নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Collection

মুদ্রা সংগ্রাহক

যা দেখি, যা অনুভব করি, তা বলতে চাই......

মুদ্রা সংগ্রাহক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেনিয়ার কোণে কোণে (শেষ কিস্তি)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০১


প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
সূর্যাস্তকে পেছনে ফেলে আমরা রিসোর্টে ফিরলাম। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করার সময় জানতে পারলাম যে রিসোর্ট এর বার থেকে প্রতি রাতে মাংস ছুঁড়ে দেওয়া হয় বাইরে আর তা খেতে বেশ কিছু বন্যপ্রাণী চলে আসে রিসোর্টের কাছে - যদিও তাদের মধ্যে হায়েনাই বেশী তবে মাঝে মাঝে বড় বিড়ালদেরও দেখা যায়। তখনও জানতাম না কি চমক অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। যারা ভাবছেন হয়ত রাতের অন্ধকারে বেশ কিছু প্রাণী দেখে ফেলেছি সেটাই চমক তাদের বলি বেশ কিছু হায়েনা ওই স্বল্প-সময়ে চোখে পড়েছে বটে তবে সেটা আসলে চমক নয়, চমক হচ্ছে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা তা দেখলাম একদিন সেখানে দাঁড়িয়ে কিলিমাঞ্জারো দেখতেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে।

রিসোর্টের বারটা এখন যেখানে, সেখানে ছিল হেমিংওয়ের কেনিয়া বাস-কালীন কেবিন। পরবর্তীতে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জায়গা কিনে নিলেও হেমিংওয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কেবিনটাকেই বারে রূপান্তর করে কিন্তু নাম রেখে দেয় হেমিংওয়ের নামেই। "স্নোজ অব কিলিমাঞ্জারো" হেমিংওয়ে নাকি এখানে বসেই লিখেছেন- আর লেখার প্রেরণা কিভাবে পেলেন তাতো নিজের চোখেই দেখে এলাম - এই রিসোর্টটা থেকে চমৎকার কিলিমাঞ্জারোর ভিউ পাওয়া যায় যে।
পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়া হল আম্বোসেলী পার্কের দিকে। ধূলি ধূসরিত রাস্তায় প্রত্যেকটা গাড়িই চাচ্ছে আগের গাড়িকে টপকে সামনে চলে যেতে নাহলে প্রচুর ধুলো খেতে হবে পিছনে পড়ে থাকলে। পুরো কেনিয়া ভ্রমণে অসংখ্য বার ক্যামেরার লেন্স পরিবর্তন করার কারণে অলরেডী ভাল পরিমাণে ধুলো সেন্সরের উপর পড়ে গেছে যা নষ্ট করেছে অসংখ্য ছবি। এই ধুলোর রাজ্যে তাই লেন্স পরিবর্তন করার সাহসই করলাম না - মিস হয়ে গেল আরও বেশ কিছু মুহুুর্ত। যাই হোক যে লেন্স লাগানো আছে তাতে যা ছবি তোলা যায় তাই সই।
প্রচুর পরিমাণে ধুলোয় মাখামাখি হয়ে ঢুকলাম পার্কের ভিতর। সবার প্রথমে পেলাম গ্র্যান্ট'স গ্যাজেলের দেখা।

যাঁরা প্রথম পর্ব পড়েছেন তাঁরা তো থমসন'স গ্যাজেল ইতিপূর্বে দেখেছেন। দুই গ্যাজেলকে আলাদা করে সহজে চেনা যায় পেছনের সাদা দাগ দেখে। গ্র্যান্ট'স এর ক্ষেত্রে যেখানে পেছনের দাগ লেজ ছাড়িয়ে ও কিছুটা উপরে উঠে গেছে থমসন'স এর ক্ষেত্রে সেটা লেজ শুরু হওয়ার আগেই শেষ। আকৃতিগত পার্থক্যও কিছু আছে তবে সেটা দুই প্রজাতি পাশাপাশি না থাকলে সহজে বোঝা যায় না।
ঝোপের মধ্যে কোন মাংসাশী প্রাণীর উপস্থিতি টের পেতেই ঝেড়ে দৌড় দিল দলটি

