নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি রক্তে মিশে গেছে,ক্ষুদ্র পরিমান স্পেস পেলে মনে হয়এটা আমার রাজ্য..

ছায়া মনুষ

আমি একজন ছাত্র। পাশাপাশি কলমের মরিচিকা দূর করতেছি....

ছায়া মনুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহলে কি শস্যের মধ্যেই ভূত??

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭


ভিক্টরিয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যান্টরমেন্ট এরিয়ার বাসিন্দা "মুসফিকা তাবাস্সুম মীম" এর কাছ থেকে জানা গেল ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ার কিছু অভিঙ্গতা..সেও আজ হতাশ এবং জানতে চায় আজ এমনটা হল কেন?? তার কথায় এমনটা বুঝা গেল-এ কেমন নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে তৈরি এরিয়া "একা হাটতে গেলেও একটা ভয় কাজ করে যে কোন শিকারি কি নিচ্ছে আমার পিছু?"--
তার মতামত ও অভিঙ্গতা জানতে গিয়ে এমনটাই মনে হচ্ছে যেন "শস্যের মধ্যেই ভূত"

আসুন তার কথা গুলো পড়া যাক--
#
সালটা ২০০৯ কি ২০১০ হবে স্কুলে পরতাম।কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর জিওসি ছিল মেজর জেনারেল হাফিজ। সেদিন ঘুম থেকে উঠে শুনলাম খুব সকালে জিওসির বোন হাটতে বেরিয়েছিল,স্থানীয় কিছু লোক নাকি তাদের উত্যক্ত করেছে। এর মাঝে একজন নাকি তার বোনের ওড়না ধরে টান ও দিছে।আপু কি করল বাসায় গিয়ে ভাইয়ের কাছে সেই বিচার।
বিপরীতে ভাই কয়েক প্লাটুন সেনা সদস্য পাঠিয়ে দিল।মুহুর্তেই থাকে ধরে ফেলল।তার নাম ছিল কালু।
এমন ভাবে মারল স্পট ডেড।৫-৬ ঘন্টার মাঝেই সঠিক সাজা।কোন গণমাধ্যম সেদিন নিউজ কাভার করেনি।সামান্য ইভটিজিং এই জিওসি নিজের বোন এর জন্য এমন করল।
তাহলে আজ সেনানিবাস এলাকার ভিতরে এত বড় ঘটনা,যেখানে কিনা একটি মেয়েকে জীবন দিতে হল এর বিচার হচ্ছে না কেন??
কারণ সেদিনের ইভটিজার ছিল সাধারণ লোক,যাকে শাস্তি দিলে কাউকে জবাবদিহিতা করতে হবেনা।ইভটিজিং এর শাস্তি কিন্তু মৃত্যদন্ড হতে পারেনা। যাই হোক,আপনি জানেন কি আজকের খুনি সয়ং ক্যান্টনমেন্ট এর সেনা সদস্য। কেন আঙুল তুলে তাদের দেখালাম,চাইলে এক দিনেই তারা খুনিকে বের করে শাস্তি দিতে পারে,কিন্তু দিচ্ছেনা হয়তো নিজেদের নামটা প্রকাশ পেয়ে যাবে তাই।
জানতে চান সেদিন কি হয়েছিল-তাহলে শুনুন
সোহাগী থিয়েটার করত,মাঝে মাঝে ফিরতে রাত ও হত।
পরিবারের সদস্য এর পক্ষ থেকে শুনলাম সেদিন সোহাগী থিয়েটার করে বাসায় ফিরছিল।ক্যান্টনমেন্ট এর ২য় গেইট দিয়ে প্রবেশ এর সময় থেকেই হয়তোবা তার বিপদ শুরু। কেননা সেদিন সন্ধ্যা ৭.৩০ এর পর কাউকেই নাকি ওই রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি,কিন্তু বাতোয়কেন??? উত্তর কেউই দিবেনা....
যেই কালভার্ট নিয়ে এত কথা সন্ধ্যা থেকেই সেখানে ছিলেন সোহাগীর মা।কই তখন তো সেদিকে কেউই ছিল না।
রাত প্রায় ১০টা,সোহাগীর বাবা ফিরলেন বাসায়,এসে শুনলেন মেয়ে বাড়ী ফেরেনি,ফোন ও বন্ধ।বের হয়ে গেলেন খুঁজতে। কালভার্ট এলাকায় আসতেই প্রথমে চোখে পড়ে সোহাগীর একটি জুতা।তার কিছুদূর যাওয়ার পর কিছু চুল।আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলেন না,কেঁদে ফেললেন। মুহূর্তেই এমপি এসে হাজির,সেনানিবাস এলাকার বাসিন্দা হিসেবে তার কাছে সাহায্য চাইলেন তার মেয়েকে খুঁজে দিতে। কিন্তু এমপি নাকি চুপ করেই ছিলেন।
# জানতে চাই এই চুপ করার মানে কি???যেখানে আমাদের কথা বলার চান্সই তারা কখনো দেয়না...
যখন মেরে ফেলা হল,তখন এমপি আসেনি,কিন্তু এখন খোজার সময় এত জলদি কোথা থেকে উদয় হলেন???

আসলে আর কিছু বলার নাই বলেও তো লাভ নেই.. কি আর হবে সোচাল মিডিয়ার এই ঝড় হয়তোবা আর কিছু দিন থাকবে..পরে দেখবেন আবার সব স্বাভাবিক..হয়তোবা আমাদের নাকের ডগা দিয়ে তনুর শিকারি গুলা আবার হাটবে..

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.