নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজকে গড়ো

সুদিন

অন্য সবার থেকে ভিন্ন...................... সময় স্রোতের বিপরীতে চলা একজন মাঝি

সুদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থবির ঢাকা

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

ব্লগে অনেকদিন পর আসলাম, বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষে তাই এই লেখা-

আবার আমি ট্রাফিক জ্যাম নিয়েই লিখছি, জানি আমার লেখায় কোন প্রভাব পড়বে না তবু ব্লগ বন্ধুদের সাথে চিন্তা-ভাবনা শেয়ার করা এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে চিন্তার খোরাক তৈরির উদ্দেশ্যেই লেখা।

একের পর এক ফ্লাইওভার হচ্ছে........... কিন্তু যানবাহনের জ্যাম কতটুকু লাঘব হয়েছে বা হচ্ছে!!!!

এখনতো কোন বারের হিসেব নেই কিছুদিন আগেও শুক্রবার বা শনিবার ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত ঢাকা দেখা যেতো এখন মনে হয় এই দিনগুলোতেই আরো বেশী হচ্ছে।

ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমাদের যে সময় ও কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে তার সঠিক হিসেব কি কেউ বের করছে....
এর কারণে কত রোগী মারা যাচ্ছে, বা সিরিয়াস অবস্থায় যাচ্ছে, আমাদের কতধরনের পণ্য নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি হচ্ছে না কিংবা অতিরিক্ত কত ঘন্টা ব্যয় হচ্ছে!!!!!!

ঢাকা কেন ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত নগরী হচ্ছে না.... আমাদের প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ, নগরবিদ, সুশীল সমাজের সব ধরনের চেষ্টাই কি বৃথা যাচ্ছে না কি কোন অশুভ শক্তির দাপটে সঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।

আচ্ছা ঢাকা শহরের জন্য এই কাজগুলো করলে কেমন হয়-
১. ঢাকায় বের হলেই রিক্সা আর প্রাইভেট কার এর রাজত্ব চোখে পরে, তাই-
# রিক্সার সঠিক সংখ্যা নিরুপণ ও এলাকাভিত্তিক সংখ্যা নির্ধারণ করে সীমিত করা
# প্রাইভেট কারের সিএনজি জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করে তেল ব্যবহারে বাধ্যতামূলক করা
# কোন স্কুল, কলেজে, ভার্সিটিতে পড়ুয়ারা প্রাইভেট কার নিয়ে যেতে পারবে না। স্কুল, কলেজের বা ভার্সিটির বাসের ব্যবস্থা করা।
# কার লোনকে কঠিন শর্ত ও সীমিত করা
২. বাস ও তো কমসংখ্যা নেই নতুন নতুন রুট চালু হচ্ছে বাসের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কিন্তু রাস্তা বাড়ছে না, তাই-
# ঢাকার প্রতিটি রুটে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে দ্বিতল বাস চালু করা
# আমার মতে ১০০০ সিঙ্গেল বাস তুলে দিয়ে ১০০০ ডাবল ডেকার বাস চালু করা দরকার
# প্রতিটি রুটে মানসম্মত, সিটিং ও এসি সার্ভিস আছে এমন বাস দেওয়া যাতে করে প্রাইভেট কারের লোকজন এগুলোতে উঠতে উৎসাহ পায়
৩. রাস্তা তো ঢাকায় কম নেই শহরের তুলনায় কিন্তু হলে কি হবে......অর্ধেক থাকে কার পার্কিং, বাজার, অবৈধ দখলদারদের খপ্পরে, তাই
# যান চলাচলের জন্য রাস্তার পুর্ণ দখল প্রতিষ্ঠা করা
# প্রয়োজনে বাস স্ট্যান্ড রেললাইনের প্লাটফর্মের ন্যায় উচু করা যাতে বাস নির্দিষ্ট স্থানে ফুটপাথ ঘেষে দাড়ায় এবং যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করতে না পারে
# অনেক জায়গায় ইউলুপ হচ্ছে এবং এগুলো ব্যবহারে কার্যকারিতাও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। আরো বেশী ইউলুপ তৈরি করা।
# অফিস এরিয়াতে কারপার্কিং এর জন্য প্রতিটি ভবনে নিজস্ব ব্যবস্থা রাখার উপর জোর দেওয়া। এলাকাভিত্তিক কারপার্ক এর নির্দিষ্ট ভবন তৈরি করা


