নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

find out why \"The differenc is here\"

মাকসুদুল কবীর সোহেল

আমি মাকসুদুল কবীর মন্ডল সোহেল একজন প্রশিক্ষনরত শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষা উন্নয়ন কর্মী এবং অনিয়মিত সাংবাদিক (ফিচার)…! আমি জানতে, শিখতে চাই..এবং তা অন্যের সাথে ভাগাভাগি (শেয়ারিং)করতে চাই...

মাকসুদুল কবীর সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাচ্চাকে ঘরে যে কাজগুলো শেখানো উচিত

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০১

৬ থেকে ৮ বছরের মধ্যে কিছু বেসিক জিনিস বাচ্চাকে শেখানো জরুরি পড়ালেখা বা অন্যান্য সাংস্কৃতিক জিনিস বাদেও। কোন বাবা-মাই হয়তো চান না তার সন্তান একেবারে ননীর পুতুল হয়ে বড় হোক, কিংবা একেবারে আঁতেল হয়ে বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকুক। মনে রাখবেন তাকে একদিন আপনার জায়গা নিতেই হবে।



ফলমূল কিনে আনার পর কীভাবে ফরমালিন দূর করা যায় শিখিয়ে দিন কয়েকদিন এবং এর গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন। এরপর বাজার করে আনার পর দেখবেন সে নিজ উৎসাহে ফরমালিন দূর করছে।

ঘর মোছা বাচ্চাদের কাছে খেলার মত। তবে একা একা নয়। শিশুরা বাবা-মার যা করে তাতে যোগ দিতে ভালবাসে।

বাজারে সাথে নিয়ে যান এবং তাকেও ছোট্ট একটি ব্যাগ ধরিয়ে দিন। কিছু কিছু জিনিস ভাল-মন্দ বোঝানো শেখান এবং সেগুলো প্রায়ই তাকেই কেনার দায়িত্ব দিন। আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন সে কত দ্রুত শিখে ফেলছে! জীবনের খুব বেসিক শিক্ষাগুলোর একটি এটা।

বাগান বা টবে গাছ লাগানোর সুযোগ থাকলে তাকে নিয়ে গাছপালা লাগান। কিছুদিন পর দেখবেন সে আপনার চেয়ে এক্সপার্ট হয়ে গেছে। নিয়মিত পানি দেওয়া শেখাতে পারেন।

রাতে ঘুমানোর আগে বিছানার একদিক আপনি একদিন তাকে গুছাতে দিন। সে নাগাল পেলে মশারির একটা কোণা তাকেই লাগাতে বলুন।

মাঝে মধ্যে তাকে রান্নার কাজে সাহায্য করতে সাথে নিন। রান্নার অনেক কিছুতেই বাচ্চারা খুবই মজা পায়। আর যেই জিনিসটির রান্নায় সে সাহায্য করতে পারে, সেটা খেতে তার আগ্রহ ও বেশি থাকে। ৭ বছরের বাচ্চাকে ২ দিন দেখালে সে ডিম ফেটে গুলিয়ে দিতে পারে। আর রুটি বেলাতেও অনেক আনন্দ পায়। কেক বানানোর সময় মিক্সিং শেখাতে পারেন।

ওরস্যালাইন প্যাকেটসহ এবং ছাড়া দুইভাবেই বানানো শেখান। ঘরে কারো পেটে সমস্যা হলে, তার সাহায্য চান। এতে বাচ্চারা এসব জিনিস সেখার গুরুত্ব বুঝতে পারে, এবং নিজেকেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হিসেবে চিন্তা করা শুরু করে।

বিভিন্ন ধরনের শরবত বানানো শেখান।

জুতা পরিস্কার করা এবং রঙ করা শেখান। প্রায়ই দেখবেন নিজ ইচ্ছায় সে নিজের জুতো তো করছেই আপনার গুলোও করে দেবে!

তার নিজের ২/১টা কাপড় নিজেকেই পানি দিয়ে ধুতে দিন। তবে কাপড় কাচার সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে দেবেন না, বাচ্চাদের ত্বক অনেক নরম। এছাড়া নিজের কাপড় গোছানো শিখাতে পারেন!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১২

দি সুফি বলেছেন: সবচেয়ে বেশি করে ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষা দেয়া দরকার।

২| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৩১

নূর আদনান বলেছেন: খুবই ভাল লাগল, দি সুফি ভায়ের সাথে একমত


দি সুফি বলেছেন: সবচেয়ে বেশি করে ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষা দেয়া দরকার।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:২৯

উদাস কিশোর বলেছেন: দারুন পোষ্ট । এসব কাজ ছোট বেলা থেকে শেখালে বাচ্চাটি নিজেও আত্ববিশ্বাসী হয়ে উঠবে ।

৪| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:২২

আজীব ০০৭ বলেছেন: খুবই ভাল লাগল

৫| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল পোষ্ট। দুর্ভাগ্য যে আমাদের মধ্যবিত্ত উচ্চ বিত্তরা এগুলোর কোনটাই শেখাবেনা, বলবে ' আহা আমার বাচ্চা কাজ করবে' অসম্ভব!

৬| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:২২

ইমরান হক সজীব বলেছেন: চমৎকার! ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.