![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী এখন আমার সাথে
এক সময় পৃথিবী
বড় বড় চোখে আমার দিকে চেয়ে থাকত;
আর এখন আমি পৃথিবীর বিস্ময়ের দিকে চেয়ে থাকি।
কত যে বিস্ময় লুকিয়ে আছে?
না দেখা চোখের বাহিরে।
এই ক্ষুদ্র চোখে কতটুকুই বা...
দৃষ্টির আঁড়ালে রয়ে গেল চিরদিনই
দৃষ্টির আঁড়ালে রয়ে গেল চিরদিনই
কথা কাজের ফাঁকে নিত্য উঁকি
বছরের পর বছর গুলে চলছে
সেই একই লুকোচুরি!
সব কিছু ফুরাবার জন্য
অথবা ফুরিয়ে যায় একবার না একবার
সেই যে আহম্মক লুকোচুরি;
তার...
বৃষ্টির ডুবসাঁতারে সেই ক্ষত প্রেম
কোলাহলে বেশতো ছিল
প্রবাহ বিদ্রোহ বিরূপ
কাল পেরোনো; ক্ষতস্থান চুঁইয়ে পরে
পঞ্চমী চাঁদের মতো
মহুয়া নেশায় ঘোর রাত
রাত ফুরালেও ঘোর কাটে না
তাবর রাতের নেশার শতরঞ্জি
কত কবিতা ফড়িং?
ডানায় উড়ে উড়ে
সাত...
আপন হারা অমানুষ বেশে
তীব্র দহনে পুড়ে
সহস্র বেদনার গীত
লজ্জায় পদানত!
পুঁজির ধূম্রজাল পাতা
কত আর কত?
ফেলা হবে থুথু; ধিক্ শত ধিক্
থুক্কু এক দোলা থুথু ঐ নিকৃষ্ট শরীরে!
মৃত্তিকার কিট বুনে যা
মানুষ কেন?
পুড়ে যায় পুঁজির...
ফড়িং এর মতো রোদ্দুরে পুড়ে
ফড়িং এর মতো রোদ্দুরে পুড়ে
চৌচির মৃত্তিকা ফাটল যন্ত্রণা বুকে
অমিমাংসিত কবিতার পাঁচফোড়ন!
কূল ছেড়েছে বাতাস কবে?
জানি আসবে ফিরে,
শুকনা নদীর বুকে জোয়ার
এসেছে তাপ দাহ প্রণয়ী তৃঞ্চা;
এসেছে ফিরে তোমার দুয়ারে
গোলাপ...
চৈত্র সংক্রান্তি
বসন্তের শেষ দিন,
ভাঙ্গল দোলের মেলা
কালাই ভাজা মুড়িমুড়কি
ডালা ভর্তি গজার হাতি ঘোড়া।
রেশমী চুড়ি বেলোয়ারি,
মেলায় সারি দোকান
জিলেপি ভাজা রাঙা পাঁপড়
কাঁদে ঝোলায় বাঁশের বাঁশি।
তাল পাতার পাখা,
বেলুন ফুলানের বাঁশি
সাপের লেজে কাগজের ঘুড়ি
দক্ষিণা বাতাসে...
সেই শৈশব থেকে কাঁদা শুরু
সেই শৈশব থেকে কাঁদা শুরু
আজ অব্দি চলছে।
একটা সময় কাঁদলে, আদর বেড়ে যেত
আর এখন কাঁদলে
বিয়োগান্তক কিছু বোধ হয়।
সর্ষেফুলে বর্ণিল মাঠ ছুঁয়ে, আকাশের কবিতা লেখা
অথচ চৈত্র দাবদাহে তৃঞ্চা...
দোল লেগেছে হাওয়ার দোল
চৈত্র হাওয়ার দোল লেগেছে
হাওয়ার দোল,
কোন সে আকাশ পানে?
কি যে মায়ার টান জাগে?
দোল লেগেছে হাওয়ার দোল।
কাজলা দিদির গাঁও দোল লেগেছ
হাওয়ার দোল,
কোন সে নদীর চরে?
কিসের এত ধোঁয়া উড়ে?
দোল লেগেছে...
নন্দন প্রাপ্তির বাসনা ক্ষয়িঞ্চু কালে
প্রপিতামহের মুক্তির সনদ
বংশ পরমপরা উম্মুক্ত আজ; সেই পুরাতন রক্তের দাগ
কালের পর কাল পেরোলেও মুছে না
বার বার সেই একই ক্ষতে
শুধু জীবন বাঁচাবার তাগিদে; আড়ম্বর মল্ল যুদ্ধ
রক্তে লেখা...
চৈত্র রাতের নির্ঘুম আখ্যান
চৈত্র রাতের নির্ঘুম আখ্যান, দক্ষিণা হাওয়া বয়
নির্লিপ্ত তৃপ্তির অব স্বাদে, কথার কাঙাল ছিল জোনাকি
তাই তো আলো জ্বেলে প্রিয়ার তপস্যা,
ঘুরে ঘুরে বন বাদারে
যদি মিলে মিলন সোহাগ!
নক্ষত্ররাজি উন্মুখ স্বাক্ষী...
বসন্ত কাননে এ কোন পথ ভোলা বাউল
চৈত্রের গা পোড়া রোদে
দক্ষিণা উদাস হাওয়া,
শরীর জুড়িয়ে দেয়; ঝরা মুকুলের মৌ মৌ বাসনা
ধুলায় মলিন শিশির মাখা পথ
মলিন দূর্বা ঘাসের সবুজ যৌবন ফিরে
ঘাস ফুলে লাল...
সেইতো দুই যুগ আগের বিকেল
সেইতো দুই যুগ আগের বিকেল,
আর আজকের বিকেলের বিস্তর ফারাক;
অফিসের বারান্দায় ছিটেফোঁটা বিকেলের আলো
বিনম্র চোখে দুদণ্ড দেখে ফেরা
টিউব লাইটের আলো ছায়ার কাজের ঘর টায়
সেই বিকেল ছিল দুরন্তপনার
সবুজ...
মাগো ভালোবাসি
জননী তুমি ছিলে বলে,
এমনি করে পৃথিবীটা দেখার;
সুখ দুঃখের ঝঙ্কার বাজিয়ে
যাচ্ছি জলে দিব্বি ভেসে।
তাই তো আজও শুনি ঘুম পাড়ানি মাসি পিসির সেই আদুরে গান। মনে পরে না মাগো, কত কত...
পিছন ফিরে ফিরে
পিছন ফিরে ফিরে
নাই বা দেখা হল চেয়ে চেয়ে,
পথের সাথে ফেরি করি সারা বেলা
ভুবন জুড়ে মেঘের মেলা
প্রাণ জুড়াবে কুড়িয়ে রৌদ্র ছায়া।
রৌদ্র ছায়া মাড়িয়ে দিল হাওয়ার দোলা
মেঘের সাথে খুনসুঁটি যে...
আবার ফিরে চলে গেল
আবার ফিরে চলে গেল
বাহান্নর সেই একুশ; রেখে গেছে
চেতনার দ্বীপ জ্বালিয়ে
কালে কালে কালের জমিন এ বীজ বুনা
সেই মৃত্যু পরম্পরা;
রক্তের আখরে প্রত্যয়ন অঙ্গিকার!
চেতনার মননে;
বার বার আশাহত দক্ষিণের মুক্ত হাওয়া
অভিশপ্ত...
©somewhere in net ltd.