নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মস্তিস্কের তাড়নায় ভাসানির ভাবনায়

এম এস আই জুেয়ল

সরল গল্প

এম এস আই জুেয়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রানাঃ একটি অভিশপ্ত নাম

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

সাভার থেকে

আমি যখন কলামটি লিখছি তখন মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে ।যুদ্ধ নেই, মহামারী নেই, বন্যা নেই, মন্বন্তর নেই। ভূমিকম্প বা অন্য কোন প্রাকৃতিক আঘাতও নেই। তবু বাংলাদেশে অকাতরে মানুষ মরছে।কেবলমাত্র রাজনৈতিক হিংসায় এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায়।



আমরা যে ভবনটির কথা বলছি তা নিশ্চয়ই কাউকে বলে বোঝাতে হবে না।শবযাত্রার মিছিল,স্বজনের বিলাপ,নিকটজনের দীর্ঘশ্বাস ও সংবাদ মাধ্যমের প্রশংসনীয় ভূমিকায় দেশের সীমানা পেরিয়ে সে লুহাওয়ার খবর বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে।মালিকের নাম সোহেল রানা।বাবার নাম আবদুল খালেক।নিবাস সাভারের বাজার রোডে।বয়স বেশি নয়।স্থানীয় অধরচন্দ্র



হাইস্কুল থেকে নবম শ্রেণী পাস করেছেন রানা। এরপর অভাবের তাড়নায় তার আর লেখাপড়া হয়নি।লেখাপড়া হয়নি ঠিকই সম্পদ হয়েছে পাহাড় সমান। রানার নামেই ভবনের নাম “রানা প্লাজা”।আয়তন প্রায় ১০ কাঠা।যার সামনে থেকে দাঁড়ালে পিছন দেখা যায় না।হবেই বা না কেন?এককালে প্রায় দু’শো ফিট গভীর বিশাল এক ডোবা ছিল এখানেই।ছাই, ভুসি,পরিত্যাক্ত ময়লা-আবর্জনায় আস্তে আস্তে স্ফিতি হচ্ছিল জায়গাটি।শিল্পের ধাক্কায় এসব জমিই হয়ে উঠে মাফিয়াদের পরিচিতির স্বর্গভূমি।পরবর্তীতে উপরিভাগে যৎসামান্য মাটি আর বালি দিয়ে ঢেকে সমান করা হয়।সম্মুখভাগে ছিল রবীন্দ্রনাথ সাহা নামে স্থানীয় জনৈক ব্যক্তির জমি।দূর্ভাগ্য এখান থেকেই শুরু।১৯৯৮ সালের ঘটনা। তখনো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়।নবম শ্রেণী পাস সোহেল রানা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তিনি থোড়াই কেয়ার করতেন স্থানীয় প্রশাসনকে।দখল করেন রবীন্দ্রনাথ সাহার জমি। উপায়হীন সাহা আদালতে মামলা করেন। সে মামলা বেশিদূর এগোয়নি। একপর্যায়ে পাগল হয়ে যান রবীন্দ্রনাথ সাহা।২০০৬ সালে পৌরসভা থেকে ছয় তলা ভবনের অনুমোদন নেয়া হয়। ২০০৭ সালের পরিবর্তিত প্রোপটে রবীন্দ্রনাথ পাগলা আবার মাঠে নামলে রযা় ব-৪ এর কর্মকর্তা কমান্ডার আরিফের কারণে তিনি আবার পিছু হটেন। মাঝে মাঝেই ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে গলায় ধূতি পেঁচিয়ে অভিশম্পাত দিতেন।



প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরেই পৃথিবী থেকে বিদায়



দ্বিতীয় দূর্ভাগ্যের সময় ২০০৮সালের রমজান মাস।তখন বেজমেন্টসহ উপরের ষষ্ঠতলা পর্যন্ত কাজ মোটামুটি হয়েছে।ইফতার করার মহুর্তেই র্যা ব পুলিশে ছেয়ে গেল রানা প্লাজা।একে তো নির্মাণাধীন ভবন তার উপর সন্ধ্যার অন্ধকার।অন্ধকারেই নীচতলা ও বেজমেন্টে চলল সন্ত্রাসী ধরার চিরুনী অভিযান।পরের দিন পত্রিকায় আসল রানা প্লাজা থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ উদ্ধার।ঘটনার পর থেকেই সোহেল রানা ও আব্দুল খালেক,পিতা-পুত্র দু’জনেই আত্মগোপনে ছিল বেশ কিছু দিন।কত টাকার মুচলেকায় বিষয়টির মিমাংসা হয়েছিল সে তথ্য জা না নেই।



