নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজকে গড়ো

সুদিন

অন্য সবার থেকে ভিন্ন...................... সময় স্রোতের বিপরীতে চলা একজন মাঝি

সুদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাথা ব্যাথায় মাথা কেটে ফেলা কি রকম ডাক্তারি !!!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

বলছি রাজধানীর সিটিং সার্ভিসের কথা-

অনেকগুলো সমস্যার কারণেই সিটিং সার্ভিস সরকার বন্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়- জানিনা এটা দীর্ঘমেয়াদী না স্বল্পমেয়াদে টেস্ট কেস।

সমস্যাগুলো আমার জানামতে-
১. বাড়তি বা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়
২. অফিস ও স্কুল টাইমে পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকা............. আমার মতে সরকারকে মনে হয় এই কারণটাই সবচে বেশী প্রভাবিত করেছে।
৩. স্বল্প দূরত্বের যাত্রী না নেওয়া
৪. অনেক ক্ষেত্রে দাড়িয়ে যাত্রী নেওয়া
৫. অন্যান্য কারণ

উল্লেখিত সমস্যার একটাই সমাধান সিটিং সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া !!! তাহলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকির কাজ করা লাগলো না !!! বিষয়টি হাস্যকর ও অদ্ভূত !!!

আমি ব্যক্তিগতভাবে সিটিং সার্ভিস বন্ধের পক্ষপাতি না। সরকার যেসমস্ত কারণে এটা করেছে সেই কারণগুলো খতিয়ে দেখে এর বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের নিয়ে সিটিং সার্ভিস এর জন্য সার্ভিস নীতিমালা ও শাস্তির বিধান করতে পারতেন।

নিয়ন্ত্রণ ও নীতিমালা ও ভাড়ার হার প্রতিটি গাড়ীতে টানানোর ব্যবস্থা করতে পারতেন।
আমরা দিন দিন উন্নত হচ্ছি আর এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবো সেটা কি ভাবে সম্ভব ! এমন অনেক লোক আছেন যারা এভাবে ঝুলে যেতে বা একজনের গায়ের সাথে গা লাগলে অস্বস্তি বোধ করেন........... আর মহিলাদের কথা না হয় নাই বললাম। বর্তমানে প্রতিটি বাসে যে আসন সংরক্ষিত আছে তার চাইতে দ্বিগুণ মহিলারা এখন বাসে যাতায়াত করেন।

সরকার কেন প্রাইভেট কারের অনুমোদন স্থগিত করছে না................ ঢাকার যানজটের ১ নম্বর কারণ এই প্রাইভেট কার। ২ নম্বর কারণ যত্রতত্র পার্কিং, ৩ নম্বর কারণ অবিবেচক বাসের ড্রাইভারদের রাস্তা বন্ধ করে যাত্রী ওঠানামা করানো। ৪ নম্বর কারণ রাস্তার উপর বাজার, ফুটপাতের উপর দোকানপাট, ৫ নম্বর কারণ সরকারের পক্ষ থেকে একটি রাস্তায় বাস স্ট্যান্ড করা নেই- জাতি ও নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে ৫০০ মি: করে জায়গা অধিগ্রহণ করে রাজধানীতে বাস-বে বানান বনানী-এয়ারপোর্ট রোডের মতো। ৬ নম্বর কারণ আমাদের অসচেতনতা ও উদাসীনতা।

১০০০ পুরনো বাস তুলে দিয়ে ১০০০ নতুন দ্বিতল বাস চালু করুন এবং প্রত্যেকটি রুটে ভাগ করে দিন। আর সরকারের ডিপোতে বিআরটিসির শত শত বাস অকেজো পড়ে আছে সেগুলো চালু করার ব্যবস্থা করুন।

আমরা জাতি হিসেবে আজ নিম্ন-মধ্যবিত্ত অথচ আমাদের একটা গণপরিবহন সিটিং থাকবে না, একটু আরামে যেতে পারবে না সাধারণ মানুষ তা কি করে হয়। যাদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এই সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে দেখুন তারাই এখন আরো বেশী অসুবিধায় পড়েছে........... এই সিদ্ধান্ত এখন নগরবাসীর উপর 'মরার উপর খাড়ার ঘা'!!!

তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার উদাত্ত আহবান সিটিং সার্ভিস বন্ধ নয়, প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণ ও নীতিমালা এবং সরকারের সুস্ঠ নজরদারি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

সুদিন বলেছেন: এইখানে জনগণের কিছু প্রতিক্রিয়া-
http://www.dw.com/bn/সরকারের-উচিত-শক্ত-হাতে-লাগাম-টেনে-ধরা/a-38463720

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১২

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: প্রত্যেক রূটে অন্তত ৮০% লোকাল এবং ২০% সিটিং বাস চালু করা উচিত। কিছু মানুষের যেমন আরাম দরকার, আর কিছু মানুষের যে কোন উপায়েই হোক - বাসে ওঠা দরকার।

বাসে উঠতে গেলে হেল্পার যখন মানা করে দেয় বা মুখের উপর গেট লাগিয়ে দেয়, তখন আসলেই খুব অপমান লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.