৪. মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সমপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের জন্য সার্বক্ষণিক হেলিকপ্টারে যাতায়াত ব্যবস্থার উপর গুরুত্বারোপ ও অবকাঠামো তৈরি করা। অনেকেই বলবেন এভাবে যাতায়াত অনেক ব্যয় সাপেক্ষ-- উ: জনগণের কতটাকা জ্যামে নষ্ট হচ্ছে সে হিসেব করলে এটা কিছুই না।


আরো অনেক কিছু করা যেতে পারে- ডে নাইট অফিস শিফট, জোড়-বিজোড় গাড়ি চালনা, সচিবালয়, জাজকোর্ট, বাস টার্মিনালগুলো ঢাকার বাহিরে স্থানান্তর ইত্যাদি।

তবে সবার আগে দরকার সূদুরপ্রসারি, দূরদর্শী ও দক্ষ পরিকল্পনা, সৎ উদ্যমী মনোভাব, সময় ও কর্মঘন্টা কাজে লাগিয়ে উন্নত বিশ্বের কাতারে ঢাকাকে আদর্শ ও অনুকরণীয় শহর হিসেবে উপস্থাপনা করার মানসিকতা এবং সর্বপরি জনসচেতনতা।

কষ্ট করে পড়ার জন্য- ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

আহলান বলেছেন: আপনের উপরের কথাটাই ১০০% সঠিক #জানি আমার লেখায় কোন প্রভাব পড়বে না#

# প্রাইভেট গাড়ি গুলিকে নির্বিঘ্নে চলার সুযোগ করে দেওয়া উচিৎ।
# প্রত্যেকটি চার রাস্তার মোড়ে ফ্লাই ওভার করা উচিৎ। কারোর জন্য কেউ দাড়িয়ে জায়গা করে দেবে না বা সময় নষ্ট করবে না।
# বাস ষ্ট্যান্ডগুলো সব আন্ডার গ্রাউন্ড করে নির্মান করা উচিৎ, ফলে তারাও যাত্রী ওঠানো নামানোতে জায়গা জুড়ে থাকবে না।
# প্রত্যেকটি রাস্তায় রিক্সার জন্য আলাদা ৪ থেকে ৬ফিট জায়গা থাকবে। এর বাইরে রিক্সা চলবে না। রিক্সা ষ্ট্যান্ড হবে আলাদা পরিসরে।
# রাস্তায় ময়লার ডাম্পিং করা যাবে না। কুরিয়ার সার্ভিস সহ সকল পণ্য এমন জায়গায় খালাস করতে হবে, যেখানে কোন যাতায়াত বিঘ্নিত না হয়।
#ওয়ান ওয়ে সিষ্টেম চালু করতে পারলেও অনেক সুফল পাওয়া যাবে। দিল্লী কোলকাতার রাস্তায় ঘুরে যেটা বুঝেছি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

সুদিন বলেছেন: আপনার পয়েন্টগুলোও যথেষ্ট যৌক্তিক ও তাৎপর্যপূর্ণ।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

দিমিত্রি বলেছেন: দুঃখের কথা হলো, যাদের এগুলো নিয়ে ভাবা দায়িত্ব, তারা এসবে সময় নষ্ট করতে চান না। |-)

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: যে পরিমান রাস্তা আছে তার এক চতুর্থাংশ মাত্র ব্যবহৃত হয় । চারলেনে যখন কোন একটা রাস্তায় গাড়ী চলে বাকী তিনটা রাস্তাই তখন বন্ধ থাকে অর্থাৎ আমাদের গতি মাত্র ১/৪ । প্রতিটি রাস্তা যদি একসাথে ব্যবহার করা যেত তাহলে হয়তো বিশাল একটা সাফল্য আশা করা যেত ।
শুভ কামনা রইল ।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

গোফরান চ.বি বলেছেন: চট্রগ্রামে অনেক শান্তিতে আছি।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আর বিশ বছর ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

সুদিন বলেছেন: সেজন্যই তো এই চিন্তাধারা.................

