![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am nothing just a simple men. now studying LL.B(Hon's) at IIUC. To know more plz stay with or contact with me.
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান অভিবাসী ইস্যু নিয়ে বেশ কয়েকবার বসছি কিছু লিখব বলে। আল্প কিছু লিখে আর লিখতে মন চাই না। কারন, উচিৎ কথা বললে কোন পত্রিকা ওয়ালা প্রকাশ করবে না। ব্লগে কিংবা ফেইসবুক পোস্ট করলে সোজাসাপ্টা তকমা উঠবে "রাজাকার"! অনেকে আবার চৌদ্দগোস্টিকে উদ্বার করবে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করে।
এমনিতেই "আবেগী" জগতের বাসিন্দা বলে চারপাশের লোকজন। যেটা কে নাকি কন্ট্রোল করাটা আমার জন্য অতীব জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।...............
যাহোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাউকে দোষারোপ কিংবা তোষামোদ করে লিখার চেয়ে চুপ থাকাটাই অধিক শ্রেয় এবং মঙ্গলজনক!!!
তারপরেও আবেগী মনের বিবেকটাকে নিয়ন্ত্রণ করা সবসময় হয়ে উঠে না। যেমনটা আজকে একটা ভিডিও দেখে পোস্টটি লিখলাম। ভিডিওটাতে দেখলাম তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্বস্ত্রীক পরিদর্শনে গেছেন সমুদ্রে ভাসমান উদ্বার হওয়া কয়েক হাজার অভিবাসীদের দেখতে। তাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন উপস্থিত সবাই। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট এবং তার স্ত্রী চোখের পানি মুছতেছেন। অনেকটা ফুঁফিয়ে কাদঁতে দেখলাম প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে। জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিচ্ছেন নির্যাতিত কঙ্কালসার মুসলিম রোহিঙ্গাদের কে। সঙ্গে আনা সাহয্য সামগ্রী দিচ্ছেন সবাইকে। রাস্তার দু ধারে দাড়িয়ে থাকা হজারো অভিবাসী শরনার্থীদের সমস্বরে সালাম দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট কে গাড়ীতে যাওয়ার সময়ে। এই ভিডিও দেখে আমি নিজেই অনেক মর্মাহত হই! এবং মনে মনে অজস্র কোটি স্যালুট জানাই এরদোগানকে।
এর আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যেশ্য এরদোগান বলেন,
" আমরা দেখতেছি কিভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। এসব অসহায়, নিরাশ্রয় দরিদ্র লোকদের প্রতি আমরা কি সহানুভূতিশীল হতে পারি? ধনী দেশগুলোর এসব লোকদের জন্য কোনো সমাধান থাকা উচিত নয় কি? তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রত্যেকেরই উচিত নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা।’'
তুরস্ক সরকারই প্রথম ভাসমান ও উদ্ধার হওয়া কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম ও বাংলাদেশী অভিবাসীর জন্য এক মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।(প্রায় ৮০ কোটি টাকা) উদ্বারের জন্য জাহাজ প্রেরন করেন।
অথচ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মানবপাচার ও সাগরে হাজার হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গার ভাসমান অবস্থান নিয়ে সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও কেউ কর্নপাত করেনি। অভিযানের মুখে মানব পাচারকারীরা অভিবাসীদের ছেড়ে যাওয়ায় অভিবাসীরা থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় তাদের পূর্ব নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে পারছে না। খাবার ও পানির অভাবে তারা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। খাবার ও ওষুধের অভাবে তাদের অনেকে মারাও যাচ্ছে। দেশ তিনটি এসব অভিবাসীদের তাদের ভূখণ্ডে ভিড়তে দেবে না বলে ঘোষণা করেছিল। বৃহস্পতিবারে অবশ্যই ত্রি পক্ষীয় বৈঠকে শর্থসাপেক্ষ রাজি হয়।
কিন্তু সবার আগে তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাহসী ঘোষনা এবং সাহায্যে সবার টনক নাড়ে। যার ফলে অন্যান্য দেশগুলো সাহয্যে আগ্রহী হয়ে উঠে।
এখন তাদের যে সাহায্য দিচ্ছে তা হয়তো বর্তমান সাময়িক পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কোন সমাধান আনবে না। বরং আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং সংস্থা সমূহ সুকৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে মূল বিষয়ে।
কেন তারা বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে?
মৃত্যুপথ কেন তারা মুক্তির দিশা খুজছে?
তাদের অভিবাসী হওয়ার কারন কি?
সেটা জেনেও না জানার ভান ধরেছেন। নিজ জন্মভূমি মিয়ানমারে তাদের উপর অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন হত্যা লুন্ঠনের চিত্র বা কথা কেউ বলতেছে না। যেসব কারনে তারা দেশ ত্যাগে বাধ্য হচ্ছে মৃত্যুপথ জেনে ও।
২০১২ সালের শেষে র দিকে এসব নির্যাতন মাত্রা বেড়েছিল এবং কিছুটা বেশ ঘটা করেই প্রচার হয়েছিল মিডিয়া । বাংলাদেশে ভীড় করেছিল নির্যাতিত নারী শিশু পুরুষরা। বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্বা মূলক ব্যাবস্থার ফলে তখনো সমুদ্রে ভাসতে হয়েছিল রোহিঙ্গাদের।
ঠিক ঐ সময়ে এরদোগানের মতোই নায়কোচিত ভাবে সর্বপ্রথম রোহিঙ্গাদের প্রকৃত চিত্র তথা কথা বলেছিলেন "দৈনিক আমারদেশ" সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তার " মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই" শিরোনামে উপ সম্পাদকীয়
লেখাটি অনেকের চোখ খোলে দেয়। ( উক্ত শিরোনামে গুগুলে সার্চ দিলেই পাবেন। নতুবা এই লিঙ্কেও আছে, https://m2.facebook.com/notes/454439471271855/)
লেখাটি পরবর্তীতে কলেবর বৃদ্বি করে সংকলিত বই আকারে প্রকাশিত হয়।
অশেষ ধন্যবাদ, মাহমুদুর রহমান এবং এরদোগান এই দুই সময়ের সাহসী বীরকে!
এই দুই বীর পুরুষকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্যই লিখলাম।
চরম ধিক্কার জানাই "আমারা" কে!
- এম.আর.ওয়াজেদ চৌধুরী (রায়হান)
মানবাধিকার কর্মী,
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, আইআইইউসি।
২| ২৫ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
"
- এম.আর.ওয়াজেদ চৌধুরী (রায়হান)
মানবাধিকার কর্মী,
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, আইআইইউসি। "
-শিক্ষার্থী, একই সময়ে মানবাদিকের কর্মী?
আপনি বড় ধান্ধবাজ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
রেজওয়ান26 বলেছেন: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা এরকম যে,
১. মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে যাবেন তো কড়া সমালোচনার মূখে পড়বেন (সেক্ষেত্রে আপনি রাজাকার উপাধি পেতে পারেন, দুদক আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে আরো অনেক কিছু)।
২. আর মানুষের জন্য খারাপ কিছু করবেন তো বাহবা পাবেন ( যেমন- স্বাধীনতা বিরোধী হলেও আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন, আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবার আশংকা থাকবেনা ইত্যাদি)।
তাই বলে কি ভাল কাজ করবেন না?
ভাল কাজ করতে চাইলে দুনিয়াতে তার প্রতিদান আশা করবেননা, ভাল কাজের প্রতিদান দেওয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ।