকেরা এই সুযোগ পান; অন্য পার্ক/ন্যাশনাল রিজার্ভগুলিতে অনেক অনুরোধ করলে ২-১ মিনিটের জন্য গাড়ী থেকে নামতে দেয় বটে তবে সেক্ষেত্রে প্রাণীদের কাছে যাবার বা ভালমত পর্যবেক্ষণ করার কোন সুযোগ থাকেনা - বড়জোর তাদের পেছনে রেখে ২-১ টা ছবি তোলা যায়।
যাই হোক ধান ভানতে শিবের গীত না গেয়ে লাইনে আসি। হ্যাঁ তো যা বলছিলাম, নৈভাসা নামটা এসেছে মাসাই শব্দ "Nai'posha" যার কাছাকাছি বাংলা ভাবানুবাদ হতে পারে "বিক্ষুব্ধ জলাধার"। মাঝেমধ্যে ঝড় হলে লেকের পানির প্রলয়নাচন দেখে হয়ত মাসাইরা এরকম নাম দিয়েছে।
লেক নৈভাসায় এসে প্রথম দেখতে পেলাম Superb Starling (Lamprotornis superbus)
পাখীটা দেখতে এমনিতেই অপূর্ব, বিকেলের রোদ চকচকে পালকের উপর ঠিকরে পড়ে জেল্লা যেন আরও বাড়িয়ে দিল। সতর্ক চোখের দৃষ্টি দেখে যারা ভাবছেন ব্যাটা মোটেই মানুষের কাছে আসবেনা তাদের জানিয়ে রাখি আপনার হাত থেকে খাবার খেতে খুবই পটু এই পাখীটি।
হাটতে হাটতে চোখে পড়ল আফ্রিকার অন্যতম খুদে অ্যান্টিলোপ ডিক ডিক এর সাথে। আকারে একটা ছাগলের বাচ্চার সমান প্রাণীটি অবাক চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে তো তাকিয়েই আছে।
কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করার সাথে সাথে এক দৌড়ে হারিয়ে গেল জঙ্গলের মধ্যে।
আগেই বলেছি লেক নৈভাসা তৃণভোজী প্রাণীদের খুব কাছ থেকে দেখা/পর্যবেক্ষণের জন্য অনন্য জায়গা। একটা জেব্রা দেখতে পেয়ে আমার স্ত্রী চলে গেলেন হাত মেলাতে।
হাত শেষ পর্যন্ত আর মেলানো হয়নি - একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত যাওয়ার পর উনি যতই নিকটবর্তী হন জেব্রা ঠিক ততটুকু দূরত্ব বজায় রেখে দূরে সরে যায়। জিরাফের ক্ষেত্রে অবশ্য ঘটেছে উল্টো ঘটনা। জিরাফ যত কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে আমার স্ত্রী ততোধিক দূরে চলে যান।
যাই হোক তৃণভোজী প্রাণীদের পিছনে ফেলে আমরা চলে আসলাম লেক নৈভাসার ধারে। বেশ কিছু পাখী চোখে পড়ল এখানে। তাদের মধ্যে যে কয়টিকে নিয়ে না বললেই নয় সেই লিস্টের প্রথমেই রয়েছে Variable Sunbird (Cinnyris venustus) অনেকগুলো রঙের সমাহার সমৃদ্ধ ৪ ইঞ্চির ক্ষুদে এই পাখীটি শুধু যে দেখতেই সুন্দর তাই নয় টুঁই টুঁই শব্দে বেশ সুমধুর গান গাইতেও ওস্তাদ।
কখন ফুলের মধু খাবার জন্য সুচালো চঞ্চু গুঁজে দিবে ফুলের ভিতর তার জন্য অপেক্ষা করতেই করতেই পাওয়া গেল কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত।
ওদিকে তখন ঝোপের মাঝে মাছের অপেক্ষায় রয়েছে মাছরাঙাটি।
দেখতে পুরোপুরি Giant kingfisher (Megaceryle maxima) এর মত পাখীটি কিন্তু আকারে বেশ ছোট। আবার পাখীটার বসার ধরণ থেকে মনে হয়না যে বয়সে এখনও বাচ্চা আছে। অনেক চেষ্টা করেও অন্য কোন মাছরাঙার সাথে পাখীটির মিল পেলাম না। ব্লগের কোন পাখী বিশারদ যদি তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন খুব উপকৃত হব।
ঝটপট শব্দ শুনে উপরে তাকাতে দেখি উড়ে যাচ্ছে দুটো Egyptian goose (Alopochen aegyptiaca)
