নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এম আর ওয়াজেদ চৌধুরী ( রায়হান )। পড়াশোনা করছি আইআইইউসির আইন বিভাগে । নিজের সমর্পকে বলার মতো এখনো কিছু করতে পারিনি । খুব ইচ্ছা হলে ফেইসবুকে আমার সাথে আসতে পারেন। www.facebook.com/MRWC90 সার্চ করে। ধন্যবাদ।।

এম আর ওয়ােজদ চৌধুরী

I am nothing just a simple men. now studying LL.B(Hon's) at IIUC. To know more plz stay with or contact with me.

এম আর ওয়ােজদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় কবির ইচ্ছা পূরন বনাম লীলাবতীদের যৌনলিস্পা পূরন!

২৫ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

২০১০ সালের এই সময়টাতে কয়েকমাস ঢাকায় ছিলাম। সুযোগ পেলেই ঘুরতে যেতাম স্বপ্নরাজ্য ঢাকার দর্শনীয় স্থান গুলোতে। তবে বেশিরভাগ যেতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। পূরান ঢাকার ইমামগন্জ্ব থেকে হেটে হেটে চলে যেতাম। রিক্সা কিংবা টেম্পোর কোন প্রয়োজনবোধ করতাম না। পরিব্রাজকের মানসিকতা নিয়ে কেন্দ্রীয় জেলের আশপাশের অলিগলি দিয়ে মিনিট কয়েক হাটলেই পৌঁছে যেতাম প্রাচ্যের অক্সপোর্ড এলাকায়। ঘুরে ঘুরে বেড়াতাম। কোথাও দাড়িয়ে কোথাও বসে সময় কাটিয়ে রাত আটটার দিকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। সেই পর্যবেক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এমন অনেক দৃশ্য চোখে পড়েছে যা বলতেও অরুচি ধরে । সেরকমটা চোখে পড়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পার্শস্থ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইমলামের মাজার প্রাঙ্গণে।

আমরা জানি যে, কাজী নজরুল ইসলাম জীবিতকালে বহুবার ইচ্ছা পোষণ করছিলেন তাকে যেন মসজিদের পাশে দাপন করা হয়। তার সেই ইচ্ছার প্রতি সম্মান রেখেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছিলো। তবে কবির সেই আশা পুরোটাই পুরন হয়নি। তিনি দৈনিক পাঁচবার আজানের ধ্বনি শুনতে পান।
কিন্তু তার আরেকটি আশা, মসজিদের মুসল্লিদের পদধ্বনি শুনতে পাননা। তার কবরের পাশ ঘেসে মুসল্লিদের নামাজে যাওয়ার পথ নাই।
যাহোক, মসজিদের পাশেই তো সমাহিত করা হয়েছে।
কিন্তু অত্যান্ত দু:খের ব্যাপার হল অঙ্গনের পরিবেশ তথা পবিত্রতা নিয়ে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এসব কর্মকান্ডে জাতীয় কবির আত্বা কস্ট পায় এবং দুঃখ পান তার ভক্তগন। যখন দেখেন তার কবরের আশেপাশে জোড়ায় জোড়ায় প্রেমিক-প্রেমিকা প্রেমলীলা সম্পন্ন করেন। এমন সব প্রেম লীলা তথা যৌনা খেলায় মত্ত থাকেন যা পতিতালয়ে অন্ধকার ঘরে সম্ভব!!!
এইভাবে জাতীয় কবিকে সম্মান ও শ্রদ্বা করে বর্তমান প্রজন্মের কতিপয় বিবেকহীন ছেলেমেয়ে। যেখানে একজন স্বাভাবিক মানুষ "কবর" এর নাম শুনলে ভয়ে আতকে উঠে সেখানে কবরের পাশেই তরুন তরুনীরা নির্দিধায় এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে!

সত্যিই নিজেকে চরম লজ্জ্বিত এবং অপমানিত বোধ করি এই প্রজন্মের একজন হিসেবে।
আজ ১১ই জ্যৈষ্ঠ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী। আজকের এই দিনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও
স্বরণ করছি বাংলা সাহিত্যে তাঁর অমর কৃর্তীর।
আমি তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।

এম.আর.ওয়াজেদ চৌধুরী (রায়হান)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা উচিৎ।

২| ২৫ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:
সমাজে ছেলেমেয়েরা সমাজ অনুযায়ী চলছে; সেই প্রসংগে কথা বলতে গিয়ে কবিকে আনার দরকার ছিল না।
ছাগলের রচনা লিখতে গিয়ে নদীর কথাও এসে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.