আবারও আমরা চোখের সামনে জলজ্যান্ত শিকার দেখার সুযোগ পেয়েও বঞ্চিত হলাম।
যাই হোক কিছুটা এগিয়ে যেতে চোখে পড়ল Kittlitz's plover (Charadrius pecuarius)

পাখীটার নামকরণ হয়েছে জার্মান পরিবেশ-বিদ হাইনরিখ ভন কিটলিটয এর নামে। যে ৪ প্রজাতির পাখীর নামের সাথে ভদ্রলোকের নাম জড়িয়ে আছে তার মধ্যে উপরেরটি একটি। যদিও ৪টির মধ্যে ২ টি প্রজাতি অলরেডী বিলুপ্ত, এই পাখীটিকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিটলিট'য প্লোভার এর কনজারভেশন স্ট্যাটাস এখনও “Least Concern”। ল্যাপউয়িং গোত্রের ২ পাখীর সাথেও দেখা হয়ে গেল । প্রথমে দেখা দিলেন Crowned Lapwing (Vanellus coronatus)

তার পরপরই দেখা পাওয়া গেল Blacksmith Lapwing(Vanellus armatus) এর

এদের বিচরণ সাধারণতঃ আফ্রিকার আরও দক্ষিণে। আমরা ভাগ্যগুণে দেখা পেয়ে গেলাম আর কি।
সময় প্রায় দুপুর, গোসলের সময়। একপাল হাতি তাই ধুলো উড়াতে উড়াতে চলে যাচ্ছে জলাভূমির দিকে

ধুলাময় রাস্তা ছেড়ে আমরাও চলে এসেছি জলাভূমির কাছাকাছি। সামনে পড়ে গেল একপাল জলহস্তী

চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমাদের উপস্থিতি তাদের খুব একটা পছন্দ হচ্ছে না। একটাও যদি দৌড়ে এসে আমাদের গাড়ীতে বাড়ি দেয় তাহলেই আর দেখতে হবে না। আমরাও এজন্য মানে মানে সে জায়গা ছেড়ে সরে পড়লাম।
জলাভূমিতে আধেক শরীর ডুবিয়ে রেখে মা হাতি যখন মনের সুখে খেলছে বাচ্চার সাথে

তখনই চোখে পড়ল তাকে। মাছের যম আফ্রিকান মেছো ঈগল (Haliaeetus vocifer) রাজকীয় ভঙ্গিমায় বসে আছেন জলাভূমির কাছে।

আগের পর্বে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম একজনের সাথে যিনি ২টি দেশের জাতীয় পাখীর খেতাব একাই বাগিয়ে নিয়েছেন। ইনি এক না দু কাঠি উপরে, এনার দখলে আছে ৪ টি দেশের জাতীয় পাখী হওয়ার খেতাব। জ্বী জনাব, পাখীটি একাধারে ৪টি আফ্রিকান দেশ জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, নামিবিয়া আর সদ্য স্বাধীন হওয়া দক্ষিণ সুদানের জাতীয় পাখী। একই রেকর্ডের অধিকারী আরেকটা পাখী আছে যার বসবাস দক্ষিণ আমেরিকায় - আন্দেজের শকুন। কোনদিন দক্ষিণ আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ হলে তাদের গল্প হবে ক্ষণ। যাঁরা ভাবছেন এই ২ পাখীই হয়তো সবচেয়ে বেশী দেশের জাতীয় পাখীর রেকর্ডধারী তাদের জানিয়ে রাখি সোনালী ঈগল ৫ টি দেশের জাতীয় পাখীর খেতাবধারী, তবে বেশীরভাগ দেশেই বেচারা অফিশিয়ালি এই খেতাব না পাওয়ায় আপাতত বলা যায় আফ্রিকান মেছো ঈগল আর আন্দেজের শকুনই সবচেয়ে বেশী দেশের জাতীয় পাখীর অফিশিয়াল রেকর্ডধারী।
মধ্যাকাশ থেকে সূর্য বেশ কিছুটা পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ায় আমাদের পার্ক থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়ে গেল। পার্ক থেকে বেরিয়ে আসার আগে চোখে পড়ল একপাল ওয়াইল্ডাবীস্ট।

