![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ছাত্র। পাশাপাশি কলমের মরিচিকা দূর করতেছি....
স্যার একটা ফুল নিবেন? নেন না স্যার মাত্র দশ টাকা। ও স্যার, স্যার নেন না।..
এভাবেই আগুন একটা গাড়ির সাহেব কে মিনতি করতেছিল।কিন্তু গাড়িতে বসে থাকা ব্যাক্তিটি সাড়া না দিয়ে গাড়ি চালিয়ে সামনে চলে গেল।
আগুন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতেছিল হঠাৎ গাড়িটা থামল এবং সাহেব গাড়ি থেকে বের হয়ে আগুনের দিকে আসতে লাগল।
আগুন ফুল নিয়ে দাড়িয়ে আছে,
সাহেব আগুনকে বলল, একটা ফুল দাও তো।
-মাত্র একটা ফুল?
-আমার একটাই লাগবে।
-একটা ফুল কাকে দিবেন।আরে একটা নেন না, দুইটা নিলে ১৫টাকা রাখবো।
-আমি ফুলটা আমার মাকে দিব।আর আমার মা একজন, তাই আমার একটা ফুলেই যথেষ্ট।
-স্যার,এই নেন একটা ফুল, আর এই বাকি চারটা আমার তরফ থেকে আপনার মাকে দিলাম।
-তুই দিবি কেন?
-স্যার আমার তো মা নাই তাই।
-আমারো মা নাই। আজ আমার মায়ের মৃত্যু দিবস।তোর থেকে আমি কবরে দিব।
-স্যার আপনার মা তো তবুও কবরে আছে।
কিন্তু আমার মা কোই আছে আমি জানি না। আমগো বস্তির এক খালা কইছিলো আমারে নাকি এক ড্রেনের কাছে পাইছিলো,তখন নাকি আমার চোখও ফোটেনাই।মায়ের আদর কেমন, মায়ের শাসন কেমন আমার কাছে অচেনা।
স্যার দয়া করে এই ফুল গুলা নেন। তবুও বলতে পারবো জীবনে কোন এক মাকে কিছু দিতে পারছি।
বিঃদ্রঃ মা কি জিনিস, যার নাই সেই একমাত্র বুঝতে পারে।
০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ছায়া মনুষ বলেছেন: না বুঝে.. না জেনে অন্য আঙ্গিকে যে মন্তব্যটা করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ কারন তাতে অনেক শেখার আছে।
আমি মুলত মায়ের ভালবাসা বঞ্চিত একটা শিশুর কথা তুলে ধরেছিলাম তাও আবার গল্পতে। যার মুলকথা হচ্ছে"অপ্রাপ্তির মাঝে একটু পূর্ণতা"আমি এখানে সত্যিকারের আগুনের কথা বলি নাই।আর কবরে ফুল দেওয়ার বিষয়টা আমিও জানি আপনিও জানেন নাজায়েজ তবে যারা বাস্তবে দেয় তাদের সমালোচনা করুন আমিও আছি আপনার সাথে।তবে গল্পতে পতিবাদ কইরা লাভ কি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
মোঃ সাকিব বলেছেন: বড়ই করুন। সমাজে এমন ঘটনা অহরহ রয়েছে। বস্তির খালা বলেছে তাকে ড্রেইনের কাছে পেয়েছে, হয়ত কথাটি সত্য কিন্তু এর চাইতেও বড় যেই সত্যটি সেটি হচ্ছে যারা ফেলায় তারা কারা? তাদেরকে খুঁজলে পাওয়া যাবে, হোটেল মোটেলে, পাওয়া যাবে অভীজাত এলাকায় অভীজাত পরিবারে, তাদেরকে পাওয়া যাবে ঢাকার হাজার হাজার মধুকূঞ্জে আরও একটু গভীরে গেলে দেখা যাবে এরা সবাই ধনশালী আধুনিক সমাজের নামী দামী পরিবারের সন্তান, এরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদাচড়নী, এরা টিভির পর্দার চাকচিক্য চেহেরা মূলত এরাই আগুনদের মা। আজ মায়ের মরন দিবস তাই কবরে ফূল দিচ্ছে। আরে গর্ধব: বিদায় হয়ে যাওয়া মাকে কবরে কি দিতে হয় কিভাবে দিতে হয় সেটিও শিখলে না? তোর ছেলেকে তোর কবরে কিছু দেয়ার জন্য কি শিখাবি? জানোয়ার, আমি শিখাইয়া দিচ্ছি তুই শিখে নেয়। গোসল ফরজ হইলে আগে গোসল করে নিবি, গোলস কখন ফরজ হয় জানিস তো? শুন গোসলের আগে ওযু করে নিবি, ওযুর মধ্যেও ফরজ আছে, যাক অন্তত ওযু করে নিবি তারপর গোসল করে নিবি যাতে সারা শরীর ভাল ভাবে ভিজে যায়। তারপর যদি ইচ্ছা হয় আবারও ওযু করে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পড়বি আচ্ছালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর তারপর সূরা ফাতেহা পড়বি ১বার, সূরা এখলাস পড়বি ৩বার, দরুদ পড়বি একাদিক বার, তারপর এর সমস্ত ছাওয়াব রাসুলের রওজায় বখশিস করবি, ছাহাবাদের, তাবেইন, তাবে তাবেইন, সমস্ত আওলিয়া বুজূর্গ এব খাস করে তোর বাবা মায়ের গুনা সমুহ মাপের আবেদন করে তাদের উপর বখশিস করে দিবি। এবং বলবি এই ছাওয়া গুলি যেন তাদের নাজাতের উচিলা হয়, এই ছাওয়াবের উচিলায় তাদেরেকে জান্নাত দান করেন, মহা নবী (সঃ) এর উচিলায় তাদেরকে যেন ক্ষমা করে জান্নত দেয়া হয়। এবং পড়বি "রাব্বির হামহুমাকামা রাব্বাইয়ানি ছগীরা"। কবরের উপরে ফুলের কোনো কাম নাই এগুলি শয়তানী, বাবা মায়ের জন্য ফুলের বিছানা যদি বিছাইতে চাও তাহলে দোয়া দরুদ পড়ে কবরে পৌঁছাইয়া কবরের ভেতরেই ফুলের গালিচা বিছাইয়া দাও।