![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে বেশ খানিকটা পড়াশুনা করতে হল। সম্ভাব্য একটা নাম ছিল মুন্সীগন্জের বাবা আদমের মসজিদ। ৬০০ সালের মনে করা হলেও এটি আসলে খ্রিস্টীয় ১৪০০ সালের সুলতানি আমলের নির্মিত একটা মসজিদ।
প্রায় ১০০০ বছর পূর্বে, সেন শাসনামলে বেশকিছু মুসলিম দরবেশ বাংলার মাটিতে আসেন ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে। সম্ভবত তারা সৌদি আরব থেকেই আসেন। মুন্সীগন্জ জেলায় তেতুলতলা নামক স্থানে এই ১২ আউলিয়ার মাযার রয়েছে। বাবা আদম নামক ব্যক্তি সম্ভবত সেই সময়কারই একজন দরবেশ হবেন।
বাবা আদমকে সমাহিত করা হয় রেকাবী বাজার নামক এলাকায়। একসময় সেখানে হিন্দু-মুসলিম সবাই মনঃস্কামনা পূরনের নিমিত্তে দান করত। এই বাবা আদমের মাযার থেকে ২০ ফুট দুরত্বেই অবস্থিত বাবা আদমের মসজিদ।
কিংবদন্তী এবং বাস্তবের মধ্য পার্থক্য: জনশ্রুতি আছে সেসময় বিক্রমপুরের শাসক ছিলেন রাজা বল্লাল সেন। গরু জবাই দেওয়া নিয়ে রাজা বল্লাল সেনের সাথে বাবা আদমের দ্বন্দ পরবর্তিতে যুদ্ধ হয়। সেই সময় একরাতের মধ্যেই গায়েবি ভাবে এই মসজিদ নির্মিত হয়।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাবা আদম মারা যাবার ৪০০ বছর পর এই মসজিদটি নির্মান করা হয়। বাবা আদম তার জীবদ্দশায় এই মসজিদটি কখনও দেখেননি। কেবল বাবা আদমের কবরের পাশে অবস্থিত হওয়ায় এই মসজিদটির নামকরন হয়ে যায় বাবা আদমের মসজিদ। সুলতানি শাসনামলে কাফুর নামর ব্যক্তি এই মসজিদটি নির্মান করেন। অন্তঃত, মসজিদটির প্রধান ফটকের উপর প্রবেশদ্বারে কালো পাথরের শিলালিপি পাঠ করলে সেটাই জানা যায়। আরবিতে সেখানে মসজিদটির বৃত্তান্ত লেখা আছে।
এবার মসজিদের বর্ণনায় আসি: সুলতানি আমলের মসজিদগুলোতে প্রবেশপথে একটা করে শিলালিপি থাকে। এরকম শিলালিপি আপনি দেখতে পাবেন বাগেরহাট মিউজিয়াম বা রাজশাহী জাদুঘরে গেলে। আরবিতে এই শিলালিপিগুলো লেখা হয়ে থাকে।
সুলতানি আমলের মসজিদের মতনই এই মসজিদটি দাড়িয়ে আছে পাথরের থামের উপর। মসজিদটি আয়তাকার, ছয়টি স্কয়ার শেপের উপর ছয়টি গম্বুজ অবস্থিত। লাল ইটের তৈরী এই মসজিদটি। বাগেরহাটের ৯ গম্বুজ মসজিদ, বিবি মরিয়মের মসজিদের সাথে এর ব্যপক মিল আছে।
আগে মসজিদের চারপাশই খোলা ছিল। এখন তিন দিকেই বাড়ীঘর উঠে গেছে, কেবল একদিকেই খালি আছে। মসজিদটি বর্তমানে প্রত্নতত্ব ডিপার্টমেন্টের অধীনে রক্ষনাবেক্ষন করা হচ্ছে। এখন আর এই মসজিদে নামায পরা হয় না। বাবা আদমের মাযার বললেই শহরের যেকোন স্থান থেকে রিক্সাওয়ালা আপনাকে সেখানে নিয়ে যাবে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
মৈত্রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!!
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৯
সুমন কর বলেছেন: তথ্যটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
মৈত্রী বলেছেন: মুন্সীগন্জ জেলার আরো কয়েকটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমন্ধে জানতে হলে পড়ুন আমার আরেকটি লেখা:
প্রাচীন বাংলার রাজধানী বিক্রমপুরে: Click This Link
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬
আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
আপনার দেয়া তথ্যানুযায়ী মসজিদের ভেতরে যাবার বা দেখার তো কোন ব্যবস্থা নেই, তাই না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
মৈত্রী বলেছেন: আমি যখন যাই, তখন আমি দরজা তালাবদ্ধ দেখেছি... আসরের সময়ে ছিলাম, নামাযের কোন বন্দোবস্ত দেখিনি।
আমার তোলা ছবিটার দিকে দেখলে দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পাবেন, তাই আমি ভিতরে ঢুকে দেখতে পারিনি
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: তথ্যটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
মৈত্রী বলেছেন:
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।এইভাবেই জ্ঞানার্জন হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫২
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার তথ্যপূর্ণ শেয়ার