![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
০৯-০২-২০১৩
আমি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিষিকা দেখি নাই।এখন বয়স যা তাতে সত্য মিথ্যা চেনার বোধটুকু অন্তত হয়েছে।৭১ সালে মাত্র নয় মাসে দেশ স্বাধীন হয়েছে।যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশের ঘটনা পরিক্রমা যে চোরা গলি পেরিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে তাও পৃথিবীর ইতিহাসে দুস্প্রাপ্য।দেশ স্বাধীনের মাত্র অল্প সময়ের মধ্যেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নেয়া হয় জাতীয় চার নেতার জীবন প্রদীপ।কিছুকাল পরে আরেক দেশ নায়ক জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়।অধুনা সময়ে দেখেছি মর্মস্পর্শি বিডিআর হত্যাকান্ড।তবুও মাত্র এতটুকুন দেশে ১৬ কোটি লোকের পদভার বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছি আমরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে।অবাক পৃথিবী তাকিয়ে রয় সে চলনে।
৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সার্থক রুপকার আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায়।যাদের সংগ্রামের সার্থক ফসল আজকের বাংলাদেশ।সে সংগ্রামের ভাগিদার আরও অনেকেই আছেন।সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা।আওয়ামীগের বিগত সময়কার পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তি চুক্তি আমাকে দারুনভাবে আলোড়িত করেছিল।অনেকেই সেদিন প্রতিবাদে ফেঁটে পড়েছিল।আমি চেয়ে চেয়ে দেখেছি তাদের র্নিবুদ্ধিতা।বর্তমান সময়কালে মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র বিরোধ অবসানে আওয়ামীলীগের অবদানে আমি আরও চমৎকৃত হই।অনেকেই এখানে লাভ-ক্ষতির হিসাব টানবেন।কিন্তু একটা সাংঘর্ষিক ইস্যুর আন্তজাতিক ফয়সালা হয়েছে।এটাও কম অর্জন নয়।
আওয়ামীলীগের এ সময়কার আরেকটা সাহসী পদক্ষেপ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন।দেশের ইতিহাসে দীর্ঘশ্বাস কুড়ানো এ বিতর্কের অবসান বাংলাদেশী হিসাবে প্রতিটা নাগরিকের প্রাণের দাবি।কিন্তু সেই দাবিটি পূরণে আওয়ামীলীগ নিত্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছে।ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরোধী পক্ষের বিভিন্ন অভিযোগ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।আইনের ভেতর থেকে সেগুলোর জবাবও দিতে হবে।বিধাতা দায়িত্ব যাকে দেয়,বইবার শক্তিও তাকে দেয়।
বিচারপতি নিজামূল হকের স্কাইপিং ও ই-মেইল কেলেঙ্কারী ট্রাইব্যুনাল নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব বিবেককেও নাড়া দিয়েছে অনেক আগেই।সরকার অত্যন্ত কঠোর হাতে দেশীয় গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে।বর্হিবিশ্ব থেকে যে প্রতিক্রিয়া হয় তার কিছুটা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে।সেখান থেকেই দেশীয় গণমাধ্যমগুলি রেফারেন্স ধরে খবরগুলি প্রকাশে সাহস পায়।বিতর্কগুলি আজ জাতিসংঘের দরজাতেও কড়া নাড়ে।
সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জাতিসংঘের দু’বিশেষজ্ঞের
যুদ্ধাপরাধের সুষ্ঠু বিচারের জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক স্বাধীন দু’বিশেষজ্ঞ। সমপ্রতি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সদস্য আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি ওই আহ্বান জানিয়েছেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, খেয়ালখুশিমতো হত্যাকাণ্ড বিষয়ক ইউএন স্পেশাল র্যাপোর্টিউর ক্রিস্টফ হেইনস এবং বিচারক ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা বিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিউর গাব্রিয়েলা কাউল। তারা জাতিসংঘের কোন কর্মকর্তা নন। এমনকি তাদেরকে জাতিসংঘ বেতনও দেয় না। তবে তাদেরকে সম্মান দেখানোর জন্য ওই পদ দেয়া হয়। জাতিসংঘের অধীনে ইউএন নিউজ সেন্টারের ওয়েবপেইজে (যঃঃঢ়://িি.িঁহ.ড়ৎম/ধঢ়ঢ়ং/হবংি/ংঃড়ৎু.ধংঢ়?ঘবংওিউ=৪৪০৮৯্ঈৎ=ফবধঃয্ঈৎ১=ঢ়বহধষঃু#.টজঙঢ৮চঔঅতওঅ) ৭ই ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সমপ্রতি আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। ওই বিচার করা হয়েছে তার অনুপস্থিতিতে। ফলে এক্ষেত্রে সুষ্ঠু বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে তা প্রতিফলিত হয় না। এরপর ৫ই ফেব্রুয়ারি আদালত আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া একই রকম বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এতে বিবাদীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে। ক্রিস্টোফ হেইনস বলেন, এই বিচারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং এতে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার যে