নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মস্তিস্কের তাড়নায় ভাসানির ভাবনায়

এম এস আই জুেয়ল

সরল গল্প

এম এস আই জুেয়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির পিতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে ‘সারা বিশ্ব করছে প্রার্থনা ’

২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত সমস্যার কারণে ৯৪ বছর বয়সী ম্যান্ডেলাকে গত ৮ জুন প্রিটোরিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও চলতি বছর তিন দফা ম্যান্ডেলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশ্য এর পর কয়েকদিন ধরে তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তেমন কোনো খবর প্রচার হয়নি।এই মহুর্তে তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে।তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ম্যান্ডেলার পারিবারিক সূত্র।



সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়, গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এক বার্তায় চিকিতৎসাধীন ম্যান্ডেলার অবস্থা মারাত্মক থেকে সংকটাপন্ন হয়েছে বলে জানায়। এর তিন দিন পর হাসপাতালে ম্যান্ডেলার পরিবারের সদস্যদের এই আসা-যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।



এর আগে ‘দ্য সিটিজেন’ পত্রিকার ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল বিবিসির এক খবরে জানানো হয়, এই মহান নেতাকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার মুখপাত্র ম্যাক মহারাজ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।ম্যান্ডেলার শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ার খবরে মোজাম্বিক সফর বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট জুমা।একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিতে আজ মোজাম্বিক যাওয়ার কথা ছিল জুমার।

বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গতকাল রাতেই ওই হাসপাতালে ছুটে যান প্রেসিডেন্ট জুমা। ম্যান্ডেলার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে প্রেসিডেন্টকে জানান হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁরা ম্যান্ডেলাকে সুস্থ করে তোলার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করে যাচ্ছেন বলে জানান।



হাসপাতালে গতকাল ম্যান্ডেলাকে দেখে এসেছেন এমন দুই ব্যক্তি জানান, তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। যন্ত্রের সাহায্যে তাঁকে শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।আরেকটি সূত্র জানায়, ম্যান্ডেলার কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। এক দিন পরপর তাঁকে তিন ঘণ্টা করে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। সূত্র জানায়, ম্যান্ডেলার অবস্থা সংকটাপন্ন। হূদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি বিশেষজ্ঞসহ চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর চিকিৎসা করছে। কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়ার যন্ত্রটি খুলে ফেলার বিষয়টি নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চিকিৎসকেরা কথা বলছেন।



জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন নোবেল জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার জনপ্রিয় সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম মহান ব্যক্তিত্ব বলে মন্তব্য করেছেন।মুন বলেন, আমি জানি আমাদের ভাবনা ও প্রার্থনা ম্যান্ডেলা, তার পরিবার ও প্রিয়জন, পুরো দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর সঙ্গেই রয়েছে।জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার আরোগ্য কামনায় সারা বিশ্ব প্রার্থনা করছে।



মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গতকাল বুধবার আফ্রিকা সফরে গিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ম্যান্ডেলার পরিবার চাইলে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন ওবামা। ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ম্যান্ডেলার সঙ্গে তাঁর কখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি।



এদিকে, ম্যান্ডেলার শারীরিক অবনতির খবর পেয়ে হাসপাতালের বাইরে জড়ো হয়েছে উদ্বিগ্ন জনতা। তারা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ম্যান্ডেলার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা এর নিরাপত্তা দেয়ালকে এক খুদে শিল্প-গ্যালারিতে পরিণত করেছে।গোলাপি ও লাল রঙের অগণিত ফুল, বর্ণিল বেলুন আর শুভকামনা জানিয়ে লেখা কার্ডের সমাহারে ভরে উঠেছে প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হার্ট হাসপাতালের মূল প্রবেশদ্বার।কার্ডগুলোর একেকটিতে একেক রকম শুভেচ্ছা বাণী।নানা আকার ও বর্ণের এসব কার্ডের ভিড়ে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারের সাইনবোর্ডটিই আড়াল হয়ে পড়েছে।



হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থা গত মঙ্গলবার থেকে আরও জোরদার করা হয়েছে। ওই দিন হাসপাতাল অভিমুখী সড়ক পার্ক স্ট্রিটের অংশবিশেষ বেষ্টনী ও পুলিশের টেপ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। সকাল ছয়টার কিছু আগ থেকে পুলিশ হাসপাতালে ঢোকা সব যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে। তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বিপুলসংখ্যক সংবাদকর্মী ও তাঁদের কারিগরি দলের সদস্যরা হাসপাতালের বাইরে সমবেত হতে শুরু করেন। তাঁদের কাউকে কাউকে সম্প্রচারের যন্ত্রপাতি বসাতে দেখা যায়।



বর্ণবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের সময় ২৭ বছর কারাগারে ছিলেন ম্যান্ডেলা। ১৯৯০ সালে তিনি মুক্তি পান। ১৯৯৩ সালে পান শান্তিতে নোবেল পুরস্কার । বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে ম্যান্ডেলাকে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির পিতা হিসেবে সম্মান জানানো হয়। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: তার জন্য শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.