নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেন জাগবে হে তরুণ তরুনী

মোঃ সাকিব

দেশে শান্তি চাই

মোঃ সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথা হচ্ছিল

১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

গতকাল এক জামায়াত কর্মী কন্ধুর সাথে আলাপ হচ্ছিল, হরতালের কারণ কি? তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানালেন এটি অন্যায়ের বিরোদ্ধে একটি তিব্র প্রতিবাদ। বললাম ব্যস তো, তবে এই অর্থহীন প্রতিবাদে আদালতের রায় পরিবর্তন হবে কি? সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ঢলে পড়বে কি? অন্যায় হলেও তাহা ঠেকানো যাবে কি? যদি উল্লেখিত কোনো ফলই জামায়াতের ঘরে না আসে তাহলে হরতালের নামে নিরহ এবং ক্রদ্ধ স্থানীয় কর্মী সমর্থক কে রাস্তায় নামিয়ে পুলিশ দিয়ে লাঠি পেটা করানোর অর্থ কি? বন্ধু চুপ হয়ে গলেন।

আমি তাকে কথা গুলি এইজন্যই বলছিলম, তিনি একবার আমার কাছে জানতে চেয়ে ছিলেন ২০ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম জিয়ার কাছে তিব্র আন্দোলনের শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচনে ১০০টি আসন দাবী করেছেন এটি কি জামায়াতের নৈতিক চাওয়া? নাকি অনৈতিক। উত্তরে আমি বলছিলাম, এই সংবাদটি জাতীয় কোনো পেপারে পড়ি নাই তবে অনলাইন সহ নানা সূত্রে আমিও জেনেছি, যেখানে নৈতিক আর অনৈতিকের প্রশ্ন সেখানে আমার জবাব হইল যেই কোনো কেউ উন্নমানের লুঙ্গি পড়ার যোগ্যতা অর্জনের আগে তারা টাই কোটসূট নিয়ে টানা টানি করা উচিত নয়। সারাদেশে জামায়াতের ভোট আছে কিন্ত সংসদে যাওয়ার মত আসন নেই এটিই বাস্তবতা। জোটের রাজনীতি ব্যতিত জামায়াত যদি সংসদে যাইতে পারে সেটি হবে আকাশের চাদ পাওয়ার মত বিষয়। জামায়াত স্বদলীয় সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অন্য যেই কোনো দলের চাইতে ১০০% বেশী সফল, দলীয় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের চাইতেও বেশী শক্তিশালী সন্দেহ নেই কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে ভূল আছে। (১) জামায়াতে দাবী, তারা ইসলামের রাজনীতি করে অথচ বাংলাদেশে এমন ইসলামী শক্তি রয়েছেন যারা জনাব মওলানা মওদুদী মতবাদী ইসলামী রাজনীতিকে সমর্থন করেন না, প্রতিবাদ করেন, কোরান হাদিসের আলোকে ভূল ভ্রান্তি ধরিয়ে দেন অথচ জামায়াত এখানে নিরব। (২) জামায়াতের শীর্ষ নেতারা অপরাধী হউক বা না হউক, ১৯৭১ সালে স্বধীনাতা যুদ্ধের পক্ষের ছিলেন না এটি চির সত্য, অস্বীকার করার উপায় নাই। অথচ ৭১ এর পরবর্তী প্রজন্ম জামায়াত কর্মীরাও বিশ্বাস করে যে, স্বাধীনতা যুদ্ধ হয় নাই গৃহযুদ্ধ হয়েছিল আর ভারত নিজের স্বার্থে এই গৃহ যুদ্ধের সূচনা করেছিল। (৩) জামায়াত স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং দেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করেনা অথচ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মন্ত্রী হাওয়ার শর্ত দিয়ে (অনৈতিক চাওয়া) রাজনৈতিক জোট করেছে (মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন, এখানেই বেগম জিয়ার হয়ত সব চাইতে বড় ভূল রাজনৈতিক সিদ্দান্ত)। (৪) কোরান হাদিসের দোহাই দিয়ে, জামায়াত রাজনীতি করে, অথচ কর্মী বানায় চাকুরীর লোভ দেখাইয়া (ইয়াহুদী নাসারার ফরমূলা) যেইভাবে খ্রীষ্টানেরা (এনজিও) গরীব দুঃস্থকে টাকা পয়সা, চাকচিক্য জীবনের লোভ দেখাইয়া অন্য ধর্মাবলন্বীকে খ্রীষ্টান বানায়। তাতে স্পষ্ট হয় যে, জামায়াতের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতি ক্ষমতা কেন্দ্রিক, ধন দৌলত প্রাচুর্য্য কেন্দ্রীক এবং সাংগঠনিক কর্মকান্ড পদ্ধতিও বেদ্বীনিদেরই পদ্ধতি। এখানে সবকিছুই পবিত্র ইসলামের সাথে সাংঘর্ষীক। ধন্যবাদ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আপনার ঐ বন্ধু জামায়াত সম্পর্কে কোন কচু জানে আমি জানিনা। কিন্তু জামায়াতের সাথে কোনরকমভাবেও জড়িত না হয়ে আপনার এইসব ফালতু প্রশ্নের কড়া জবাব দিতে সক্ষম।

আপাতত একটা প্রশ্নের জবাব আমি দিচ্ছি - জামায়াত হরতাল ডাকে রায় পরিবর্তন বা নেতাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নয়। একটা আক্রমণাত্মক সরকারের বিরুদ্ধে কিছু করার মত শক্তি এই ক্ষুদ্র দলটির নেই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আল্লাহ্‌র হুকুম। অন্যায়কে নীরবে সহ্য করা একটা বড় পাপ। জামায়াত কর্মীরা এই পাপের ভাগীদার হতে চায়না বলেই মার খাবার শঙ্কা মাথায় নিয়েও প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। জামায়াতের প্রতি সহানুভূতি না থাকলে এসব ব্যাপার আপনি কখনই যথার্থভাবে অনুধাবন করতে পারবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.