নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি রক্তে মিশে গেছে,ক্ষুদ্র পরিমান স্পেস পেলে মনে হয়এটা আমার রাজ্য..

ছায়া মনুষ

আমি একজন ছাত্র। পাশাপাশি কলমের মরিচিকা দূর করতেছি....

ছায়া মনুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বৈষম্যতা"

১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

ছায়া মনুষ(এফ ইউ শিমুল)

একটা পরিচিত বিষয় নিয়ে কথা বলবো তা হল "বৈষম্যতা"
এই শব্দটার জন্ম মনে হয় একটা মানবের জন্মলগ্ন থেকে,কারন -
ধরুন, আপনি জন্ম নিলেন একটা নামি দামী হাসপাতালে জন্মের পরই নার্সরা আপনার ওজন মাপাতে নিয়ে গেল এবং তারা দেখল আপনি একটু ওজনে কম আছেন, তাই দশ দিন হাসপাতালে রাখলো একের পর এক নার্স এসে আপনার যত্ন করতেছে এমনই ভাবে যত্ন করে আপনার মাকেও একটু কোলে নিতে টাইম দেয় না...
তারপর মোটামুটি যখন আপনার ওজনটা ঠিক হল তখন আবার পরিক্ষা করে দেখে আপনার তো নিয়ুমুনিয়ার ভাব আপনাকে আবার দুই দিন থাকতে হলো হাসপাতালে এরপর, আপনার বাবা মা একটু বিরক্তি ভোদ করো তখন আল্লার উপর ছেড়ে দিয়ে আপনাকে বাড়ি নিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেয় তখন বাড়ি পেরার সময় ডাক্তাররা আপনাকে হাসপাতালেরর ছোট্র সৃতি হিসেবে আপনার বাম হাতের উপরে একটা কেনান ভেদে দেয় তারপর বাসায় গিয়া একের পর এক ঐ কেনান দিয়ে ইঞ্জিকশান মারতে থাকে ভাস! আপনার জন্মের কাজটা শেষ।

আবার, আপনি যেদিন জন্ম গ্রহন করলেন ঐ দিনই আপনার পাশের বাড়ির একটা শিশুর জন্ম হল। জন্মটা আপনার মতই হয়েছিল প্রথমে মাকে কলিজাতে লাথ্রি মরলো ওর মা'য়ো আপনার মায়ের মতই ব্যাথা কাতরিয়েছিল।
সবই ঠিক ছিল শুধু জন্মের পর চোখ মেলে দেখে একটা কুঁড়ে ঘর স্যাতসেতে অবস্থা এদিক অদিক তাকিয়ে দেখে চারিদিক একটু অন্ধকার ঘরের এক কোনে নিমনিময়ে একটা চেরাগ জ্বলতেছে,
আঙ্গিনা থেকে আযানের ধ্বনি শুনতেছে।
কয়েকটা কাঁথা দিয়ে জড়িয়ে রাখলো শিশুটিকে।
একদম সাদামাটা জন্ম।

এরপর আপনার আর ঐ শিশুটি মাঝে নতুন একটি দেয়াল দাড়িয়ে গেল তার নাম বৈষম্যতা।

এবার একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম আপনার কাছে এই ছেলেটার কি এমন পাপ যে আপনার মত বিলাসবহুল ভাবে তার জন্ম হলো না তার।আপনিওবা কি এমন পূণ্য করেছিলেন যে আপনার জন্ম এত বিলাসবহুল হলো?উত্তরটা কি আপনার জানা আছে?
অবশ্যই নাই। কারন এই বিষয়টা আল্লাহ্‌ই ভালো জানে।

বিঃদ্রঃ - আপনার আশেপাশের আপনার মতো এতো বিলাসবহুল ভাবে জন্ম নেওয়া শিশুটির মাথায় আপনি যে ভাবে মাথায় হাতবুলিয়ে আদর করেন ঠিক তেমনি কুঁড়ে ঘরে জন্ম নেওয়া শিশুটির মাথায় একই ভাবে হাতবুলিয়ে আদর করলে ওর মনে বৈষ্যম্যতা মনোভাব সৃষ্টি হবে না।
(আসুন আমরা বৈষম্য মনোভাব দূর করি)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মহসিন ৩১ বলেছেন: প্রকৃতিতে প্রস্ফুটন তো সহজাত তাই দুজনের সুরু হল এক নিয়মে ; পরে আসবে তাদের অবস্থানের কাল ,স্থান ভেদ ইত্যাদি । এসব মানবীও, এবং চিন্তার সংগতি আর সামর্থ্যের কথা।

১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

ছায়া মনুষ বলেছেন: হুম..তবুও একটু চেষ্টা দরকার..

২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ঘটক কাজী সাহেব বলেছেন: কুঁড়ে ঘরে জন্ম নেওয়া শিশুটির মাথায় একই ভাবে হাতবুলিয়ে আদর করলে ওর মনে বৈষ্যম্যতা মনোভাব সৃষ্টি হবে না।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
এই শিশুরা যদি পেত একটু মমতা বুলানো হাত, এরাও হতে পারতো বিখ্যাত কোন জন। মমতা, ভালবাসা, এমনই একটি জিনিস, যে পায়না, সেই বুঝে তার কি মূল্য। কবিকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম। ভালো থাকুন কবি সব সময়। আবদার এমন লেখা আরও বেশী লিখুন কবি। এই কঠিন সমাজের, কঠিন মনের মানুষদের মধ্য যদি একজন দুইজন মানুষও রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির মাথায় একটি বারের জন্যও হাত বুলায়, সেই হবে আপনার লেখার সার্থকতা। নাইবা জানলেন আপনি, কিন্তু বিধাতার দারে তো পৌঁছে যাবে।

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৪

ছায়া মনুষ বলেছেন: ধন্যবাদ অনিঃশেষ.. আপনার মন্তব্যটা আমার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

মহসিন ৩১ বলেছেন: মালুম হলনা ভাই! বাঘ ভালুক পর্যন্ত নিজের জন্য চিন্তা করে থাকে। ...... কে চেষ্টা না করে আবার। ......... আসল মানবতা হল , নিঃশেষে জীবন, যে করিবে দান............

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

ছায়া মনুষ বলেছেন: তা ঠিক...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.