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: ভালো পোস্ট।রিক্সা নিষিদ্ধ করে দিলেই হয়।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

কলম চোর বলেছেন: দেখুন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের জন্য প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ অবশ্যক। মানুষ কাজের জন্য ঢাকায় এসে জড়ো হয়। সমগ্র বাংলাদেশ এখনো বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে নাই। শুধু ঢাকা কেই বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রশাসনের বিভিন্ন অর্গান যদি ঢাকার আশেপাশে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে এই উপর নগরীর চাপ বহুলাংশে কমে যাবে।
আমাদের সুষ্ঠু পরিকম্পনা এবং দূরদর্শীতার যেতেষ্ট অভাব।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

কলম চোর বলেছেন: পোষ্টে ++

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

মহসিন ৩১ বলেছেন: কোনমতেই যেন সিটিসেন্টার অর্থাৎ মতিঝিল পর্যন্ত গাড়িগুলি না জেতে পারে ; ওই পর্যন্ত পায়ে হাটার ফুটপাত প্রসস্থ করা দরকার। তা না করলে ইউলুপেও কোন কাজের কাজ হবে না।

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কোন ওষুধেই কাজ হবে না। দু'জন মানুষের কম্বল দিয়ে দশজন মানুষকে ঢাকতে গেলে সবারই হাত পা, মাথা, গলা এসব কম্বলের বাইরে থাকবেই। আমি ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি, ঢাকার ট্র্যাফিক জ্যাম কখনোই কমবে না, বরং বাড়তে বাড়তে একদিন ঢাকা পুরোপুরি স্থবির হয়ে যাবে।

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুই পরিবার না গেলে দেশের সিস্টেমের গুণগত কোন পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যায় না...

১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: "মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সমপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের জন্য সার্বক্ষণিক হেলিকপ্টারে যাতায়াত ব্যবস্থার উপর গুরুত্বারোপ ও অবকাঠামো তৈরি করা। অনেকেই বলবেন এভাবে যাতায়াত অনেক ব্যয় সাপেক্ষ-- উ: জনগণের কতটাকা জ্যামে নষ্ট হচ্ছে সে হিসেব করলে এটা কিছুই না।" - সহমত

১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

বর্ষন হোমস বলেছেন: আপনার প্রথম কথাটা শুধু এই সমস্যার জন্য নয় সব সমস্যার ক্ষেত্রেই কোন লেখা প্রভাব ফেলে না।তাই এসব নিয়ে চিন্তা করে কোন লাভ ও নেই।যাদের করার দরকার তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমেচ্ছে।মানুষের সময় নষ্ট হলে বা কারো জীবন গেলে কার বাপের কি।তারা শান্তিতে থাকতে পারলেই হল।

১৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

ডি মুন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

তবে জানযট কমানো নিয়ে সরকারের মাথা ব্যথা নাই।
তাদের মাথা ব্যথা কিভাবে জানযটকে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নিয়ে টাকা লুটপাট করা যায়।

ঢাকা শহরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কোনো কিছুই কাজে দেবে না।
আগে মানুষকে ঢাকামুখী হওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

আপনার প্রস্তাবনাগুলো খুবই যৌক্তিক, কিন্তু যাদের পড়ার কথা তারা কি পড়বে !!!

১৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

আমাদের সরকার এখন যানজট সমস্যার সমাধাণ করে উঠতে পারছে না। কারণ সরকার বড় ধরণের কাজ হাতে নিতে ভয় পায়। প্রত্যেকটা ব্যাংক এর হেড অফিস অন্য কোন বিভাগীয় শহরে সরিয়ে নিলে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন জেলাতে সরিয়ে নিলে, গার্মেন্টস শিল্প শহর থেকে কিছুটা বাহিরে সরিয়ে নিলে এই ধরণের কিছু বড় সিদ্ধান্ত সরকারের নেয়া দরকার। এর কারণে ঢাকার প্রতি চাপও কমবে। জেলা শহরগুলোও আরো উন্নত হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.