নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি রক্তে মিশে গেছে,ক্ষুদ্র পরিমান স্পেস পেলে মনে হয়এটা আমার রাজ্য..

ছায়া মনুষ

আমি একজন ছাত্র। পাশাপাশি কলমের মরিচিকা দূর করতেছি....

ছায়া মনুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্পঃ "বাবারা এমনই হয়"

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২


ছায়া মনুষ(এফ_ইউ_শিমুল)

কলেজে যাওয়ার জন্যে ছেলেটি একটু গোজগাচ করছে।পাশের রান্না ঘরে মা রুটি বানাচ্ছে। ছেলেটি মাকে তাড়া দিচ্ছে, মা আর কতক্ষন? আমার কলেজের সময় হয়ে গেছে।
->মা-- এইতো হয়ে গেছে একটু দাড়া।
->ছেলে-- তাড়াতাড়ি করোতো।
->মা-- এই নে ধর।
ছেলেটি রুটি খাচ্ছে, পাশের চেয়ারে বসে বাবাও রুটি খাচ্ছে। ছেলেটি অনেকদিন ধরে
বলতে চাইতেছে তার একটা শার্ট লাগবে।কিন্তু বলতে পাচ্ছে না কারন ও তার বাবার সাথে ততোটা ফ্রি না।মানে একটু ভয় পায়। আজ ভাবছে বলবে তখনই বাবা বলল রুমি এই টাকাটা রাখতো।
->রুমি -- এই মাসের কারেন্ট বিল তো দিয়ে দিছি এটা আবার কিসের টাকা?
->বাবা -- তোর নাকি শার্ট লাগবে? এই টাকাটা তোর শার্টের টাকা।
রুমি তখন তার মায়ের মুখের দিকে তাকালো মা তখন মাথা নাড়িয়ে ইঙ্গিত দিলো হ্যা, আমি বলেছি।
রুমি নাস্তা শেষ করে কলেজে গেল। ফেরার সময় রুমি শার্টের কাপড় কেনার জন্যে একটা দোকানে ডুকলো।
->রুমি -- আমাকে একটা চেকের মধ্যে শার্টের কাপড় দেখান তো।
দোকানদার কয়েটা কাপড়টা দেখাচ্ছে এবং বলতেছে তুমি কি রফিক সাহেবের ছেলে?
-> রুমি -- হ্যা,
-> দোকানদার -- ও, তোমার বাবাওতো গত কাল একটা কাপড় দেখে গেছে। কালকে ওনার কাছে টাকা ছিলনা আজ নেওয়ার কথা।
রুমি বুঝলো বাবা নিজে শার্টের কাপড় না নিয়ে আমাকে দিল।
রুমি শার্টের কাপড়টা না নিয়ে বাসায় চলে গেল।

রুমি ঐ দিন রাতটায় অনেক চিন্তা করলো নিজে নিজে কষ্ট পাচ্ছে এবং মনে মনে ঝপতেছে আমি কখনো চিন্তা করিনাই আমার বাবার জামা আছে কি না।আমার বাবা কি পড়ে।
পরেরদিন সকালে আবার নাস্তা করার সময় ছেলেটি তার বাবার শার্টার দিকে তাকালো দেখলো কলারটা থেথলিয়ে গেছে। এটা গত কালও পড়েছে।
তখন রুমি তার বাবাকে পশ্ন করলো "বাবা তোমার শার্টের কলারটাতো থেথলিয়ে গেছে নতুন একটা কিনবে না?"
তখন বাবা বললো ও কিছু না ঘামে এমন হয়ে গেছে।
রুমি তখন বললো এই শার্টটা আর কতদিন গায়ে দিবা?এটাতো অনেক পুরোনো হয়ে গেছে।
বাবা তখন হেঁসে বলল "বাবাদের শার্ট কখোনও পুরোনো হয় নারে।"
আমি এই অবস্থায় আরো এক দু'বছর কাটিয়ে দিতে পারবো।...

বিঃদ্রঃ- বাবা ঐ ব্যাক্তি যে, সন্তানের প্রয়োজনে নিজেরটা ত্যাগ করে হাঁসি মুখে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.