তৃতীয় দূভার্গ্য পুরো ভবনের আত্মহুতী।২৩শে এপ্রিল ২০১৩ এ বাংলা মেইল২৪ডটকমের উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানো নিচে খবরেই দেখুন।





গত মঙ্গলবার ১২টার দিকে শিল্প পুলিশসহ পৌর মেয়র, থানা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রধান প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতনরা ওই ভবনে যান। সবাই দেখে ভবনটি বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেন। উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার আসাদুজ্জামান বলেন, বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে ভবনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এভাবেই মঙ্গলবার বন্ধ থাকে ভবনটি। নীচতলা ও দু’তলার বিপনীবিতানগুলি পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত যার যার মতো ব্যবসা বন্ধ রাখে।দ্বিতীয় তলায় থাকা বেসরকারী ব্র্যাক ব্যাংক নোটিশ ঝুলিয়ে ঐদিন থেকেই তাদের সকল কর্মকান্ড বন্ধ রাখে। কিন্তু



সুরুজ ও শাহাদাতের আকুতি, “ভাই আমাদের বাঁচান"



সন্ধ্যায় রাজ্জাক নামে এক প্রকৌশলীকে ডেকে আনেন মালিক সোহেল রানা। ওই প্রকৌশলী বলেন, এই ফাটলে কোন সমস্যা নেই। ভবনে কাজ করা যাবে। পরে রাতেই থানা নির্বাহী কর্মকর্তা তার সুর বদল করে বলেন, ভবনে কাজ চলতে পারে। রাতেই রানার সিদ্ধান্তে গার্মেন্টসের সব শ্রমিককে পরদিন কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক।ক্ষমতার দাপটে সাভারের অসংখ্য মানুষের জমি তিনি দখল করেছেন বলে জানা যায়। স্থানীয় প্রশাসন ছিল তার কাছে জিম্মি। তার ইশারায় সাভারে অনেক কিছুই ঘটত। গতকাল হরতালকারীদের শায়েস্তা করতেই তার নির্দেশে গার্মেন্টগুলো খোলা রাখা হয় বলে স্থানীয়



সূত্র জানায়। এলাকায় তার রয়েছে বিশাল বাহিনী। এই বাহিনী সাভারের বেশির ভাগ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা যায়। গতকাল ভবন ধসের সময় তিনি নিজেও আটকা পড়েছিলেন। দুপুর ১২ টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে প্রশাসনের সহায়তায় তিনি অজ্ঞাত কোথাও গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।



ভবনটির তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চতুর্থতলার ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেড, পঞ্চম তলার ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ষষ্ঠ তলার ইথার টেক্সটাইল লিমিটেডে।গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা ভবনের সামনে গেলেও ভেতরে ঢুকতে চাননি। কিন্তু চাকরি হারানো আর বেতন না দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। পৌনে ৯টার দিকে সবাই কাজে যোগ দেন। সকাল ৯টার ঠিক কয়েক মিনিট আগে বিদ্যুত্ চলে যায়। ভবনের উপরে সেট করা বিশাল জেনারেটর চালু করে কর্তৃপক্ষ। এই জেনারেটর চালুর সময় একটা ঝাঁকুনি দিয়েই হুড়মুড় করে ধসে পড়ে ৯তলা এই ভবনটি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, 'আমি দোকানে বসেছিলাম। হঠাত্ বিকট শব্দ পেয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি ধুলার ঝড়ের মতো উঠল। আর চোখের পলকে বিল্ডিংটা ধসে পড়ল।'























চতুর্থ দূর্ভাগ্য

একই মালিকের রানা টাওয়ারেও ফাটল

বাংলানিউজ টিম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম



সাভার বাসস্ট্যান্ডে রানা প্লাজায় ধসের একদিন না যেতেই একই মালিকের আরেকটি বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।



খবর পেয়ে সাভার থানা পুলিশ সাভার বাজার রোডের ওই টাওয়ারটি পরিদর্শন করেছে।



ভবনের পূর্ব দিকে নিচতলায় বড় আকারের ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলের কারণে বেঁকে গেছে তিনতলার জানালার গ্রিল।