এরা মাইগ্রেটরি দলের অংশ নয়, এরা স্থায়ীভাবে এখানকার বাসিন্দা হয়ে গেছে ।
আম্বোসেলী পার্ক থেকে বেরিয়ে আমরা চললাম মাসাই গ্রামের দিকে। গ্রামবাসী সাদরে স্বাগত জানাল তাদের গ্রামে। মাসাই নাচের মাধ্যমে শুরু হল মাসাইদের জানার পর্ব। মাসাই নাচের প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে উপরের দিকে লাফানো আর নাচের অনুষ্ঠানে যে তরুণ সবচেয়ে উঁচুতে লাফাতে পারে সেই জয় করে তরুণীদের হৃদয়।


মাসাইদের স্বয়ম্বর-সভাতেও যে সবচেয়ে বেশী উঁচুতে লাফাতে পারে সেই পায় বরমাল্য। নাচের অনুষ্ঠানের পর গ্রাম পরিভ্রমণ। নিচের ছবির মত খুবই ছোট ছোট কুঁড়েঘরে থাকে মাসাইরা।

গড়ে ৬ফুট বা তারও বেশী লম্বা মাসাইদের কুঁড়েঘর কেন এত নিচু তার উত্তর জিজ্ঞেস করেও পাইনি। আর ঘরের আয়তনও খুব ছোট। বেশীরভাগ বাসা সাধারণতঃ একটা শোবার ঘর আর একটা রান্নাঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর পুরো গ্রাম ঘেরা থাকে কাঁটাওয়ালা গাছের শুকনো ডাল দিয়ে যা রক্ষা করে তাদেরকে মাংসাশী প্রাণীর আক্রমণ থেকে।
কিভাবে এখনও পুরনো পদ্ধতিতে মাসাইরা আগুন জ্বালায় তাও দেখা হল

শোনা হল কিভাবে মাসাইরা সিংহ শিকার করে। আইনতঃ বর্তমানে সিংহ শিকার নিষেধ তবুও এখনও কিছু কিছু মাসাই পূর্বপুরুষদের রীতি ধরে রেখেছে, শুধুমাত্র একটা ঢাল আর বল্লম নিয়ে তারা বেরিয়ে পড়ে সিংহ শিকারে। নিয়ম অনুযায়ী মৃত সিংহের লেজ বরাদ্দ দলের সবচেয়ে সাহসী শিকারীর জন্য আর সাহসী শিকারীর তকমা তার ভাগ্যে জুটবে যে সবার আগে আক্রমণ করেছে সিংহকে। কারণ সিংহ প্রতিআক্রমণ করবে তাকেই যে সবার আগে আক্রমণ চালিয়েছে। এই যে দেখুন সেই পুরষ্কার সিংহের লেজ ধরে আছি আর পাশের মাসাইয়ের হাতে রয়েছে গরুর লেজ

জীবন বাজি রেখে পাওয়া এই সিংহের লেজ দিয়ে কি করে জিজ্ঞেস করায় মাসাই হেসে বলল - কেন? মাছি তাড়াই।
যদিও জানি এই লেজ এরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম রেখে দিবে আর বংশানুক্রমে চলবে বংশের প্রাক্তন সদস্য কোন এক সাহসী সিংহ শিকারীর গল্প।
রং বেরং এর পুতির মালা খুবই পছন্দ মাসাই মেয়েদের।

পুতি দিয়ে মালা গেঁথে তা গলায় পরে সেজে-গুজে বিকেল কাটানো ওদের প্রিয় একটা কাজ। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল, মাসাইদের বিদায় জানিয়ে আমরাও ধীরে ধীরে ফিরে চললাম রিসোর্ট এর দিকে।
পরের দিন কেনিয়ায় আমাদের শেষ দিন। আম্বোসেলী থেকে সোজা চলে যাব নাইরোবীর জোমো কেনিয়াত্তা বিমানবন্দরে। তাই সকাল বেলায় বেশ খানিকটা সময় কাটালাম শুধু কিলিমাঞ্জারো কে দেখে