সম্ভাব্যতা রয়েছে তার প্রেক্ষিতে এটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, সব বিবাদী যেন আদালতে সুষ্ঠু বিচার পান। এতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে যেসব মানুষ নৃশংসতা চালিয়েছিল তাদের বিচার ও শাস্তি দেয়ার জন্য সরকার ২০১০ সালের মার্চে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করা হয়। ওই বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতীতে ঘটে গেছে এমন গুরুতর অপরাধ চিহ্নিত করে তার বিচার করার জন্য এই আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। এতে ওই আদালতের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে রয়েছে যে বিষয়টি তা হলো- সুষ্ঠু বিচারের মৌলিক বিষয় ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। সমপ্রতি আবুল কালাম আযাদের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় সুষ্ঠু বিচার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্রিস্টোফ হেইনস। তিনি বলেছেন, অধিক সুষ্ঠু বিচার ও বিচারের যথাযথ প্রক্রিয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তা করতে হবে, বিশেষ করে যখন সেটা মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, যখন কোন মামলায় সব দিক থেকে নিশ্চিত করা যায় যে, সুষ্ঠু বিচার ও বিচার যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে করা হয়েছে তখনই মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেয়া যেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস-এ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। সেই আইনে এমনটাই মেনে চলতে বলা হয়েছে। গাব্রিয়েলা কাউল সমপ্রতি বিচারকদের নিরপেক্ষতা ও আদালতের প্রসিকিউশনের নিরপেক্ষতা এবং নির্বাহী বিভাগ থেকে তাদের স্বাধীনতা নিয়ে যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিবাদীপক্ষের সাক্ষী ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন তারা বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। হয়রান করা হয়। তিনি আরও বলেন, যথাযত প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম বিবাদীরা তাদের কাউন্সিলের সঙ্গে মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার পাবেন। তাদের সাফাই বক্তব্য দেয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে। তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তারা সাক্ষীকে আদালতে আহ্বান করার ক্ষমতা রাখেন। বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে এর সব মৌলনীতির প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোন আপিল হলে তা সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করারও আহ্বান জানান ওই দু’বিশেষজ্ঞ। তারা বলেন, সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি যথার্থ আপিল প্রক্রিয়াও খুব গরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যেখানে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[মানবজমিন ডেস্ক:শনিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩]
Click This Link
ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়, ইকোনমিস্টের মূল্যায়ন
৩০ লাখেরও বেশি মানুষের হত্যার ৪১ বছরেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার প্রথম রায় ঘোষণা করেছে। ২১শে জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে পলাতক আবুল কালাম আযাদকে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে জেনোসাইড এবং হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এ রায়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগের জন্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃটেনের বিখ্যাত ম্যাগাজিন দ্যা ইকোনমিস্টের আজ প্রকাশিত সংস্করণে এক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে। ‘এ ফাস্ট কনভিকশন ফর ওয়ার ক্রাইমস স্ফার্কস কন্ট্রোভার্সি’ শীর্ষক নিবন্ধে বলা হয়েছে,বাংলাদেশীরা যুগের পর যুগ বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছেন। ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশ্যেও বিপুল জনপ্রিয়। তবে সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মিত্রদের ঘায়েল করার জন্য বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ডিসেম্বরে দ্যা ইকোনমিস্ট একটি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বেলজিয়াম প্রবাসী আইনজ্ঞের ই-মেইল এবং স্কাইপ কথোপকন প্রকাশ করে। যে আইনজ্ঞ ট্রাইব্যুনালের অংশ ছিলেন না। ওই বিচারক পদত্যাগ করেন এবং নতুন বিচারক যোগ দেন। মি. আযাদের মামলার রায় এসেছে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল থেকে। রায়ে মি. আযাকে জামায়াতের ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যে দলটি এখনও বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামী রাজনৈতিক দল। দলটির তরুন অংশ পাকিস্তান রক্ষায় গঠিত প্যারামিলিটারির সদস্য সংগ্রহে মূল উৎস ছিলো যারা পাকিস্তানের অখন্ঠতা রক্ষায় চেষ্টারত ছিলো। এর সদস্যদের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক অপহরণ এবং হত্যার অভিযোগ রয়েছে। মি. আযাদের বিরুদ্ধেও কমপক্ষে ১২ হিন্দু হত্যা এবং ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে একজন আলোচিত রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছিলেন। জনপ্রিয় ধর্মীয় টিভি অনুষ্ঠানেরও উপস্থাপক ছিলেন তিনি। গত বছর তিনি দেশ ত্যাগ করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, তিনি পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।
জামায়াতের সঙ্গে দুরুত্ব রক্ষা করা খালেদা জিয়ার জন্য অসম্ভব হয়ে উঠেছে। জামায়াত তার এমন এক সহযোগী নির্বাচনে জয়ী হতে যাদের সমর্থন খালেদা জিয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এবছরই যে নির্বাচন হতে পারে। দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের আরও দশ জন নেতার বিচার হবে। যাদের দুই জন ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন। নির্বাচনের আগেই জামায়াতের প্রায় সব সিনিয়র নেতারই ফাঁসি হতে পারে। এমনকি খালেদা জিয়ার দলের দুই নেতারও। যাদের একজন তার ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা। শেখ হাসিনা আশা করছেন, ১৯৭১ সালের কলঙ্কের দাগ বিএনপি-জামায়াত জোটকে ভোটারদের কাছে অজনপ্রিয় করবে। এতে তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন।[মানবজমিন-শনিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৩]
Click This Link
বিবিসি, এএফপি, এপি, রয়টার্সের ট্রাইব্যুনালের রায় মূল্যায়ন
১) বিবিসি
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে প্রকাশিত রিপোর্টের শিরোনাম ‘বাংলাদেশ ক্লারিক আবুল কালাম আযাদ সেনটেন্সড টু ডাই ফর ওয়ার ক্রাইমস’। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একটি আদালত ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য একজন সুপরিচিত মুসলিম ধর্মপ্রচারককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল তার প্রথম রায়ে আবুল কালাম আজাদকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে।
এ আদালতকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের সমালোচকরা বলছেন যে, মওলানা আজাদসহ অন্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিরোধী দলগুলো বলছে, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই এ বিচার করছে।
বাংলাদেশ সরকার দাবি করছে যে, স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ লোক নিহত হয়। তবে অনেক গবেষক বলছেন, নিহতের সংখ্যা ৩ থেকে ৫ লাখের মধ্যে।[জাকারিয়া মন্ডল,, পলিটিক্যাল এডিটর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-জানুয়ারি ২৩, ২০১৩]
21 January 2013 Last updated at 09:10 GMT
Bangladesh cleric Abul Kalam Azad sentenced to die for war crimes
A court in Bangladesh has sentenced a well-known Muslim cleric to death for crimes against humanity during the country's 1971 independence war.
Abul Kalam Azad's conviction is the first verdict handed down by the controversial tribunal.
The cleric, a presenter of Islamic programmes on television, shot dead six Hindus and raped Hindu women during the war, prosecutors said.
He is thought to be in Pakistan and was found guilty in absentia.
BBC Bengali editor Sabir Mustafa says the verdict is being seen as a triumph for Prime Minister Sheikh Hasina, who has made prosecuting war crimes a key goal of her government.
Critics of the tribunal, however, say the charges against Maulana Azad and others are politically motivated. The court is not endorsed by the United Nations.
Tribunal officials said Maulana Azad's family failed to co-operate with his court-appointed defence lawyer, and they did not provide any witnesses to testify on his behalf.
As a result, the case was concluded fairly quickly.
Mr Azad was a junior leader in the student wing of the Jamaat-e-Islami party in 1971 and a member of the Razakar Bahini, an auxiliary force set up to help the Pakistani army by rooting out local resistance.
The Razakars were notorious for their operations targeting Hindus as well as civilians suspected of being sympathetic towards Bengali nationalists.
