নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরপেক্ষ দৃষ্টি

মোঃ মুনতাসির হোসেন মৃধা

মধ্য পথ অবলম্বনকারী একজন সাংবাদিক/ব্লগার।

মোঃ মুনতাসির হোসেন মৃধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী তুমি তোমার শরীরকে আবৃত কর!! আমি আমার দৃষ্টি সংযত করতে অক্ষম।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৮


প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ঘুমানোর আগে নতুন পোষ্ট গুলো দেখছিলাম। কিছু না লিখে আর ঘুম আসলো না।

আমার কিছু ব্লগার বন্ধু ইদানিং এই কথাগুলো বড্ড বেশী বলছেন। নারীরা নাকি তাদের সামনে অশ্লিল পোশাক আশাক পড়ে থাকার কারনে খুব সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন তারা।

আপনারা কি চাচ্ছেন নারীদের আবৃত করে নিজেদের বাহাদুর প্রমান করতে? কেউ পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত দেখিয়ে দিতে পারবেন যেখানে বলা আছে নারী শরীর ভাল ভাবে আবৃত না করলে তার দিকে খারাপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করা যায়েজ। আমার জানা মতে বলা আছে উভয়ের দৃষ্টি সংযত করতে। তাই আপনারা আপনাদের দৃষ্টির কথা নিয়ে ভাবতে থাকুন। নারীর শরীর ভালো ভাবে আবৃত হল কিনা তা ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব নিয়ে আপনার ভাবার যোগ্যতা এখনও হয়ে ওঠেনি তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে পারেন।আর সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সে দায়িত্বও অর্পন করেন নি।

অপনারা থাকতে কেন এমন সব অপদার্থের দল সমাজের নেতৃত্ব দিবেন না বলুন। দেখুন সরকার একদিকে সমাজের সকল অসঙ্গতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তায় আছে। অামরা সাধারন মানুষ হিসেবে পুলিশ, প্রশাসন, মন্ত্রি এগুলো সম্পর্কে জানি, তাহলে সরকার অবশ্যই জানে তার চেয়েও অনেক বেশী। এখন সরকার পক্ষের কেউ যদি কোন জনসভায় বলেন যে, তারা সাহায্য চায় সাধারণ জনগনের কাছে তাহলে তা যেমন শুধুই হাস্যকর তেমনি এটা বলা " আমি আমার দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রনে অক্ষম, নারী তুমি অবৃত হও" শুধুই হাস্যকর নয় বরং নিজেদের অসুস্থ হবার কথা প্রকাশ করা।

আপনার পায়ে ধূলা-বালি পড়বে তাই কি আপনি সারা বিশ্ব চামড়ায় মোড়ানোর দায়িত্ব নিবেন ? নাকি নিজের পায়ে জুতা পড়বেন?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১২

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: দৃষ্টিকে অবনত রাখতে উভয়কেই বলা হয়েছে।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

বাংলার জামিনদার বলেছেন: নিজেরে সামলাইতে না পেরে কুকর্মের জন্য নারীকে বা ছোট বালককে দায়ী করা তো খুব সহজ সমাধান, এবং ইতর শ্রেনীর জন্য একমাত্র সমাধান।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কুরআনের আয়াতগুলো যদি দেখেন এবং অভিজ্ঞ ওলামাদের কাছ থেকে যদি পরামর্শ নেন, তাহলে দেখবেন, এখানে নারী পুরুষ একে অপরের সহযোগি। মানে উভয়েরই ভূমিকা আছে একে অপরকে গোনাহ থেকে বেচে থাকার জন্য সাহায্য করতে। কারণ, শয়তান সর্বদাই মানুষকে গোনাহের মধ্যে লিপ্ত করার প্রচেষ্টায় আছে।

এখন যদি বলেন, ভাই শয়তান কই, তাকেতো দেখি না, তাহলে কিছু বলার নেই। ইসলামে বিশ্বাসী হলে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে শয়তানকে আল্লাহ মানুষকে ধোকা দেয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন, যদিও চোখে আমরা সরাসরি শয়তান নামক কিছু দেখতে পাই না, যেমন দেখতে পাই না জ্বীনদেরকে। এমনকি ফেরেশতাদেরকেও আমরা দেখতে পাই না।

