![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্য সবার থেকে ভিন্ন...................... সময় স্রোতের বিপরীতে চলা একজন মাঝি
এই লেখাটা শুধু আমার মতামত ব্যক্ত করছি মাত্র-
গতকাল রাত্রে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে লম্বা তারাবী পড়লাম ঢাকার উত্তরার একটি মসজিদে প্রথম ১০ রাকাত যিনি পড়ালেন উনি ১০রাকাত পড়াতে সময় নিলেন ৩৮ মিনিট (অথচ ৪৫ মিনিটে ২০ রাকাত খতম তারাবীর ১ পারা শেষ হয়ে যায়)। উনি প্রতি ২ রাকাত এর জন্য প্রায় ৮ মিনিট করে সময় ব্যয় করেছেন। অথচ ২য় ১০ রাকাত যিনি পড়ালেন উনি সময় নিলেন প্রতি ২ রাকাতে গড়ে ৫মিনিট করে এবং উনার ক্বেরাত ও উচ্চারণে বা বুঝতে ও শুনতে কোন মুসল্লির সমস্যা হয়নি এবং উনার মতো সারা বাংলাদেশেই তারাবি পড়ানো হয়/বা সময় লাগে।
তো উনি কেন এত সময় নিলেন সেগুলো বিশ্লেষণ করলাম-
১. উনি সূরা পড়ছিলেন ওয়াক্ত নামাযে যেভাবে পড়া হয় ঠিক সেভাবে
২. উনি রুকুতে ও সেজদাতে ৭বার তাসবিহ পড়ার সময় নিয়েছেন (যা কিনা ৩ বারই যথেষ্ট এবং এটা স্ট্যার্ন্ডাড হিসেবে সবাই ফলো করে)
৩. দুই সেজদার মাঝখানে বসে দো'য়া পড়া হয়েছে (যা আবশ্যকীয় নয়)
৪. রুকু থেকে দাড়ানোর পর সামিআল্লাহ..........রাব্বানা লাকাল হামদ...(এতটুকু পড়লেই যথেষ্ট কিন্তু উনি এটা পুরোটা পড়ছিলেন).....
এখন আমার আসল কথায় আসি যদিও আজকেই খতম তারাবি শেষ পারা পড়া হবে কিন্তু সকলের কাছে বিষয়গুলো নজরে আনার জন্য এটা শেয়ার করছি-
১. ইসলাম কোন বিষয়কেই কঠিন করে আমল করার জন্য বলা হয়নি যদি তাই হতো তাহলে তারাবী নামাজ সুন্নত না করে ফরজ করা হতো।
২. সারাদিন রোজা রেখে প্রতিদিন ৩০ দিন ২০ রাকাত খতম তারাবী পড়া যথেষ্ট মজবুত ঈমানদাররাই পড়তে পারেন এবং এটা সহজ কোন বিষয় নয় কিন্তু তাই বলে ইসলাম কি শুধু কঠিন কাজ করার কঠোর নির্দেশ দেয় নি তাই সূরা তারাবিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩. এত সময় নেয়া অহেতুক খামখেয়ালিপনা ছাড়া কিছুই না বরং উনারাই ইসলামকে কঠিন বিষয় হিসেবে মানুষের মাঝে তুলে ধরছেন।
তাই ঐ সমস্ত ইমাম/মসজিদ কমিটি/সহায়তাকারী ব্যক্তিগণের প্রতি আমার আবেদন আপনারা-
২ রাকাত পড়তে ৫মিনিট ব্যয় হয় ঐ স্যান্ডার্ড ফলো করুন।
যেমন ফলো করা হয় কুরআন খতম পড়ার ব্যাপারে প্রথম ৬ দিন ১.৫ পারা করে তারপরে ১ পারা করে ২৭তম দিনে খতম/ শেষ পারা পড়া হয়।
আরো একটি বিষয়- ৮/১০/১২ রাকাত পড়ে চলে যাওয়া মুসল্লিদের প্রতি নিবেদন..... আপনারা অহেতুক মসজিদে যেয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবেন না। আপনারা পুরো ২০ রাকাত না পড়লে সবশেষের কাতারে দাড়াবেন। আপনারা একবারও খেয়াল করেন না যে আপনারা ৮/১০/১২ রাকাত পড়ে যখন যেতে থাকেন তখন মসজিদের কাতারগুলোতো কি রকম বিশৃংখলা শুরু হয় শুধু আপনাদের কারণে কারণ সামনের কাতার খালি (গ্যাপ ফিলাপ না করে) রেখে নামাজ পড়া যায় না।
আসুন সবাই মিলে ইসলামকে কঠিন না করে সহজ ও সুন্দরভাবে মেনে চলি এবং অন্যকেও উৎসাহিত করি।
-ধন্যবাদ।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: দীর্ঘক্ষণ ধরে নামায পড়া যায় যদি মুসল্লিদের ধৈর্যচ্যুতির ব্যাপার না থাকে
রাতের নামায যতো দীর্ঘ করা যায় ততোই ভালো, রাতের নামাযে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক দোয়া ও তাসবীহ পড়তেন
তবে জামায়াতের নামায অতিরিক্ত দীর্ঘ না করাই ভালো