মজার ব্যাপার হচ্ছে যদিও পাখীটির নামের সাথে মিশরের নাম জড়িয়ে আছে পুরো মিশর জুড়ে কিন্তু এদের দেখা যায় না। অন্য অনেক দেশের ক্ষেত্রে যখন পুরো দেশ জুড়ে এদের বিস্তৃতি মিশরে শুধু কিছু নির্দিষ্ট অংশে এদের দেখা যায় এবং আমার গত ৮ মাস মিশর বাসে আমি একবারও মিশরীয় রাজহাঁস দেখিনি। ধারণা করা হয় প্রাচীন মিশরীয়রা সর্বপ্রথম এদের বুনো প্রজাতিকে পোষ মানায় এবং সেই কারণে এদের নামের সাথে মিশরের নাম জুড়ে যায়।
আমাদের গাইড প্রথমেই সাবধান করে দিয়েছিল যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগে আগে আমরা যেন লেকের পাড় থেকে সরে এসে বিদ্যুতায়িত বেড়া দিয়ে ঘেরা আমাদের লজ এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়ি। সাবধান করার কারণ হচ্ছে বিশালদেহী জলহস্তী। খাদ্যাভ্যাস এর দিক দিয়ে জলহস্তী মোটেও মাংসাশী নয় কিন্তু তার পথের সামনে পড়লে মানুষের আর আস্ত নেই - স্রেফ দু টুকরো করে শরীরটাকে কেটে ফেলে পথের কাঁটা দুর করে এই আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ প্রাণীটি। অনেকেই হয়ত জানেন যে আফ্রিকায় যত মানুষ সিংহের হাতে মারা যায় তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশী মারা যায় জলহস্তীর হাতে। আফ্রিকায় মানুষ মারার ক্ষেত্রে শীর্ষে অবস্থান করা এই প্রাণীটির হাতে প্রতি বছর গড়ে ৩০০০ মানুষ মারা যায়। সংখ্যাটা যেন আরও বেড়ে না যায় তাই লেকের ধারে অপূর্ব সূর্যাস্ত না দেখেই ফিরে চললাম লজের দিকে।
লজের সীমানায় প্রবেশ করতেই এই ওয়াটার বাক টা বলে উঠল "ওয়েলকাম ব্যাক"
পরের দিন সকাল সকাল যাত্রা শুরু হল আম্বোসেলী পার্কের দিকে।
যাত্রাপথে নাইরোবীতে যাত্রাবিরতি। ফিরে আসার সময় নাইরোবীতে সময় পাবনা তাই এই ফাঁকেই চলে গেলাম সেন্ট্রাল ব্যাংক অব কেনিয়াতে। আশানুরূপ না হলেও মোটামুটি পরিমাণ ধাতব মুদ্রা আর নোট পাওয়া গেল। যাত্রাবিরতি শেষে পুনরায় যাত্রা শুরু আম্বোসেলীর দিকে।
নাইরোবী থেকে আম্বোসেলীর পর্যন্ত রাস্তাটা একদম মসৃণ আর প্রকৃতিও বেশ সুন্দর। চলার পথে প্রায় প্রত্যেকটি গাছে গাছে ঝুলছে অনেকগুলো করে পাখীর বাসা
কিন্তু কোন দুষ্ট ছেলে নজরে পড়ল না যে পাখীর বাসা ভাঙ্গছে/টেনে নামাচ্ছে গাছ থেকে কিংবা ডিম/ছানা চুরি করছে বাসা থেকে।
রাস্তায় বেশ কিছু জিরাফ চোখে পড়েছে। একবার ভাবলাম গাড়ী থেকে নেমে ছবি তুলি। গাড়ী থেকে যেই নেমেছি দুটো জিরাফ এমন অপলক দৃষ্টিতে আমাদের দেখতে লাগল যে আমরাও ভুলে গেলাম আমাদের গাড়ীতে উঠতে হবে।
যাই হোক জেমস এর হর্ণের চোটে শেষ পর্যন্ত গাড়ীতে উঠে আবার রওয়ানা হলাম কিন্তু জিরাফ-দ্বয় থেকে দৃষ্টি ফেরালাম না, ওরাও যতক্ষণ দেখা যায় ওরকম অপলক চোখেই তাকিয়ে রইল।
আমরা প্রায় পৌঁছে গেছি আম্বোসেলী পার্কের কাছাকাছি।
আম্বোসেলী শব্দটা এসেছে মাসাইদের মা ভাষার "এম্পোসেলী" থেকে। যার অর্থ লবণাক্ত ধুলাময় এলাকা। নামকরণ যে কতটা সার্থক আম্বোসেলী পার্কে প্রবেশ করার পর থেকেই তা টের পেয়ে গেছি ধুলো খেতে খেতে।
