নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মস্তিস্কের তাড়নায় ভাসানির ভাবনায়

এম এস আই জুেয়ল

সরল গল্প

এম এস আই জুেয়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাভার ট্রাজেডিঃরাজনীতিকে বদলে দিল

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

মানুষ ফেরেস্তা নয়।হিংসা,দ্বেষ,অহমিকা,অপরিণীতা ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।ব্যক্তি দল গড়ে,দলে চলে দেশ।সেখানেও ব্যক্তি।তবে একক নয়,সমষ্টিক।ব্যক্তির চরিত্রগুলিও দল ডিঙ্গিয়ে পিছু পিছু রাষ্ট্র যন্ত্রে গিয়ে জমা হয়।



আমরা সবাই কোন না কোন পরিবার থেকে উঠে এসেছি।পারিবারিক হিংসা,পারস্পরিক অসহিস্ঞুতা ব্যক্তিকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় আমরা দেখি।প্রাত্যহিক জীবনে ব্যক্তির প্রতিটি চরিত্রই আমরা উপলব্ধি করি।আপন মায়ের পেটের ভাই,আদরের ছোট বোন এমনকি জন্মদাতা পিতামাতা পর্যন্ত সামান্য ভূলের ঘোলে মহা শত্রু হয়ে উঠে।কিন্তু হঠাৎ আদরের সন্তানের মর্মান্তিক বিয়োগে আবার সবাই শীশা ঢালা মমতায় এক হয়ে যায়।এগুলি সব নাটক,সিনেমার গল্প।কিন্তু মিথ্যা নয়।প্রত্যেকের জীবনই একেকটি সিনেমা,একেকটি নাটক।



সরকারের বর্তমান সময়ে বিডিআর হত্যাকান্ড,নিমতলীর কান্না,তাজরীন গার্মেন্সে আগুনসহ অনেক ট্রাজেডিক ঘটনা ঘটেছে।বিরোধী নেত্রী যাকে বলেছেন “অপয়া”।সরকার আপন দায়িত্বে পিছু টলেনি।শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে নিয়েছে অসমাপ্ত কাজকে।ভাল মন্দ অনেক কাজে হাত দিয়েছে।এজেন্ডাও বৈকি।বিরোধী দলীয় নেত্রীকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ থেকে শুরু করে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তছনছ করে প্রথম শ্রেণীর প্রায় সব নেতাকে জেলে পুরে রেখেছে।রাজনীতির এমন কোন উপকরণ নেই যা বিরোধী মত দমনে প্রয়োগ হয়নি।



বিরোধীদল আন্দোলন করছে।সরকারের এতটুকু চুলকানির উদ্রেকও করতে পারেনি।হেফাজত ইসলামের দমকা বাতাস সরকারকে যতটুকু বিচলিত করে তোলে বিরোধী দলের বিগত আন্দোলন তার ধারও স্পর্শ করতে পারেনি। রাজনীতির একপেশে মহার্ঘতা সুস্হ বিবেকের কাছে বড়ই অসহায় করে তোলে।



হরতাল অবরোধ সেকেলের হালচাষ।বিরোধীদলের এটাই এখন অবলম্বন। যেটিতে সরকারীদল সিদ্ধহস্ত।বিরোধীদলের সর্বশেষ ৩৬ ঘন্টার হরতালের শেষ বেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসে বজ্রপাতের মতো একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়।সরকার দলীয় নেত্রী অনুরোধ করে হরতাল উঠিয়ে নিতে।বিরোধীদল হরতাল উঠিয়ে নেয়।বিশ্ব কাঁপানো একটি মর্মান্তিক ট্রাজেডী ঘটার পরও হরতাল উঠাতে কারও অনুরোধের অপেক্ষা করতে হবে!অপরিণীতা এভাবেই পিছু পিছু হাটে!সাভার ট্রাজেডীর মহানায়কদের ধরতে ও বিচারের দাবিতে সিপিবিসহ বিরোধীদল আবারও হরতাল ডাকে।ঘটণাক্রমে সিপিবি হরতাল প্রত্যাহার করে।কিন্তু বিরোধীদল থাকে অনড়।সরকারনেত্রী আবারও হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।বিরোধীদল এবারও সে অনুরোধের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হরতাল প্রত্যাহার করে।এখানেই ভালো কিছুর ইঙ্গিত পাচিছলাম।



আজকের বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে বেলা ১১:৪৪:৪৪ টায় একটা খবর ভেসে ওঠে-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “আপনারা যেখানেই আলোচনায় বসতে চান, আমরা সেখানেই বসতে রাজি।” দুপুরের দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ বলেন- “সংলাপের জন্য সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত প্রস্তাব পেলে সংলাপে রাজি বিএনপি।” রাত আটটার বিটিভি খবরে দেখলাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলছেন- “বিএনপিকে দু,একদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হবে”।



এর আগেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব আমানুল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ এবং যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ৬ মাসের জামিন আদেশের খবর আসে।সর্বশেষ বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও এর জোড়াপুকুর মাঠে ১৪ দলের জনসভায় সাভারের উদ্ধার তৎপরতার সুবিধার্থে হেফাজতে ইসলামকে ৫ মে’র অবরোধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ দলের নেতারা।হেফাজত কতটুকুন প্রজ্ঞার পরিচয় দেয় দেখার বিষয়।বলছিনা এতেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।তবে যে বিষয়টিকে সরকারী দল এতদিন থোরাই কেয়ার করে আসছিল,হেড কমান্ড থেকে আলোচনার প্রস্তাব ও বিরোধী মতকে সন্মান দেখানো অবশ্যই গুরুত্ব বহন করে।রাজনীতির বিদেশী শক্তি ও আমাদের সুশীল সমাজ যেটি অনেক দিন থেকেই বলে আসছিল।রানা প্লাজায় শাহীনাদের মর্মস্পর্শী আকুতি দেশ পেরিয়ে বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।সরকারের উপর বাহির ভেতর থেকে অনেক চাপ।সরকার কোন জড় বস্তু নয়।অনেক ব্যক্তির সমষ্টিক প্রতিষ্ঠান।বিবেকের দংশনে তারাও অস্থির।এ ক্ষতি তাদের একার নয়।সারা দেশের,গোটা জাতির অপূরণীয় ক্ষতি।সন্তানের মৃত্যু যেমন পরিবারকে এক কাতারে নিয়ে আসে সর্বশেষ পট পরিবর্তনে মনে হচ্ছে- “সাভার ট্রাজেডি রাজনীতিকে বদলে দিচ্ছে”।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.