The International Crimes Tribunal was set up by the Awami League-led government to try those Bangladeshis accused of collaborating with Pakistani forces who attempted to stop East Pakistan (as Bangladesh was then) from becoming an independent country.
Those charged include a number of senior Jamaat leaders and a former minister from the opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP).
All of the people currently indicted by the tribunal deny the charges and opposition leaders accuse the government of carrying out a political vendetta.
Bangladesh government figures estimate more than three million people were killed during the independence war, although some researchers put the figure at between 300,000 and 500,000.
http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-21118998
২) এএফপি
এএফপি’র রিপোর্টের শিরোনাম ‘টেলিভানজেলিস্ট টু হ্যাং ফর বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস’। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক কোনো তদারকি ছাড়াই সরকার ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করে। এ আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াত এ মামলাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং প্রহসনমূলক বলে মন্তব্য করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, বিচারে অনেক ঘাপলা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১০ সালের মার্চে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। তবে একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে সমালোচিত হয়েছে এ ট্রাইব্যুনাল। রায় দ্রুত দেওয়ার জন্য সরকার চাপ দিচ্ছে বলে স্কাইপ সংলাপ ফাঁস হয়ে গেলে বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন ওঠে। এ ঘটনায় পদত্যাগ করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ও প্রাইভেট টিভি স্টেশনে মওলানা আজাদের ইসলামী অনুষ্ঠান নাকি বিপুলসংখ্যক দর্শক উপভোগ করেন।[জাকারিয়া মন্ডল,, পলিটিক্যাল এডিটর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-জানুয়ারি ২৩, ২০১৩]
21 January 2013 - 10H23
Televangelist to hang for Bangladesh war crimes
AFP - A controversial Bangladeshi war crimes court probing the nation's bloody independence struggle sentenced a fugitive Islamic televangelist to death Monday as it handed down its first judgement.
Maolana Abul Kalam Azad, who has been on the run for about a year, "is found guilty... to be hanged by the neck until he is dead" for genocide and murder during the 1971 liberation war against Pakistan, Judge Obaidul Hasan announced.
The International Crimes Tribunal, which is a domestic tribunal with no international oversight, was created by the government in 2010 and has been tainted by allegations it is politically motivated.
But its first verdict was warmly welcome by the government and its supporters.
"It's a victory for humanity. Bangladeshi people have been waiting for this day since 1971. They can now heave a sigh of relief," said Attorney General Mahbubey Alam.
Supporters of the ruling Awami League party held instant processions in the capital and across the country as the verdict was announced. There were also marches by former freedom fighters, some of whom made V-signs.
Azad, 63, who for years presented a widely watched show on Islam on private and state-run television channels, is a former leading light of Bangladesh's largest opposition Islamic party Jamaat-e-Islami.
In total, 11 top opposition figures -- nine from Jamaat and two from the main opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) -- stand accused of war crimes.
Both Jamaat and the BNP have called the cases "politically motivated and farcical" and international rights groups have questioned the proceedings and found loopholes in the war crime laws.
Abdus Shukur Khan, a tribunal-appointed defence lawyer for Azad, said the case was "false".
"He was not involved in any of these crimes and was never named a Pakistani collaborator," he told AFP.
Prosecutor Shahidur Rahman told AFP that Azad became known as "Bachchu the collaborator" during the war in his home town in the southwestern Faridpur district, where he was accused of murdering at least a dozen Hindus.
"I am happy that Bachchu the collaborator is sentenced to death. The government should now find him and execute him," a Hindu who said Azad had killed his father during the war told private ATN news television.
Azad, who also heads an Islamic charity, is believed to have fled the country immediately after the tribunal opened the case against him.
Bangladesh, which was called East Pakistan until 1971, has struggled to come to terms with its violent birth.
The current government says up to three million people were killed in the war, many murdered by locals who collaborated with Pakistani forces.
Prime Minister Sheikh Hasina's regime established the tribunal in March 2010 to try the collaborators, but it has been hit by a series of controversies.
Last month a presiding judge resigned after his leaked Internet calls showed he was under pressure from the government to deliver a quick judgement, raising further questions about the fairness of the trials.
"There is no doubt that atrocities were committed in 1971, and the Jamaat leaders, now before the tribunals, certainly have very legitimate questions to answer about their alleged involvement," war crimes researcher David Bergman told AFP.
"But a number of the trials have significant due process shortcomings, have become highly politicised, and more recently evidence of collusion between the prosecution, government and a tribunal judge has emerged."