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: তারাবি নামাজ অন্যান্য নামাজের চেয়ে দ্রুত পড়া দুরস্ত আছে যদি
ভুল উচ্চারণ না হয়। সারাদিন রোজা রেখে মুসল্লীদের যাতে ধৈর্য্চ্যুতি
না ঘটে সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
শফিক আলম বলেছেন: ৮ এবং ১২ অথবা ২০ রাকাত তারাবী নামাজ পড়া যায়। রাসুল (সা ৮ রাকাত পড়তেন। তবে যারা ২০ রাকাত পড়বেন না, তাদের জামাতে না যেয়ে বাড়িতে ছুড়া তারাবী পড়া উচিত। আর এই নামাজ রাসুলে সুন্নাত। একা একা দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে পড়া যেতে পারে, কিন্তু জামাতে দীর্ঘ না করাই শ্রেয়। রাসুল (সা
জামাতে নামাজ দীর্ঘ করা পছন্দ করতেন না। কারন জামাতে অনেক বয়স্ক মুসল্লি থাকেন।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
শফিক আলম বলেছেন: ৮ এবং ১২ অথবা ২০ রাকাত তারাবী নামাজ পড়া যায়। রাসুল (সা ৮ রাকাত পড়তেন। তবে যারা ২০ রাকাত পড়বেন না, তাদের জামাতে না যেয়ে বাড়িতে ছুড়া তারাবী পড়া উচিত। আর এই নামাজ রাসুলে সুন্নাত। একা একা দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে পড়া যেতে পারে, কিন্তু জামাতে দীর্ঘ না করাই শ্রেয়। রাসুল (সা
জামাতে নামাজ দীর্ঘ করা পছন্দ করতেন না। কারন জামাতে অনেক বয়স্ক মুসল্লি থাকেন।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
ভ্যাগবন্ড বলেছেন: "৮/১০/১২ রাকাত পড়ে চলে যাওয়া মুসল্লিদের প্রতি নিবেদন..... আপনারা অহেতুক মসজিদে যেয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবেন না। আপনারা পুরো ২০ রাকাত না পড়লে সবশেষের কাতারে দাড়াবেন। আপনারা একবারও খেয়াল করেন না যে আপনারা ৮/১০/১২ রাকাত পড়ে যখন যেতে থাকেন তখন মসজিদের কাতারগুলোতো কি রকম বিশৃংখলা শুরু হয় শুধু আপনাদের কারণে কারণ সামনের কাতার খালি (গ্যাপ ফিলাপ না করে) রেখে নামাজ পড়া যায় না।" -
একদম আমার মনের কথাটি প্রকাশ পেয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
প্রতিদিন যারা ৮/১০/১২ রাকাত পরে চলে যান তাদের উদ্দেশে আমি এ কথাটি বলতে চাই, যারা ২০ রাকাত পরবেন না দয়া করে তারা সব শেষের কাতারে দাড়াবেন, আপনাদের সুবিধা হবে মসজিদ ত্যাগ করতে আর সামনের কাতারের শৃঙ্খলাও নষ্ট হবে না.
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
নিজাম বলেছেন: আপনি জ্ঞান গম্ভীর বিষয় আলোচনা করেছেন। তারাবি শব্দের অর্থ "ধীরে ধীরে"। এই নামাজ ধীরে ধীরে পড়াই উত্তম। সাধারণ নামাজে যে পরিমান সময় নিয়ে তেলওয়াত, রুকু, সেজদা করা হয় তারাবি নামাজে তার চেয়ে কিছুটা বেশী সময় নেয়া উত্তম। এভাবেই মক্কা-মদীনাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারাবি নামাজ পড়া হয়। হ্যাঁ এই নামাজ যেহেতু ফরজ নয়, তাই যারা ব্যস্ত অথবা অসুস্থ বা দুর্বল বা ক্লান্ত তাদের জন্য ২০ বা ১২ বা ৮ রাকাত পড়া যেতে পারে। আমাদের দেশে তথকথিত সুপারসনিক গতিতে যে তারাবি নামাজ পড়া হয় তা প্রকৃত নামাজ নয়। কেননা নামাজে অথবা নামাজের বাইরে কোরআন তেলওয়াত করার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে "তারতিল" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। কোরআনের নির্দেশ ফরজ। আমাদের দেশে কিছু হাফেজগন তারাবি নামাজে তারতিলের সাথে তেলওয়াত করেন না। ফলে নামাজের মাধ্যমে আমরা সওয়াব এর পরিবর্তে গোনহ কামাই করে থাকি। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের মঙ্গল দান করুন।