যাহোক, আপনি যতই চোখ নীচের দিকে রাখুন না কেন, স্বল্প বসনা এবং প্রলুব্ধকারী পোষাক পরিহিতা নারী আপনার নফসকে প্রলুব্ধ করবেই, তা আপনি যতই মুত্তাক্বী হন না কেন। পরীক্ষাটা এখানেই। এজন্য অবশ্য মুত্তাক্বী ব্যাক্তি হয়ত যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন স্বল্পবসনা নারীদের আনাগোনা যেখানে বেশী সেরকম পরিবেশ এড়িয়ে চলতে। আবার সেরকম পরিবেশেও যেই ব্যাক্তি তার নজরকে হেফাযত করতে পারছেন, তিনি নিশ্চয় অনেক বড় মুত্তাক্বী এবং পরীক্ষায় পাশ করেছেন। কিন্তু, মানুষের ঈমান যেহেতু সবসময় একই থাকে না, তাই শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে মোটামুটি মানের ধার্মিক ব্যাক্তিও নাজায়েজ বস্তুর প্রতি দৃষ্টি দিয়ে ফেলতে পারেন। গোনাহ মানুষের দ্বারা হতেই পারে আর সেজন্যই পূণ্য এর ব্যাপারটা আছে।

তাই নারীদেরও ভূমিকা আছে নিজে গোনাহ থেকে বেচে থেকে অন্য ভাইকে গোনাহ থেকে বাচতে সাহায্য করা। পর্দার বিধান আল্লাহ নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই দিয়েছেন। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের গোনাহের জন্য জবাবদিহি করবে। তবে আমার ভূমিকার জন্য যদি অন্য কেউ গোনাহে প্রলুব্ধ হয়, আমার ধারনা, তাতে আমার দু'টো গোনাহের জন্য বিচার হবে। একই ভাবে পুরুষদেরও খেয়াল রাখতে হবে তাদের চলা ফেরার জন্য যে একজন নারীর চোখের গোনাহ না হয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

কানিজ রিনা বলেছেন: জ্ঞান অরজন করতে হলে সুদুঢ় চীনে যাও
কথাটা কম বেশী সবাই জানে।
আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করেও
ধরসন খুন নিপীরন ইভটিজিং,ঘরে
বাইরে সব খানে। আমাদের মানুষীকতার
উন্নয়ন নাই। শুধু মাত্র সরকারের ঘারে
চাপাতেই বেশী পছন্দ করি। আসলে
আমাদের মানুষীকতা নদলাতে হবে।
বেশ বছর দেরেক হলো আমার মেয়েটা
স্কলার নিয়ে চীনের বেইজীং বিশ্ববিদ্যালয়
পড়াশুনার জন্য গেল। খুব ভয় পাচ্ছিলাম
নাজানি কিহয়। যদিও চীনের পরিবেশ
সম্পরকে আগে থেকেই কিছু কিছু
জানতাম। মেয়ে কিছু দিন পরই
আমাকে গল্পো শুনাতে লাগল আম্মু
এদেশে মেয়েদের খুব সন্মান।
ওদেশের ছেলেরা মেয়েদের খুব সন্মান
করে। রাত বারটা একটা কি সারারাত
মেয়েরা ঘরের বাইরে কাটালেও
ছেলেরা উত্তক্ত করেনা।
আজ কতদিন ধরেই ভাবি আমাদের
দেশের পরিবেশ এমন হোলনা কেন।
হাদীস কুরয়ানে বরনিত যে নিয়ম
কানুন, মেয়েদের মায়ের সন্মান বোনের
সন্মান, তোমার চোখ অবনমিত কর
তোমার ইন্দৃীয় দমন কর। অথচ চীনেরা
এসব বিষয়ে জ্ঞানী।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৩০

মোঃ মুনতাসির হোসেন মৃধা বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম : ভাই নারীর হিসাব তো তাকেই দিতে হবে। তবে কীভাবে পুরুষ তার পাপের দায় হিসেবে নারীকে আশ্রয় করতে পারে? আমাদের অন্তর আর চোখ দিয়ে আমর কী খুজি তা তো আমরা জানি। নিজেদের পাপ থেকে বিরত রাখতে আপনি যেকোন পথ অবলম্বন করুন তাতে কোন আপত্তি নেই। আপনি হয়ত আমার লেখাটা ভুল বুঝেছেন। আমি বলতে চেয়েছি " আমরা যদি নিজেদের নিজেরা সংশোধন করি তবে সংশোধন হবে সমগ্র সমাজের"

kanizrina বলেছেন: "শুধু মাত্র সরকারের ঘারে চাপাতেই বেশী পছন্দ করি।"
প্র্রথমেই আমি দুঃখিত যে আমাদের দেশের সকল ছাত্র ছাত্রীদের আমরা চীনে পাঠাতে পারবোনা।
দ্বিতীয়ত আপনি হয়ত এখনও জানেন না উন্নত দেশ গুলেতে খুন ধর্ষনের সংখ্যা বাংলাদেশের কয়েকশত গুন হত যদি সেখানে সরকার তা রোধ না করত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.