The government says the trials are fair and meet international standards.
Judge Hasan in his verdict blamed Jamaat for creating pro-Pakistan militias during the war and said the impunity that war criminals enjoyed had "held back political stability, saw the ascent of militancy and destroyed the constitution".
The 1971 war began after tens of thousands of people were killed in Dhaka when then-West Pakistan launched Operation Searchlight, a campaign intended to deter Bangladeshis from seeking independence.
Click This Link
৩) রয়টার্স
রয়টার্সের রিপোর্টের শিরোনাম ‘ইসলামিক ক্লারিক সেনটেন্সড টু ডেথ ফর বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস’। এতে বলা হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের মামলার প্রথম রায়ে বাংলাদেশের বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল একজন জনপ্রিয় ইসলামী টিভি উপস্থাপককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মান রক্ষা না করে বিচার করার জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করেছে। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো এ বিচারকে রাজনৈতিক প্রহসন বলে মন্তব্য করেছে।
অভিযুক্তদের আইনজীবী, সাক্ষী ও তদন্তকারীরা বলেছেন, বিচারকালে তাদের ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। [জাকারিয়া মন্ডল,, পলিটিক্যাল এডিটর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-জানুয়ারি ২৩, ২০১৩]
Islamic cleric sentenced to death for Bangladesh war crimes
By Serajul Quadir
DHAKA | Mon Jan 21, 2013 5:11am EST
(Reuters) - Bangladesh's war crimes tribunal sentenced a popular Islamic televangelist to death on Monday, the first verdict by the controversial body set up to probe abuses during the country's bloody struggle for independence.
Abul Kalam Azad, a former member of Bangladesh's biggest Islamist party, was found guilty of torture, rape and genocide during the war for independence from Pakistan in 1971. Police believe he fled to Pakistan last April and he was tried in absentia.
Prime Minister Sheikh Hasina set up the tribunal in 2010 to probe abuses during the conflict that claimed about 3 million lives and during which thousands of women were raped. Another 11 people are awaiting trial.
The tribunal has been criticised by rights groups for failing to adhere to standards of international law, while opposition parties say it is politically biased.
"The ICT (International Crimes Tribunal) in its verdict ordered for death penalty," said Shahidur Rahman, a lawyer for the prosecution in a trial that drew a huge crowd outside the court in Dhaka amid tight security.
Critics say the tribunal is being used by the prime minister as an instrument against her opponents in the country's two biggest opposition parties, the Bangladesh Nationalist Party and the Jamaat-e-Islami. Begum Khaleda Zia, Hasina's arch rival, has called the tribunal a "farce".
Human Rights Watch has said the law under which the accused were being tried fell short of international standards of due process. It cited defence lawyers, witnesses and investigators as saying they had been threatened during the trial.
Hasina's party has denied allegations of bias.
HINDUS MURDERED
Bangladesh, formerly East Pakistan, won independence with India's help in December 1971 following a nine-month war against Pakistan.
Azad, a former member of the Jamaat-e-Islami, was accused of collaborating with Pakistani forces in the murder of Hindus, a minority in the majority-Muslim state. In one case, he was accused of killing at least 12 Hindus while shooting indiscriminately along with Pakistani soldiers.
"The verdict is given and I am very happy. The Bangladesh for which we fought, there were people who were against our liberation ... they were collaborators, they must be punished," said Aftab Ali who fought in the independence war.
A former chief of the Jamaat-e-Islami and the country's top Islamist leader are also on trial on charges of helping the Pakistani army during the war.
The party has denied charges that it collaborated with the Pakistani army and has accused Hasina's government of concocting war crimes charges to try to undermine it.
(Additional reporting by Ruma Paul; Writing by Matthias Williams; Editing by Sanjeev Miglani and Jeremy Laurence)
Click This Link
৪) এপি
এপির রিপোর্টের শিরোনাম, ‘বাংলাদেশ ওয়ার ট্রাইব্যুনাল ওর্ডারস ক্লারিক’স এক্সিকিউটেড’। এতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের বিচার করছে যে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল, তাদের প্রথম রায়ে আবুল কালাম আযাদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। [জাকারিয়া মন্ডল,, পলিটিক্যাল এডিটর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-জানুয়ারি ২৩, ২০১৩]
Monday, Jan 21, 2013 12:45 PM CAST
Bangladesh war tribunal orders cleric executed
By Julhas Alam, Associated Press
DHAKA, Bangladesh (AP) — A Bangladesh tribunal sentenced an Islamic cleric tied to a fundamentalist party to death on Monday for crimes against humanity for his actions during the country’s 1971 independence war.
