নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
একজন চঞ্চলা কিশোরী, সুন্দরী কন্যা, রাজরানী, মা ও যোদ্ধা হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন ঝাঁসির রানী-লক্ষীবাই(মণিকর্ণিকা)। কঙ্গনা রানাওয়াত এতগুলো রূপে রূপালী পর্দায় আভির্ভূত হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দর্শক বোদ্ধাদের মনে।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিবাহ, মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিধবা, ২২ বছর বয়সে মৃত্যু তবুও স্বাধীনতাকামী ভারতবর্ষের প্রেরণার অন্যতম উৎস হয়ে আছেন ঝাঁসির রানী। যুগে যুগে তার বীরত্বের কথা কিংবদন্তি মত ফেরে মানুষের মুখে মুখে।
১৮৩৫ সালে বারানসীর কাসিতে জন্ম গ্রহণ করেন রানী লক্ষীবাই। তার পিতৃ প্রদত্ত নাম মণিকর্ণিকা আর আদর করে ডাকা হতো মানু নামে। মানুর ১৩ বছর বয়সে তার বাবা ঝাঁসির রাজদরবারে কাজে যোগ দেন।
ঝাঁসির মহারাজা রঙ্গাধর রাও এর সাথে ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় মানুর এবং নাম পরিবর্তণ করে রাখা হয় -লক্ষীবাই। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে একটি পুত্র সন্তান আসে কিন্তু মাত্র ৪ মাস বয়সে সে মারা যায়। রাজা অত্যধিক ভালবাসতেন পুত্রকে। আরেকটি পুত্র দত্তক নিলেও ভুলতে পারেননি আপন পুত্রকে। ১৮৫৩ সালে মারা যান রাজা আর তখনই অসম এক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হয়ে রানীকে।
Doctrine of lapse নীতি অনুযায়ী সে সময় ভারতে প্রকৃত উত্তরাধিকারী না থাকলে রাজ্যটি ব্রিটিশদের অধীনে চলে যেত। তাই ব্রিটিশরা তাকে ৬০,০০০ রুপি পেনশন দেয় এবং ঝাঁসির দূর্গ ত্যাগ করতে বলে। কিন্তু লক্ষীবাই অন্য ধাতুতে গড়া। তিনি লন্ডনে মামলা করলেন । এতে কোন ফল হলনা। ব্রিটিশরা নেটিভদের আবেদন কানে তুললনা, মামলার আপিল খারিজ করে দেন।
ঝাঁসিকে মুক্ত রাখার জন্য লক্ষীবাই দৃঢ় প্রতীজ্ঞ। শুরু হল ১৮৫৮ সাল। ভারতবর্ষজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সিপাহী বিপ্লবের আগুন। এই সুযোগ কাজে লাগান লক্ষীবাই। তিনি ক্ষমতার আসনে বসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আগেই। সময় বুঝে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলেন।
নিয়মিত সৈন্যের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারীরাও অংশগ্রহণ করেন । ১৮৫৮ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে ব্রিটিশ সৈন্য বাহিনী ঝাঁসি অবরোধ করে। দুই সপ্তাহ ধরে চলে সংঘর্ষ। ব্রিটিশরা আধুনিক সমরাস্ত্র ব্যবহার করে এগিয়ে যায় সামনের দকে কামানের গোলায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় দুর্গ। মাত্র ১,৫০০ সৈন্য নিয়ে ব্রিটিশরা ঝাঁসি দখল করে নেয়। অসমসাহসিকতায় লড়াই করে রানী তার পালিত পুত্রকে নিয়ে পুরুষের ছদ্মবেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
ব্রিটিশরা লক্ষীবাই এর বাবাকে ফাঁসিতে ঝুলায় এবং রাজ্যটি ব্রিটিশ সামাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে। লক্ষীবাই অন্যত্র শিবির স্থাপন করেন এবং বিদ্রোহীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলনা। গোয়ালিয়র যুদ্ধে তিনি নিহত হন এবং তার লাশ ব্রিটিশদের হাতে পড়ার আগেই পুড়িয়ে ফেলা হয়।