সময় বাধ্য করে কোন না কোন সময়ে বিদায় জানাতে। কিলিমাঞ্জারো কেও একসময় বলতে হল বিদায় ! ! ফিসফিস করে সেও কি বলল "আবার এসো"?
ছবি কৃতিত্ব: ৩/৪ টা বাদে বাকী সকল ছবি তোলার কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর। কোন্ গুলি আমার তোলা সেটা নিয়ে দাম্পত্য বিবাদ ২০১১ সাল থেকে এখন অবধি চলছে।X(
বি:দ্র: যে প্রাণী/পাখী দের বাংলা নাম জানা নেই তাদের ইংরেজী নামের সাথে সাথে বৈজ্ঞানিক নামও জুড়ে দিলাম-জীবজগত নিয়ে জানতে আগ্রহীদের হয়ত সুবিধে হতে পারে ভেবে।

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: অসাধারণ !

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৫

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুলবিডি৪। দেশে আসলে চেষ্টা করব আপনার সাথে একবার পর্বতে যেতে। ঈদুল ফিতরে দেশে আশার ইচ্ছা আছে, যদিও জানি সময়টা ট্রেকিং এর জন্য খুব ভাল হবে না তবে সে সময় আপনার কোন প্ল্যান থাকলে জানিয়েন, চেষ্টা করব যাওয়ার।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

মায়াবী রূপকথা বলেছেন:
দারুন। সবগুলো দেখে এবং পড়ে নিলাম। :)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মায়াবী রূপকথা। সেই ২০১১ এর পরে তো আর কোন পোস্ট করলেন না। কিছু লিখুন।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১২

তপ্ত সীসা বলেছেন: পিলাচ লন

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০০

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: তপ্ত সীসা থেকে পিলাচ নিতে যদিও একটু ভয় লাগছে তবুও নিয়ে নিলাম।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪২

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: অসাধারন লেখনী। নিজের চোখে এসব দেখেছি......তখন এত ভালো লাগেনি।
লিখতে থাকুন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ভাল লাগেনি B:-) আমিত বলব এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভাল লাগল। যেমন ছবি তেমন বর্ননা। সাথে আপনার ছবিও দেখা হলো। ধন্যবাদ

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামাণিক সবসময় সাথে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। চেহারা সুরত খুব একটা ভালা না, হলে সব পোস্টেই দিতাম। :#)

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসাধারণ ভাইয়া।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪০

বিরাজ বলেছেন: khub valo laglo....valo thakun

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০২

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ বিরাজ। ভাল থাকুন সবসময়

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই পর্ব সব পর্ব কে ছাড়িয়ে গেছে ছবি, বনর্না
সব সব খুব সুন্দর।
প্রিয়তে রাখতেই হল :)

শুভ কামনা..

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু সবসময় সাথে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। প্রকৃতিগতভাবে আমি বেশ অলস টাইপ। আপনাদের মন্তব্যগুলোই আসলে উৎসাহ যোগায় ব্লগে লিখতে।

ভাল থাকুন সবসময়।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

মধুমিতা বলেছেন: +++++

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ মধুমিতা।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১১

তপ্ত সীসা বলেছেন: ভয় কি ভায়া? আপনেও মানুষ আমিও মানুষ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩০

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আপনাকে তপ্ত সীসা ভেবে ভয় পেয়েছিলাম, মানুষ যখন তখন ভয়ের কিছু নাই।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

জুন বলেছেন: ইশ কবে যাবো আফ্রিকা ! কবে যাবো মাসাইমারা আর সেরিংঘেটি ন্যশ পার্ক দেখতে মুদ্রা সংগ্রহক :(
নাকি ন্যাশ জিও দেখেই জীবন পার করবো /:)
হেমিংওয়ের কেবিন আহ আপনি স্পময় পেলে স্নোজ অফ কিনিমাঞ্জারো ম্যুভিটা দেখবেন । তখনকার সেই পরিবেশ কি এখনো তেমনি আছে বুঝতে পারবেন। আমি যে কোন ( বিদেশী )বই পড়লে এটলাস আর নেটে তার পুরো ইতিহাস রুট ইত্যাদি জেনে নেই । এটা আমার প্যাশন বলতে পারেন ।
খুব খুব ভালোলাগলো আপনার এই সিরিজটি । আর ছবিগুলোর জন্য ভাবীকে অনেক ধন্যবাদ ।
+

