নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও পুরুষ মৌমাছি কেন স্ত্রী মৌমাছির সাথে মিলন করে? এরা মৃত্যুর জন্য মোটেও ভয় পায় না । একজন মানুষকে মারতে হলে প্রায় ১১০০ হুলের বিষ প্রয়োজন । আনুমানিক ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য ১১০০ মৌমাছি প্রায় ৯০ হাজার মাইল পথ ঘুরতে হয় । যা কিনা চাদের কক্ষপথের প্রায় তিনগুণ!
ফুলের হিসাব করলে দেখা যায় ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ ফুলের পরাগরেণু স্পর্শ করতে হয় । সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো মৌসুমে প্রায় ৫৫ কেজি মধু জমা হয় । এসব তথ্য থেকে আমরা বুঝতে পারি কর্মী মৌমাছি কি পরিমাণ পরিশ্রমী ।
অপরদিকে রাণী মৌমাছি শুধু খায় আর ডিম পারে!
রাণী প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ডিম দেয় । পুরুষ মৌমাছির স্বভা বেশ অদ্ভুত । এরা জীবনেও কোন কাজ করে না, এমনকি কর্মী মৌমাছিকে এদের খাবার পর্যন্ত মুখে তুলে দিতে হয় । এদের জীবনের একমাত্র লক্ষ হলো রাণী মৌমাছির সাথে মিলিত হওয়া!
মিলন মৌসুমে প্রতিদিন দুপুরবেলা চাকের সর্বাধিক সক্ষম পুরুষ মৌমাছিগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ভিড় জমায় যাকে বলা হয় পুরুষ ধর্মসভা! ঠিক একই সময়ে চাক থেকে রাণী মৌমাছি ঘুরতে বের হয়, যাকে বলা হয় “ দি মিটিং ফ্লাইট ”
রাণী মৌমাছি হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে পুরুষ ধর্মসভা এলাকায় । সে এসেই এক বিশেষ ধরণের গন্ধ ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে শত শত পুরুষ মৌমাছি উত্তেজিত হয়ে পড়ে । এর পরপরই রাণী মৌমাছি উড়ন্ত অবস্থায় পছন্দমত পুরুষের সাথে মিলন করে । রাণী মৌমাছি একেবারে পর্যায়ক্রমে ১৮- ২০টা পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলিত হতে পারে!
অদ্ভুত ব্যাপার হল, যৌন মিলনের সময় পুরুষ মৌমাছির এন্ডোফেরাস বা যৌনাঙ্গ ভেঙ্গে যায় এবং তখনই মারা যায় পুরুষ মৌমাছি । এজন্যই এই মিলনকে বলা হয় “ দি ড্রামাটিক সেক্সুয়াল সুইসাইড ” ।
একটি মৌচাক একটি মাত্র রাণী আ স্ত্রী মৌমাছি থাকে । রাণীকে কেন্দ্র করেই মৌচাক গড়ে ওঠে ।
যদি কোন ডিম থেকে স্ত্রী মৌমাছির জন্ম হয় সে শিশু স্ত্রী মৌমাছিকে কর্মী মৌমাছিরা লুকিয়ে রাখে যেন রাণীর নজরে না আসে । রাণীর নজরে পড়লে ঐ শিশু স্ত্রী মৌমাছির নিশ্চিত মৃত্যু ।
শিশু রাণী মৌমাছিটি বড় হলে দুই রাণীর মধ্যে যুদ্ধ হয় । এতে দুটি পথ খোলা থাকে । হয় যুদ্ধে মৃত্যু( একজন অপর জনকে হত্যা করে মৌচাকের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে) না হয় দুজন আলাদা হয়ে পৃথক দুটি মৌচাক গড়ে তোলা ।
অনাকাঙ্খিতভাবে যদি কোন রাণী মৌমাছি মারা যায় তবে সে খবর ১৫ মিনিটের মধ্যে সকল কর্মী মৌমাছি জানতে পারে এবং সম্মিলিতভাবে নতুন রাণী মৌমাছি তৈরি করার উদ্যোগ নেয় ।
আরো কিছু অদ্ভুত বিষয় রয়েছে, যা জানলে আপনারা অবশ্যই অবাক হবেন,,, ৫০০ গ্রাম মধু তৈরিতে ২০ লক্ষ ফুল লাগে । শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছি সারা জীবনে আধা চা চামচ মধু তৈরি করতে পারে । আরো একটা মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীতে মধু একমাত্র খাদ্য যা কখনোই পঁচে না!!!
ছবি ও তথ্য-https://dailymirrorofbangladesh.com/
২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।
২| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বংশবৃদ্ধি চলমান রাখতে হলে সেই সুইসাইড ছাড়া গতি নেই।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ঠিক বলেছেন জীবন দিয়ে বংশ রক্ষা।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: এই বিশয়ে আমারও একটা পোস্ট ছিলো বছর খানেক আগের।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জানা ছিল না । ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
বিটপি বলেছেন: চাঁদের কক্ষপথের দৈর্ঘ্য আড়াই লাখ মাইল। বলতে পারেন মৌমাছি এক কেজি মধু সংগ্রহ করতে এই কক্ষপথের এক তৃতীয়াংশ উড়ে আসে। পুরুষ মৌমাছি এমনি এমনি মারা যায়না, রাণী মৌমাছি তাকে মেরে ফেলে। পুরুষের যৌনাঙ্গ রাণীর যৌনাঙ্গের সাথে আটকে গিয়ে রাণীর উড়তে অসুবিধা হয়। তখন রাণী পুরুষ মৌমাছিকে ধরে হ্যাচকা টান দিলে পুরুষাঙ্গের সাথে তার তলপেটের নাড়িভূড়িও ছিঁড়ে চলে আসে। ফলে পুরুষটি সেখানেই পড়ে গিয়ে ছটফট করে মারা যায়। মৌচাকে ফিরে এসে কর্মীরা তার জননাঙ্গ থেকে পুরুষাঙ্গের বাকি অংশ খুটে খুটে বের করে, তারপরেই রাণী মৌমাছি অন্য কোন পুরুষের সাথে মিলিত হবার জন্য উড়ে যায়।
এটা কি আসলে সুইসাইড নাকি সেক্সুয়াল ক্যানিবালিজম?
