নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজকে গড়ো

সুদিন

অন্য সবার থেকে ভিন্ন...................... সময় স্রোতের বিপরীতে চলা একজন মাঝি

সুদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রতুলতায় প্রয়োজন ৬৪টি জেলায় ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয়

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১১

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমাদের দেশে যে হারে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে সে তুলনায় উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ছে না । বলা চলে সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধিটা হচ্ছে না, যা হচ্ছে তা নিতান্তই অপ্রতুল ও দীর্ঘমেয়াদী বেড়াজালে বন্দী।


আমার অভিজ্ঞতায় এক পরিচিতজনের সম্পর্কে জানি- সে এসএসসি+ এইচসিতে ৪ এর উপরে পয়েন্ট থাকা স্বত্ত্বেও সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তো দূরের কথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর কলেজগুলোর কোথাও অনার্সে ভর্তির সুযোগ পায় নি .........!!!!
তাহলে তার এখন কি হবে............... ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি হওয়া ছাড়া এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ছাড়া তার বিকল্প কোন পথ নেই। কিন্তু বিকল্প দুটোতেই সমস্যা ১. চাকুরীর ক্ষেত্রে পাস কোর্সের কোন মূল্যায়ন নেই (যদি না ২ বছরের মাস্টার্স কমপ্লিট করে,, তারপরেও অনার্স থেকেও অবমূল্যায়ন নিয়োগকর্তাদের কাছে) ২. প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর মতো তার আর্থিক সামর্থ্য নেই

পাঠক আপনারাই বলুন এই ব্যক্তির এই অবস্থা হলে তার নিচে স্কোরধারীদের কি অবস্থা আর তার জন্য ভালো বিকল্প কি হতে পারে যাতে সে অনার্স পড়তে পারে। আর তার কি স্কোর খারাপ ছিলো....?

যে বিষয়ে এই ঘটনা বলা- আমি মনে করি এই আসন সংকট মেটানো এবং যুগোপযুগি শিক্ষা প্রবর্তনের লক্ষ্যে আরো নতুন কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অতীব জরুরী !!!!!

সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন- অনতিবিলম্বে এ্ই শিক্ষা সংকট দূর করার জন্য ৬৪টি জেলায় ৬৪টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক এবং এটা সময়ের দাবী। এতে করে সবাইকে ঢাকা মুখী হতে হবে না, সবারই শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত হবে। আমাদের কিন্তু এখন অর্থ সংকট নেই, উপযুক্ত জনবলেরও সংকট নেই, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর সমস্যা নেই- দরকার আন্তরিকতা এবং দেশ গড়ার দূরদর্শী মনোভাব।

এজন্য স্বল্পমেয়াদে ও দ্রুতগতিতে জেলা কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার কার্যক্রম করা যেতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে প্রতিটি জেলায় নতুন একটি করে পাবলিক ও সমন্বতি বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে যা আগামী ১০ বছরের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে।
সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় বলতে - কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মেডিকেল ও অন্যান্য সাধারণ বিষয়সহ উন্নত বিশ্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে একটি সম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় যা হবে আন্তর্জাতিক মানের।

বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের উপরোক্ত কার্যক্রম আরো দক্ষতা ও পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩২

কালীদাস বলেছেন: ৩৭টা পাবলিক আছে দেশে এ পর্যন্ত, শুধু ঢাকাতেই আছে ৮টা। পাবলিক প্রাইভেট যেটাই বাড়ান, আগে এই ধাম করে শিক্ষাস্ফীতি বাড়ানোটা কোন আক্কেলে সেটা ভেবে দেখা উচিত ছিল সরকারগুলোর। এগ্রিকালচারাল থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়ালস্ট ইকোনমিতে যাওয়ার আগে ভেবে দেখা উচিত ছিল ঐ পারপাস কতটা জনশক্তি দরকার হবে। ইন্টারের পরে পড়াটা হয়ে দাড়িয়েছে সামাজিক প্রয়োজন, স্ট্যাটাস। গাট্টি গাট্টি "জিপিএ পাইপ" কোন জায়গায় পড়বে সেটা ভাবা উচিত ছিল আগে। তাহলে শিক্ষার মানও এত পড়ত না যে অপারেশন সার্চলাইট জ্বালিয়ে ইউনি খুজতে হত।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমি তো চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সীমিত করতে। আলাদিনের চেরাগ পাইলে কইতাম বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সীমিত করতে।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ডাক্তারী পড়া এইসব সীমিত করতে।

দেশে বর্তমানে যে শিক্ষার যে অবনতি, তাতে বিশ্ববিদ্যালয় বাড়িয়ে লাভ হবে না।
জব মার্কেটের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। জব মার্কেটের অবস্থা বিবেচনা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিতগুলা হুদাই নতুন নতুন ডিপার্টমেন্ট খুলে যাচ্ছে।

কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেশি বেশি দরকার। এইখানে সবাইকে পড়ানোর জন্য অনুৃপ্রাণিত করতে হবে। বিদেশীদের বছরে ৬০-৭০হাজার কোটি টাকা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

হতাশ মার্কা গ্র্যাজুয়েট না বাড়িয়ে দক্ষ কারিগরী জনবল দরকার। দেশেও কাজে আসবে, দেশের বাইরেও পাঠাতে পারবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.