জানা গেছে, ৮তলা ভবনটির নিচতলায় বাটা শোরুম, দোতলায় এক্সিম ব্যাংক, তিনতলায় ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স ও উপরে আবাসিক ফ্ল্যাট রয়েছে। তবে আবাসিক ফ্ল্যাটগুলো এখনো ভাড়া হয়নি।



এই ভবনের সামনের দোকানী নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ভবনটি সাত-আট বছর আগে নির্মিত হলেও কোনো আবাসিক বাসিন্দা যে কারণেই হোক ভাড়া নেননি। শুধু কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কয়েক বছর ধরে রয়েছে।”



এ বিষয়ে পলাশী প্রাইভেট সিভিল ডিফেন্সের সৈকত আহমেদ বাংলানি‌উজকে জানান, তিনি সকাল পৌনে ৮টার দিকে এখানে ছুটে আসেন। সব ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। বাটা শোরুমটি গতকাল থেকেই আতঙ্কে বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিতীয় তলার এক্সিম ব্যাংকটি খোলা। তবে ফাটল দেখা দেওয়ার পর গেটে তালা লাগিয়ে সীমিত আকারে লেনদেন করা হচ্ছে। কিন্তু ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ঢোকা সম্ভব হয়নি।

নিচতলার সামনের দিকে বাটা শোরুমের প্রধান পিলারটিতে দেখা গেছে বড় ফাটল।



ফাটলের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনত‍ার ভিড় এখন রানা টাওয়ারে সামনে। চারদিক থেকে লোকজন আসছে ভবনটি একনজর দেখতে।



ভবনটির পূর্বদিকের একটি বাসার তৃতীয় তলার বাসিন্দা মমতাজ বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “ভবনটিতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর আমার বাচ্চারা আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করেছে। খুব বিপদে আছি।”



লেখাটি সাজাতে সাহায্য নিয়েছিঃ-

দৈনিক জনকন্ঠ,প্রথম আলো,ইত্তেফাক,দি ডেইলি স্টার,মানব জমিন,বিডি নিউজ২৪ ডটকম,বাংলা নিউজ২৪ডটকম,সমকাল,নয়াদিগন্ত,দৈনিক সিলেট নিউজ,যায়যায় দিন,সকালের খবর ও কালের কন্ঠ এর আজকের প্রিন্ট ও অনলাইন সংখ্যা অবলম্বনে।





মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

গোয়েবলস বলেছেন: শ্রমিকদের জীবন এখন ক্রীতদাশের জীবন হয়ে গেছে। হায় আমার দেশ !!!!!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৭

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: ওদের ওরা মানুষ বলে না।বলে কামলা(চাকর)।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অজানা তথ্য তুলে আনার জন্য।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০১

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: ধন্যবাদ,আপনাকেও।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

ইলতুৎমিশ বলেছেন: "সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক।ক্ষমতার দাপটে সাভারের অসংখ্য মানুষের জমি তিনি দখল করেছেন বলে জানা যায়।... গতকাল ভবন ধসের সময় তিনি নিজেও আটকা পড়েছিলেন।..."- আমি বুঝিনা এমন একটা খুনি জানোয়ার এর জন্য কেনো "তিনি , আপনি ,ছিলেন " সমমানবাচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে??

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০০

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: ভাইজান,একটা গল্প বলি।অনেকদিন আগে প্রচন্ড গরমের সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ীর উঠানে বসে আমরা সবাই গল্প করছিলাম।এমন সময় দেখলাম একটি মাদি কুকুর সামনে দিয়ে উত্তর দিকে চলে গেল।পিছু পিছু পাশের সর্দার বাড়ীর পুরুষ কুকুরটিও ওদিকেই যাচ্ছিল।আমার আদরের ছোট ভাই বলে উঠল- “এইযে ওদিকে পথ নাই,ডান দিয়ে ঘুরে যান”।কেউ আর হাসি আটকিয়ে রাখতে পারিনি।উল্লেখ্য উত্তর দিকে ছিল ডোবা।খাবার টেবিলে আবার যখন হাসি উঠল সংবরণ করে ছোট ভাইকে বললাম দাদু ওকে “যাও” না বলে “যান “ বললে কেন?ছোট ভাই উত্তর দিল - “ও আমার বয়সে বড় না”!উল্লেখ্য ছোট ভাইয়ের জন্মের আগে থেকেই কুকুরটি সর্দার বাড়ীর মেহমান ছিল।তাছাড়া যেমন তাগড়া যোয়ান ছিল যে কেউ ওর সাইজ দেখে ভয় পেত।তারপরেও সর্দার বাড়ীর কুকুর বলে কথা।বড়লোক,বড়দল ও সরকারী কুকুর দেখে সবাই একটু আধটু ভয় পেতেই পারে।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই শয়তানকে কেন এখনও গ্রেপ্তার করে না, পুলিশ কি এতই অথর্ব নাকি দলীয় লোক বলে পুলিশ তাকে খুজে পাচ্ছে না!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: এইমাত্র আমাদের লক্ষ্মীছড়া মাধ্যম বিটিভিতে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলছেন, -“আমি সাভারের যুবলীগের কর্মীদের তালিকা সংগ্রহ করেছি।সেখানে কোথাও ধবসে পড়া মালিকের নাম নাই।অথচ গণমাধ্যম বলছে রানা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক ছিল।এটা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র”।কোন দিকে যাচ্ছি বলুন।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: ওই হারামজাদাটারে গ্রেফতার করেনা কেন???