The conviction of Abul Kalam Azad was the first verdict handed down by a controversial tribunal trying people accused of committing crimes during the war.
Azad, a member of the Jamaat-e-Islami party, was tried in absentia after he reportedly fled to Pakistan last April upon being charged.
Jamaat-e-Islami campaigned in 1971 against Bangladesh’s war of separation from Pakistan. The party stands accused of supporting or in some cases taking part in atrocities committed by Pakistani troops.
Bangladesh says that during the nine-month war, Pakistani troops, aided by their local collaborators, killed 3 million people and raped about 200,000 women.
International human rights groups have raised questions about the conduct of the tribunals set up by the government to prosecute those accused of war crimes.
New York-based Human Rights Watch has complained about flaws in the process — including the disappearance of a defense witness outside the courthouse gates.
The judge presiding over another tribunal resigned last month after the British publication The Economist reported that it had conversations of Skype and email conversations between him and a Belgium-based Bangladeshi lawyer that raised serious questions about the workings of the tribunal.
The courtroom was packed Monday as Obaidul Hassan, the head judge of a separate, three-member tribunal, pronounced Azad guilty Monday of crimes including murder, abduction and looting.
Hassan said Azad was “guilty of crimes against humanity beyond a reasonable doubt.”
Other top leaders of Jamaat-e-Islami also face prosecution.
Jamaat-e-Islami — a partner in opposition leader Khaleda former government — says the charges are politically motivated. Authorities deny the claim.
Zia, the longtime political rival of Prime Minister Sheikh Hasina, has called the tribunal a farce. Hasina, in turn, has urged Zia to stop backing those she says fought the nation’s quest for independence.
Click This Link
বিশ্বের বৃহত্তম সম্প্রচার মাধ্যমগুলি এভাবেই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে মূল্যায়ন করে।আর এসব সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনই বিশ্বের দু’শতাধিক ইংরেজি ভাষার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে বিশ্ব বিবেককে দারুণভাবে নাড়া দেয়।যেখানে গণমাধ্যমগুলি আমাদের সৎ উদ্যোগকে উৎসাহ দিবে সেখানে আসে নেতিবাচক সমালোচনা।তাহলে আমাদের বিচার প্রক্রিয়াটাই কি ভূল?দ্বিতীয় রায়ে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।যার ফলশ্রুতিতে আজ শাহাবাগের গণজাগরণ।জাতির অনেক আশা যুদ্ধাপরাধ ইস্যুর সন্মানজনক সমাধান।যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আওয়ামীলীগ বোঝাতে চাচ্ছে তারা বিদেশে খুবই শক্তিশালী।আর শক্তিশালী বলেই আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে এমন খবর প্রকাশে সবকিছু করছে।তারা কি এতোটাই সফল যে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও নিজেদের স্বার্থ ভাবনা রোপন করতে সক্ষম হয়েছেন? যেসব আন্তর্জাতিক মিডিয়া ৭১ সালে আমাদের হয়ে কলম ধরেছিল।আজ কেন বিপরীত আচরণ?টাকা খরচ করে কাউকে নিরব করা যায়।কিন্তু লেখনি আদায় করা যায়?এটা বুঝতে খুবই কষ্ট লাগে।তবে ৭১সালে কি আমরা এতই ধনি ছিলাম যে টাকা দিয়ে বিবিসি, রয়টার্স, এপি, এএফপিকে কিনে নিয়েছিলাম।
যুদ্ধাপরাধের বিচার-বিতর্ক কোন দিকে মোড় নেবে?- বিবিসি’র প্রতিবেদন
