![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে পঠিতব্য পাঠ্যপুস্তক, পেপার পত্রিকা ও সর্বোপরি রাজনৈতিক দলগুলোর বিরামহীন প্রচারণায় যুদ্ধাপরাধ ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে মোটামুটি একটা স্বচ্ছ ধারণা দেশবাসী পেয়েছে।মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমাদেরকে তোতাপাখির মত শিখিয়েছেন কারা কারা যুদ্ধাপরাধী।কে এদের নয়নমনি।আজ সেই আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গুরুদায়িত্বে।বিড়াল মারা সহজ।কিন্তু কে মারিবে?হাত উঠানোর দল ঐ আওয়ামীলীগ।কিন্তু তারা বিড়াল মারতে কাপড়চোপড় একেবারে যাচ্ছেতাই ভাবে ভিজিয়ে ফেলেছে।গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক প্রধান গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়ার পর পরই বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় ফলাও করে এ খবর প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে সৌদি গেজেট বলেছে, অন্য যুদ্ধাপরাধ আদালতের মতো নয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এই আদালতকে অনুমোদন দেয় নি জাতিসংঘ। নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এ আদালতে যে প্রক্রিয়ায় বিচার চলছে তাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় থাকছে না।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর প্রধান ছিলেন গোলাম আযম। তার বয়স ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।রায়ের পর শাহবাগ আবার জেগে উঠেছে।এর আগে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি পোষ্ট করেছি।বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নানা কথা দেশবাসী কমবেশী জানে।কিন্তু যাকে সামনে রেখে এত প্রচারণা, এত প্রপাগন্ডা সেই গোলাম আযমের এমন রায় পাঠ্যপুস্তক, পেপার পত্রিকা ও সর্বোপরি রাজনৈতিক দলগুলোর বিরামহীন প্রচারণাকে মিথ্যা প্রমাণিত করে দিল ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সন্দেহ ও অবিশ্বাসকে আরও ঘনীভূত করে তুলল।
রায়ের পর শাহাবাগে কান্না
রায়ের পর শাহাবাগে গাড়ী ভাংচুর
সরকারের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত নিম্নমুখী।আওয়ামীলীগ নয়,বিএনপি নয়।বিবেকের কাছে সবাই জনতা,সবাই প্রশ্নবিদ্ধ।যার প্রতিক্রিয়া ইউপি,পৌর নির্বাচন ও সর্বোপরি সিটি নির্বাচনগুলিতে দেখা গেছে।গোপালগঞ্জ যদি আওয়ামীলীগের মক্কা হয় তবে গাজীপুর আওয়ামীলীগের মদিনা।সেখানেও জনগণের যে রায় হয়েছে তাতে বোঝা যায় সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই।সামনে আওয়ামীলীগ বিরোধী পক্ষ ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে এ কথা হলফ করে বলা যায়।মাননীয় আদালতের রায়কে অসন্মান করছি না।কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের পূর্ব মহুর্তে একজন ৯১ বছরের ব্যক্তিকে বয়স ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে ৯০ বছরের কারাদণ্ড গায়ে হলুদের আগমনী বার্তা দিয়ে গেল।সকাল বেলা দৈনিক সকালের খবর পক্রিকায় পরেছি “রায়ের খবরে বিচলিত নয় গোলাম আযম।”আশ্চর্য্যজনক হলেও সত্য এই বয়সেও এত ঘাত প্রতীঘাতের মধ্যেও গোলাম আযমের মধ্যে ডায়াবেটিকস,হৃদরোগ বা অন্য কোন মারাত্বক রোগের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।আদালত গোলাম আযমকে আরও ৯০ বছরের আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছে।এখন সৃষ্টিকর্তা যদি সে আরজি কবুল করেন তো সরকার পরিবর্তন হলে আগামী দিনের কোন এক সময় জেলের বাহিরে এসে সদ্য যৌবন প্রাপ্ত কোন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াটা অলিক কোন বিষয় হবে না।কারণ ৯০ বছর কম সময় নয়।আসুন আওয়ামীলীগের সাথে মিলে গোলাম আযমের পনঃবিয়ের দাওয়াত পত্র বিলি করি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পোষ্ট দিয়েছি।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের অপমৃত্যু
তুর্কী প্রেসিডেন্টের চিঠিঃ কিছু প্রশ্ন
আবার তোরা হিন্দু হ
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালঃভেতরে আওয়ামীলীগ বাইরে বিশ্বমত
শাহবাগ ও বাস্তবতা
আস্তিক নাস্তিক বিষয় নয়, রাজীবের একমাত্র পরিচয় সে একজন মানুষ
শাহবাগে উন্থান রাজীবে পতন
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্যার, আপনাকে বলছি
গোমর ফাঁস:‘ট্রাইব্যুনাল ফটক’ থেকে নিখোঁজ সুখরঞ্জন ভারতের কারাগারে
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৯
এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: জুতা মার তালে তালে।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৬
টেরিয়াল ডয়েল বলেছেন: লাগাতার ফাঁসি চাই সব লুইচ্চা রাজাকারদের
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৫
টেরিয়াল ডয়েল বলেছেন: মার জুতা হারামী লম্পট,লুইচ্চা,ধর্ষনকারী জামাইচ্চা গু আযমরে লাইথ্যায়া ফাঁসি দেয়ার দরকার ছিলো সরকারের, কিন্তু টেকার লুভ সামলাইতে পারে নাই। এই জন্য ৯০ বছর জেল! কচু- পরবর্তি ম্যাডাম আসলে রায় বাতিল.......