নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিন্কল্ন

I m more simple as i expect....

লিন্কল্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়টা যে কিসের

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

আমি একটা ব্যাংকে কাজ করি ইন্টার্ন হিসাবে। ব্যাংকে কিছু দিন যাবার পর আমি বুঝতে পারলাম ব্যাংকে আগে সবাই নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করতো। আর এখন আমি যাবার পর আমাকে দিয়ে সব কাজ করায়, জারিও দেয় দুই জন। বাকিরা কাজ করায় আর সহানভুতি দেখায়। আমি সব বুঝতে পারি। কিন্তু কিছু করতে পারি না। কারন আমার মাথায় আসে না আমি কি করব। কিছু দিন পর স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম যে এইখানে জইন করবো। মানে আমার একটা বাজে অভ্যাস আছে দিবা স্বপ্ন দেখার। এই কারনে আমি অনেকটা অমনোযোগী। আমার কাজে ভুল হয় আবার আমি জারি খাই, আমাকে দিয়ে কাজ ও করায়। এখন মাঝে মাঝে মনে হয় ছেড়ে দিবো। কিন্তু আর দুই মাস কাজ করে জেতে হবে। উপায় নাই। বিপদে আমি সব সময় পড়ি। আর ভালো লাগে না। সবাই মিলে মাঝে মাঝে আমার ভুল নিয়ে মজা করে তখন খুব খারাপ লাগে। ইচ্ছা করে অনেক কিছু করতে, কিন্তু করতে পারি না। এই দিকে একটা মেয়েকে ভালো লাগে, তাকে বলিও আমার ভাও লাগার কথা। কিন্তু সে বলে আরেক জনকে ভালোবাসে । সে আবার তাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি যে মেয়েটাকে ভালবাসি, সে এখন একা, আমাকে ভালবাসে না কিন্তু আমার সাথে কথা বলে, তার বয়ফ্রেন্ডকে ভালবাসে, কিন্তু কথা বলে না। আমি সবই বুঝছি, কিন্তু নিজেকে বুঝাইতে পারি না, অনেক বিপদে আছি।

১। ব্যাংক নিয়ে

২। ভালোবাসা নিয়ে।

আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষকে যতটা সাহসী হইতে হয় আমি ততটা না, যার কারণে এত প্রব্লেম হচ্ছে।

সবার প্রব্লেম থাকে। আমার মানসিক প্রব্লেম অনেক বেশি।

আরেকটা বিষয় আমি সুযোগ পেলে মেয়েটার সাথে ঘুরতে যাই।( যদিও সে বার বার বলছে সে আমাকে ভালবাসে না) তবুও আমারা ঘুরতে যাই। সে আমার সাথে খুশি না। কারণ টা আমি নিজে না কি ওর বয়ফ্রেন্ড। আমি জানি না। আমি প্রতিদিন ঠিক করি আমাকে সাহসী হইতে হবে। কিন্তু পারি না। আমি আমার অনুভুতি আমার মতকরে লিখার চেষ্টা করছি। লিখায় এলোমেলো হতে পারে, কারণ আমি নিজেই এখন অনেক এলোমেলো, কিছু মনে রাখতে পারি না, ভুলে যাই, লিখতে গিয়েও কি লিখছি আর কি লিখি না, বার বার পড়ছি। পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

কমেন্ট করবেন, ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: আমার ধারনা আপনার আত্মবিশ্বাস এবং ব্যাক্তিত্বে কিছু সমস্যা আছে, এগুলোর বিকাশ ঠিকমতো হয়নি। একসময় ঠিক হয়ে যাবে এসব, তবে তার জন্য আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে, এবং পড়াশুনা করতে হবে। প্রচুর পড়াশুনা ব্যাক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে। গল্প-উপন্যাস পড়বেন, ভালো কোয়ালিটি টাইম পাস করবেন। মেডিটেশন করতে পারেন, "কোয়ান্টাম মেথড" নামের একটা বই পাওয়া যায়, বাংলা বই। ওটা কিনে পড়তে পারেন, ফ্রী ডাউনলোডও করে নিতে পারেন নেট থেকে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