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৫

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: রানা প্লাজার মালিক যুবলীগের কেউ নন : শেখ হাসিনার দাব

২৫ এপ্রিল (রেডিও তেহরান) : রাজধানী ঢাকার সাভারে ধসে পড়া বহুতল ভবন রানা প্লাজার মালিক যুবলীগের কেউ নন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে জাতীয় সংসদে সাভারে ভবন ধসের ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ দাবি করেন। ভবন মালিক ও সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা ক্ষমতাসীন দলের কেউ নন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রানা নাকি যুবলীগ নেতা! আমি সাভার যুবলীগ কমিটির তালিকা নিয়ে এসেছি। সেখানে তার কোনো নাম নেই। তিনি দলের কেউ নন। দল ক্ষমতায় এলে অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় দেন। দলের দোহাই দিয়ে কেউ রেহাই পাবেন না।”



সাভারে ভবন ধসে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “যারা গার্মেন্টস শ্রমিকদের জোর করে কাজ করাতে বাধ্য করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। দায়ী ব্যক্তি যে দলেরই হোক, অন্যায় করলে শাস্তি পাবে। আমার দলের হলেও শাস্তি পাবে।”


শেখ হাসিনা বলেন, “ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। একটি পুলিশের পক্ষ থেকে, আরেকটি করেছে রাজউক। আমরা গরিব মানুষদেরই রাজনীতি করি। তাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। মানুষের জীবন নিয়ে খেলাকারী যেই হোক, তাকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা মারা গেছেন, তাদের ফিরে পাবো না। যারা মারা গেছেন ও যারা আহত তাদের পরিবার যাতে অসহায় হয়ে না পড়ে সে ব্যবস্থা নেব। আহতদের চিকিতসার জন্য দীর্ঘ সময় লাগবে। চিকিৎসার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, আমরা তা করব। ”


রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপর সে সক্রিয়ভাবে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বিভিন্ন মিছিলে লোক সরবরাহ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর এ কাজে সন্তুষ্ট হয়েই মুরাদ জং এ বছর তাঁকে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ দেন।



ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাভারের সাবেক পৌর মেয়র আশরাফ উদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রানা সাভারে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ তাঁর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রানা ও তাঁর বাহিনীকে ব্যবহার করেন। গত মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনের তৃতীয় তলায় ফাটল দেখা দিলেও তিনি তা আমলে নেননি। বরং গতকাল সকালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল করার জন্য ব্যস্ত ছিলেন তিনি। গতকাল ভবন ধসের পর থেকে পলাতক রয়েছেন সোহেল রানা। #

রেডিও তেহরান/এআর/২৫

Click This Link

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১১

ওবায়দুল হক মাহমুদ বলেছেন: মন ভাল নেই, কিছুই ভাল লাগছে না ।
Click This Link

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: মন খারাপ করে বসে থাকলে চলবে না।বিবেককে প্রশ্ন করে যে উত্তর পাওয়া যাবে ওটাই প্রশান্তির অবলম্বন।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

আহলান বলেছেন: একা রানার কি ক্ষমতা? রানার পয়সায় যারা আইনকে তোয়ক্কা নাকরে তাকে বেআইনি সুযোগ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে তারা কোথায়?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: ঐ কলাটা প্রকৃতিতে পাকে না।কেবল ফরমালিনেই ভরসা।

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৭

কুল_কুয়াইট বলেছেন: এই নরঘাতকের বিচার চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.