আম্বোসেলী মুলতঃ বিখ্যাত এখানে বসবাস করা অগণিত হাতি আর জিরাফের কারণে। সবচেয়ে বড় দাঁতের হাতিগুলো এই অঞ্চলে দেখা যায় তাই হাতি শিকারীদের স্বর্গরাজ্য ছিল এ এলাকা। এখনও এ এলাকা স্বর্গরাজ্য তবে হাতি শিকারীদের জন্য নয়, হাতির ছবি শিকারীদের জন্য। আম্বোসেলী যাওয়ার পেছনে আরও একটা প্রধান কারণ থাকে আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারো দেখার - যে পর্বতের চূড়ার ছবি অনেক সময়ই আফ্রিকার সমার্থক হিসেবে দেখান হয় । কেনিয়া অংশে আবার এই পার্ক থেকেই সবচেয়ে ভালভাবে কিলিমাঞ্জারো দেখা যায়।
যাই হোক পার্কে প্রবেশের আগেই চোখে পড়ল Litocranius গণের একমাত্র সদস্য /প্রজাতি Gerenuk (Litocranius walleri) এর, Waller's gazelle নামেও যদিও অনেকে চেনেন একে।
সোয়াহিলি ভাষায় আবার এর নাম Swala twiga যার অর্থ জিরাফের গলাধারী অ্যান্টিলোপ। নামটা যে একদম সার্থক তাতো বুঝতেই পারছেন।
শরীরের তুলনায় একদম ছোট মাথা কিন্তু বড় বড় কানের কারণে প্রাণীটিকে দেখলে গোমড়া মানুষের মুখেও হাসি ফুটতে বাধ্য। শিংওয়ালা পুরুষ জেরেনুকের চেহারা যদিও অত মজাদার নয়।
অ্যান্টিলোপকূলের সবচেয়ে ভদ্র সদস্যদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা প্রবেশ করলাম পার্কের ভেতর। প্রথমেই দেখতে পেলাম বিশালদেহী দু রঙা এই হাতিটিকে
আসলে কিছুক্ষণ আগে জলাভূমি থেকে আসার কারণে উনি এরকম কালো এবং ছাই রঙা মূর্তি ধারণ করেছেন।
ওদিকে আবার দুই হাতি ঝগড়ার ছলে খুনসুটিতে ব্যস্ত
হাতিদের দিকে কোন খেয়াল নেই, অবিরত খাবার খুঁজে চলেছে উটপাখীটি
জেমস আবার তাড়া দিতে শুরু করেছে কারণ সূর্যাস্তের আগেই আমাদের বেরিয়ে যেতে হবে পার্ক থেকে, তাহলে কি আমাদের আর গোধূলিলগ্নে বন্যপ্রাণীদের ঘরে ফেরা দেখা হবে না? যাই হোক শেষ মেষ গোধূলি না হলেও জেব্রাধূূলি লগ্নে কিছু জেব্রাকে দেখলাম নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে চলে যেতে
কেনিয়াতে অলরেডী ৫ দিন থাকা হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আকাশিয়া গাছের সাথে সূর্যাস্ত দেখিনি। আফ্রিকা শুনলেই বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি সূর্যাস্তের যে ছবি মানস-পটে ভেসে আসে তাতে তো আকাশিয়া গাছ থাকবেই আর তার সাথে যদি হাতি বা জিরাফও পেয়ে যাই তাইলে তো সোনায় সোহাগা। ভাগ্য অতটা সুপ্রসন্ন না হলেও আম্বোসেলীতেই প্রথম পেলাম সেই স্বর্ণালী সন্ধ্যা। আকাশিয়া গাছের কোলে সূর্য আস্তে আস্তে ঢলে পড়ল।
সূর্যাস্তের শেষ সোনালী ছটা যখন কিলিমাঞ্জারোর শীর্ষে ঠিকরে পড়ছে আমরাও পার্ক ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম আমাদের ক্যাম্পের দিকে।
কালকে আবার ফিরে আসতে হবে পার্কের বাকী অংশ দেখার জন্য।
ছবি কৃতিত্ব: ৩/৪ টা বাদে বাকী সকল ছবি তোলার কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর। কোন্ গুলি আমার তোলা সেটা নিয়ে দাম্পত্য বিবাদ ২০১১ সাল থেকে এখন অবধি চলছে।
বি:দ্র: যে প্রাণী/পাখী দের বাংলা নাম জানা নেই তাদের ইংরেজী নামের সাথে সাথে বৈজ্ঞানিক নামও জুড়ে দিলাম-জীবজগত নিয়ে জানতে আগ্রহীদের হয়ত সুবিধে হতে পারে ভেবে।
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
চতুর্থ ও শেষ পর্ব
