নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সীমার মাঝে অসীম তুমি....

মসীহ্

মসীহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডোপামিন

১৩ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯



পৃথিবীতে সম্পর্ক গুলো কেমন তাই না? কেমন? এই যে দেখো না পরিণতি লাভ করার আগেই কেমন ধ্বসে যায়। সেই শিশু পাঠের কবিতার মত।

"সিন্ধু তীরে খেলে শিশু বালি নিয়ে খেলা,
রচি গৃহ, হাসি মুখে ফিরে সন্ধ্যাবেলা।
জননী অঙ্কোপরে। প্রাতে ফিরে আসি,
হেরে তারা গৃহখানি কোথা গেছে ভাসি।
আবার গড়িতে বসে- সেই তার খেলা,
ভাঙ্গা আর গড়া নিয়ে কাটে তার বেলা।
এ যে খেলা-এর আছে কোন মানে?
যে জন খেলায় খেলা-সেই শুধু জানে।"

খুব ছোট বেলায় এই কবিতাটা কতবার পড়েছি মনে নেই। তখন কিছুই বুঝতে পারি নি। এখন কেমন একটা তীরের ফলা মত বিঁধছে। ভালোবাসার দুনিয়ায় আমি বরাবরই আনাড়ি। কেউ একজন বলেছিলেন, "প্রেম বোকাদের সাহসী করে আর জ্ঞানীদের ভীরু করে।" কথাটাও বুঝেছি অনেক পরে। কেননা আদিকালে অনেক বড়ো বড়ো বীরদের অনেক জ্ঞানীদের নারীর দ্বারাই বশে আনা হত। ঐ যে ভীত করার বিষয়টা। নারীকে আমরা যতই দুর্বল ভাবি না কেন, এই নারীকে এড়িয়ে যাবার শক্তি কারও নেই। নারী চিরদিনই পুরুষের কাছে অনেক আকাঙ্ক্ষার। কেউ প্রকাশ করতে পারে আর কেউ পারে না। এই পার্থক্য। পৃথিবীতে যেসব দুর্বোধ্য শক্তি আছে তাদের মধ্যে ভালোবাসা অন্যতম। খুব ছোট একটা প্রশ্নও খুব বড়ো হয়ে দাঁড়ায়। যেন কোন মহাজাগতিক শক্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছোরা নিয়ে নিজেকে আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা। জীবনে অনেক কিছুই মুখে বলা যায় না। কিন্তু সেগুলো ঠিকই ঘটে যায়। তাই না? আবার অনেক কিছুই আমাদের আয়ত্তে ভিতরে নেই। আমরা চাইলেই সবকিছু পরিবর্তন করতে পারি না। ছোটবেলায় খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন খালি পায়ে হাঁটতে বেরোতাম তখন দেখতাম ঘাসের উপর কত সুন্দর শিশিরের আস্তর পরেছে। খুব সাবধানে হাঁটতাম যেন ভেঙে না যায়। কিন্তু একটু বেলা হলেই কেমন মিলিয়ে যেত শিশির গুলো। খুব কান্না পেত। কিন্তু কোনদিন কাউকে বলিনি। কারণ জানি এসব বললে মানুষ হাসবে, ছেলেমানুষি ভাববে। ঐ যে বললাম না ভালোবাসা ভীত করে। আমিও ভীত হয়ে চুপ করে যাই। আবার ফিরে যাই কবিতার কাছে। ঐ সিন্ধুতটের শিশুর কাছে। মাত্রতো একটু একটু করে ঘর বাঁধার ইচ্ছে করছে। একটু সময় তো লাগবেই। আর এমন কত ভালোবাসা আছে কখনো মুখে বলাই হয়নি। অথচ কত চমৎকার একটা সম্পর্ক। অনেক সময় খুব ছোট একটা প্রশ্নও অনেক বড়ো হয়ে ওঠে। কেউই আসলে এক্সাক্ট কোন কারণ দেখাতে পারবে না যে কেউ তার পার্টনারকে কেন ভালোবাসে। হয়তো আনন্দ, হয়তো মায়া, হয়তো মোহ কিংবা হয়তো শুধুই ডোপামিন।

ঈশ্বর তোমাকে ধন্যবাদ ডোপামিন সৃষ্টি করেছিলে। অন্ততপক্ষে অনুভুতিটা তো পাচ্ছি। ভালোবাসা নাই বা হলো....

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মসীহ্ দাদা খুব সুন্দর লিখেছেন!
নদীর তীরে ঘর বোকারাই বাধে।
বোকামির খেসারত বোকাকেই
দিতে হয়। অন্যকে দোষারোপ
করাও বোকামী।
আপনার নিকটা ঈশা
মসীহ্ র কথা মনে
করিয়ে দেয়!

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৭

মসীহ্ বলেছেন: নদীর তীরে ঘর মূলত রূপক। আমাদের জীবনটাই একটা প্রবাহমান নদী। ঘর তো তাহলে নদী তীরেই হবে তাই না?

২| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২১

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ।

১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৮

মসীহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন মসীহ কে খুজছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.