নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এম আর ওয়াজেদ চৌধুরী ( রায়হান )। পড়াশোনা করছি আইআইইউসির আইন বিভাগে । নিজের সমর্পকে বলার মতো এখনো কিছু করতে পারিনি । খুব ইচ্ছা হলে ফেইসবুকে আমার সাথে আসতে পারেন। www.facebook.com/MRWC90 সার্চ করে। ধন্যবাদ।।

এম আর ওয়ােজদ চৌধুরী

I am nothing just a simple men. now studying LL.B(Hon's) at IIUC. To know more plz stay with or contact with me.

এম আর ওয়ােজদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ফ্রেন্ডশীপ ডে" : যত্তসব লুইচ্ছামী আর নোংরামি তথা বেহায়াপনা আর বেল্লাপনা!

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

আমার মনে হয়, বাঙ্গালি তরুণ তরুণী তথা যুবসমাজের একটি বৃহৎ অংশ দিন দিন চরম অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নিজের স্বকীয় আত্বপরিচয় ভুলে বহুমাত্রিক অপসংস্কৃতি কে লালন-পালন, চর্চা,উৎসাহিত এবং বাস্তবে প্রয়োগের মাধ্যমে। যার অন্যতম হল এই "ফ্রেন্ডশিপ ডে" নামক বিজাতীয় সংস্কৃতি। যেটার জন্ম হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকায়। বিভিন্ন দেশে একেক দিন দিবসটি পালন করা হলেও বাংলাদেশের তরুন সমাজ আগস্ট এর প্রথম রবিবার পালন করে। দিবসটি কে কেন্দ্র করে বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুন-তরুনীরা নানা কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। পরস্পর দেখা সক্ষাৎ এবং দিনবর মেলামেশা, আড্ডা,ঘুরাঘুরি, উপহার আদান প্রদান, রেস্টুরেন্ট কিংবা পার্কে যাওয়া ইত্যাদি করে সময় কাটাই। তাদের এই পরিষরটা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেইসবুক, টুইটার,হোয়াটসআপ এ মনের মাধুরী মিশিয়ে টেক্সট ও বাহারী ডিজাইনের কার্ড কিংবা আডিও /ভিডিও ক্লিপস পাঠিয়ে। দিনের প্রহর শুরুর আগেই রাত বারটার পরপরই শুরু হয় তাদের এই কার্যক্রম।কে কার আগে জানাবে তা নিয়ে রীতিমত এক প্রতিযোগীতা লক্ষ্য করা যায়।
বন্ধু দিবসের নামে একদিনের এই রং তামাশার লুইচ্ছামি আর নোংরামি বর্তমানে তথাকথিত আধুনিক ছেলেমেয়েদের কাছে ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়,স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নানা বাহনা ধরে আগে থেকেই অভিবাবক থেকে টাকা নেয় কিংবা নিজের খরচের টাকা জমিয়ে রাখে কথিত প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানোর জন্য বা সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। তাদের একটি অংশ আবার বেল্লাপনা-বেহায়াপনা তথা যৌনলীলায় মেতে উঠে। প্রেমিক-প্রেমিকাদের শরীরী উত্তাপ বেড়ে যায় অনন্য উচ্চতায়। প্রেমের রসায়নে মত্ত হয়ে শরীর বিলিয়ে দেয়। শুনে আশ্চর্য হবেন, পরিচিত এক বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড কে নাকি মা-বাবা বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না। তাই বাসায় বসে বসে ল্যাপটপে ভিডিও কনফারেন্স এক পর্যায়ে নিজেদের শরীরের বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করে!
এরকম বিস্মিত হাজারো ঘটনা অহরহ হচ্ছে আমাদের দেশে কথিত "ফ্রেন্ডশিপ ডে" কেন্দ্র করে।
এভাবে অপসংস্কৃতি কে ধারণ করে নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আদর্শ,সমাজ, সংস্কৃতি মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে সুখী প্রকাশের অবস্থা আমাকে বেশ চিন্তিত করে তোলে।এই অপসংস্কৃতি কে আমি ভয় ও ঘৃণা করি। কারন এটা আমাদের জাতির আশা-আকঙ্খা, স্বপ্ন-সম্ভাবনা উন্নতি-অবনতির মূর্তপ্রতীক
যুবসম্প্রদায়কে আস্তে আস্তে ধ্বংস করে দিচ্ছে। যার ফলে গোটা দেশটাই উচ্ছন্নে যাবে একদিন । এখনো সময় আছে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার মহামারী হওয়ার আগেই। শহর কেন্দ্রীক "ফ্রেন্ডশিপ ডে" উদযাপনের ছোয়াঁ গ্রামে তেমন প্রভাব বিস্তার করে নি।
আশা করি সংশ্লিষ্ট সকলে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন। অপসংস্কৃতির বিপরীত স্রোত সৃষ্টি করে সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধন করে যা কিছু সত্য সুন্দর কল্যানকর তার প্রসারে এগিয়ে আসবেন।
ধন্যবাদ।।


এম.আর.ওয়াজেদ চৌধুরী রায়হান
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, আইআইইউসি
ইমেইল- [email protected]

ইন্টারনেট থেকে নেওয়া তথ্য অনুসারে 'ফ্রেন্ডশিপ ডে" উৎপত্তি :-
১৯১৯ সালে আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে কার্ড, ফুল, উপহার বিনিময় করতো। আরেক তথ্যানুসারে, ১৯১৯ সালে ‘হলমার্ক কার্ড’য়ের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এমনটাই জানা যায়। তখন অগাস্টের প্রথম রবিবার সবাই বন্ধুদের কার্ড এবং উপহার পাঠিয়ে এই দিবস উদযাপনট করতো। আর সেখান থেকেই ধারণা করা হচ্ছে যে অগাস্টের প্রথম রবিবার বন্ধু দিবস পালনের প্রথা এসেছে।
কথিত রয়েছে, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তি নিহত হন। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। বন্ধু বিয়োগের ঘটনায় আঘাত সহ্য করতে না পেরে সেই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। বন্ধুর জন্য বন্ধুর এ অাত্মত্যাগের ঘটনায় সেসময় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক উত্তেজনা। সেবছরই মার্কিন কংগ্রেস বন্ধুত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সম্প্রতি বন্ধু দিবসের দিন তারিখ বদলানো হয়েছে। ১৯৫৮ সালে অান্তর্জাতিক নাগরিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড বিশ্বে শান্তির উদ্দেশ্যে প্যারাগুয়েতে ৩০ জুলাইকে বিশ্ব বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.