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আরে আপনি চাইলে তো যেকোন সময় চলে যেতে পারেন আফ্রিকা। তবে একই সময়ে মাসাইমারা আর সেরেঙ্গাতি ২ জায়গায় যাওয়ার চেয়ে এক সময়ে কেনিয়ার বিভিন্ন পার্ক ঘুরে দেখা মনে হয় বেশী যুক্তিসঙ্গত হবে। মাসাইমারা আর সেরেঙ্গাতির ল্যান্ডস্কেপ এবং জীব বৈচিত্র অনেকটা একইরকম, সুতরাং বছরের কোন সময়ে যাচ্ছেন সেটার উপর নির্ভর করে মারা আর সেরেঙ্গাতির মধ্যে কোন একটাকে বেছে নিতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে কেনিয়া যাওয়া এখন অনেক সস্তাও হয়ে গেছে এয়ার অ্যারাবিয়ার কারণে। ৭৫০ ডলারের মধ্যে রিটার্ন টিকিট হয়ে যাবে ঢাকা-নাইরোবী ঢাকার।

স্নোজ অব কিলিমাঞ্জারো ডাউনলোড করে রাখা আছে কিন্তু দেখব দেখব করেও দেখা হয়ে উঠছে না।

ছবির জন্য শুধুমাত্র আমার স্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন X(( দাম্পত্য বিবাদ তো আপনাদের সাপোর্ট পেয়ে আরও বেড়ে যাবে মনে হচ্ছে :((

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ !! :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ জহির ভাই। অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম।

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
দুর্দান্ত !!! ++

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নচারী। গ্রানমা সম্পর্কে জানতাম না। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম।

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

তুষার কাব্য বলেছেন: মাসাইদের আগুন জ্বালানোর পদ্ধতি সত্যি অসাধারণ ! আর ওদের ড্রেস গুলা যা সুন্দর না! আমার খুব পছন্দ হয়েছে :)

পোস্টে আফসোস !! কবে যে যাব আফ্রিকার সাফারি তে :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আগুন জ্বালানোর পদ্ধতি খুব অসাধারণ না, আর এ যুগে এত কষ্ট করে আগুন জ্বালানোর কথাও না, আমার কাছে মনে হয়েছে এটা শুধুমাত্র টু্রিস্টদের আকর্ষণ করার একটা কৌশল মাত্র। তবে জামা কাপড় খুব কালারফুল, ছবি তোলার জন্য বেশ ভাল।
আর সাফারিতে যাওয়ার ব্যপারে আগেও বলেছি আবারও বলছি - ইচ্ছেটা ধরে রাখেন বস। তাহলেই দেখবেন কিভাবে কিভাবে যেন ম্যানেজ হয়ে গেছে।

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ভাই দেশে আসবেন কবে?
আমি তো হুট হাট ট্রিপে যাই, কোন ঠিক ঠকানা নাই ।
ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে বেশ এক্টিভ আর ফ্রেন্ডলী ।
ওদের সাথে থাকলে অনেক মজার মজার ট্রিপ পাবেন, মন চাইলে আমাকেও নিতে পারেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ইচ্ছে আছে ঈদুল ফিতরে দেশে আসার। আপনার মুঠোফোন নম্বর কিংবা ইমেইল এ্যাড্রেস কি দেওয়া যাবে? তাহলে আগে থেকে যোগাযোগ করে কোন একটা পরিকল্পনা করা যেত। ফেসবুকের কোন গ্রুপগুলোর কথা বলছেন?

১৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আফ্রিকান সাভানার চিত্র গুলো অসাধারণ লাগলো। অসাধারণ ফটোগ্রাফি। ভ্রমনকাহিনী খানা ও জোশ হয়েছে। ভাল্লাগছে ভাই। ভাল থাকবেন।

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।
আপনার মত ডানা থাকলে বড় ভাল হত, ইচ্ছেমত যেখানে খুশি সেখানে চলে যাওয়া যেত। ;)

১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনার নতুন পোষ্ট কই?

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগ বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার পর আজকে পোস্টটা আবার পড়লাম, দারুণ লাগল! এখনো দেশের বাইরেই আছ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.