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। পরের পর্ব হতে যাচ্ছে শেষ পর্ব। আশা করি শেষ পর্বেও আপনাদের সাথে পাব।
পাখী দেখার সময় জেমস সাথে ছিল না। কিছু কিছু পাখীর ব্যপারে আগে থেকেই জানা ছিল আর কিছু পরে ছবির সাথে মেলাতে গিয়ে জেনেছি।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৪৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: এই ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব দেখেছিলাম। আজ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব দেখে নিলাম। ছবিগুলো আসলেই চমৎকার তুলেছেন। আপনি না ভাবী সেটা নিয়ে অন্তত পাঠকের মাথা ব্যথা নাই। তাই সেটার সুরাহা ভাবীর সাথে আপনিই করে নিয়েন।
বর্ণনায় আপনি মারাত্মক দক্ষ। বৈজ্ঞানিক নাম এবং ইংরেজি নাম জুড়ে দেয়ায় সুবিধা হয়েছে। আর সাবলীল বর্ণনার কারণে পড়তেও খুব ভালো লাগে।
পাখি বিশারদ নয় বলে মাছরাঙার মতো দেখতে পাখিটা সম্বন্ধে কোন তথ্য দিতে পাড়লাম না।
সব মিলিয়ে অনবদ্য একটা পোস্ট। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০০
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। তবে বর্তমানে ক্যামেরা বেশীরভাগ সময় আমার দখলে থাকে তাই বিবাদ হওয়ার সুযোগ খুব একটা নেই। কেনিয়া ভ্রমণ যে সময়ে হয়েছে সে সময় আমার স্ত্রীই বেশীরভাগ ছবি তুলতেন।
আগ্রহী পাঠকদের আরও বেশী জানার সুবিধার্থে বৈজ্ঞানিক নাম/ইংরেজি নাম জুড়ে দিয়েছিলাম, কেউ কেউ সত্যিই আরও জানার চেষ্টা করছেন দেখে ভাল লাগল।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি পরবর্তী পর্বেও আপনাকে সাথে পাব।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:২৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার ছবি আর তার সাথে প্রাঞ্জল বর্ণনা।দারুণ উপভোগ্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অট:-ভবিষ্যতে যেন আপনার অসাধারণ এসব পোস্ট মিস না করি তার জন্য আপনাকে অনুসরণে নিলাম।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আরে ডাক্তার সাহেব যে। আর তার কাছ থেকে এত সুন্দর মন্তব্য। ধন্যবাদ ডাক্তার সাহেব।
আপনার মত ব্লগাররা যখন অনুসরণে নেন তখন তো বুক ফুলানোর একটা ইমো দেওয়া দরকার।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:০২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: একই কথা, ছবিগুলো অসাধারণ। একটু বেশিই সুন্দর।
পুরো পোস্ট জুড়েই ভালো লাগা।
আমার মনে হয় ছবিগুলো নিশ্চিত ভাবী তুলেছে।
কথায় কি জানি একটা আছে না
ছবি সুন্দর হয় রমণীর গুণে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ দিরা ভাই।
কিন্তু আপনি তো দেখি লোক সুবিধার না - বললাম বিবাদ চলছে আর আপনি ওর পক্ষে পালে হাওয়া দিচ্ছেন ! ! এমনি বিবাদে জেতা মুশকিল, আপনাদের সমর্থন না পেলে তো নিশ্চিত পরাজয়।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
মানস চোখ বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা আর চমৎকার ছবি!!!! অনেক ভালো লাগলো 'মুদ্রা সংগ্রাহক'!!!
