নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম এস মিজানুর রহমান

এম এস মিজানুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার শেষ গল্প

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫



মিজান বাদাম খাব,,,!!!
.
ধানমন্ডী থেকে টিসএসসি- সম্পূর্ণ রাস্তায় এই একটা মাত্র কথা চারু ইচ্ছা করে বলল। তাছাড়া পুরুটা পথ শুধু আমিই কথা বলে গেছি। চারুর সাথে সারাজীবন আমি এভাবেই কথা বলে যেতে পারি। চারু আমার মনের মানুষ।আর মনের মানুষের সাথে কথা বলার সময় বুকের ভিতরটা কেমন জানি হাসে।চারুর সাথে কথা বলার আনন্দটা পৃথীবির সবচেয়ে বেশী সুখের।
এই যেমন চারু চুপ করে থাকলে আমার ভালো লাগে না। আমি চাই চারু আমার সাথে সারাক্ষণ কথা বলুক।

আচ্ছা চারু আমরা কোথায় যাচ্ছি,,,!!!
চারু একটু মুসকি হেসে বলে: টিএসসি।
আমি আবার জিগ্যেস করি: কিসে যাচ্ছি,,!!
চারু বলে: রিকশা করে,,,
তারপর এভাবে আমাদের প্রশ্ন আর উত্তর চলতেই থাকে।
চারু রিকশায় তোর পাশে কে,,,!!!
পাশে একটা রামছাগল,,,
আমরা এখন কোথায়,,,!!!
ধানমন্ডী সেন্ট্রাল রোড,,,
কয়টা বাজে,,,!!!
সাড়ে চারটা,,,
আচ্ছা সুর্য কই,,,!!!
সূর্য আকাশে,,,
কোথায় আকাশে,, আমিতো দেখিনা,,,!!
দেখবি কি করে,,, এখন মেঘে ঢাকা,,,
আচ্ছা চারু তোর মেঘ ভালো লাগে,,,!!!
হে ভালো লাগে,,,
আর বৃষ্টি,,,বৃষ্টি ভালো লাগেনা,,,!!!
বৃষ্টি কার না ভালো লাগে,,,
আর কি কি ভালো লাগে,,,!!!
আর কি কি ভালো লাগে মানে,,,
কিছুনা,,,!!!
না বল,,, শুনতেছি,,,
আচ্ছা আমাকে ভালো লাগে,,,!!!
হা,, ভালো লাগে,,,
কেমন ভালো লাগে,,,!!!
তুই যতটুকু ভালো ততটুকু ভালো লাগে,,,
আমি তো অনেক ভালো,,,!!!
হা,,,হা,,,হা,,,, হইছে ছাগল,,, থাম এবার,,,
.
টিএসসি এসে রিকশার মামা বলল: মামা কোনদিকে যাব। আমি বললাম : মামা কার্জন হল যাও।

[[[কার্জন হল আমার অনেক প্রিয় একটা জায়গা। চারুলতার সাথে এর আগেও আমি এসেছি। বারবার আসতে ইচ্ছা হয় এখানে চারুর সাথে। শুধু প্রতিবার এই ভেবে ভয় হয় যে আমি জানিনা চারু আবার কোনোদিন আমার সাথে এখানে আসবে কিনা। ভালোবাসা মানুষকে পাগল করে দেয়। আপনি জানেন মেয়েটা চলে গেলে আপনি মেয়েটা জন্য প্রতি রাতেই কান্না করবেন তারপরেও আপনি পাগলের মত ঐ মেয়েটাকেই ভালোবাসবেন।ভালোবাসা বুঝি এমনি হয়।]]]


.
কার্জনহলের গেইট দিয়ে ডুকতেই বা-দিকে বিশাল বড় কড়ই গাছের কাছেই চারু আমার পাশেই বসে আছে। আমি চারুর দিকে তাকাই আর অবাক হই - চারু হাসে যেন স্বর্গীয় হাসি, আমি জানিনা পৃথীবির অন্য কোনো মেয়ের চোখ এতটা মায়াবি কিনা। আমি মনে মনে হাসি আর চারু আমার দিকে তাকিয়ে বলে : কিরে লজ্জায় এত লাল হয়ে যাচ্ছিস কেন???
আমি চারু'র চোখের দিকে একবার তাকিয়ে বলি: চারু আমাকে বিয়ে করবি,,,???
চারু সাথে সাথে চোখটা ফিরিয়ে নেয়। আমার চোখে জল আসে কিন্তু চারু আমাকে কাদতে দেয়না। আমি বাদামের খোসা ছাড়িয়ে চারু'র হাতে দেই। আর দু'চোখ ভরে চারুর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি। ভালোবাসার মানুষটিকে গোধূলি লগণে কতই না স্বর্গের পরির মত লাগে তাই না।
.
তারপর একসময় চারুর চলে যায়।
আমি চারুকে ছেড়ে আসতে চাইনা। চারু রাগ করে,,,আমি চারুকে বলি :জানিস আমার খুব স্বপ্ন ছিল নিয়ন বাতির নিচে তোর হাত ধরে হাটব। চারু রাগ হয়ে বলে : মিজান তুই এত বেশী স্বপ্ন দেখিস কেন,,,!!! আমি হাতটা বাড়িয়ে বলি : নিয়ন বাতি শেষ হয়ে যাচ্ছে,,,। এবার চারু হাতটা রাখে আমার হাতে। আমি জানিনা পৃথীবিতে এর চেয়েও বেশী সুখের কিছু আছে কিনা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালোবাসা মানুষের জীবনকে পরিপুর্ণ করে তোলে, জীবনের ছোটখাট সব বিষয়ই অর্থপুর্ণ হয়ে উঠে।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

এম এস মিজানুর রহমান বলেছেন: thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.