নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কীর্তনখোলা তীরে

আমি একজন সাধারণ মানুষ। সাধারণভাবে বেচেঁ থাকতে চাই। তবে মানুষ হিসেবে আমি একজন ব্যর্থ প্রকৃতির। আমার কোনো বিশেষ কোনো গুণ নেই।

কীর্তনখোলা তীরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

''রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক''

১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বা চালু রাখার বিষয়ে চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আমাদের জাতীয় জীবনে উপস্থিত।রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি বর্তমানে বাংলাদেশের পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম চরম ভাবে হুমকির সম্মুখীণ।রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি করার ফলে ছাত্র সংগঠনগুলো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন ,রাহাজানি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে। অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল প্রায় অধিকাংশ পরিবার এই সহিংস ছাত্র রাজনীতির কারনে তাদের সন্তানদের এখন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে উচ্চ শিক্ষা এখন শুধুমাত্র ধণিক শ্রেণীর ব্যাক্তিগত সম্পদে পরিণত হচ্ছে। আর আমাদের দেশের রাজনীতিবিদগণ নিজে ছাড়া পুরো পরিবার দেশের বাহিরে রেখে তাদের ছেলে মেয়েদের বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদে পড়াশুনা করাচ্ছেন। দেশের বেশির ভাগ নাগরিকের ধারনা ক্যাম্পাসে ''রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি'' বন্ধ হউক এটা শতকরা ৭০থেকে ৮০ভাগ ছাত্র-ছাত্রীর প্রত্যাশা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতি মানে সরকার ও প্রশাসনের অনৈতিক কাজে লাঠিয়ালের ভূমিকায় কাজ করা, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বানিজ্য, হলে সিট বরাদ্দে হস্তক্ষেপ বা বানিজ্য, ক্যাম্পাস ভিত্তিক বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদক ব্যবসা, ছাত্রী....সেঞ্চুরী, প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অন্য কোন অসৎ রাজনৈতিক উপায়ে বিসিএস বা প্রথম শ্রেণীর চাকুরীতে প্রবেশ করে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করা। এই কোমলমতি ছাত্রদের রাজনীতির নামে ব্যবহার করছে বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রশাসন ও প্রশাসনের বিপক্ষ রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষকরা (লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক শিক্ষক রাজনীতিও বন্ধ হবে), টেন্ডারবাজ ব্যবসায়ী ও সর্বোপরি দেশ পরিচালনাকারী প্রায় সকল বৃহৎ রাজনীতিক দল যাদের কেউই চায়না ''রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি'' বন্ধ হউক (ন্যায়ের পক্ষে থাকলে তাঁরা প্রতিটা ক্যাম্পাসে ভোট দিয়ে যাচাই করুন)। তাই আমাদের এখন প্রয়োজন ছাত্র রাজনীতির সেই দূর অতীতের সোনালী দিনের নিস্ফল স্মৃতিচারণ না করে বাস্তবতায় ফিরে আসা। আমাদের বিশ্বাস বর্তমান প্রেক্ষাপটে লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির পক্ষে কোনো যুক্তিই উপস্থাপন করা যায় না যতটা এর বিপক্ষে তুলে ধরা যায়। বিগত ৫ বছরে এমন কোন ক্যাম্পাসের কথা আমাদের জানা নেই যেখানে ছাত্রদের স্বার্থে কোন কর্মসূচী দেওয়া হয়েছে বা দিতে দেওয়া হয়েছে।তাই আমাদের অনুরোধ অবিলম্বে রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হউক যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসে। যদি কোন ছাত্র-ছাত্রীর রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকে তবে সে তা ক্যাম্পাসের বাহিরে গিয়ে স্বাধীন ভাবে করতে পারে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:২৯

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: নিয়মিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন হলে এ সমস্যা অনেকাংশে দুরীভুত হতো। শুধু তাই না , জাতীয় পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হওয়ার সুযোগ হ তো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.