![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am nothing just a simple men. now studying LL.B(Hon's) at IIUC. To know more plz stay with or contact with me.
#ফাসিঁ
আজ আমার ফেইসবুক টাইম লাইনে দেখতে পাচ্ছি ভারতীয় মিডিয়া সমূহের সবগুলোতে ইয়াকুব. মেমন এর ফাসিঁর খবর।
আর বাংলাদেশের মিডিয়া সমূহে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক আপীল বিভাগে সাকা চৌধুরীর ফাসিঁর রায় বহালের খবর!
সাকা চৌধুরী মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকর করতে সময় লাগতে পারে অনেকদিন কিন্তু মেমনের মৃত্যুদন্ডের কার্যকরের সময় আছে কয়েকঘন্টা বাকী। আগামীকাল সকাল ৭টা বাজলেই শেষ হয়ে যাবে তার জীবন। তাই সাকা চৌধুরী নিয়ে পরে কথা বলব।
ইয়াকুব মেমন নিয়ে কিছু কথা বলছি এখন।
পেশায় একসময়ের চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এয়াকুব মেমন সপরিবারে দুবায়ে ছিলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পাকিস্তানে যান এবং তারপর ১৯৯৪ এর জুলাই মাসে পরিবারের আরো সাতজনকে নিয়ে ভারতে ফিরে এসে আদালতে এই বলে আত্মসমর্পন করেন যে তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাঁর ভাই
টাইগার মেমনের ষড়যন্ত্র বিষয়ে তিনি মোটেই অবগত ছিলেননা। বিস্ফোরণে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার সংযোগ থাকার কিছু প্রমানও তিনি সংগ্রহ করে এনেছিলেন এবং ইয়াকুব মেমন বিশ্বাস করেছিলেন যে তাঁর ভায়ের ঘটানো অপরাধের সাজা আদালত তাঁর ঘাড়ে চাপাবেনা, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন তিনি। বাবরি ধ্বংস ও মুম্বাই দাঙ্গার প্রতিক্রিয়ায় ১৯৯৩ এর মার্চ মাসে মুম্বায়ে যে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে তার প্রধান চক্রী ছিল দাউদ ইব্রাহিম ও টাইগার মেমন। বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার অব্যবহিত পরেই মুম্বায়ে দাঙ্গা বাধানো হয় যেখানে ৯০০ মানুষকে
হত্যা করা হয়েছিল যার মধ্যে ৫৭৫জন ছিলেন সংখ্যালঘ মুসলিম সম্প্রদায়ের।
ঘাতকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রুজু হয়েছিল। দু’দুটি বিচার বিভাগীয় কমিশন বেশ কয়েকজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে উপরিউক্ত দুইটি অপরাধের জন্য দোষী হিসাবে অভিযুক্ত করেছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩১জন পুলিশ কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের প্রতি চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক ব্যবহার ও হত্যার চার্জ এনেছিল বিচার বিভাগীয় কমিশন। এইসব অপরাধীদের কারোরই শাস্তি হয়নি, অভিযুক্তদের
কেউ কেউ এখন রাজ্যে বা কেন্দ্রে মন্ত্রী। মুম্বাই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রত্যেকেরই সাজা ঘোষণা হয়। যাদের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা হয়েছিল তাদের সকলেরই শাস্তি কমিয়ে জাবজ্জীবন করা হয় কেবল ইয়াকুব মেমন বাদে। ভারতে এসে আত্মসমর্পন করার পর থেকে জেলে আছেন ইয়াকুব মেমন গত দু’দশক, জেলে বসে ন্যায় বিচারের লড়াই লড়তে লড়তে ইংরেজি ও পলিটিকাল
সায়েন্সে এমএ পাস করেছেন। তাঁর ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে শেষতম আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে ভারতীয় সুপ্রীম কোর্ট। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই বিচারকে ধিক্কার জানিয়েছে। বলিউডের সালমান খান টুইটারে বলেছিলেন,
ইয়াকুব নয়, তাঁর ভাই টাইগার মেমনকে ধরে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। দাউদ ও টাইগারকে নাগালে না পেয়ে ইয়াকুব মেমন ও
তার পরিবারকেই চরম শাস্তি দেওয়া আসলে সুবিচারের ধারনাকে ফাঁসিতে চড়ানো। অনেকেই মনে করেছে, শুধুমাত্র মুসলিম বলে তাকে ন্যায়বিচার করা হয়নি। ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকর না
করার জন্য ভারতের অনেক বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
৫৩ বছর বয়সী ইয়াকুব মেমনের প্রাণভিক্ষার আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। সাজা রদের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে করা কিউরেটিভ পিটিশনও খারিজ হয়ে যাওয়ায় ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি
কার্যকর হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা
মাত্র!
তথ্যসূত্র :- ইন্টারনেট
©somewhere in net ltd.