ছবি গুলো দেখে মনে হল মাসাইমারা তে সবুজের ছোঁয়া কম! সত্যিই কি তাই?
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মানস চোখ। এই পোস্টে কিন্তু মাসাই মারার কোন ছবি নেই। প্রথম পর্বটা মাসাই মারা নিয়ে। মাসাই মারা আম্বোসেলীর থেকে বেশী সবুজ।
আর আপনি যদি অন্যান্য জঙ্গলের সাথে পূর্ব আফ্রিকার সাভানার তুলনা করেন তাইলে পুরো সাভানা ই এরকম বৃক্ষহীন, সবুজহীন মনে হবে। সাভানার জঙ্গল মূলতঃ ঘাস আর ছোট ছোট ঝোপে ভর্তি।
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শুধুই মুগ্ধতা
ভাল লাগায় ভরপুর পোষ্ট
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২১
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা। আশা করি সামনের পর্বেও সাথে পাব আপনাকে।
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বাহ!!! দারুণ লিখেছেন।
ছবির সাথে বর্ণনা চমৎকার হয়েছে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৭
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ বর (বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় এর সংক্ষিপ্ত রূপ - অন্য কিছু না )। শেষ পর্বেও আশা করি সাথে পাব আপনাকে।
৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সিরিজ নিঃসন্দেহে অনেক চমৎকার হচ্ছে অবশ্যই সাথে আছি ...
আর পাখি দেখার সময় আপনাদের সাথে জেমস না থাক আমাদের দেখার সময় তো আপনারা ছিলেন গাইড হিসেবে
অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের
শুভ কামনা
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনাদের মন্তব্যই আসলে অনুপ্রেরণা দেয় পরবর্তী পর্ব গুলো লেখার। অচিরেই ইনশাল্লাহ শেয়ার করব আম্বোসেলীর বাকী অংশ আর মাসাই গ্রাম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বর!!! হা.হা.
শেষ পর্বে ও সাথে আছি
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়, অচিরেই ইনশাল্লাহ শেয়ার করব আম্বোসেলীর বাকী অংশ আর মাসাই গ্রাম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩০
জুন বলেছেন: আপনার ছবিগুলো বিশেষ করে কিলিমাঞ্জারোর কথা ওঠায় বহুবার টিভিতে দেখা হেমিংওয়ের লেখা আর আমার সর্বকালের প্রিয় নায়ক গ্রেগরী পেক অভিনীত ম্যুভি দ্য স্নোজ অফ কিলিমাঞ্জারোর দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো । ওহ আফ্রিকা সত্যি রহস্যময় এক মহাদেশ আপনার ছবিতে আমার যাবার আকাঙ্ক্ষা শতগুন বেড়ে গেল । সেই বিভুতিভুষনের চাদের পাহাড় গল্প থেকে আফ্রিকার প্রতি ভালোবাসার সুত্রপাত ।
পাখি এসে হাত থেকে খেয়ে যায় ! আর আমার বারান্দায় দেয়া খাবারগুলো খেতে থাকার সময় আমাকে দেখলেই ফুরুত করে কই পালিয়ে যায় দুষ্টগুলো
অসাধারন পোষ্ট মুদ্রা সংগ্রাহক ।
+