মানবজমিন ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচার চলছে। এরই মধ্যে সাবেক জামায়াত নেতা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-২ তার দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেছেন। তবে আদালতের এ রায় মেনে নিতে পারছেন না বিচারের দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠন ও বিচারকামী মানুষ। ফলে কাদের মোল্লাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার জন্য শাহবাগে অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছেন তারা। প্রশ্ন উঠছে শেষ মুহূর্তে এসে কোন দিকে মোড় নেবে যুদ্ধাপরাধের বিচার বিতর্ক। কেউ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করবে না তো এ বিচার প্রক্রিয়া থেকে! বিবিসির খবরে গতকাল বলা হয় এ কথা। এতে আরও বলা হয়, প্রথম থেকেই এ বিচার হওয়া না হওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বাংলাদেশে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের নেতারা ও তাদের আইনজীবীরা প্রথম থেকেই এ বিচারকে প্রহসন ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি বলে দাবি করে আসছেন। জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, যে পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম চলছে তাতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন তো নয়-ই দেশীয় মানসম্পন্নও হচ্ছে না এ বিচার। ফলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে কোনভাবেই এ বিচার গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের কাছেও এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে। তবে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্মত হচ্ছে। কেবল বিচারকে বিতর্কিত করার জন্য বিরোধীরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছে। বিচারের জন্য যে মানদণ্ড প্রয়োজন তার চেয়েও ভাল মানে এ বিচার করা হচ্ছে। এখানে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কিত আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল তখন আওয়ামী লীগ সরকারে ছিলেন বর্তমান গণফোরাম নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তার হাতে এ সংক্রান্ত আইনটির খসড়া তৈরি হওয়ার পর সংসদে গিয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, সে সময় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে আইনটি তৈরি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এ আইনটি যখন করা হয়েছিল ১৯৭৪ সালে তখন কিন্তু আন্তর্জাতিক যে রীতিগুলো ছিল তা মেনেই করা হয়েছিল। আমরা বিশেষ করে ঢাকার বিশেষজ্ঞদের ডেকেছি। বিভিন্ন দেশ থেকে (যেমন: ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার) বিশেষজ্ঞদের ডেকে তাদের মতামত নিয়েছি। সর্বোপরি আমরা খসড়া করার পরে তা ইতালিতে একটি কনফারেন্স হয়েছিল সেখানে আলোচনা করা হয়েছিল। পৃথিবীতে যত আইন-কানুন আছে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সেখানে অংশ নিয়েছিলেন। তারা তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের সবার মত নিয়ে এটা করা হয়েছিল। ড. কামাল বলেন, অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকার পক্ষের আইনজীবীরা সেসব প্রশ্নের খণ্ডন ভালভাবে করতে পারছেন না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এটা সবাই জানেন। আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় সে সময়ের অবস্থা সম্পর্কে অবগত। ফলে এটাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ বলা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মনজুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি শক্তি দেয়ায় জামায়াত এত শক্তি দেখাতে পারছে। এটা প্রতিফলিত শক্তি। নিজস্ব শক্তির চেয়ে তাদের প্রতিফলিত শক্তি বেশি বলে মনে হয়। এখন আওয়ামী লীগ ও তার সমর্থকরা অন্যদিকে তাদের অবস্থান নিয়েছেন। এই বিভাজন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। তা আরও তীব্র হবে। আমাদের দেশের রাজনীতি একটি সহিংস রূপ নিয়েছে। এখন দেখা যাবে এ বিভাজন আরও বেড়ে গেছে। হয়তো জামায়াতে ইসলামী ভেবেছে এই এক বছরের মধ্যেই বিচার সম্পন্ন হয়ে যাবে। তাই সর্বশক্তি নিয়ে তারা নেমেছেন। সরকারও হয়তো ভাবছে তাদের এক বছরের ভিতরে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে সরকারের পক্ষে পরবর্তী নির্বাচনে গিয়ে হয়তো বলা সম্ভব হবে যে আমরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটা পূরণ করেছি। আসলে নির্বাচনের রাজনীতির জন্যই এখানে একটা দ্রুতি আসবে। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নির্যাতিত ভাস্কর্য শিল্পী ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী বলেন, এজন্যই ভাল লাগছে যে ৪১ বছর আগে যেসব পরিবার শহীদদের হারিয়েছিল এবং আমি নিজে যেভাবে নির্যাতিত হয়েছি সেই কালো ঘরটির কথা, অন্ধকার ড্রেনটির কথা আমি ভুলতে পারি না। সেখানে কেটেছে আমার ৯ মাস। তারা আমার ওপর যে অত্যাচার করেছে, এর যারা সহায়তা দিয়েছিল অনেক বিলম্বে হলেও যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে। একটি ঐতিহাসিক অবরুদ্ধ দ্বার খুলল।
