![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
০৯-০১-২০১৩
আজকাল টিভি খুলতেই,পত্রিকার পাতা উল্টালেই নারী ধর্ষণের খবরটি হরহামেশাই চোখে পড়ে।দোষটা সংবাদকর্মীদের,নয়তো দূর্ভাগ্য ধর্ষণকারীদের!নারী জাতিকে নিয়ে একটা কথা আছে।ওদের বুক ফাঁটে তো মুখ ফোটে না।জগতের লজ্জার এই সিন্দুকটি বর্গীরুপী বিপরীত লিঙ্গের উৎপাতে সম্ভ্রম হারায় বারবার সমাজের নরপিশাচদের নির্লিপ্ততায়।
ফসল ফলাতে মাটি লাগে,জগৎ সাজাতে নারী।আমরা ভারতীয়রা কমবেশী ধর্মের পূজারী।মুসলমানেরা ঘরে রাখে কাবার ছবি,হিন্দুরা দেবীর মূর্তি।প্রত্যেকের ঘরেই একটি করে মা থাকে।সে মা যেমনি কাবার প্রতীক, তেমনি দেবীর ভগ্নি।মানবপিতা দুনিয়ায় একা আসেননি,সঙ্গীনী হয়ে হাওয়া (আও এসেছিলেন।আদম(আ
নারীকে মা হিসেবে নয় স্ত্রী হিসেবে পেয়েছিলেন।আমাদের সৌভাগ্য সেই নারীতেই আমাদের শৈশব লালন, কৌশর পালন,যৌবন ভোজন,বৃদ্ধের আচ্ছাদন।যে নারী ধর্ষিত হয় সে কারও মা,কারও বোন অথবা কারও স্ত্রী।অতএব,যাকে নিয়ে যৌন সুখ সেই মা,সেই বোন,সেই দেবী।
ভারতীয় সংস্কৃতি অপরাপর বিশ্ব থেকে বরাবরই আলাদা।একেবারেই একান্ত,নিজস্ব।যদি ধর্মের দিকে তাকাই সেখানেও স্বাতন্ত্র।ইহুদী,খ্রিষ্টান,ইসলাম পৃথিবীর তিন প্রধান ধর্মের উৎস ভূমিই আজকের মধ্যপ্রাচ্য।ভারত হিন্দু,বৌদ্ধ,জৈন,শিখ প্রভৃতি ধর্মের আলাদা একটা পূণ্যভূমি।সমাজ জীবনেও এসব ধর্মের স্বকীয়তা বিদ্যমান। ইসলাম এসে সে স্বকীয়তায় ছেদ ঘটিয়েছে অনেকখানি।কিন্তু অধুনা মুসলিম সমাজও এখানকার ধর্ষণ সংস্কৃতির রাহুমুক্ত নয়।
আমি ভারতকে আলাদা করছি না।কারণ পৃথিবীর কোন প্রান্তই ধর্ষণমুক্ত নয়।সকল সভ্য সমাজই এ অসভ্যতার নাগপিষ্টে কমবেশি দংশিত।কিন্তু ভারতীয় সমাজে বলিউডের উচ্ছৃঙ্খল ও উদ্দাম যৌনতা নির্ভর চলচ্চিত্র এবং পরকীয়া নির্ভর সিরিয়াল নারী ধর্ষণে যে নতুনত্ব আনছে ও উৎসাহ যোগাচ্ছে তাহাই চিন্তার কারণ।
বিশ্বাস আস্থা অর্জনের হাতিয়ার।সেই আস্থাই নিশ্চিন্ত সমাজ পরিপাঠনে নিয়ামক।চলচ্চিত্র,নাটক,সিনেমা,গান সমাজ বিনির্মাণেও সহায়ক।হলিউডের পাশাপাশি বলিউডও চলচ্চিত্র শিল্পের শক্তিশালি সূতিকাগার।রাষ্ট্র এই মাধ্যমটিকে প্রচারণার কাজেও ব্যবহার করে থাকে। সমাজের কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করে গড়ে উঠে হলিউড বলিউডেরে এক একটি কৃর্তি।আর মানুষের আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে সেই কৃর্তিগুলিই হয়ে যায় এক একটি আলাদা শিল্প।কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য মানুষের বিশ্বাস নিংড়িয়ে সেই শিল্পই আমাদের পারিবারিক জীবনে বিশ্বাসঘাতকতার সচিত্র প্রতিঘাতক হয়ে আর্বিভূত হয় বারবার।কেবল নারীকে উপজীব্য করে কোন কোন নির্মাতা এই বিশ্বাসঘাতকতাকে চরম রোমান্টিকতার আদলে রূপ দেওয়ার মাধ্যমে চেষ্টা করে দর্শকের অনুভূতিকে স্পর্শ করে বিশ্বাসঘাতকতার অনুকূলে স্থাপন করতে।তারা বোঝাতে চায় বিশ্বাসঘাতকতা একটা স্বাভাবিক ঘটনা এবং পুরোপুরি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ একটা বিষয়। নির্মাতারা পারিবারিক জীবনে বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টিকে কেবল যে রোমান্টিক গল্প কিংবা মেলোড্রামার আঙ্গিকেই ফুটিয়ে তুলছে তা-ই নয় বরং অ্যাকশন ফিল্ম এমনকি কমেডি ফিল্মের মাধ্যমে এ বিষয়টিকে ফুটিয়ে তোলার প্রবণতা ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়।বিভিন্ন চ্যানেল,সিরিয়াল ও হলিউড বলিউডের বিশ্বাসভঙ্গের এই স্বাভাবিক পরিপুষ্ট জ্ঞান মানুষকে অপরাধবোধে উৎসাহিত করে,বিবেকবোধটাকে ভোঁতা করে ফেলছে।
নারী বিশ্বাসের প্রতিভূ।আস্থার উৎর্কীণতায় সে নিজেকে সঁপে দেয় সমাজ, সংসারে নিশ্চিন্তে।কিন্তু যাকে সে বিশ্বাস করে সেই আস্থাই আজ কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে তাকে।মাত্র কয়েকদিন আগের জ্যোতি ধর্ষণে ভারত জুড়ে তোলপাড় চলছে।অপরাধীদের মাথায় মৃত্যুদন্ডের খড়গ ঝুলছে জেনেও নতুন করে আবারো খোদ রাজধানী নয়া দিল্লিতেই ২২ বছরের এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।গতকাল ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জি নিউজ এ খবর দিয়েছে।ধর্ষণ যেন ভারতে মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাংলাদেশও সে মডেলের বাইরে নয়।কারণ ভারতীয় সংস্কৃতিরই বাংলাদেশে অবাধ প্রবাহ।টাঙ্গাইল সদরের ময়না নামের ১৫ বছরের একটি মেয়েকে গত ৬ ডিসেম্বর মধুপুরে গণধর্ষণ করা হয়।দুশ্চরিত্রা বহুরূপী বীথি আক্তার ইভা এই দুষ্কর্মে ধর্ষকদের সাহায্য করে।কাকের মাংস কাকে না খেলেও নারীর শত্রু যে নারী এটা শাশ্বত সত্য।
(হোটেল হিমালয়, ফরিদপুরে বসে লেখা)
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
এম এস আই জুেয়ল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
মরূেবল বলেছেন: