![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৫ - ০২- ২০১৩
আজ সমাবেশ ছিল -- লোকে লোকারন্য প্রজন্ম চত্বর , গণ জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ ... সারা রাত ঐখানে থেকে সকাল ৭ টায় বাসায় ফিরে ঘুমাতে গেলাম ১০ টায় এবং ইচ্ছা করেই বিকালে একটু দেরী করে গিয়েছিলাম আজ ... ঐখানে পা রাখতেই বারবার মনে হল কর্মসূচী কি দিলো --- যাকেই জিজ্ঞেস করি -- কেউ কোন কথার উত্তর দেয় না ... আমার মেজাজ টা তখন এমনি ই বিগড়ে গেলো , জাস্ট ১০ মিনিটের ভেতর কর্মসূচী টা পড়লাম আর আমার মনে হলো আমার মাথা টা রাগে ক্ষোভে ফেটে যাচ্ছে - সর্বোপরি আমার কান্না পেয়ে গেছে ...।
কিছুক্ষন থম মেরে বসে থাকার পর মনে হল ব্লগার দের সাথে কথা বলা দরকার ... কিসের ভিত্তিতে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিলো ... সাথে সাথে আমি ইমরান এবং বাধন কে মেসেজ ইনবক্স করি এবং বাধনের সাথে কথা বলে জানতে চাই যে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলো ওরা --- যে উত্তরটা পেলাম তাতে আমার মাথায় আগুন ধরে গিয়েছিল --- আমি শুধু উনাকে জানালাম যে ব্যাপার টা আমার পছন্দ হয়নি এবং আমার বিশ্বাস কারোর ই পছন্দ হয়নি ...
আরো বেশি কষ্ট হলো যখন দেখলাম এমন কর্মসূচী পাওয়ার পর ও কেউ একজন কোন প্রতিবাদ করেনি তখনো ... মুল মঞ্চে গিয়ে সবার একবার করে ঐ কর্মসূচির বিরোধীতা কিংবা প্রতিবাদ করা উচিত ছিলো যা কাওকে করতে দেখিনি এবং বলতেও শুনিনি ... আমি আসমান , মীরান এবং মাসুদ কে বললাম যে এটা কি কর্মসূচী হলো ??? এই কর্মসূচী তো মানা যায় না ... আমি আমার ক্ষোভ এবং অসন্তোষ জানিয়ে বসলাম ল্যাপটপে ... স্ট্যাটাস এর পর স্ট্যাটাস দিলাম এবং ইভেন্ট ক্রিয়েট করে ডিক্লেয়ার দিতে শুরু করলাম ... তারপর আমাদের শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ পেইজ টা তে কাওকে কিছু না বলেই শেয়ার দিয়ে দিলাম মনের কথা গুলো ... কারণ আমি মেনে নিতে পারছিলাম না ব্যাপার টা ...
ছবির হাটে গেলাম কামাল ভাই এর সাথে --- ঐখানে উনাদের সাথে কিছুক্ষন চিৎকার করে , তূর্য কে পেয়ে , তার সাথেও কতক্ষন চিৎকার করে ফিরে আসলাম আমাদের সাইবার বুথে ... ততক্ষনে খবর পেলাম জামাত- শিবির আবার হরতাল ডেকেছে !!! আমি নির্বাক হয়ে গেলাম !!! ছবির হাট থেকে ফিরলাম এবং এসে দেখলাম ইমন , মীরান , আসমান - সবাই ওরা কর্মসূচী মানবে না বলে লেখালেখি শুরু করেছে ... খুব শান্তি লাগলো ওদের ঐ প্রতিবাদ দেখে ...
মাথা টা কে ঠাণ্ডা করার জন্য বসলাম এবং অনলাইন নিউজ চেক করতে শুরু করলাম -- হঠাৎ স্ক্রীনে দেখি অমি রহমান পিয়ালের একটা স্ট্যাটাস যে থাবা বাবা নামে একজন ব্লগার কে জবাই করে তার বাসার সামনে ফেলে রেখে গেছে কে বা কারা !!!! খবর টা পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিলো না --- আমি সাত বারের বেশি বার একটানা স্ট্যাটাস টা পড়লাম ... আমি আমার অনুভুতি প্রকাশ করতে সত্যি ই অক্ষম --- আমার শুধু নিজেকে গালি দিতে ইচ্ছা করলো ... মাথার ভেতরের রগ গুলো অবিরত অসীম বেগে লাফানো শুরু করলো এবং আমি স্থির থাকতে পারছিলাম না ... মুল মঞ্চে যাওয়ার জন্য উঠে দাড়ালাম, ইমন একা একা প্রেস বিজ্ঞপ্তি লিখছিলো - রেগে উঠলো কেন ঐটা চেক না করে মঞ্চে যাচ্ছি ... আমি বুঝাতে পারিনি তখন বাচ্চা টা কে যে ঐ প্রেস বিজ্ঞপ্তির জন্য আমার মস্তিস্ক এবং মন বসে থাকতে প্রস্তুত নয় ... তারপর ও আমি বসে পড়লাম এবং দেখলাম লেখাটা এবং মীরান কে ফাইনাল চেকিং এর কথা বলে মঞ্চের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চাইলাম কিন্তু কেন যেন সবাই বাঁধা দিচ্ছিলো !!! আমাদের তো অনেক আগেই মূল মঞ্চে যাওয়া উচিত ছিলো তাহলে কেন সবাই মানা করছে !!! আমি বুঝিনি এবং আমার মাথা কাজ করছিলো না --- একটা কথা ই শুধু মাথায় ঘুরছিলো যে আমাকে প্রতিবাদ করতে হবে এবং এই প্রতিবাদ জানাতে হবে ... আসমান কে বলে চলে গেলাম মূল মঞ্চে…
--- সে কি উত্তাল উন্মাদনা প্রজন্ম চত্বরে !!! মানুষ খুব বেশি ছিলো না কিন্তু দীপক সুমন প্রতিবাদ জানাচ্ছে আর স্লোগান দিচ্ছে দেখলাম --- আমার সাথে তুহিন এবং রুবেল ছিল ... আমি হেঁটে হেঁটে মঞ্চে উঠে গেলাম !!! কিছু কথা আমাদের মত সাধারন মানুষ এর ও বলার আছে যা বলতে না পারলে হয়ত দম বন্ধ হয়ে মরেই যেতাম ... মাইক এমন এক জিনিস যা কেউ একবার হাতে পেলে আর ছাড়তে চায় না !!! দীপক সুমন কে বললাম , দাদা মাইক টা একটু দেন , সাধারন মানুষ এর কথা টা একটু শুনেন কিন্তু উনারা কেউ মাইক আর ছাড়েন না আর ঐ ট্রাকের উপর সে কি ভীড় আর মারামারির উদ্যোগ কারণ ওই মুহূর্তে সবাই নায়ক ...ট্রাকের ভেতর পিষ্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা কিন্তু আল্লাহ্র রহমতে ঐ নরকের ভেতর ও নিজের আব্রু নিয়ে টিকে থাকতে পেরেছি এবং সহযোদ্ধা তুহিন ও রুবেল কে ধন্যবাদ যে ওরাও আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে টিকে থাকতে ... চারুকলার এক ছোট ভাই অনেক চেষ্টা করলেন আমাকে মাইক টা এনে দিতে কিন্তু পারলেন না ...
ইতিমধ্যে ইমরান , বাধন এবং আরো অনেকে এসে উপস্থিত ... ওরা ২য় সমাবেশে দেয়া কর্মসূচী বাতিল ঘোষণা করে , ব্লগার রাজিব এর খুন হয়ে যাওয়ার কথা সবাই কে জানিয়ে খুনের বিচার এর দাবীতে স্লোগান দিতে শুরু করলো !!! সাধারন মানুষের কথা শুনার সময় বা ইচ্ছা মনে হয় কারো ই নাই ... অন্য সময় হলে আমি নিশ্চিত ফিরে আসতাম কিন্তু আজ আমি পারিনি চুপচাপ ফিরে আসতে ...ওরা ২ জন আমাকে জিজ্ঞেস করে , আমি কে ???!!! ওরা কি পাগল??? ওরা বুঝে না যে আমি সাধারণ মানুষ যে কারো ডাকে , কওন ইভেন্ট দেখে ঐ চত্বরে যায়নি, যে প্রতিবাদ জানাতে , মিছিল করতে ছুটে গিয়েছিলো ৫ তারিখ বিকালে ... ২ জন কে ধমক দিলাম কারণ তারা মূল মঞ্চের সামনেই যেতে দিবে না আমাকে --- কোথা থেকে যে এত মনোবল আর শক্তি আসলো , জানি না - ২ জন কে টেনে সরিয়ে সামনে গেলাম এবং ইমরান কে বললাম , আমার কিছু কথা আছে যা আমাকে ঐ মুহূর্তে বলতে হবে ... তার আগে সেই যে চারুকলার ছোট ভাই যাকে আমি চিনি না সে কিন্তু বারবার ই বলেই চলেছিলো যে দিদি কে কিছু বলতে দেন , আপনারা দিদির কথা টা শুনেন ... কৃতজ্ঞতা জানাই ঐ ছোট ভাই কে ...
ইমরান পরিশ্রান্ত ... বললো যে বলবেন ... পাশের এক লোক বললেন যে মাইক আপনাকে দেয়া হবে কিন্তু কি আশ্চর্য , মাইক নিয়েও যেন ঐখানে রাজনীতি চলছে !!! যাই হোক অবশেষে মাইক টা পেলাম ... বললাম সংগ্রামী জনতা একজন মানুষ যে খুন হল তার জন্য একটু দোআ করি, এক মিনিট নীরবতা পালন করি ... নীরবতা শেষে শুধু বললাম , আমরা সংগ্রাম/ আন্দোলনের মাঠে বিশ্রাম করতে আসিনি , যদি ৯ মাস কিংবা ৯ বছর ও লাগে তাও আমরা ঘরে ফিরে যাবো না যতদিন পর্যন্ত না আমাদের দাবী পূরণ হয় এবং রাজীবের খুনের বিচার না হয় ... বলেই বের হয়ে আসছিলাম মঞ্চ থেকে কিন্তু এক বড় ভাই ঠেলে আবার আমাকে পাঠিয়ে দিলো স্লোগান এ অংশ নেয়ার জন্য মঞ্চ থেকেই ... কিন্তু মূল মঞ্চ কিংবা মিডিয়া তো আমার জায়গা নয় তাও যেয়ে দাড়াতে হল ...
স্লোগান এর ভেতর দেখি পাশে এক সাংবাদিক ভাই এসে দাঁড়িয়ে বললেন , আপা যাবেন না -- একটা লাইভ নিবো কিন্তু আমি দৌড়ে পালাতে চাই কারণ ঐ মিডিয়া বা মূল মঞ্চ আমার জায়গা না ... আমি সাধারন মানুষ --- কোন নেতা বা নেত্রী কিংবা রাজনীতিবিদ হওয়ার ইচ্ছা আমার কখনো ছিলো না , এখনো নাই ...
আমি শুধু আমার কষ্ট হাজার মনের কষ্টের কাছে ব্যাক্ত করে এসব খুন , অনিশ্চয়তা , যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির কার্যকর রায়ের বিচার দাবী করতে গেছি ... এদিকে পেছন থেকে আমজনতার ভাই রা শুধু ডাকছেন যে নেমে আসেন আর এদিকে সাংবাদিক ভাই আমাকে ছাড়ে না !!! আমি মাঝে দণ্ডায়মান --- আর আমার মন শুধু কাঁদছিল এবং এখনো কাঁদছে ... কার কোন ডাক আর আমার মস্তিস্ক নিতে চাইছিল না ...
হঠাৎ দেখি সামনে বসা হাজার মানুষ এর ভীড়ে আমার বাচ্চারা তাদের পাপা, আম্মাকে নিয়ে এসে ঢুকেছে --- বাচ্চাদের মুখ দেখে আমার হু হু করে কান্না পাচ্ছিলো যে আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে আমি বাসের যোগ্য একটা সুস্থ , সুন্দর, কল্যাণময় দেশ দিয়ে যেতে পারবো কিনা এই আশংকায় !!! মঞ্চ থেকে নেমে আসলাম আমার বাচ্চাদের কাছে ... ওদের কোলে নিয়ে গেলাম আমাদের বুথে --- সবাই কে কেমন মন মরা লাগছিলো --- সবাই কেমন যেন হেরে যাওয়া এক বিষণ্ণতা নিয়ে বসেছিলো ... !!! আমাদের সবার বিভিন্ন কারণেই আর মন ভাল নেই যেন ... বাচ্চাদের সাথে কথা বললাম ... ওরা খাতায় নাম লিখলো তারপর একটু ঘুরে বেরিয়ে বাড়ীর পথে রওনা হলো ... আমি থেকে গেলাম...
একটা গুমোট পরিবেশ যেন তখন আমাদের চারপাশে ... ফেইস বুক ছোট ভাই ফুয়াদের সাথে দেখা হলো ... রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলাম , সুমন ভাই আসলেন -- শক্তি লাগে সব ভাই ব্রাদার দের দেখে - তাদের সাথে কথা বলে ... পরিবেশ টা ই যেন কেমন অস্থির আর থমথমে ছিল ...
এক টুপি পরা শুকনো খাট লোক সন্দেহাতীত ভাবে আমাদের বুথের ভেতর ঢুকে হাটাহাটি শুরু করে দিল এবং তখনি উনাকে বসিয়ে উনার থেকে নানান তথ্য নিয়ে যাচাই করে দেখা হচ্ছিলো যে উনি শিবির কিনা !!! সন্দেহ হওয়ায় উনাকে পুলিশের কাছে দিয়ে আসা হল ...
বুথের ভেতর গিয়ে ঢুকলাম এবং এমন এক তথ্য পেলাম যে মনে হচ্ছিলো আমাদের এ কেমন নিয়তি !!! আমি নিস্তব্ধ নির্বাক - শুধু মনে হচ্ছিলো , মাটি ফাক হোক আর আমি তাতে ঢুকে যাই ...আমাদের সাথেই গত ৫ দিন থেকে ছিলো এক ছেলে যে কিনা ডাক্তার সে শিবির এর এজেন্ট !!! নানারকম জিজ্ঞাসাবাদের পর উনি কেটে পড়ছিলেন , ঠিক তখনি আমজনতার ভাই রা তাকে ধরে নিয়ে থানায় দিয়ে আসলো !!! এবং এমন একজন আমাদের ভেতর আর আছে যাকে আজ নয়ত কাল পুলিশে দিতেই হবে তার গোয়েন্দাগিরির জন্য ...!!!আমার বিশ্বাসের ময়না তদন্ত হয়ে গেলো আর কি ...
এসব উত্তেজনা শেষে সবাই ঘরে ফেরার কথা বললো কিন্তু আমি তো আজ ঘরে ফিরবো না ... কেউ কেউ চলে গেলো আর আমি , শাহীন, ফুয়াদ, তুহিন, মাহবুব, শিমুল এবং আরো কয়েকজন বসে থাকলাম নতুন ভোরের অপেক্ষায় গল্পরত ... আযান শুনলাম , আকাশ কে রং বদলাতে দেখলাম ... মুল মঞ্চে ওরা খালি গলায় জাতীয় সঙ্গীত গাইলো - আমরা অংশগ্রহণ করলাম দূর থেকেই ... শুরু হলো আবারো দ্রোহের স্লোগান ...
আমি নিরপেক্ষ ভাবে কথা বলি খুব সরাসরি তাই হয়ত অনেকে আমার কথা গুলো কে পছন্দ করবে না তবে সত্যের সাথে সততা নিয়ে থাকাই আমার ধর্ম ... যৌক্তিক কথা ছাড়া অযৌক্তিক কথা বলছি বলে মনে পরে না ... আমি মানুষ বলেই আমার ভুল হবে কিন্তু আমি চেষ্টা করি নিজেকে এরর ফ্রি রাখতে যদিও আমি ফেরেশ্তা নই ... আল্লাহ্ ছাড়া কাওকে ভয় পাই না ... হায়াত মৃত্যু - সব আল্লাহ্র হাতে ...
ব্লগার রাজীব কে সবাই নাস্তিক বলে ধিক্কার দিচ্ছে --- তিনি তাই ছিলেন কিন্তু কে নাস্তিক আর কে আস্তিক তা দিয়ে তার মানুষ হওয়াকে বিচার করা যায়??? সে ধর্ম মানবে কিনা সেটা নিতান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার ছিলো ... তাকে দিয়ে জোর করে ধর্ম মানাতে হবে কেন??? স্বয়ং আল্লাহ্ ই তো এ ব্যাপারে বারন করেছেন তাহলে কে বড় ??? মানুষ নাকি আল্লাহ্ (ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ) ???মানুষ তো মানবিক বিচারে , মানবতায় মানুষ হয় ... রাজীব মানুষ ছিল ... রাজাকার ছিল না ...রাজাকার দালাল না হয়ে মানুষ হওয়ার কারণে সেই একাত্তরের মত ই এভাবে মৃত্যু হল এই তরুণ রক্তের !!!
রাজীব আমার কিছুই হয় না ... আমরা সংগ্রামী সহযোদ্ধা ছিলাম এবং আমাদের সম্পর্ক ছিল মানবতার সম্পর্ক ... আমরা কখনো কথা বলিনি , আমাদের কখনো দেখা হয়নি কিন্তু তারপর ও রাজীবের জন্য আমার পরাণ চিরা কষ্ট হয়েছে কারণ সে একজন মানুষ ছিল ... রাজীবের মত আমাদের কারো জীবনের ই নিশ্চয়তা নাই ... কার কাছে বিচার চাইবো ??? তাই কষ্টের প্রথম প্রহর টা গন জাগরনের সাথেই ভাগাভাগি করে নিলাম ... আপনারা কেন রাজীবের ধর্ম বিশ্বাসের ময়না তদন্ত করতে চান ??? সে যে একজন মানুষ , তাই কি যথেষ্ট নয়? রাজীবের মৃত্যুর কারণ টা খুজে দেখি আসলে নেপথ্যে কি ছিলো তারপর আবার সেই কথায় ফিরে আসবো অল্প সময়ের ভেতর ই ...
এত ঘটনা বহুল একটা দিন !!! নতুন কর্মসূচী টা যে ভুল ছিলো তা যেন সময় সবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিলো তবে সাথে এক বলিদান ও নিয়ে গেছে ... যে দাবী নিয়ে আমরা নেমেছিলাম সংগ্রাম করতে রাজপথে তা আদায়ের জন্য আর কোন বিকল্প থাকতে পারে না ... একটা ভুলের প্রভাব সারা টা রাত রাস্তায় বসে থেকে খুব হারে হারে টের পেলাম ...
সাধুবাদ বাধন ও ইমরান কে যে, সময় মত তারা তাদের সীদ্ধান্তকে পাল্টে সঠিক সীদ্ধান্ত নিতে পেরেছে এবং আমাদের সংগ্রাম ও প্রজন্মের চেতনা ও গণ জোয়ার কে অপমানের হাত থেকে বাঁচিয়েছে ...
আমাদের কে বিভ্রান্ত করার জন্য , দ্বিধাবিভক্ত করার জন্য নানা মহল, বিশেষ করে জামাত শিবির আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ... ওরা শেষ ছোবল দিবেই ... ওরা শুধু খুন ই করবে না - ওরা একাত্তর এর মত মেয়ে , মা , কন্যা তথা নারী কে খুন করবে , ধর্ষণ করবে এবং দোষ দিবে সরকারের আর নারীকে আখ্যা দিবে পতিতা বলে ... ওরা শেষ ছোবল দিবেই দিবে ... প্রজন্ম চত্বর জামাত শিবির মুক্ত নয় ...
আমাদের আন্দোলন কে কোন ভাবেই ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা যাবে না ... রাজপথে নেমেছি যখন, মাথায় কাফনের কাপর বেঁধেই নেমেছি ... আমাদের দাবী পূরণের আগে আমরা কোন ভয়েই রাজপথ ছাড়বো না । জয় বাংলা ...
©somewhere in net ltd.