Click This Link
Click This Link
শাহবাগ সমাবেশ : জনতার উত্সাহে ভাটা পড়েছে
৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৩ (তেহরান রেডিও) : টেলিভিশনের পর্দায় শাহবাগের বিশাল জনসমাবেশের ছবি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বসিত হয়ে একে মিশরের তাহরির চত্বরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে ছিল প্রতিবাদকারীদের মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে ঘোষণা করা হয়েছে- যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি না দেখে প্রতিবাদকারীরা ঘরে ফিরে যাবে না। কিন্তু, আজ দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা গেল ভাঙা হাটের দৃশ্য।
জানা গেল, আজ সেখানে কেউ খাবারের প্যাকেট পাঠায়নি। বিনা ভাড়ায় কোনো রিকশাওয়ালাও যাত্রী টানেনি। উদ্যোক্তা ও অংশগ্রহণকারীদের উতসাহে ভাটা পড়েছে।
রূপসী বাংলা হোটেলের (সাবেক হোটেল শেরাটন) মোড় থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। কিন্তু সমাবেশের কোনো দর্শক নেই। লোকজন শুধু শাহবাগ মোড়েই সীমিত। ওদিকে, মতস্যভবন মোড় পর্যন্ত পুলিশি ব্যারিকেড। কিন্তু, রাস্তায় সাধারণ লোক চলাচল ছাড়া সমাবেশে এসেছে, এমন কারো দেখা মিললো না।
এদিকে, টিএসসি থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধ পর্যন্ত সড়কেও সাধারণ লোকের চলাচল। চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনেই কেবল একদল তরুণ-তরুণীকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে গান গাইতে এবং স্লোগান দিতে দেখা গেল। এ সময় অন্য একদল তরুণ-তরুণী জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিচ্ছিল।
ভিড় শুধু শাহবাগের তৈরি করা মঞ্চে এবং মঞ্চের সামনে। কাটাবন মোড় থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্তও পুলিশি ব্যারিকেড। কিন্তু, ওদিকের লোক চলাচলও অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক।
শনিবার ও শুক্রবারে শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি পর্যন্ত ছুটির আমেজ এমনিতে থাকে। এ থেকে ওই পরিবেশ সামান্যই ব্যতিক্রম ছিল। ছবির হাটে সবসময়ই তরুণদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলা, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরের জাকজমকপূর্ণ ই-কমার্স মেলার জনসমাগমও শাহবাগের স্বাভাবিক জন-চলাচলকে বাড়িয়ে তুলছিল।
'সমাবেশ কেমন চলছে,' "প্রশ্ন করতেই পরিচিত এক তরুণ কবি বললেন, এবার সম্মান থাকতে থাকতেই এটা বন্ধ করে দেয়া উচিত। লোকজন আর হবে না।"
একটি ছোট জটলায় এক তরুণী তার বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন, "আওয়ামী লীগ এ থেকে কী লাভ করতে চায়? তাকে জনগণের কাছে ভোটের জন্য যেতে হবে না?"
এক তরুণ আইনজীবী বলছিলেন, জনতার দাবি অনুযায়ী আইন চলতে পারে না।
মহাসমাবেশের সমর্থনে একটা বিশাল এলাকা পুলিশি ব্যারিকেডে থাকায় যানজট আশপাশের এলাকায় ব্যাপক মাত্রায় রূপ নিয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন ওই রুটে চলাচলকারী লোকজন।
ফার্মগেটের দিক থেকে ভিআইপি রোড ধরে আসা যানবাহনকে রূপসী বাংলা হোটেলের মোড়ে পুলিশ বায়ে কাকরাইলের দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। ফলে এই সড়কেও বিশাল জট।
বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বায়তুল মোকাররম ও মতিঝিলে যাওয়া অফিসগামী এবং সাধারণ মানুষ। কারণ মূল রাস্তা তথা সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে মতস্য ভবন মোড় পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকায় যানবাহনকে নানা দিক দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে।
একজন যুবক তার বৃদ্ধ বাবার কথা বললেন, তিনি সকালে তার বায়তুল মোকাররমের দোকানে যেতে মহাদুর্ভোগে পড়েছেন। বৃদ্ধ ব্যক্তিটি আবার হার্টের রোগী।
এদিকে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, শনিবার বিকেলের দিকে শাহবাগে আবার লোক সমাগম হতে শুরু করেছে।#
Click This Link
©somewhere in net ltd.