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আমরা যে রিসোর্টটায় ছিলাম ওটার বারের নাম ছিল হেমিংওয়ে বার। জিজ্ঞেস করায় জানতে পারলাম ওটা ছিলি হেমিংওয়ের কেনিয়া বাস-কালীন কেবিন। পরবর্তীতে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জায়গা কিনে নিলেও হেমিংওয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কেবিনটাকেই বারে রূপান্তর করে কিন্তু নাম রেখে দেয় হেমিংওয়ের নামেই। "স্নোজ অব কিলিমাঞ্জারো" হেমিংওয়ে নাকি এখানে বসেই লিখেছেন- আর লেখার প্রেরণা কিভাবে পেলেন তাতো নিজের চোখেই দেখে এলাম - এই রিসোর্টটা থেকে চমৎকার কিলিমাঞ্জারোর ভিউ পাওয়া যায় যে।
না না, পাখী হাত থেকে খেয়ে গেল এ অভিজ্ঞতা আফ্রিকায় হয়নি, অন্য কিছু বার্ড পার্কে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বটে তবে সেটা অন্য গল্প। পাখীটার চোখ দেখে মনে হয় না এ ব্যাটা মানুষের ধারে কাছে আসবে কিন্তু যেহেতু আসে তাই উল্লেখ করেছিলাম।
আপনার মত শ্রদ্ধেয় ব্লগারদের কমেন্ট লেখায় অনেক উৎসাহ যোগায়।
আর আগেও বলেছিলাম, আবারও বলছি - প্লীজ আমাকে তুমি করে বলবেন। আপনার মত সিনিয়র শ্রদ্ধাভাজনেরা আপনি করে বললে খুব অস্বস্তি হয়।
১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ছবি বর্ননা ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২০
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই। সাথে থাকুন, অচিরেই ইনশাল্লাহ শেয়ার করব আম্বোসেলীর বাকী অংশ আর মাসাই গ্রাম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন একটা পোষ্ট। বর্ননা তো খুব ভালো লাগলো, ছবিগুলোও দূর্দান্ত।ভালো থাকবেন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা। সাথে থাকুন - অচিরেই ইনশাল্লাহ শেয়ার করব আম্বোসেলীর বাকী অংশ আর মাসাই গ্রাম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
আপনার বিলেত নিয়ে নতুন পোস্ট অনেকদিন ধরে পাচ্ছি না, ঘটনা কি?
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯
জুন বলেছেন: পরের পর্ব লিখতে আর কত দিন লাগবে মুদ্রা
এর আগেও কাজাখিস্তানের কাহিনী ৩ পর্বে এসে থেমে গিয়েছিলেন মনে আছে কি ?
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৫
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: পরের পর্ব লেখা শেষ, কয়েকবার করে বানান চেক মানে প্রুফ দেখাও শেষ, ছবি সিলেকশনও শেষ। কিন্তু বাধ সেধেছে সামু। আগে ছবি অ্যাড করার জন্য "ফাইল থেকে ছবি যুক্ত করুন" অপশনে গিয়ে একেকবারে ৬-৭ টা করে ছবি সিলেক্ট করে সব ছবি আপলোড হবার পর বেছে বেছে ছবি ইনসার্ট করতাম। কিন্তু এই অপশনটা এখন কাজ করছেনা। তাই ছবি কিভাবে আপলোড করব বুঝতে পারছিনা। বেটা ভার্সনে গিয়ে নতুন পদ্ধতিতেও চেষ্টা করলাম কিন্তু সেটাও কাজ করছেনা। হয়ত দু-একদিনের মধ্যে এই ত্রুটি দুর হয়ে যাবে তখন ছবি আপলোড হলে পোস্ট দিয়ে দিব।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনারা বিবাদ করতে থাকুন তাতে ক্ষতি নেই আমাদের কে শুধু চমৎকার সব ছবি দেখনো থেকে বঞ্চিত না করলেই হল।
মারত্মক সব ছবি মিল রেখে কাব্যিক বর্ণনা পোস্ট কে সমৃদ্ধ করেছে আপন আলোয় ।
খুব ঘুরলাম আপনাদের সাথে জেমস গাইড কে নিয়ে পাখি গুলোর নাম জানলাম ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার ভ্রমন কাহিনির জন্য