| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন সভ্যতা, পুরাণ, সংখ্যাতত্ত্ব, শব্দের ইতিহাস ভালো লাগা একজন মানুষ
![]()
মূল নিয়ম
ষত্ব বিধান বা মূর্ধন্য-ষ এর নিয়ম কেবলমাত্র তৎসম শব্দের (যে সকল শব্দ সংস্কৃত থেকে অবিকৃত অবস্থায় এসেছে) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
অ-তৎসম তথা অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ষত্ব-বিধি প্রযোজ্য নয়।
বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহার করা অনুচিত।
___________________________________________
২: তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে ষ-এর নিয়ম
২.১ ঋ বা ঋ-কার এর পর ষ (ণত্ব বিধানের মতো)
ঋষি, কৃষক, কৃষ্ণ, তৃষা, তৃষ্ণা, বৃষোৎসব
ব্যতিক্রম কৃশ্ ধাতুর বানানে শ বর্ণটি ধাতুটি থেকে উদ্ভূত শব্দেও অপরিবর্তিত থাকবে: কৃশকায়, কৃশাঙ্গ, কৃশোদর
২.২ রেফ-এর পরে ষ (ণত্ব বিধানের মতো)
অকর্ষিত, অনুচিকির্ষা, অমর্ষণ (ক্ষমাহীনতা), অয়স্কর্ষণী (চৌম্বকীয়), অভিকর্ষ, আকর্ষণ, ঈর্ষা, উপচিকির্ষা, বর্ষণ, বর্ষীয়াণ, মুমূর্ষু, সপ্তর্ষি, সহর্ষ
ব্যতিক্রম অর্শ, আদর্শ, দর্শন, পরামর্শ, পার্শ্ব, স্পর্শ, পারদর্শী প্রভৃতি।
২.৩ যুক্তব্যঞ্জনে ট, ঠ এর পূর্ববর্তী শীষ ধ্বনি হিসেবে ষ (আংশিক ণত্ব বিধানের মতো)
ষ্ট (ষ+ট) অনিষ্ট, অন্বিষ্ট, আড়ষ্ট, আষ্টেপৃষ্ঠে, আবিষ্ট, হৃষ্টপুষ্ট
ষ্ঠ (ষ+ঠ) ওষ্ঠ, বয়োজ্যেষ্ঠ, গরিষ্ঠ, সুষ্ঠু
তৎসম শব্দের বানানে এই নিয়মটির কোনো ব্যতিক্রম নেই, তাই প্রচুর শব্দ এই নিয়মের ভেতর এসে যায়।
দ্রষ্টব্য বিদেশি শব্দে মূর্ধন্য-ষ হবে না, এমনকি st যুগ্মবর্ণের ক্ষেত্রেও। st=স্ট হবে: রোলারকোস্টার, পোস্ট।
২.৪ ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পর কিছু ধাতুর (শব্দের মূল অংশ) দন্ত-স স্থানে ষ
ই-কারান্ত উপসর্গ (অভি-, নি-, পরি-, প্রতি-, বি-); উ-কারান্ত উপসর্গ (অনু-, সু-) এদের পর কতিপয় ধাতুর (সন্জ, সদ্, সিচ্, সিধ্, সেন্, সেব্, স্থা, স্বপ্) দন্ত-স মূর্ধন্য-ষ তে পরিণত হবে।
ইঃ/উঃ + ক/খ/প/ফ = ইষ্/উষ্ + ক/খ/প/ফ
অভি-: সঙ্গ->অভিষঙ্গ; সিক্ত->অভিষিক্ত
নি-: সিক্ত->নিষিক্ত; সুপ্ত->নিষুপ্ত
পরি-: সদ->পরিষদ (সভাসদ'র সাথে তুলনা করুন); সেবা->পরিষেবা
প্রতি-: সিদ্ধ->প্রতিসিদ্ধ, প্রতিষেধক
বি-: সম->বিষম, সহ->দুর্বিষহ
অনু-: সঙ্গ->অনুষঙ্গ, অনুষঙ্গী
সু-: সুপ্তি->সুষুপ্তি, সম->সুষম
দ্রষ্টব্য অন্যান্য ধাতুর ক্ষেত্রে (যেমন সম->অবিসংবাদিত, প্রতিসংহার, অভিসন্ধি, অভিসন্তাপ) দন্ত-স পরিবর্তিত হবে না।
২.৫ সন্ধিতে বিসর্গ-স্থানে মূর্ধন্য-ষ (এটি অনেকটা ২.৪ এর মতো)
সন্ধিতে বিসর্গযুক্ত ই-কার (যেমন আবিঃ, বহিঃ, নিঃ) বা উ-কার (যেমন দুঃ, চতুঃ, প্রাদুঃ) এর পর ক/খ/প/ফ এর যেকোনটি থাকলে বিসর্গ-স্থানে ষ হয়:
সন্ধির ক্ষেত্রে ইঃ/উঃ + ক/খ/প/ফ = ইষ্/উষ্ + ক/খ/প/ফ
আবিষ্কার (আবিঃ+কার), বহিষ্কার (বহিঃ+কার), নিষ্কাম (নিঃ+কাম)
দুষ্কর (দুঃ+কর), চতুষ্পদ (চতুঃ+পদ), ভ্রাতুষ্পুত্র (ভ্রাতুঃ+পুত্র)
২.৬ -সাৎ প্রত্যয়ের দন্ত-স কখনো পরিবর্তিত হয়ে ষ হবে না;
স্পৃহ, স্পন্দ্, স্ফুর্, স্ফুট্ ধাতুর স'ও অপরিবর্তনীয়
ভূমিসাৎ, ধূলিসাৎ, আত্মসাৎ
নিস্পৃহ, নিস্পন্দ, বিস্ফোরণ, পরিস্ফুট
২.৭ খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে মূর্ধন্য-ষ হয় না
২.৮ নিত্য মূর্ধন্য-ষ
আষাঢ়, ঈষৎ, উষ্ণ, ঊষা, ঔষধ, কোষ, তুষার কন্যা/আহাসান, পুরুষ, পুষ্প, প্রত্যূষ, পাষাণ, ভূষণ, ভীষণ, ভীষ্ম, মহিষ, বিশেষ্য, বিশেষণ, বৃষ, মুষিক, মেষ, শোষণ, ষোড়শ, ষণ্ড।
একটি বেশ কার্যকর সাধারণ নিয়ম:
সচরাচর বানানে স না ষ হবে, এই সমস্যাটিই বড়; শ-এর সমস্যা তত নয়। স/ষ নির্ধারণ করার জন্য বর্ণটির আগের স্বরধ্বনি লক্ষ্য করা যেতে পারে: স্বরধ্বনি অ/আ হলে স, এছাড়া ই/ঈ, উ/ঊ, প্রভৃতি হলে ষ, ২.৬ এর ব্যতিক্রমগুলি ছাড়া। যেমন
পুরস্কার--পরিষ্কার
কল্যাণীয়াসু--কল্যাণীয়েষু, শ্রদ্ধাষ্পদেষু
জিগীষা, জিজীবিষা, মুমূর্ষু, শুশ্রূষা
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: হা, হা, দ্বিমত পোষণ করা যাচ্ছে না।
তবে কেন জানি এখন ভালো লাগছে আবার পড়তে; যদিও একটু জ্বর আছে, তবে তা ব্যাকরণের জন্য না। ![]()
শুভ কামনা।
২|
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১৬
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
চমৎকার কাজ । আশা করি অনেকেই উপকৃত হবেন ।
দুঃখজনক হলেও সত্য, যদিও আমরা প্রায় সবাই বানান ভুল করি, তবু এরকম সিরিয়াস ধরণের পোস্টে আসলে সময় একটু কমই দেয় ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২০
ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ, শিপন ভাই।
আসলে নিজের সহ অন্যদের যদি খানিক কাজে লাগে, এই ভেবেই পোস্ট দেয়া।
৩|
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১৮
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
*পোস্টে আসলে 'ব্লগররা' সময় একটু কময় দেয় !
৪|
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৮
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ। আমি সেভ করে রাখছি।
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৪৩
ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫|
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০৬
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন:
পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ
------------------------------
দুইটা বানান সমস্যা আছে। আশা রাখি ঠিক করবেন:
"মত" হবে না, হবে "মতো(তুল্য)" (যেহেতু "মত" একটা শব্দ আছে, মত= অভিমত)।
"কোন" হবে না হবে "কোনো"। যেহেতু "কোন (কী/কে)" শব্দে এখন আর হলন্ত/ হসন্ত ব্যবহৃত হয় না।
(১৯৯৬ সনের সর্বশেষ নিয়ম অনুযায়ী)
ড. আহমদ শরীফ সম্পাদিত বাংলা একাডেমীর বাংলা অভিধানে দেখতে পারেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৩০
ম্যাভেরিক বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি সম্প্রতি একটি বানানের বইয়ে কোন্ বানানটি দেখেছিলাম, তাই এই দ্বিধাটি ছিল। যদিও একাডেমী অনেক বানানের ক্ষেত্রে এখনও একমত নয়, তবে আপনার বক্তব্য অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত এবং প্রমিত বানানের জন্য নিয়মতান্ত্রিক। তাই বানানদুটি পরিবর্তন করে দিচ্ছি এখনই। শুভ কামনা।
৬|
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৪
নম্রতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্যে ! ++
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩
ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দিনটি চমৎকার কাটুক আপনার, এবং আগামীতে।
৭|
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯
অনিশ্চিত বলেছেন: বেশিরভাগ মানুষের সমস্যা হয় আসলে নিত্য মূর্ধন্য-ষ এবং যেগুলো ব্যতিক্রম সেগুলো নিয়ে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ষ-ত্ব এবং ণ-ত্ব বিধান মোটামুটি একই।
চালিয়ে যান।
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯
ম্যাভেরিক বলেছেন: হ্যাঁ, নিত্য বা ধ্রুব বানানগুলি আসলেই সমস্যার। এগুলির উপর ব্যাকরণবিদদের আরো কাজ করা দরকার। ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভয়ঙ্কর জিনিষ ভাই
...... বাংলা ব্যাকরন দেখলেই জ্বর চইলা আসে 