দেশ মাতৃতিকার প্রতি তার এই টান ও ত্যাগ তাকে ইতিহাসে অমর করেছে।
২৫ জানুয়ারী/২০১৯ সালে মুক্তি পেতে যাচ্ছে কঙ্গনা রানাওয়াত অভিনীত 'মণিকর্ণিকা: দ্য ক্যুইন অফ ঝাঁসি' হিন্দি ছবিটি। যা হতে যাচ্ছে ইতিহাস সৃষ্টিকারী একটি চলচ্চিত্র।
তথ্য সূত্র-লিংক
তথ্য ও ছবি
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭
হাবিব বলেছেন: কবে আসবে?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এ মাসের 25 তারিখ।
ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬
আরোহী আশা বলেছেন: ভালো লাগলো
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মণিকর্ণিকাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা। ভালো লাগলো ঐতিহাসিক পট বিশ্লেষণ করে পোস্ট দিলেন।
শুভকামনা রইল।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবদ দাদা।
ঐতিহাসিক সবকিছুই আমার ভাল লাগে আর সে কারণেই এই পোস্ট।
ভাল থাকুন।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৪
জগতারন বলেছেন:
দুঃখের বিষয় এই 'মণিকর্ণিকা' শব্দটি উচ্চারন করতে পারলাম না।
আর আমি কোন হিন্দি ছবি দেখি না কারন উহা বিরক্তিকর। হয় বাংলা না হয় ইংরেজি ভাষার ছবি দেখি।
আমার কাছে মনে হয়; বাংলার চেয়ে এমন মাধুর্যময় ভাষা এই পৃথিবীতে আর একটিও নাই।
যদিও আমি পড়াশুনা করেছি ইংরেজিতে কাজও করি ইংরেজি দেশে ৩৫ বাছর যাবত।
তাই এই ছবি দেখার আপাতত দেখার কোন ইচ্ছা নেই।
বাংলায় করলে অশ্যই দেখবো।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি হিন্দি ছবি দেখেনা জেনে অবাক হলাম।
কারণ মসলাদার ছবি ছাড়াও হিন্দিতে অনেক ভাল মুভি হয়।
আপনি ইংরেজদের দেশে আছেন এবং তাদের সার্ভিস দিচ্ছেন। ছবিটি কিন্তু ইংরেজদের বিরুদ্দেই জীবন বাজি করা এক নারীর আত্মত্যাগ। ঐতিহাসিক ছবি হিসেবে দেখতে পারেন।
বাংলা ভাষার মত এমন শ্রুতি মধুর ভাষা হয়তো বিশ্বে আর নেই।
ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: জগতারন, আপনি মহামানব আপনি ৩৫ বছর ইংরেজদের সেবা করেছেন, বাঙ্গালীরা আপনাকে যুগযুগ মনে রাখবে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কাজ বা জীবিকার তাগিদে বিদেশে বা ইংরেজদের দেশে থাকতেই পারে।
কিন্তু প্রবাসে থেকেও বাংলাকে ধারণ করা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
ধন্যবাদ।
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৯
ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: মুভির অপেক্ষায় আছি। পরিচালক হিসেবে কঙ্গণা কেমন সেটাই ভাবছি।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মুভিটা দেখলেই বুঝতে পারবেন । ট্রেইলারেই বুঝা যাচ্ছে বেশ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।
কেমন আছেন ফাহিম ভাই।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
রকিবুজ্জামান রিপন বলেছেন: দেখার অপেক্ষাই থাকলাম ....
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
রকিব আপনাকে স্বাগতম আমার ব্লগে।
খুব দ্রুতই অপেক্ষার অবসান হবে।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
আমি মুক্তা বলেছেন: এবার আমিও আসলাম ভাই আপনাদের সঙ্গে শরীক হতে। তবে আমার অলস সময়গুলো পার হয় কেবল মুভি দেখেই, তাই চেষ্টা করব মুভিটি দেখার।