২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। সুন্দর তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা আগে পড়েছি।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
অক্পটে বলেছেন: খুব ভাল লাগল, কিছু অবাক করা তথ্য প্রথম জানলাম।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
দারাশিকো বলেছেন: ভয়ংকর ব্যাপার স্যাপার। বিটপির মন্তব্যটাও তথ্যবহুল।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সহমত। ধন্যবাদ।
৮| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম পোস্ট থেকে। এগুলি জানা ছিল না।
মনুষ্য জগতে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে রানীর ধারে কাছে কেউ যেত বলে মনে হয় না।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। মানুষ বলে কথা, তখন অন্য পথ ধরতো।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার পোস্ট আর বিটপী'র মন্তব্য পড়ে একটা বিষয় মাথায় এলো
" আমরা কী বলতে পারি না প্রাণীজগতে প্রজননের জন্য পুরুষের আত্মত্যাগের এক অনন্য নিদর্শন হলো এই প্রাণী মৌমাছি । "
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বলা যেতে পারে। ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রাণী নয় পুরুষ হবে **
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওকে।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৮
বিটপি বলেছেন:
@নির্বহন নির্ঘোষ, প্রজননের জন্য পুরুষের আত্মত্যাগ? হাসালেন মশাই। যৌন তাড়না এমন এক জিনিস, যা মেটানোর জন্য মানুষ নিজের জীবনের ঝুঁকিও নিতে পারে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড - এটা জানার পরেও কিন্তু ধর্ষকেরা কোন সুযোগ মিস করেনা।
পুরুষ ইঁদুর জীবন দেয় কিভাবে জানেন? যৌন তাড়না এত বেশি হয় এদের যে খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে একের পর এক নারী ইঁদুরের সাথে এরা উদ্দাম যৌনতায় মেতে থাকে। এক সময় পুষ্টির অভাবে দুর্বল হয়ে অথবা হৃদযন্ত্রের প্রেসার ভয়ানক বেড়ে গিয়ে এরা মারা যায়।
বেশির ভাগ প্রজাতির পুরুষ মাকড়সাই প্রজননের পর পালাতে গিয়ে স্ত্রী মাকড়সার হাতে ধরা পড়ে। স্ত্রী মাকড়সা তাকে জালের এক কোণায় বেঁধে রাখে। গর্ভবতী হলে যখন নড়াচড়া করার ক্ষমতা কমে যায়, তখন বেঁধে রাখা পুরুষ মাকড়সাটিকে খেয়েই তার পুষ্টি চাহিদা মেটায়।
প্রেয়িং মানতিস নামের সবুজ পোকাটি তার যৌনাঙ্গ থেকে এক ধরণের গন্ধ ছড়ায়। সেই গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে যখন পুরুষ মানতিস তার উপর চড়ে বসে, তখন সে চুপ থাকে। যৌনকর্ম শেষ হলে লেগে থাকা অবস্থায়ই সে পুরুষ সঙ্গীকে খেতে শুরু করে। আবার খিদে পেলে আবারো সে একই কাজ করে। যৌনতার লোভ দেখিয়ে খাবার সংগ্রহের এ এক অভিনব উপায়।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পুরুষ প্রানী এক্ষেত্রে মনে হয় ব্যতীক্রম। যৌন চাহিদা মিটাতে স্ত্রী প্রানীর জীবন সংহার(খেয়ে ফেলেনা) করেনা। কোন কোন প্রজাতি করে কিনা জানিনা ।
আসলে প্রকৃতির খেলা ও আল্লাহ তায়ালার বিচিত্র সব সৃষ্টির লীলা বুঝা বড় দায়।
ধন্যবাদ। শুভকামনা।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @বিটপী ,
আপনার কথা ঠিক কিন্তু মানবযৌনতা আর অন্যসব প্রাণী জগতের যৌনতা থেকে আলাদা । অন্যসব প্রাণীদের প্রজনন মৌসুম থাকে মানুষের থাকে না ( হয়তো আরও অন্য সব প্রাণীদেরও থাকে না ।) কিন্তু মানুষের এই তাড়নার অনেক বহিঃপ্রকাশ আছে । যা অন্যসব প্রাণীদের নেই । মানুষের যৌনাবেদন থাকলেও অন্য প্রাণীদের নেই । আসলে এটা বলা মুশকিল যে মানবের মত তারাও চরম সুখানুভূতির জন্যই লিপ্ত হয় কি না । তাই আসলে এক সাথে মানবের সাথে মেলাতে চাইছি না বা সেভাবে মানবের বৈশিষ্ট্যের সঅথে মেলাতে চাইছি না !!!
তবে আপনার কথা থেকে আমি একটা উপসংহারে পৌঁছাবো । পুরুষের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো তার প্রজনন ক্ষমতা কিংবা তার যৌনতা !!!
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একেক প্রানীর যৌন আবেদন একেক রকম ।তাদের ক্রিয়া কলাপ, সময়, আচরণ ভিন্ন । কিন্তু সবার মধ্যে লক্ষ একই বংশ রক্ষা বা বৃদ্ধি। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫১
বাকপ্রবাস বলেছেন: বেশ মজার