লিন্কল্ন বলেছেন: আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার, মেয়েদের থেকে দূরে থাকার চেস্টা করবেন। মনে রাখবেন, বিয়ে করলে এমনিই আপনার জীবনে একজন আসবে, এখন থেকে মেয়েদের পিছনে ছ্যাবলার মতো ঘুরে বেড়ানোর কোনই মানে হয়না। ভালোবাসার দাম দুই পয়সা। আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে চাইলেই বরং ওরা কাছে আসার চেস্টা করে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

লিন্কল্ন বলেছেন: মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে চাইলেই বরং ওরা কাছে আসার চেস্টা করে।
মজা পাইলাম। অ্যাপ্লাই করে দেখবো।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

বোকা মিয়া বলেছেন: আমি আপনার অনেক জুনিয়র তবে আমার বাবার মুখে যতটুকু শুনেছি, ইন্টার্নদের এ্যাপয়েন্ট করা হয় কোয়ালিটি চেক করার জন্য। আপনাকে বিভিন্নভাবে টেস্ট করা হবে আপনার ক্যাপাসিটি দেখার জন্য। কোন অবস্থায় আপনি কিভাবে রিঅ্যাক্ট করেন তা দেখা হবে। আপনাকে যদি কেউ কাজ করতে দেয় সেটা আপনার জন্য বিশাল সুযোগ। কারণ প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় কাজ করার সুযোগই তো পাওয়া যায় না! বহু মানুষ বসে আছে কাজের সুযোগ পাওয়ার জন্য। মূলত এর মানে হল আপনি সুনজরে পড়েছেন এবং এখন আপনি যত বেশী কাজ করে দেখাতে পারবেন তত আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমার বাবা এফবিসিসিআই এর সাবেক প্রধান আনিসুল হকের মোহাম্মদী গ্রুপের জিএম(ইমপোর্ট, এডমিন এবং এইচ আর)।


নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার, মেয়েদের থেকে দূরে থাকার চেস্টা করবেন। মনে রাখবেন, বিয়ে করলে এমনিই আপনার জীবনে একজন আসবে, এখন থেকে মেয়েদের পিছনে ছ্যাবলার মতো ঘুরে বেড়ানোর কোনই মানে হয়না। ভালোবাসার দাম দুই পয়সা। আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে চাইলেই বরং ওরা কাছে আসার চেস্টা করে।
পুরোপুরি একমত। বাস্তবতা হল আপনি যদি এখন আপনার প্রিয় মানুষের পিছে ঘুরেন তবে উনি আপনাকে ব্যাক আপ প্ল্যান হিসেবে হাতে রাখবেন। অর্থাৎ সব অপশন ট্রাই করে বিফল হলে মানে আপনার চেয়ে ভাল অন্য কাউকে না পেলে আপনার কাছে ফিরে আসবেন। কিন্তু এই বিপদে আপনি এড়িয়ে চললে উনি দিশেহারা হয়ে কিছুদিন ঘুরার পর বুঝবেন যে উনি ভুল করেছেন এবং তখন আপনার কাছে ছুটে আসবেন। আমি জানি এখন হঠাৎ করে এড়িয়ে চলা আপনার জন্য খুব কঠিন এবং বিপদের সময় এহেন আচরণ অমানবিকও বটে, কিন্তু কিছু করার নেই কারণ এটাই দুনিয়ার নিয়ম।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০২

লিন্কল্ন বলেছেন: আমি এড়িয়ে চলতে গিয়ে আমার কষ্ট আরও বেড়ে যায়। তাই আমি আমার জায়গায় এখনও আছি। কাল কি করবো জানি না। এড়িয়ে চলা শুরু করলে সে যদি ফিরে আসে, তবে এটা অ্যাপ্লাই করা যায়, কি বলেন?

আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.